জ্বলদর্চি

'কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা'-য় বিজ্ঞান : কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠী'র মহাবিশ্বায়নের অনুভূতি /পূর্ণচন্দ্র ভূঞ্যা

'কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা'-য় বিজ্ঞান : কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠী'র মহাবিশ্বায়নের অনুভূতি

পূর্ণচন্দ্র ভূঞ্যা

কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠীর সংবেদনশীল মনন ও দর্শন স্ফটিকের মত স্বচ্ছ ও একশো শতাংশ বিশুদ্ধ। শিল্প সাহিত্যের বহুমাত্রিক দেশে তাঁর অবাধ বিচরণ। তাঁর কবিতা বহুমুখী ও ডায়নামিক। বৈজ্ঞানিক উপমা ও ঘটনাপ্রবাহ স্বাচ্ছন্দ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় তাঁর সৃষ্ট কবিতায়। বিজ্ঞানের দুরূহ বিষয়গুলি কিংবা বৈজ্ঞানিক গুচ্ছ পরিভাষা হয়তো কবিতায় রূপক অর্থে উপমা হিসাবে ব্যবহৃত হয় কিংবা কাব্যের গভীরতা আমদানি করে; তবে একথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে বিজ্ঞানের সংশ্লিষ্ট প্রতিশব্দগুলো তাঁর কবিতার গূঢ় অর্থের সঙ্গে হুবহু মানানসই। আসলে তাঁর কবিতায় সাহিত্যের বহুমাত্রিক যোজনায় বিজ্ঞানও সমান ভাবে সমাদৃত। তাই, তাঁর রচিত 'কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা' কাব্যগ্রন্থে অবধারিত ভাবে উড়ে এসে জুড়ে বসে সায়েন্সের একগুচ্ছ ঘটনা। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি রহস্য। কৃষ্ণগহ্বরের একাকিত্ব। স্বনামধন্য নশ্বরতার প্রখর রোদ। বৃত্তের কেন্দ্র। মায়াহীন মাধ্যাকর্ষণ। গ্রহাণু। দ্বিখণ্ডিত ত্রিভুজ। যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ কমা সেমিকোলন পূর্ণচ্ছেদ ইত্যাদি। যদিও অগ্রজ প্রতিম ঋত্বিকদার কাব্যগ্রন্থের মূল্যায়নের ধৃষ্টতা আমার নেই, তবুও কবিতায় বিজ্ঞানের বিষয়গুলি নিয়ে সামান্য আলোকপাতের লোভ সংবরণ করা অসম্ভব।
বৃত্তময় মানবজীবন। মানববৃত্তের নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আটপৌরে ভাব-ভালোবাসা, ঝগড়াঝাটি, প্রাত্যহিক ওঠা-নামা। সে-বৃত্তের মাধ্যাকর্ষণে আমাদের দেশ-কাল-জন্ম-মৃত্যু আবর্তিত হচ্ছে চক্রাকারে। পরক্ষণেই, উপমাহীন কৃষ্ণবিবর অর্থাৎ ব্ল্যাকহোলে গ্রহ তারা নিহারিকা ধূমকেতু উল্কাপিণ্ড মায় আলোর অন্তর্ধান রহস্যে সমান্তরাল মহাবিশ্বের যে ধারণা বা সম্ভাবনা কবি চাক্ষুষ করেছেন কল্পনায়, তা উদ্ভাবনের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য পণ্ডিতগণ আজও সদা সচেষ্ট। তেমন সম্ভাবনাময় কালজয়ী ভবিষ্যবাণী উচ্চারিত হয়েছে তাঁর 'মহাকাশ-উত্তর কথা' কবিতার প্রতি শব্দে।

'মহাকাশ-উত্তর কথা' কবিতায় কবির তৃতীয় নেত্রে উদ্ভাসিত হয় শস্য শ্যামলা ধরিত্রীসহ সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের করুণ পরিণতি। এ হেন কাব্যে তাঁর অমোঘ উচ্চারণ — 'গোমড়া মুখে ঘণীভূত পদার্থের পিণ্ড, বৃত্ত জুড়ে মাধ্যাকর্ষণ' কিংবা 'উপমাহীন কৃষ্ণবিবরে লীন পাথরের শ্বাস'। একদিন আসবে, যখন মহাবিশ্ব জুড়ে শাসন করবে কেবল মহাকর্ষ তরঙ্গ আর দানব কৃষ্ণবিবর। ১৯৮০-র দশকে অঙ্ক কষে 'ইনফ্লেশন থিয়োরি'র সাহায্যে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অ্যালান গুথ প্রমাণ করেছেন কঠিন সেই সময়ের কথা – মহাজাগতিক চল্লিশ দশক থেকে একশ দশকের হাহাকার দশা। নামকরণ করেছেন 'ব্ল্যাক হোল এরা'। কৃষ্ণবিবর-অধ্যায়। তখন ব্রহ্মাণ্ডে থাকবে না কোনও আলো। পড়ে থাকবে শুধু নিকষ কালো। গভীর অন্ধকার সময়। এই মহাবিশ্বে যেখানে যত ঘণীভূত পদার্থ পিণ্ড আছে, আলো আছে; অসীম মাধ্যাকর্ষণের টানে সবাই ঢুকে যাবে উপমাহীন কৃষ্ণবিবরের অন্ধকার সময়ে। তখন বিস্মৃত হবে 'লিন্ডেম্যানের দশ শতাংশ সূত্র'; 'উপমাহীন অভিকর্ষ ছাড়িয়ে অবিসংবাদিত শীর্ষবিন্দু' প্রতিভাত হবে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ঘরে-বাইরে উচ্চারিত হবে একটি মাত্র রাক্ষুসে নাম — ব্ল্যাকহোল এবং তার অসীম মহাকর্ষ টান। 
কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠীর একান্ত নিজস্ব একখানা স্বতন্ত্র সমৃদ্ধ বৃত্ত রয়েছে, যে-বৃত্তের মাধ্যাকর্ষণ ছাপিয়ে অসীমে ঘুরপাক খায় তাঁর যাবতীয় চিন্তা ভাবনা। তাঁর সেই একলা জগতে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গনে বিজ্ঞানও সমান সমাদৃত আগেই উল্লেখ করেছি। তিনি বলেন —
'আপাত নিরস বিজ্ঞান নির্ভর প্রবন্ধগুলির মধ্যে সাহিত্যের ভরপুর সহাবস্থান। বিজ্ঞান আর্টিকেলও, বহুমাত্রায়, সাহিত্য। বিজ্ঞানের বিষয়গুলিকে সাহিত্যের চেনা ছন্দে ফেলে সর্বস্তরের পাঠককে আকৃষ্ট করার কৌশল আয়ত্তের উপায় অনুসন্ধান অত্যন্ত জরুরি।'
তিনি আরও বলেন — 'সাহিত্যের অঙ্গনে বিজ্ঞান‌‌‌ও  কাব্যের অলংকার। উপযুক্ত সাহিত্য রসে চুবিয়ে বিজ্ঞান প্রবন্ধগুলো নিঁখুতভাবে উপস্থাপন করলে শুধু বিজ্ঞানের ছাত্র নয়, সাহিত্যের সর্বস্তরের পাঠক আকৃষ্ট ও সমৃদ্ধ হবে।' তাঁর এ হেন দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে 'কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা' কাব্যগ্রন্থের একগুচ্ছ কবিতায়।

এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যত গ্রহ তারা নিহারিকা ধূমকেতু সৃষ্টি হয়েছে, এদের ক'টায় প্রাণ বা প্রাণের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে? ব্রহ্মলোকের অধিকাংশ পাথুরে জমি বা ঘন গ্যাসীয় বাতাবরণ প্রাণের কর্ষণ অযোগ্য পতিত ভূমি। সর্বব্যাপী মনুষ্য বাসের অনুপযুক্ত। ব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে তারপরেও পৃথ্বী নামক সজল পাললিক ভূমিতে গড়ে উঠেছে বহুধা পুরুষ। বহুত্ব প্রাণ। তাই কবির ধারণায় – 
"কর্ষণ অযোগ্য জেনেও গড়ে ওঠে ভূমি ও ভূমা..."
টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে মেসোপটেমিয়া, সুমের, অক্কাদ প্রভৃতি সভ্যতা গড়ে উঠেছিল আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে। কীলক লিপি ওই সব সভ্যতার লিপি। নরম কাদা মাটির তৈরি চারকোনা চাকতির উপর পেরেক জাতীয় বস্তু দিয়ে আঁকচিরা কেটে লেখা হত প্রাচীন এই লিপি। তারপর চাকতি আগুনে পুড়িয়ে ও রোদে শুকিয়ে শক্ত করে নেওয়াই ছিল রীতি। পেরেকের অগ্রভাগ বা বর্শার ফলার মতন দেখতে ছিল বলে এর নাম কীলক লিপি; যার আপাত অখ্যাত ভূমিখণ্ডে অচিরেই গড়ে উঠেছে ভবিষ্যতের হরেক লিখিত অভ্যাস। কথ্য ভাষা খুঁজে পেয়েছে অনুভূতি প্রকাশের দিশা, প্রাণ। এ হেন কীলক লিপির বহুমাত্রায় কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠী খুঁজে নিয়েছেন কবিতার রূপ-রস-স্বাদ-বর্ণ-গন্ধ। আর, তাই 'কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা' শীর্ষক কবিতায় কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠীর শাশ্বত চেতনায় পরমেশ্বরের ইচ্ছে ও ভালোলাগার চেয়েও বড় হয়ে ওঠে 'প্রয়োজন'। আগামীতে যা প্রয়োজন, আপনা থেকেই তার ইচ্ছে ও ভালোলাগা যদি এখন তৈরি হয়; তাহলে ক্ষণিকের জন্য হলেও উজ্জ্বল হয় আগামীর স্থায়িত্ব। কিন্তু নিয়তির অনিবার্যতায় কোনও কিছু স্থির নয়। ভবিষ্যৎ পরাবাস্তবতার জল-চিত্র ছাপিয়ে মহাবিশ্বের জঠরে লুকিয়ে থাকে নশ্বরতার বিষ। চির আয়ুর প্রোটন কণা অবিনশ্বর নয়, ভঙ্গুর – জেনেও যদি পরমাণুর জমাট সংসার গড়ে ওঠে, পারমাণবিক নিউক্লিয়াস তৈরি হয়; তবে স্বনামধন্য মহাবিশ্ব গড়ে উঠতে দোষ কোথায়? পরমেশ্বরের ভবিষৎ পরিকল্পনা যদি আগামীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, তাহলে এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টিই তাঁর অদ্বিতীয় ইচ্ছে ও ভালোলাগা প্রতিপন্ন হয়। যদিও 'স্বনামধন্য সংসারেই থাকে নশ্বরতার প্রখর রোদ।'

জঙ্গল মধ্যে বৃত্তাকার কুঁয়ার চারদিকে ধূর্ত শিকারের পেছনে চতুর শিকারি ছুটলে যেমন বোধগম্য হয় না – কে কার পেছনে দৌড়য়, তেমনি গড়া-ভাঙা-গড়া কিংবা ভাঙা-গড়া-ভাঙার বৃত্ত কখনও সম্পূর্ণ হয় না। ধ্বংসের মধ্যেই যেমন লুকিয়ে থাকে সৃষ্টির বীজ, তেমনি সৃষ্টির নেপথ্যে খেলা করে ধ্বংসের আলোছায়া। এ যেন ভাঙা-গড়ার চিরায়ত খেলা। যে-বিগব্যাঙ থেকে এই মহাবিশ্বের জন্ম, ব্ল্যাকহোল-এজে পৌঁছে হয়তো সিঙ্গুলারিটির কৃষ্ণকালো বিন্দুতে আশ্রয় খুঁজে পাবে স্বনামধন্য এই ব্রম্ভাণ্ড! গরিমা হারাবে চির অহংকারী আলো। কুম্ভকর্ণের ঘুম ভেঙে জেগে উঠবে অভিমানী অন্ধকার। গুটিকয়েক বিরতি চিহ্ন। কমা, সেমিকোলন, পূর্ণচ্ছেদ।

"চেয়েছি বলেই দেশ নইলে একটাই পৃথিবী হয়" — কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠীর বলিষ্ঠ লেখনী বরাবরই 'সংজ্ঞার বিপরীতে' চেনা কণ্ঠস্বরের বাইরে অশান্ত ঘূর্ণি পথ হেঁটেছে। তাঁর এ হেন মতবাদ বিজ্ঞানের 'সিঙ্গুলারিটি তত্ত্ব'-এর সমার্থক। 'সংজ্ঞার বিপরীতে' কবিতার কালজয়ী বাক্যে কবি বিশ্বমানবতার নজিরবিহীন যে বার্তা, যে সংকেত ধ্বণিত করে সমাজ সংস্কারের উপায় বাতলে দিয়ে আমাদের তৃতীয় নেত্র উন্মোচন করলেন, তার মুক্তি কবির কলম থেকে নিঃসরিত এক দৃপ্ত ঘোষণায় — 
"দুঃখ সুখের সমূহ ঐশ্বর্য একার কারও নয়।"

তাঁর একনিষ্ঠ লেখনীতে কী স্বতঃস্ফূর্ততায় বিজ্ঞানের দুরূহ আর্টিকেলগুলো সাহিত্যের আঙিনায় পা ফেলে সাবালক হয়ে ওঠার রসদ খুঁজে পায়! আজীবন সাহিত্যের ঘেরাটোপে বাস করেও বিজ্ঞানের উপরে তাঁর দখল প্রশ্নাতীত। এ কথার হাতে-গরম প্রমাণ 'কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা' কাব্যগ্রন্থ। অথচ তিনি বলেন বিজ্ঞান তাঁর বিষয় নয়। কিন্তু বিজ্ঞানের আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে বিষয়ের গভীরে পৌঁছনোর তাঁর একাগ্রতা, মুন্সিয়ানা সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো। 

'আত্মজ্ঞান' কবিতায় যখন "কেউ এসে বলে, গভীরতা সব আপাত"; সম্পর্কের গভীরতা প্রসঙ্গে কবির আত্মদর্শন এখানে সুচারু ভাবে পরিস্ফুটিত হয়– সবকিছুই আপেক্ষিক, এ জগতে পরম বা চরম বলে কিছু নেই। সেজন্য তাঁর কথায় – "কোনও মানুষকেই গভীর ভাবে নিয়ো না"। তাহলে আত্মজ্ঞান লোপ পায়। আপেক্ষিকতার তত্ত্ব সত্যি প্রমাণিত হয়। 

'বিপ্রতীপ' কবিতায় তিনি বলেছেন সম্পর্কের সমীকরণ পাকাপোক্ত হওয়ার চাবিকাঠি – "বিপরীতেই হয় বন্ধুত্ব গভীর"। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ সহজাত। এ হেন প্রবৃত্তি কণা-জগতেও সমান সমাদৃত। ঋণাত্মক তড়িতের জন্য ধনাত্মক আধানের টান অথবা উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরুর গভীর বন্ধুত্ব যেখানে মিলে মিশে একাকার; সেখানে সম-আধানের ঝগড়া কিংবা সম-মেরুর বিচ্ছেদ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় "বিপরীতেই হয় বন্ধুত্ব গভীর"।

এই জগতের সীমানা কী? কতদূর এর ব্যাপ্তি? এমন হাজারো প্রশ্ন অস্থির মনে কৌতুহল উদ্রেক করে। কিন্তু এ প্রশ্নের উত্তর আজও অজ্ঞাত! এখনও অব্দি ব্রহ্মাণ্ডের আসল পরিধির ধারণা মানুষের কল্পনার বাইরে। হয়তো আকাশ গঙ্গা ছায়াপথ অথবা নিদেনপক্ষে অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির দূর চিত্র করায়ত্ত হয়েছে হাতেগোনা কতিপয় স্পেস-টেলিস্কোপের ক্যামেরায়। মানুষের তৈরি প্রোব 'ভয়েজার' সবেমাত্র সৌর-ফ্যামিলির সীমান্ত পেরিয়ে ইন্টারস্টেলার স্পেস বা আন্তঃনক্ষত্রীয় শূন্যস্থানে পৌঁছেছে। এর বাইরে মানুষের কল্পনা এগিয়েছে আলোর গতিতে, কিন্তু হাতেনাতে মাতব্বরি এগোয়নি একচুল। সেজন্য কবির আত্মোপলব্ধি — "মানুষের কথা ততটাই, যতটা বৃত্তের পরিধি"।

বাড়িতে বসেই সংগ্রহ করতে পারেন 👇
এমন আরও গুচ্ছ বৈজ্ঞানিক ঘটনার স্বতঃস্ফূর্ত আত্মপ্রকাশে তাঁর কবিতার শ্রী বৃদ্ধি হয়েছে প্রশ্নাতীত হারে। এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না কাব্যগ্রন্থটি কালজয়ী। সাহিত্য ও বিজ্ঞানের রসদে পরিপূর্ণ 'কীলক লিপিতে ভূমি ও ভূমা' কাব্যগ্রন্থ অবশ্য পাঠ্য। ধন্যবাদ জানাই অগ্রজ প্রতিম কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠীর অনবদ্য প্রয়াস ও কালোত্তীর্ণ সৃষ্টিকে। সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত সংগ্রহযোগ্য বইটি মেদিনীপুরে ভূর্জপত্র পুস্তকালয় থেকে পাওয়া যাচ্ছে। এ বই অবশ্যই পাঠকের মনে আনন্দ রসের সঞ্চার করবে। দীর্ঘস্থায়ী ভালোলাগার ফিল্ড উৎপন্ন করবে। পাঠাগারের সৌন্দর্য বর্ধন করবে নিঃসন্দেহে। কবিতা প্রিয় পাঠকের অন্তরে এ কাব্যগ্রন্থ দীর্ঘ সময় দৃঢ় ছাপ ফেলবে এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই।
🍂

Post a Comment

0 Comments