মিলি ঘোষ
কোনও একদিন
সুপ্রিয়ার ট্রেন হাওড়া স্টেশনে ঢুকল। একই সময় চন্দন দমদম থেকে উড়ে গেল মুম্বইয়ের উদ্দেশে। সারাদিন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রইল সুপ্রিয়া, সম্পূর্ণ অজানা এক শহরে। চন্দন এল না।
মা দু'বার ফোন করেছিলেন।
দু'বারই সুপ্রিয়া বলেছে, "চন্দনদা আছে তো। চিন্তা কোরো না।"
এবার কী করবে সুপ্রিয়া ? গ্রামে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। সবাই জানে চন্দন, সুপ্রিয়ার জন্য কলকাতায় চাকরির ব্যবস্থা করেছে। ছ'মাস পরে ওদের বিয়ে।
রাত এগারোটা।
টিকিট চেকার গেটের বাইরে তাকিয়েছিলেন।
"দাদা, থানাটা কোনদিকে বলতে পারবেন?"
প্রশ্ন শুনে মুখ ঘুরিয়ে থমকে গেলেন ভদ্রলোক।
"তুমি, চিন্ময়ের বোন না?"
সারাদিনের চেপে রাখা কান্নাটাকে আর ধরে রাখতে পারল না সুপ্রিয়া।
এ কান্না কীসের? স্বস্তির, না লজ্জার?
সুতনু সরকার
তীর্থ
আর বোলো না দুপুরবেলা যখন ফিরছি বাড়ি
বাটা মোড়ের আটা কলে দুশো লোকের সারি
দিলুম লাইন কিছু না বুঝে
মেলাচ্ছে নাম আধার খুঁজে
তীর্থ করতে গয়া যাবে চড়তে এসেছে গাড়ি।
চন্ডীগড়ে চাকরি
কাজের খোঁজে চিন্টু চড়লো চন্ডীগড়ের রেলে
বাড়ি গাড়ি কিনবে সেথা চাকরিটা পেলে
এক বুক স্বপ্ন নিয়ে
পাটিয়ালা পৌঁছালো গিয়ে
আনন্দে আটখানা হয়ে সুটকেস এলো ফেলে।
🍂
0 Comments