জ্বলদর্চি

ফাঁসি /অংশু পাণিগ্রাহী

ফাঁসি
অংশু পাণিগ্রাহী


বারান্দা। সিঁড়ির তিনটে ধাপের পর একচিলতে জমি। জমি পেরিয়ে চাষের মাঠ। মাঠ চিরে এঁকেবেঁকে চলে গেছে অপ্রশস্ত আলপথ। সেই পথ যেখানে গিয়ে বড় রাস্তায় মিশেছে, ঝাঁকড়া একটা বটগাছের নিচে চেয়ার পেতে বসে আছেন স্থানীয় বিধায়ক। বিরক্ত, হতাশ, ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন। গাঁয়ের চুনোপুঁটি লোকগুলোর আস্পর্ধা তো কম নয়! সবক’টাই মহাদেবের লোক নয় তো? বেজন্মারা তাই বলে এমএলএ-কেই ঢুকতে দিবি না? অক্ষম একটা ক্রোধে জ্বলন্ত সিগারেটের টুকরোটা জুতোর তলায় পিষতে থাকেন বিধায়ক। 
শীতের রোদ মরে এসেছে। শিরশিরে ঠান্ডার সঙ্গে মৌমাছির ঝাঁকের মতো একটা গুঞ্জরণ ছেয়ে আছে বাতাসে। আশপাশের গাঁ থেকেও মানুষ এসেছে। গলা নামিয়ে কথা বলছে নিজেদের মধ্যে। 
“তুমি বি হাজির? তুমি নাকি ছুয়া-মাইঝির ভাব-ভালবাসা পছন্দ করনি! কলকাতার মন্ত্রী কইচে, মাইঝিটার প্রেম থাইলা ছুয়ার সাথে। সৌ কারণে, ঘটনাটা রেপ নাকি অন্য কিছ, ঠিক বুঝা যায়টেনি। ঘরে টিভি-মোবাইল নাই? দ্যাখনি খবরে?”
বিধায়কের অনুচরের এ হেন কথা শুনে উদ্দিষ্ট বৃদ্ধ কোলের নাতিটাকে দেখিয়ে বলে, “সে ঠিক। এর মাকে আমি অখনবি মানি লেই নি। আমার ব্যাটা তার বউকে লিকি পৃথক রয়। চরিত্রহীন মাইঝি সব... কিন্তু, গাঁয়ের মাইঝিকে রেপ করিকি গাছে ঝুলি দিয়া ঠিক কথা না।”
শালা, খেঁচো বুড়ো! পাক্কা মহাদেবের দলে ভিড়েছে। বিরক্ত হয়ে সরে পড়ে অনুচর। সামনের লোকগুলোর মাথা টপকে বারান্দার দিকে তাকায় বৃদ্ধ। বিরোধী দলের স্থানীয় নেতা মহাদেব পাত্রকে দেখা যাচ্ছে। পাশে দু’-একজন সাংবাদিক। তারা কথা বলছে মেয়েটার বাপ-মায়ের সঙ্গে। 
“অভিযুক্তরা আজই ধরা পড়েছে। কী শাস্তি চান মেয়ের খুনিদের?”
তরুণী সাংবাদিকের প্রশ্নটা যেন কানেই ঢোকে না শ্যামাশ্রীর। তাঁর দৃষ্টি নিবদ্ধ বেড়ার পাশে বেলগাছটার তলায়। শোক, বিষাদ, ক্লান্তিতে প্রায় নিভে আসা চোখদুটো খানিক বিস্ফারিত! মুখের রেখায় বিস্ময় আর অবিশ্বাসের আঁকিবুঁকি। 
“কী হল? ফাঁসি চান? ম্যাডাম, প্লিজ় বলুন।”
চটকা ভাঙে শ্যামাশ্রীর। তবে ঘোরটা পুরোপুরি কাটে না। জড়ানো গলায় বলেন, “না না, ফাঁসি চাই না... অন্য কিছু...”
“যাবজ্জীবন?”
অস্ফুটে কিছু বলতে গিয়েও কন্ঠস্বর স্তিমিত হয়ে আসে শ্যামাশ্রীর। চোখ চলে যায় বেলতলায়। 
সাংবাদিক-তরুণীকে বেশ অপ্রতিভ দেখাচ্ছে। লাফিয়ে ওঠে মহাদেবও। 
“কী বলছো, বউদি! মেয়েটাকে ভয়ানক নির্যাতন করে মেরেছে ওরা। ফাঁসিই একমাত্র সুবিচার... এই আশিসদা, বউদি কী বলছে? ছেলেগুলো রুলিং পার্টির বলে তোমরা ভয় পেলে?” 
মহাদেবের হতভম্ব বাক্যগুলো ঢেউ তুলে এগিয়ে যায় জনতার দিকে। ফুলেফেঁপে ওঠে আরও। চাঞ্চল্য বেড়ে যায় জনতার। 
আশিস স্ত্রীর কাঁধ করে ঝাঁকাতে থাকেন। কাল অবধি যে-মানুষটা বলে আসছিল, অপরাধীদের ফাঁসিতে ঝোলার খবর না-পাওয়া অবধি শান্তিতে ঘুমোতে পারবে না, আজ তার এ কী আশ্চর্য রূপান্তর!     বিড়বিড় করছেন শ্যামাশ্রী। গোলমালের শব্দে ঠিক শোনা যায় না। স্ত্রীর দৃষ্টিপথ অনুসরণ করে আশিস তাকান বেলগাছের গোড়ায়। একটা কাক বসে ছিল এতক্ষণ। কা-কা শব্দ করে উড়ে গেল মাঠের দিকে। 
সাংবাদিক-তরুণীর চাহনিতে কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা। তার অভিজ্ঞতায় এমন কিছু আগে দেখেনি। আক্রোশে হাত নেড়ে অথবা বাঁধভাঙা কান্নার মধ্যেই সন্তানের খুনিদের জন্য চরমতম শাস্তিপ্রার্থনাই স্বাভাবিক। এই শোকসন্তপ্ত মহিলা কি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলল? নাকি গান্ধিবাদী? ক্ষমাশীলতার পরাকাষ্ঠা মহিয়সী রমণী! সামনের জমিতে ভিড় করে থাকা লোকেদের মুখগুলো আয়না বলে ভ্রম হয় সাংবাদিকের। 
“নিজের মা-ই যেখানে চায় না...” 
দুপদাপিয়ে বেরিয়ে যায় বিরোধী নেতা মহাদেব। তাকে অনুসরণ করে পাতলা হতে থাকে ভিড়টা। দূরে তখন বিধায়ক উঠে দাঁড়িয়েছেন। খুঁটিনাটি জেনে নিচ্ছেন অনুচরদের থেকে। মুখ দেখে বোঝা যায়, ঘটনার গতিপ্রকৃতি ঠিক ঠাহর করতে পারছেন না বিধায়কমহাশয়। 
পাতলা কুয়াশায় চেপে সন্ধে নামছে। গ্রামের শীতকাল। সমগ্র চরাচর এক্ষুণি চলে যাবে অন্ধকারের কবলে। সাংবাদিকরা দৌড়য় বিধায়কের উদ্দেশে। 
🍂

দুই
“লোকজনের সামনে কেন ও-কথা বললে, শ্যামা?” 
বারান্দায় স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আছেন আশিস। ঘুম আসছিল না। ঘরময় ভারী, দমচাপা, একটা বাতাস আটকে ছিল। বেশ গুমোট ভাব। 
জ্যোৎস্নার একটা আভাস আছে, যদিও কুয়াশার জালের ফাঁক দিয়ে নীলচে দেখায়। বেলগাছটা অন্ধকার আঁকড়ে কুয়াশায় ভিজছে।
শ্যামাশ্রী নিরুত্তর। বাতাসের শিস শোনা যায় শুধু।
“গাছটার গোড়ায় তন্ময় হয়ে কী দেখছিলে তখন? মনে হচ্ছিল, আমাদের কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছ না,” আবার বলেন আশিস। 
“মেয়েটা খুব কষ্ট পেয়েছিল গো! খুব কষ্ট...” প্রতিটি শব্দ কেটে-কেটে উচ্চারণ করেন শ্যামাশ্রী। 
“হ্যাঁ, আমরা জানি। তাই তো ছেলেগুলোর ফাঁসি হওয়া দরকার।”
“না, তোমরা জানোনা। জ্যান্ত মানুষ মৃত্যুর কষ্টের কী জানে? আজকের আগে আমিও জানতাম না।” 
কী বলতে চায় শ্যামা? ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে শ্যামাশ্রীর আবছায়া মুখের দিকে তাকান আশিস।
“মেয়েটা সারারাত পড়ে ছিল ওখানে। কাপড়চোপড় ছিল না গায়ে... একটা সুতোও না। ওরা ইচ্ছামতো অত্যাচার চালিয়ে সুমিকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে গেছিল বিলের ধারে। সুমির দেহে তখনও প্রাণ আছে। রক্তাক্ত শরীরে প্রবল ঠান্ডায় অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে-করতে মেয়েটা প্রায় অচেতন হয়েই পড়ে ছিল। এমনিতে নির্জন জায়গা, তা ছাড়া চেঁচিয়ে কাউকে ডাকবার মতো শক্তি অবশিষ্ট নেই... ছেলেগুলোর বোধ হয় সন্দেহ হয়েছিল। সুমির মৃত্যু নিশ্চিত করতে তারা আবার ফিরে আসে। গাড়ির ভিতর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ওর পোশাক ঘেঁটে ওড়নাটা বার করে। তার পর মেয়েটার গলায় পেঁচিয়ে বেঁধে লটকে দেয় গাছে। মট করে ভেঙে যায় ঘাড়... জিভটা...”
“থামো, থামো, আর শুনতে পারছি না,” প্রায় চিৎকার করে ওঠেন আশিস। শ্যামাশ্রী খসখসে গলায় নির্লিপ্তভাবে ব্যক্ত করে যাচ্ছিলেন ঘটনাক্রম। 
“কষ্টটা অনুভব করতে পারছো? অমানুষিক কষ্ট... অমানুষিক...” ফিসফিস করেন শ্যামাশ্রী।
শিউরে ওঠেন আশিস। পুলিশ তো এত বিশদে কিছু বলেনি। গণধর্ষণ এবং খুন। ভিক্টিমের পেটে মাদক। এটুকুই। জীবন্ত মেয়েটাকে ফেলে চলে যাওয়া, আবার ফিরে আসা... ঘটনার অনুপুঙ্খ বিবরণ শ্যামা জানল কী করে? 
“তুমি কী করে...” 
গলাটা কেঁপে যায় আশিসের। বিকেল থেকেই শ্যামার আচরণে অপ্রকৃতিস্থতা। স্নায়ুর চাপ কী আর সহ্য করতে পারছে না? কী তীব্র নিরাসক্তি নিয়ে মেয়ের যন্ত্রণার দৃশ্যগুলো বলে গেল! একবারও গলা বুজে আসেনি। শরীর কাঁপেনি। বিকেলে তো পুরোপুরি ঘোরের মধ্যে ছিল। 
মিনিটখানেক স্ত্রীর কোনও সাড়া পেলেন না আশিস। তার পর যেন বহুদূর থেকে ভেসে এল, “সুমি... সুমি বলেছে।”
ছিটকে ওঠেন আশিস। 
“হ্যাঁ, বিকেলে এসেছে ও। তখন বেলতলায় দাঁড়িয়ে ছিল। সন্ধের পর ঘরের ভিতরে দেখেছি। এখন আর পাচ্ছি না।” 
হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন আশিস। খামচে ধরেছেন স্ত্রীর দুই ঊরু। 
“কী প্রলাপ বকছো, শ্যামা! নিজেকে সামলাও,” ডুকরে ওঠেন আশিস।
“শান্ত হও। আমি ঠিক আছি। বিশ্বাস করো, একটা বর্ণও বানিয়ে বলছি না। সুমির সঙ্গে কথা হয়েছে আমার।”
বরের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন শ্যামাশ্রী।
“হ্যালুসিনেশন...” আশিসের গলা অস্পষ্ট।
শ্যামাশ্রী প্রত্যয়ী কন্ঠে বলেন, “তা কী করে হয়? আমি পরিষ্কার দেখেছি। রিপোর্টার মেয়েটা যখন প্রশ্ন করছিল, হঠাৎ সব শুনশান হয়ে গেল। তুমি, মহাদেব, অতগুলো লোক... সব গায়েব, বেপাত্তা। শুধু সুমি। বেলগাছের তলাটায় দাঁড়িয়ে। শরীর স্পষ্ট নয়। কেমন ধোঁয়াটে ছায়ার মতো। তবে, আমার চিনতে অসুবিধা হয়নি। সুমি বলল ‘মা, তুমি সবার সামনে কারোর মৃত্যুকামনা করবে? প্রাণদণ্ড চাইবে? কতোটা নিষ্ঠুর দেখাবে ভাবো তো! মৃত্যু ভীষণ কষ্টের... অত কষ্ট অন্য কেউ পাবে, আমারই জন্য, এ আমি মেনে নিতে পারব না।’”
আশিস অপলকে তাকিয়ে ছিলেন স্ত্রীর দিকে। স্ত্রীকেও একটা অস্পষ্ট ছায়া ছাড়া কিছু মনে হচ্ছে না এই মুহূর্তে। আত্মজার প্রাণটাই যদি কেউ কেড়ে নেয়, সেই খুনি-ধর্ষকের মৃত্যুপ্রার্থনাও কি নির্দয় আচরণ? আইন কি অভিভাবকদের সেই অধিকার দেয়নি? মানবিকতা প্রদর্শনেরও তো একটা সীমা থাকা দরকার! নির্দিষ্ট কয়েকটি অপরাধের শাস্তি কি মৃত্যুদণ্ড নয়? 
শ্যামাশ্রী বলে চলেছেন, “আমাদের মেয়ে বড্ড নরম-সরম! একবার মাংস নিতে বাজারে পাঠিয়েছিলাম। মুরগির জবাই দেখে এসে কী কান্নাকাটি! সেই থেকে মাছ-মাংস মুখে তোলে না। বেশি পুরনো নয়, বছর পাঁচেক আগের কথা। আঠেরো পুরেছিল সেদিনই।”
মেয়ের ভেজিটেরিয়ান হওয়ার বৃত্তান্ত মনে আছে আশিসের। সত্যিই তো, অতিরিক্ত সংবেদনশীল ছিল তাঁদের মেয়ে। কারোর কষ্ট সহ্য করতে পারত না। ঝগড়াঝাঁটি-কুকথায়ও জড়িয়ে পড়ত না। একবার পঞ্চায়েত-অফিসে কী এক দরকারে বাপ-বেটিতে যেতে হয়েছিল। বিরোধী পার্টির ভোটার বলে তাঁরা এলাকায় পরিচিত। পঞ্চায়েত-সদস্য তাই ঝোলাচ্ছিল বারবার। আশিস অক্ষম ক্রোধে মেয়ের সামনে নিচু গলায় বলে ফেলেছিলেন, “শালা বাঞ্চোত! রেন্ডির ছেলে!” সুমি বলেছিল, “মুখ বুজে আমরা অন্যায় মেনে নেব না। প্রতিবাদ করব। প্রধানের কাছে অভিযোগ করব। তেমন হলে বিডিওকেও চিঠি লিখব। কিন্তু, গালিগালাজ কেন? তোমার আর ওর মধ্যে তা হলে ফারাকটা কী? ও অসভ্যতা করলে, তুমিও স্ল্যাং ছুড়বে? ও খুন করলে, তুমিও কি...”
“ভুল দেখেছো, শ্যামা! সব কল্পনা তোমার। অনুমান। খামোখা তুমি মহাদেবকে চটালে। গাঁয়ের লোকজনও আর আমাদের পক্ষে নেই বোধ হয়,” মনে জোর এনে বলেন আশিস। মেয়ের কথা ভেবে-ভেবে নির্ঘাত অসুস্থ হয়ে পড়েছে শ্যামা। বিভ্রম থেকে বের করে আনতে হবে। মরা মানুষ কি ফিরে আসে? শুধু, স্ত্রীর উদ্দেশ্যটা ধরতে পারছেন না। নিজের কথা? মেয়ের নাম করে চালাতে চাইছে? তেমনটা মনে হয় না। মাথাটাই সম্ভবত... 
“আমি আমার মেয়ের মনের কথা রিপোর্টারদের বলেছি। পুলিশ ধরেছে ছেলেগুলোকে, তদন্ত হবে। আমাকে যদি বলবার সুযোগ দেওয়া হয়, সুমির ইচ্ছের কথাই জানাব কোর্টে। তার পর জাস্টিস যেমন ভাল বুঝবেন, শাস্তি দেবেন... এই, দাঁড়াও, দাঁড়াও... ওই তো, সুমি... চলে যাচ্ছে, হাত নাড়ছে...” 
“চলে যাচ্ছে! কোথায়?”
আশিস চমকে তাকান বেলগাছের দিকে। দমকা হাওয়ায় মাথা দোলাচ্ছে গাছটা। জমাট অন্ধকারে কয়েকটা জোনাকি জ্বলছে-নিভছে শুধু।
“আহ! কী পাগলামি হচ্ছে?”
আশিসের বিরক্তিটা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। চড়ে যায় গলাটাও। 
“বিশ্বাস করো। মনোযোগ দাও। ঠিক দেখতে পাবে...” মুছে আসছে শ্যামাশ্রীর স্বর। 
আশিস এ বার দেখতে পান, নীলচে কুয়াশার একটা স্তর বেলগাছ থেকে নেমে বাতাসে দুলতে-দুলতে এগিয়ে চলেছে বেড়ার আগলের দিকে। মাঠ পেরোচ্ছে। অতি মন্থর গতি। কী এক দুর্বার টান তার! চোখ সরানো যায় না। 
এ বার থামল। গায়ে কাঁটা দেয় আশিসের। মনে হয়, কুয়াশাপুঞ্জটা পিছন ফিরে দেখছে। বাড়ি, বাড়ির চৌহদ্দির ভিতরে থাকা ছোট বাগানটা, বাড়ির বারান্দায় বসে থাকা দুটো সন্তানহারা মানুষ... দেখতে-দেখতেই নিজের চোখের জলে গলে-গলে পড়ছে...
বুকের মধ্যে দুরমুশ পেটার শব্দ। চোখ বন্ধ করে ফেলেছেন আশিস। শুধুই অন্ধকার হাতড়াচ্ছেন। মাথা ঝিমঝিম করছে তাঁর।

জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করুন। 👇

Post a Comment

1 Comments

  1. ভাল লাগল গল্প। অমিতরূপ চক্রবর্তী।

    ReplyDelete