জ্বলদর্চি

প্রকাশিত হল গৌর চট্টোপাধ্যায়ের 'চাঁদ নিয়ে ছড়া'

প্রকাশিত হল গৌর চট্টোপাধ্যায়ের 'চাঁদ নিয়ে ছড়া'

১৯৬৯ সালে বাংলা বিভাগের শিক্ষক গৌর চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন চাঁদ নিয়ে ছড়া। লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন চাঁদে মানুষের পদার্পণের ঘটনা। সন্তান গুগাই-কে উৎসর্গ করেছিলেন। আর চিত্রশিল্পী অরুনাভ দত্ত এঁকেছিলেন প্রাসঙ্গিক চিত্র। কিন্তু এই লেখা ও চিত্র পাণ্ডুলিপি হিসাবেই এতকাল ছিল পাঠকের আড়ালে। সুযোগ্য সন্তান সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বই আকারে প্রকাশ পেল। 

শনিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের ফিল্ম সোসাইটি হলে বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন কবি বিপ্লব মাজী।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাপস মাইতি, অচিন্ত মারিক, আনন্দরূপ নায়েক, প্রদীপদেব বর্মন, অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়, রাজেশ্বরী ষড়ঙ্গী, সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী ভট্টাচার্য, ঋত্বিক ত্রিপাঠী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি সিদ্ধার্থ সাঁতরা। 

১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রং প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদে পদার্পণ করেন। পাশাপাশি সন্তানের আগমনে উচ্ছ্বসিত পিতা নির্মাণ করেন চিত্রিত এই কবিতার বই ‘চাঁদ নিয়ে ছড়া’ যা ছিল সন্তানের প্রতি পিতার সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। আর ২০২৪ সালে ২৩ মার্চ তা পাঠকের হাতে তুলে স্মৃতিকে চিরকালীন শিল্পরূপ তথা গ্রন্থের আকার দিলেন গৌরবাবুর সন্তান। এটি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য, তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা— শিক্ষণীয়ও বটে।

কবি গৌর চট্টোপাধ্যায় ও চিত্রশিল্পী অরুনাভ দত্ত — দুজনেই প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু এই গ্রন্থের মাধ্যমে তাঁরা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

শিশুকিশোর মনস্তত্ত্বকে মাথায় রেখেই ছড়ার ভাষা সহজ সরল। অন্তমিলের সুরে উঠে এসেছে নানা প্রাসঙ্গিক কল্পনা। কোথাও চাঁদ স্বয়ং এক চরিত্র সেও পাঠকের সঙ্গে একাত্ম হতে চেয়েছে। 

"ছোটখাটো চাঁদটি আমি
ছিলাম চুপচাপ 
আঁকলো এসে ধরার মানুষ 
আপন পায়ের ছাপ
ভালবেসে ওরা আমায়
তাই না কাছে এল,
অজানাকে জানতে গিয়ে
জীবন ঝুঁকি নিল।"

লেখার পাশে প্রাসঙ্গিক চিত্রও অসাধারণ। এই বই প্রকাশ খুব জরুরি ছিল। বইটির প্রকাশক : কবিতিকা। মূল্য :৩০০/-

🍂


Post a Comment

0 Comments