দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে
ওম ধ্বনি
প্রকৃতির কাছাকাছি যখনই থাকি, অন্তরের অনাবিল আনন্দ আরও আমাকে প্রকৃতির কাছে নিয়ে যায়। মেঘ যে সুর তৈরি করে, আকাশ তাকে অন্তর্লোকে স্থান দেয়। প্রাত্যহিক সংসারটা অন্তরের চির আনন্দময় রাগ- রাগিনীর দ্বারা চির মহিমা লাভ করে। আমাদের সমস্ত বন্ধন কি রক্তের? নাকি আত্মার আত্মীয় আমরা সবাই। আমাদের বন্ধন যেখানে ঐশ্বরিকভাবে জ্যোতির্ময় হয়ে ওঠে সেখানে দুঃখ বেদনার স্থান থাকে না। যেন আমি, আমার নিজত্বের সংকীর্ণ সীমা ছাড়িয়ে এক বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডে ব্যাপ্ত হয়, সেখানে শুধুমাত্র থাকে একটা সৌন্দর্যের বিকিরণ, একটা 'ওম' এর ধ্বনি
অনিন্দিতা শাসমল
সেই মাধবীলতা
পুরোনো জরাজীর্ণ বাড়ির কার্ণিশ ছুঁয়ে আছে মাধবীলতার সতেজ সবুজ পাতা, আর সবুজের মাঝে আধফোটা গোলাপী কুঁড়িরা।
আজকের শ্যাওলা ধরা কার্ণিশ যেদিন ঝকঝকে ছিল , মাধবীলতার সঙ্গে সেদিনও ছিল তার নিবিড় আলিঙ্গন।
সেই সম্পর্ক আজ আরও নিবিড়।
সেদিনের চঞ্চলতা আর উচ্ছ্বাস না থাকলেও,
বড় স্নিগ্ধ শান্ত গভীর স্পর্শ--
কংক্রিটের সঙ্গে সবুজের ,
কার্ণিশের সঙ্গে মাধবীলতার।
🍂
0 Comments