জ্বলদর্চি

হলুদ পাতা ধুলোর ফুল/ পর্ব ৭/মণিদীপা বিশ্বাস কীর্তনীয়া


 হলুদ পাতা ধুলোর ফুল 
পর্ব ৭
মণিদীপা বিশ্বাস কীর্তনীয়া


ঝিনিইই দুধ খেয়ে যাও। রান্না ঘরে মার হাঁক শুনেও সে নড়লো না।জানলার পাল্লার আড়ালে  বসে রইল। ডাকছি শুনতে পাচ্ছো না? সন্ধেবেলা জানলার তাকে চড়ে বসেই বা আছো কেন?মাস্টার মশাই এসে গেছেন কখন।দাদারা পড়তে বসে গেছে এখনও তবু খেলা চলছে তোমার? ঝিনি উত্তর দেয় না। ওই দুধের জন্যই তো ঘাপটি মেরে বসে আছে সে।মা তো কিছুতেই বোঝে না দুধে কেমন ঘোলাটে গন্ধ। দুধমাসি তার ফাঁপা বাঁশের টুকরোতে পোয়া মেপে চার পোয়া দুধ রোজ দিয়ে যায়।মাঝে মাঝেই দুপুরে মাসি শুকনো কলার পাতা যাকে বাসনা বলে বিরাট গোছ করে কেটে কলার ছেটো দিয়ে বেঁধে মাথায় করে নিয়ে যায়। বাসনা জ্বেলে রান্নাও করে আবার তা পুড়িয়ে সেই মিহি ছাইয়ের সাথে তামাক পাতা মিশিয়ে মাসি দাঁত মাজে। পানও খায় মাসি।কোমরের থলি নামিয়ে প্রায়ই সে  তামাক পাতা আর খয়ের সুপুরি দিয়ে পান বানিয়ে নেয়।চুন থাকে ছোট এক কৌটোয়। চকচকে কৌটোখানা দেখে  মনে হয় কোনো দৈত্যর প্রাণভোমরা ভরা রুপোর কৌটো কিন্তু খুললে কালো ভোমরার বদলে বেরোয় খালি  চুন কালো নখ দেওয়া আঙুল ঢুকিয়ে তা দাঁতের আগায় নিয়ে কাপড়ে হাত মোছে। কলার বাসনা নেওয়ার সময় ঝিনিদের পুকুর পাড়ে সার দেওয়া সুপুরি গাছের তলা থেকে মাসি সুপুরিও কুড়োয়।ঝিনিও পাকা সুপুরি কুড়িয়ে দেয় তার হাতে। বেঁচে থাকো সুনা মা বলে হাসে মাসি।দাঁতগুলো তার আতার বিচির মতো কালো।কাঁচাপাকা চুল আঁট করে টেনে ছোট একখানা বড়ি খোঁপা বাঁধা।জবজবে তেল মাথা দিয়ে কপালে চুঁয়ে নেমে গাঢ় কালো মুখখানাও চকচকে করে রাখে। বাসনা নিতে এসে বা দুধের টাকা নেওয়ার দিন মন মেজাজ ভালো থাকলে কখনও মাসি পিঁড়ে পেতে বসে দু দণ্ড গল্প করে যায়। তার  নাতির কথা, ছেলের কথা,কোন গাহেকের টাকা দিতে মাসের পনেরো দিন কাবার ,ছেলের বৌটি কেমন খাণ্ডার টাকা পয়সা দিয়েও তার মন পাওয়া যায় না এসব দুঃখের কথা সে মা বা হেম কিংবা রুবিদিকে শুনিয়ে যায়। তারপর থানের আঁচলে টাকা গিঁট দিয়ে একটু পা টেনে টেনে ঘরের পথে রওনা দেয়।
        মাকে দিদুন যে কাঁসার বাটি দিয়েছিল তাতে করে দুবেলা তারা তিন ভাইবোন ওই দুধ খায়। গরম দুধের সাথেও কাঁচা বাঁশের কেঁড়,শাদা থান কাপড়,পান সব মিলিয়ে ওই ঘোলা ঘোলা গন্ধটা লেগে থাকে। মাঝেমধ্যে সে চুপিচুপি রুবিদিকে সাধে, দুধটা তুই খেয়ে নে  দিদি আর তোর চা টা আমায় দে না।আচ্ছা চাও লাগবে না মুড়ি আমি অমনি খেয়ে নেব। তুই শুধু ঢক করে খেয়ে নে । কিন্তু ফেয়ার এক্সচেঞ্জে মোটেও রাজি না হয়ে রুবিদি খ্যানখ্যান করে ওঠে।অই কততি ঘুরতিছিস ত্যাহোনের থে? পাছো কতিছি মাসিরে কলাম ডাক দেবানে আমি।
      আর মা এসে,দুধ নিয়ে বসে আছিস যে ধমক দিলে মার শক্ত মুখের দিকে আড় চোখে তাকিয়ে বাটি হাতে নেয় ঝিনি।
         আজ  খেয়ে নে কাল ঠিক  ভালোতো বানিয়ে দেব। হেম তাকে আদর করে বলে।আরও ছোট ছিল যখন হেম দুধের মধ্যে ভাত আর মিছরিগুড়ো ফুটিয়ে বলত খাও খাও ভালো তো! মিষ্টি স্বাদের ওই জ্বাল দেওয়া দুধভাতকে সে  ভালোতো নামেই জানতো তখন। এখন তত ভাল না লাগলেও এই দুধের চেয়ে ভালো। হেমের আদরটুকুর জন্যই সে আর ঝামেলা করে না।
         চুপচাপ দুধটা গিলে ব্যাজার মুখে শেলেট পেনসিল নিয়ে পড়তে যায়। অ আ ক খ, আদর্শলিপি ধারাপাত এবিসিডি আর ক'খানা ছড়াছবির বই তার আছে।ছড়ার বই কিছু তার নিজের,দাদাদের কিছু ছেঁড়া ছেঁড়া বইও সে উত্তরাধিকারে পেয়ে গেছে।সেসব অবশ্য মুখস্থ হয়ে গেছে কবেই।বারান্দায় মাদুর পেতে হ্যারিকেনের আলোয় পড়তে বসে গেছে দুই দাদাই।     
   এতক্ষণে মন্টু বিড়ি হাজির হলেন। দেওয়ালের দিক সরে ছোড়দা জায়গা করে দিল।ক্ষেপলো না দেখে তার পেনসিলটা মাদুরের তলায় চালান করে দিল ছোড়দা।
      দে না। কী দেব? আমার পেনসিল। এসেই 
ঝামেলা শুরু ঝিনুকমালা দেবীর? অংকের থেকে মুখ তুললেন মাস্টার মশাই। পেনসিল দিচ্ছে না। মিতুউউ মাস্টার মশাই হাঁক ছাড়লেন।

🍂

পড়াশুনোর সময় অরু গোলমাল পছন্দ করে না মোটেও। মাদুরের তল হাতড়ে পেনসিলটা টেনে বের করে দিল সে। বইয়ের আড়ালে জিভ ভেঙায় ছোড়দা, ঝিনি চড় দেখায়। হ্যারিকেন ঘোরালি কেন? আমি দেখতে পাচ্ছি নে মোটে।ছোড়দা কায়দা করে হ্যারিকেনের হ্যান্ডেলটা তার দিকে ঘুরিয়ে অন্ধকার ফ্যালে। মিতুউউউ আবার গোলমাল?
    ঝামেলা বন্ধ কর মিতু।এবার চা দিতে এসে নিচু অথচ কড়া গলায় মা ধমক দিয়ে চলে গেল।
        ঝিনি,আদর্শ লিপিটা বার করো দিকিনি।একি আ্যতোখানি পাতা গেল কোথায়?খেয়ে ফেলেছে।খিদে পেলেই মন্টু বিড়ি খানিকটা করে বই ছিঁড়ে খেয়ে নেয়।
     আঃ মিতু, নিজের ট্রান্সলেশানগুলো তুমি ঠিক করে করো দিকিনি।তুই তো তোর শ্যাংকো বই ছিঁড়ে ফেলিস।কী বই বললি?শ্যাংকো শ্যাংকো ওই যে সবুজ বইটা তোর শতকিয়া বই।আবার বল। ধারাপাত।সমবেত জোর হাসিতে সে কাঁদো কাঁদো দেখে মাস্টারমশাই চোখ বড়বড় করে সামনের অন্ধকারে তাকিয়ে  বললেন এই রে দেখেছিস তোরা ঝাউগাছে এসে ঠ্যাং ঝুলিয়ে ওটা কী বসল রে? কী লম্বা ঠ্যাং।উরিব্বাবা দেখেই তো গায়ে কাঁটা দিচ্ছে আমার।হ্যারিকেনের আবছায়া আলোয় এমনিতেই ছায়ারা সব লম্বা হয়ে যায়। খাটের তলায় বা আলনার পেছনে ঘাপটি মারে অন্ধকার।এক ঘর থেকে আর এক ঘরে যেতে দৌড় দিতে হয় ঝিনিকে,তক্তপোষে পা ঝুলিয়ে বসতেই মনে হয় খাটের নিচে এমনভাবে কালো একখানা আলো গড়িয়ে গড়িয়ে জমাট হচ্ছে যেন তার হাতপা গজিয়ে উঠেছে। নিরেট অন্ধকারের হাত বাড়িয়ে সে এক্ষুণি টেনে নেবে ঝিনির পা আর তারপর সেই অন্ধকার দানোটা ঘাড় মটকাবে না কড়মড়িয়ে চিবোবে নাকি গলগলে অন্ধকারে সেও গলে মিশে যাবে এতসব ভাবনার আগেই শিউরে উঠে সে পা উঠিয়ে বসে।ছোড়দা অনেক সময়ই একা পেয়ে দরজার আড়াল থেকে হাউমাউ লাফিয়ে বা ঘচাং করে হ্যারিকেন নিভিয়ে তাকে ভয় দেখায়।  মাস্টার মশাইয়ের মুখেও  এমন কথা শুনে সে ঝপাং করে তার কোলে উঠে পড়ে।
     শোনো ঝিনুকমালা বুড়ো মাস্টারমশাই তার মাথা চাপড়ে বলে তুমি আর আমি আর কারোক্কে না বুঝলে দুজন মিলে যাবোই। কোথায় যাব আমরা? কোথায় আবার চাঁদে। চাঁদে যাওয়ার সিঁড়ি তো থাকে সেই শাদা মেঘের মধ্যে। এতক্ষণে তার মন মেজাজ ফুরফুরে হয়ে ওঠে।তা ঝাউগাছটা আরও উঁচু হলে কি মেঘ পর্যন্ত পৌঁছোনো  যাবে?যাবে মানে আর দুবছরের মধ্যে দেখে নিও ওটা মেঘ ছুঁয়ে ফেলবেই। তখন দুজন সেই না সিঁড়ি বেয়ে,ওরা হাসছে কেন? ভুরু কুঁচকে ওঠে ঝিনির।দাদাদের যুগপৎ হাসিতে তার বিশ্বাস খানিক ধাক্কা খায়। মাস্টার মশাই মজা করছেন নাকি ওদের সাথে  দল পাকিয়ে? মুখ দেখে অবশ্য মনে হচ্ছে না।
        হাসুকগে ওরা।যখন চাঁদে ঠ্যাং ঝুলিয়ে আরাম করে বসে মেঘ দিয়ে আইসক্রিম বানিয়ে খাবো ওরা এই নিচে বসে ফ্যালফ্যাল করে দেখবে তখন দেখব হাসি ওদের যায় কোথায়?ডাকলেও শুনবো না তখন।হিংসেয় মরে গেলেও নেব না।মেঘ দিয়ে আইসকিরিম বানানো যায়? একশবার। পকেটে করে কাগজ মুড়ে খানিক চিনি আর বাটি চামচ নিলেই হলো।বাটিতে মেঘ ধরো আর যত খুশি আইসক্রিম বানাও।আর এই বইটা না শ্যাংকো না অংক বই। তুমিও একটু অংক করো এবার।স্লেটে চট করে  তিরিশ পঞ্চাশ লিখে ফ্যালো দিকিনি।
    ততক্ষণে কাজকাম সেরে গোড়া উঁচু করে কালো ফিতেয় চুল বেঁধে বারান্দার অন্য ধারে রুবিদি পাটি পেতে বসে রোজকার মতোই মাস্টারমশাকে শুনিয়ে গম্ভীর মুখে ছড়া কাটল " নাতি খাতি বেলা গেল শুতি আরলাম না/নটার গাড়ি চলি গেল ধরতি আরলাম না।"
       ছোড়দা ভেংচি কেটে বলল বলবানের আচার হাজিইইর।রুবিদিদির খুব ঝালের হাত।নংকা ছাড়া খাবো ক্যাম্বায় বলে সে গুচ্ছের লঙ্কা বেটে রান্না করত প্রথম প্রথম, এখন  মা বলে বলে কমিয়েছ  যদিও তবু সুযোগ পেলেই সে গরগরে ঝাল ঝোল রেঁধে রাখে এমনকি চাটনি  বা অম্বলেও সে বেশ করে শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে বলে নংকা ডলে আম্বলের সোশো কেরাম লাগে খাতি কও দিন!এই ঝাল প্রীতির জন্যই দাদারা তার নাম দিয়েছে বলবন।আর যাই সে রাঁধে সবকিছুকে বলে বলবনের আচার। শব্দের শুরুত ল বলতে পারে না 
   দিদি। ছোড়দা তাই রুবিদিকে সামনে পেলেই  নাউ নঙ্কা নবন নঞ্চো অর্থাৎ লাউ লঙ্কা লবন লঞ্চ একধারসে আউরে যাবেই।
         আ লো ! কতা কতি শিহিসনি য্যাহোন কতা কবি নে।একটি অনুচ্চকিত ধমকে মিতুকে নস্যাৎ করে রুবিদিদি বলে তোগে ও ছাতার ন্যাহাপড়া আমিও কততি পারি।নাম সই পাততিছি,শোলোক শিহিছি।পরণ কথা জানি।মুহি মুহি হিসেবও আ্যন্নে কয়ে দেবানে। আর কী নাগবে তালি ক' দেহি? তাহলে রূপমালা তুমিও তো রোজ ঝিনুক মালার সঙ্গে স্লেটে একটু লেখা শুরু করতে পারো।আমি দেখিয়ে দেব। সিলেটের ন্যাহা ভালা না।মাষ্টার মশাইয়ের কথায় রুবিদি আরও গম্ভীর।আমি ন্যাকপো তালপাতায় খাগের কলম বানায়ে।    
         পরদিন সত্যি সে তালপাতা কেটে পাততাড়ি বানিয়ে, কাঠকয়লা গুড়িয়ে পুরনো দোয়াতে ভরে কঞ্চির কলম কেটে নিল।আমাগে দেশে পাঠশালে পেথ্যমে হাঁড়িকুড়ির কেলাস হয়। সেই কেলাসে খালি হাত ক্যাম্বায় ঘোরাতি অয়  ছলপল তাই শেহে।ঝিনি আর রুবিদিদি দুপুর ভরে খালি গোল গোল দাগ লিখল আর মুখে ছড়া কাটল "হাঁড়ি কুড়ি বগের ছাঁ/উড়ে উড়ে আঁধার খা"এবং যথারীতি হাতে কালি মুখে কালি হয়ে দুজনেই হেসে এ ওকে দেখে মাথা চাপড়ে হাততালি দিয়ে বেজায় খুশি হয়ে পড়ল।
          এত কলকল করা বাড়িটা বোবা ঠসা হয়ে গেল কবে থেকে? কবে থেকে ইশারায় কথা বলা শুরু হলো তার? ভোরবেলা ট্রেন থেকে নেমে শেয়ালদা স্টেশন থেকে বেহালা না দৌড়ে  সেই যে কোন এক শীতের সকালে স্বার্থপ্পরের মতো ঝিনির ঘুম পেল এত ,বাপি কী বলছে কী যেন; মানে খুবই জরুরি কিছু কথা যা মানুষ ঘুমিয়ে পড়ার আগেই বলতে চায় অথচ পাথরের মত ভারি হয়ে এল তার নিজেরই চোখ আর চোখ বুজে শুয়ে পড়ল নিজের পাশে সেদিন থেকেই ও বাড়ির ঠোঁটে সেলাই। যেন নিরেট পাথরের মতো ডুবে গেছে পুকুরে আর জলে ভিজে ভিজে এত ভারি হয়ে গেছে, তবু প্রাণপণ চেষ্টা করে সে বাড়িটাকে টেনে তুলতে।
        বাড়ি গিয়ে পুকুরঘাটে পা ডুবিয়ে বসে থাকে ঠাঁয়। মনে হয় ঘাটলার সিঁড়িতে মাথা রেখে শুলেই ঘুম আসবে আবার।  বোঝা যায় সব কিছু নিয়ে শান্ত জলোচ্ছ্বাসের মতো ঘুমের ভেতর সে তাহলে শুনে ফেলতেও পারে তাদের বাবার না বলতে পারা কথাগুলো। হয়তো এমনিই একথা সেকথা বলতো বাপি  ঠাট্টা টাট্টা করত খুব।
       অথচ এত বেলা হলো বাড়ি ফেলে কোন দূর পর এক স্রোতের ছায়ায় ভাঙা হাটের মেলায় আজও সে বসে আছে একলাটি। কালো মোষের  মতো মেঘ, তার পিঠে ধবধবে বক দেখেও চমকে উঠে ঘরে ফেরার কথা মনে এলো না!আমন ধানের বেলা পরবাস ভেবে বসে রইল তিসি নদীর ঘাটে।চইচই হাঁস তোলার ডাকে জল থেকে উঠে পালক ঝাড়া দিলো নীলাভ সন্ধেতারার  অপরূপ দেবীমূর্তি। একমেটে ডাকের সাজ থেকে আলগা খোঁপা খসে শব্দ উঠছে তখন আকাশের ফাঁকা ঘট ভর্তির।সময়ের সব ঘাটে যেভাবে বেজে ওঠে রাত। আঙুলের কর গুনে অংক কষে ঝিনি।শূন্যের মাপ নিতে নিতে শাদা অংকের খাতা ভরে যায়।শতকিয়া ধারাপাত তার সবুজ গণিত মুকুল বই থেকে শুরু করতে ইচ্ছে যায় আবার।আলেয়ায় পুড়ে গেছে যেসব গল্প রুবিদির মুখে,দিদুনের মুখে, সেজো জেঠাইমা কিংবা হেমের মুখে তারা জেগে ওঠে ফের।তারাদের রুপোর গোলাপে ভরা আকাশের তলায় বেঁকে যায় প্রান্তর।নিঝুম চরাচরের অন্তহীন সেই বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে  মৃদু লন্ঠন জ্বেলে দেয় বাড়ি। ধবধবে চুলদাড়ি আর শাদা ধুতি পাঞ্জাবিতে সন্ধের খাতার পাশেই শান্ত হাসিমুখে অপেক্ষা করেন তাদের মাস্টার মশাই।

Post a Comment

0 Comments