জ্বলদর্চি

ভাষা ও শব্দের ইমারত 'কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা' /সুষেণ মাহাত


ভাষা ও শব্দের ইমারত 'কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা
'
সুষেণ মাহাত

পরিবারের তিন পুরুষে আমি প্রথম উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। পড়াশোনা করতে হবে এই ভাবনাটা হয়তো ছিল তবে পরিবারে পড়াশোনার চল কোনদিনই ছিল না। জ্বলদর্চির হাত ধরেই এই মহৎ অভ্যাসে হাতে খড়ি আমার। আর সেই তালিকায় নতুন সংযোজন "কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা"। জীবনে যখনই দুঃসময় এসেছে , সে মাওবাদী সমস্যা হোক বা লকডাউন জ্বলদর্চি সঙ্গী।

"কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা" পড়তে পড়তে যখন ঘোর কাটল, বুঝলাম "আমাদের আত্মস্বরূপ চিরকাল দুহাতে ঢাকা"।

'পাই বা না পাই অন্তত সচেষ্ট হই ।" "দিগ্বিজয়ের আশায় দিন শুরু হয় নিয়মিত"-- এই কারণেই হয়তো আশ্চর্যজনকভাবে এই বইতে পূর্ণচ্ছেদের ব্যবহার খুবই সীমিত। অর্থাৎ অনন্ত উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলা—"জীবন! কখনো মিলবে না জেনেও যাত্রা।"

সাম্প্রতিক বিচারে আমার বোধ থেকে যেটুকু বুঝেছি— "আমরা শিখে গেছি আজ দেখেও না দেখার ভান।"যেন মূল্যবোধের জাগরণ। ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা থেকে বিশ্ববোধে উত্তরণ "চেয়েছি বলেই দেশ নইলে একটাই পৃথিবী হয়।"

"কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা"-র কবিতাগুচ্ছ পড়তে পড়তে মনে পড়ে কিছু স্মৃতি "জ্যোতি বাবু ও তুমি" এবং "ঝড়ের পাখিকে আত্মকথা"-র কথা। তারচেয়েও বেশি আনন্দের স্বীকারোক্তি হল — "ঝিঙেফুল" নামক একটি গ্রন্থের প্রুফ কপি পকেটহস্থ করে ছিলাম অনুমতি ছাড়াই। পরে অবশ্য ধরাপড়ায় সেটি ফেরত দিতে হয় স্যারকে। এমনি সব স্মৃতির মাঝে কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা যেন "প্রতীক্ষায় ফুটেছে কুসুম।" যা আগামীর পূর্বসূরি।

🍂

Post a Comment

0 Comments