জ্বলদর্চি

রম্য কবিতা :৩১ / শুভশ্রী রায়

রম্য কবিতা :৩১ / শুভশ্রী রায়

সান কনিওর

গাছের ডালে লাফাচ্ছিল সবুজ ও চঞ্চল এক টিয়ে
ওপর থেকে সূর্যদেব দেখছিলেন কোটি নয়ন দিয়ে,
অনুপম এই পাখিটির চালচলন সাগ্রহে লক্ষ্য করে
তিনি ভাবলেন, পরীক্ষা করা যাক না টিয়ার ওপরে!
তৈরি করব শুক আরেক, এবার একটু অন্য রকম,
সুখে ঢেলে দেব তার অবয়বে আমার নিজের যত রং,
এভাবেই তো সৃষ্টি হ'ল সান কনিওর টিয়ার প্রজাতি;
রংসিন্দুকের সমস্তটা নিয়ে সে অর্কদেবের জ্ঞাতি।



মনের রাজহাঁস

কালো রাজহাঁস আমাদের দেশে বেশি যায় না দেখা,
তাদের কয়েকটিকে মনে মনে তৈরি করে ফেলাই যাক!
পুকুরও একটা অমনি খুঁড়ে ফেলি, কিসের কষ্ট মনে মনে;
মহানন্দে জলে সাঁতার কাটবে কৃষ্ণ রাজহাঁসের ঝাঁক।

🍂


কিরণ আল্পনা

সূর্যকিরণ জলের ওপর মহা সুখে কী আঁকে?
জরির সেরা জরি দেওয়া উজ্জ্বল সব আল্পনা,
পুকুরধারে গিয়ে টানা বসে থাকতে ইচ্ছা করে;
জলের বুকে লেখা থাকে মোটেই ছোট গল্প না!

কেউ একটু আমার সঙ্গে চল না রে এক দিন,
পুকুরপাড়ে বসে দেখি জলের মুখটি জরিমাখা,
গাছের ছায়ায় বসে বুঝব পুষ্করিণীর মেজাজ;
আয়, প্রকৃতিকে কাছে পেতে যাই দোকাদোকা। 



সোহম ও রূপকথা

পাঁচ বছরের সোহমের খয়েরি চোখ দু'টো তারা তারা হয়ে যায় রূপে ভরা কথা শুনে,
কল্পনার উড়ান বড় পছন্দ তার, রোজ কম করে সাতটা রূপকথা শুনবেই গুনে গুনে,
কোনো এক দিন সে বড় হবে, হয়তো অনেক অনেক উপকথা লিখবে ভালোবেসে;
আমি তো পড়ব তার লেখা সম্ভব-অসম্ভব কাহিনী, তোমরাও পড়ে নিও কিন্তু সুখে হেসে

Post a Comment

0 Comments