জ্বলদর্চি

রম্য কবিতা : ৩৩ / শুভশ্রী রায়

রম্য কবিতা : ৩৩ / শুভশ্রী রায়

ছড়া লিখন

লিখি আমি সহজ ছড়া, বেশ করি!
অপছন্দ হ'লে মোটে দেখবি না ছুঁয়ে,
তাই বলে চিৎকার কেন রে তোদের,
ছড়া গড়েই আমি নেমে গেছি ভুঁয়ে?

আমরা সবাই তো মাটিতে মিশে যাব,
তুই আমি কেউ কিন্তু যাব না রে বাদ,
তোদের কেন অসুবিধা হয়, অজানা!
ছড়া লিখে কেউ নিলে জীবনের স্বাদ?


খেয়াল-খেলা

আয় সোহম, আয় রে টুকটুকি,
তিন জনে হো'ক একটু খেয়াল-খেলা!
সময় কিন্তু পালিয়ে যেতে চাইছে;
তার আগেই ডাকি হাসিখুশির বেলা।

পড়াশোনা তো ঢের হয়েছে, হবেও
চারপাশটা দু' চোখ দিয়ে আরো দেখি,
মাটি ছুঁয়ে দুষ্টু চড়ুইপাখির ফুর্তি-ফুরুৎ
আর আলোর শত অবাক আঁকা এ কি!


সুন্দরের স্রষ্টা

কে আঁকে জলের বুকে কোটি আল্পনা,
খন্ড খন্ড মেঘ নিয়ে গড়ে মস্ত প্রাসাদ?
সবচেয়ে বড় শিল্পী তো সেই অদেখা,
নিজের অনুপম সৃষ্টিকে করে বরবাদ!

অভিনব কাজ লহমায় ভেঙে ফেলে,
আরেকটা সৃষ্টি অপূর্বতর তারপরে,
সেরার সেরা রচয়িতা, মহত্তম স্রষ্টা সে;
কত অবহেলায় সুন্দরকে ভাঙে ও গড়ে!


প্রিয় বটগাছ

বট এক আছে আমার জানলার পাশে,
অজস্র সবুজ পাতা, লাল-লাল ফল,
রোদ পড়লে গাছ জুড়ে সোনার পাত;
প্রায়ই চলে আসে পাখিদের দলবল।

দেখি বটগাছটাকে নতুন নতুন রূপে,
শীতকালে পাতা কম, থাকে কষ্ট নিয়ে,
বর্ষায় শোভা বাড়ে, শ্যামলিমা উজ্জ্বল;
মাঝেমাঝে ছুঁয়েও দেয় জানলা দিয়ে!

Post a Comment

0 Comments