জ্বলদর্চি

বার্লিনের ডায়েরি --৩৮ পর্ব / চিত্রা ভট্টাচার্য্য

ব্যাসিলিকা চার্চ

বার্লিনের ডায়েরি --৩৮ পর্ব / চিত্রা ভট্টাচার্য্য 

সাগর উপকূলের তীর ঘেঁষে জলে ছোট্টছোট্ট তরঙ্গ তুলে ঝাঁকেঝাঁকে ভেসে বেড়ায় রুপালি মাছের দল।  নীলাকাশের সোনালী রোদে সাদা ডানা মেলে মাথার ওপর চক্রাকারে ঘুরছে মাছ লোভী সীগালেরা। আলবাট্রোস আইবিস স্কারলেট পেলিক্যান স্টক সারসের মত কত সামুদ্রিক পাখিগুলোর সাগরতীরে    একঠায় দাঁড়িয়ে থেকে সারাদিন ঝাঁপাঝাঁপি করে মাছ ধরে। ওদের হুটোপাটি সাগরের ঢেউয়ের সাথে এমন মিতালির সম্পর্কে শ্রীর মনে হয় সামুদ্রিক পাখি আর মাছ না থাকলে সাগরের তট ঐ সোনালী বালুকা বেলা যেন বড্ড বেমানান। 

ওদিকে  বন্দরের বন্ধনে দূরে সারবেঁধে দাঁড়িয়ে আছে বাণিজ্যিক জাহাজগুলো। কখন কল্লোল তুলে তীব্র আওয়াজের ভেঁপুটি বাজিয়ে ওরাও দেশ বিদেশে সময় হলেই পাড়ি জমাবে। বিরাটাকার তীর ভাঙা ঢেউ আছড়ে পড়বে ওদের চলার পথের ডাইনে বাঁয়ে। সাদা পালের সেলর বোটগুলো দুপাশে জলে কম্পন তুলে যাত্রী নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে ছুটবে। ফিশারম্যানদের ট্রলার ও রয়েছে সারিসারি। ওরাও  অগাধ জলে আলোড়ণ তুলে ছুটবে রুজি রোজগারের আশায়। এই সাগরের ঢেউ ,তার নিরবধি বয়ে যাওয়া অনন্ত দুর্বার জলরাশির স্রোত কত কোটিকোটি প্রাণের জীবন ধারণের একান্ত উৎস । কত বেঁচে থাকার রসদ যোগায় নিত্যনতুন ।  সানমার্কো ব্যাসিলিকা

  পর্যটকদের বেড়ানোর সুবিধার জন্য চারদিকে ট্রেনলাইন দিয়ে ভেনিসের চারপাশের হ্রদ বা খাল গুলোকে মেনল্যান্ডের সান্তালুসিয়া স্টেশনের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই পথেই ত্রনচেটত্তর পার্কিং এ  (Tronchetto parking ) ওরা  এসে পৌঁছলো। এইবার ট্যুরিজমের কাউন্টার টি থেকে ওয়াটার বাস বা ভ্যাপোরেতি তে ঘোরার জন্য উপযুক্ত মূল্যের ২৪ঘন্টার জন্য টিকিট সংগ্রহ করে নিয়ে সারাদিন যত খুশি ঘুরে দ্বীপ গুলো দেখবে। যেখানে খুশি নামো যতক্ষন খুশি থাকো, সারাদিনে ঘুরে বেরাও কেউ করেনি মানা। কৌতূহলী ঋষভ জলের মধ্যেই গড়ে ওঠা বাড়ি ঘর বানানোর প্রক্রিয়া দেখে বিস্মিত হয়।  শহরের বিশাল ভবন প্রাসাদের কাঠের ভীত গুলো এমন সুকৌশলে তৈরী হয়েছিল যে তাতে মোটেই পচন ধরে না বরং বেশ সুদৃঢ়।  প্রাসাদভবন দলানগুলো তাদের অপরিসীম নির্মাণ গুন কর্ম কুশলতা ও শৈল্পিক চেতনার এক অপূর্ব নিদর্শন হয়ে আদি অনন্ত কালের স্বাক্ষর বহন করেস্থির নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছে। সেই মধ্যযুগের মানুষরা ও যে এতো কুশলী শিল্পী,কারিগরী বিদ্যায় এমন সুদক্ষ ছিল দেখে অভিভূত হতে হয় ।   

🍂
 দুপাশের জল ভেঙে জেটি তে ভ্যাপোরেতি এসে দাঁড়াতেই তিতির উঠে পড়লো। জলযান তখন সাগর জলের জোয়ারের  ছন্দে তালে বেতালে রীতিমত নৃত্যরত। ঋষভের হাত ধরে শ্রী ও রাজহংসের মত ধবধবে সাদা সুসজ্জিত টলোমলো ওয়াটারবাসটি তে জানলার ধারের সিট টি দখল করে বসেছে।  দূর থেকেই ওর চোখে পড়েছিল ভেনিসের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ সানমার্কো প্লাজা।এবং  ঠিক পাঁচ মিনিট ও লাগেনি সানমার্কোর স্কোয়ারে  পৌঁছতে । কালোপাথর দিয়ে বাঁধানো চত্বরে পা দিয়ে মনে হলো যেন  বিশ্ববিখ্যাত সেই স্বর্গলোকের রাজদ্বারে প্রবেশ করলো যেখানে দুদিকের দুটি উন্মুক্ত প্রাঙ্গনের মাঝে অপরূপ কারুকার্য্য মন্ডিত সানমার্কো গীর্জা বা ব্যাসিলিকা টি গভীর উৎস্যুকে চোখমেলে অহর্নিশি তাকিয়ে আছে অনন্ত নীল সাগরের দিকে । অন্যদিকে রয়েছে আর্কিও লজিকাল মিউজিয়ামটি ।                         রিয়ালটো ব্রিজ                                                                                                                                     ভেনিসের বিখ্যাত স্থাপত্য গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ এই সেন্টমার্কোর ব্যাসিলিকা ক্যাথেড্রাল। সম্রাট নেপোলিয়ানের মতেএই ক্যাথেড্রালের সামনের বিশাল চত্বর টি ছিল ইউরোপের সর্বাপেক্ষা সুসজ্জিত সুন্দর ড্রয়ইং রুম। সাগরের অথৈ জলের আহ্বানের দিকে প্রসারিত বাহু মেলে সদা প্রসন্ন মুখে আলো করে ব্যাসিলিকা ক্যাথিড্রাল গীর্জাটি দাঁড়িয়ে আছে।প্রায় নবম শতাব্দীতে তৈরী এই ব্যাসিলিকাটির কত ধরণের নানা কারুকীর্তি অলঙ্করণ আর সম্পদে পূর্ন হয়ে আছে তার হিসেব নেই। সানমার্কো গীর্জার দৃষ্টি নন্দন উপস্থিতি ও ঐশ্বর্য্য দেখে শ্রী মুগ্ধ , ধীর পায়ে ঐ অনুপম সৃষ্টির সামনে এগিয়ে তিতির কে  বলে ভেনিসের এই ব্যাসিলিকা প্রথম দর্শনেই  ঐতিহ্যময় গির্জাটি দর্শকের মন স্পর্শ করবেই।এই উম্মুক্ত ড্রইং রুমটি গড়ে তোলার  নেপথ্যে  রয়েছে রাজা রাজরাদের অসীম পরাক্রম শালী  ক্ষমতা ও বল বিক্রম  প্রয়োগে  লুঠতরাজের চাঞ্চল্যকর কাহিনী। এক  চমকপ্রদ আশ্চর্য্য ইতিহাস যা তোমরা শুনলে বিস্মিত বোধ করবে।     

এই  গীর্জার প্রবেশের পাঁচটি পথ ই পাঁচটি গম্বুজের সাথে সমান সাদৃশ্য রেখে নির্মিত হয়েছিল। ঐ যে ক্যাথেড্রালের সিংহ দরজায় শোভা পাচ্ছে দেখছো ; চারটি অতুলনীয় শৈল্পিক সৌন্দর্যে গড়া ধাতব ঘোড়ার ভাস্কর্য্য !  প্রায় হাজার বছর আগের বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র ইস্তাম্বুল থেকে লুটপাট করে আনাছিল ঐ  সুন্দর ধাতব ঘোড়াগুলো । ইতিহাস বলে  সে যুগে সব ভেনিসীয় জাহাজগুলো  বাণিজ্যসেরে ভেনিস প্রত্যাগমনের সময় সেন্টমার্ক ব্যাসিলিকাকে  সমৃদ্ধ করার জন্য পাথরের থাম, মোজাইক , কাঠের কারুকার্য্য সুদূরের বিভিন্ন  দেশ থেকে যা কিছু মূল্যবান মণি মুক্ত ধাতব সম্পদ লুটেনিয়ে  জাহাজ ভরে বয়ে আনাহতো।  ফলত দেখা গেছে এই গীর্জা টিতে ব্যবহৃত মার্বেল পাথর মোজাইক কাঠের থাম গম্বুজ ইত্যাদি নিদর্শন ব্যাসিলিকা গীর্জাটির সৃষ্টির থেকে ও বহু প্রাচীন। 

এইতো সেদিন ভেনিসের প্রসঙ্গ উঠলে চায়ের টেবিলে তুফান চললো অবিশ্বাসের নরম গরম তর্কে।  সিলিয়া বলোছিলো সেন্টমার্কস ব্যাসিলিকার ছাদ টি সোনার পাত দিয়ে মোড়ানো। শ্রীর বিশ্বাস হয় নি বলে কী যে বলো যত আজগুবি, সে তো বস্তাবস্তা সোনার রাশি দরকার ! সে কেমন করে সম্ভব ?  

বাইরে থেকে যতদূর দেখা যায় শ্রী ও  তিতির ভারী উৎসাহ নিয়ে দেখলেও চার্চের অন্দরে প্রার্থণা চলায়  ভিতরে ঢুকে সোনায় মোড়ানো ছাদ টি ও দালান পিলারের অন্দর সজ্জা দেখা হয়নি। ক্যাথেড্রালের বাইরের অংশের  সবদিকের দেওয়াল ঘিরে নানান সুসজ্জিত কারুকার্য্য মন্ডিত চিত্র ও নানা কাহিনী লিপিবদ্ধ করা আছে। 
জনহান্টের ভ্রমণ ম্যাগাজিন টি শ্রী কে আরো প্রাণিত করেছিল। ওর তৃষিত মন চলেছে প্রাচীন তথ্যে সমৃদ্ধ  গল্পের সন্ধানে। যেন পরীক্ষার খাতায় ইতিহাসের প্রশ্নপত্রের উত্তরগুলো জলের মত সহজ করে লিখতে হবে।             সম্রাট ডজেস প্যালেসের  সাথে মিউজিয়াম                                                                                                             চৌদ্দ শতকের প্রথম দিকে পিয়াজ্জা সানমার্কো ছিল ভেনিসি ও প্রজাতন্ত্রের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কেন্দ্রস্থল। এই পিয়াজ্জা টির  জন্মের  আদিলগ্নে  সবুজ শ্যামলিমায় ভরা ঘাসের গালিচা পাতা ছিল।  এর মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছিল একটি সুবিস্তীর্ণ খাল এবং তার দুইদিকের প্রান্তদেশে ছিল দুটি চার্চ সানতেওদর  এবং সান জেমিনিয়ানো। কিন্তু পরের দিকে এর বিস্তর পরিবর্তন করে শহরের গর্ব এই বিশ্বশ্রেষ্ঠ পিয়াজ্জাটি  নির্মিত হয়েছিলো। এর কাছেই রয়েছে ভেনিজীয় স্থাপত্য কলার অপূর্ব নিদর্শন ভেনিসের শাসক বিখ্যাত রুইনার্ট রেণ্ডেজ ভৌসগৃতির   (Ruinart  Rendez -Vousgritti ) প্যালেস টি।      

  তৎকালীন সময়ে এর একদিকে  ছিলো  ডিউকের প্রাসাদ সেন্টমার্ক ব্যসিলিকা বেল টাওয়ার। ডজেসদের  প্রাসাদ টি  তখন প্রশাসনিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হতো। অভিজাত সম্প্রদায় দ্বারা ভেনিস পরিচালিত হলেও সাধারণের অভাব অভিযোগ মতামত সংগ্রহের জন্য একটি কক্ষ নির্দিষ্ট ছিল। এই প্যালেস টিকে  ১৯২৩ সাল থেকে প্রধানতঃ একটি  জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। তিন তলা U আকৃতির ভবন টি  ছিল সরকারি পদস্থ কর্মচারীদের অফিস এবং কোয়ার্টার । এখানে এখন পুরাতাত্ত্বিক মিউজিয়াম ভেনিসের ছাপাখানা ও রেস্তোরাঁ ও শপিং সেন্টার গড়ে উঠেছে।  সারিসারি অনেক রকমের বুটিক ক্যাফে ও খাবারের কত রকম সুগন্ধি মনোহারি শপিং সেন্টার ও রয়েছে ।           

ভেনিস যখন একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ছিল তখন এর শাসক এই প্রাসাদে বসবাস করতেন ,সেই হিসেবে এই প্যালেস টি আজো ভৌসগৃতি বা ইতালীর ডিউকের প্রাসাদ অধুনা ডজ প্যালেস  নামে পরিচিত ।  সোনার পাতের কারুকার্য্য মন্ডিত বিশাল প্রবেশের পথ টি দিয়ে ডজের প্যালেসে প্রবেশের পর একটি চৌকো মত চত্বরে কুঁয়োর গায়ে ব্রোঞ্জের দৃষ্টি নন্দন মনমুগ্ধ কর কারুকার্য্য দেখে অন্দরে প্ৰৱেশ করে দেখেছিল চোখ ধাঁধাঁনো ঐশ্বর্যে ভরা মহলের পর মহল সোনার পাতে মোড়া সাংঘাতিক সুন্দর সোনালী কারুকীর্তি সর্বত্র দৃশ্যমান । বিস্ময়ে হতবাক হয়ে শ্রী র মনে সংশয়  জাগে , ঋষভ কে  বলে সোনার মত চকচকে হলেই কি খাঁটি সোনা হয় ? তিতিরের  ধারণা এ নিশ্চয় ই খাঁটি সোনা হবে । কি জানি ! রাজা রাজরা দের ব্যাপার ,মা ! এসব  হয়তো সত্যিই হতে ও পারে। শ্রী বলে তবে সে আমলে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের  অবশ্যই সোনার ব্যবহারের প্রাচুর্য্য অঢেল ছিল। গথিক স্পায়ার গুলোতে ,রোমান রাউন্ড আর্চ আর এই নয়ের দশকে গড়ে ওঠা ডজেস প্যালেসের অমন চোখ ধাঁধানো স্বর্ণোজ্জ্বল সৌন্দর্য মন  ছুঁয়ে গিয়েছিল ।         

বর্তমান সময়ে এই প্যালেস টি ভেনিসের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির আঁতুরঘর এক অন্যতম সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র।  ডজেস প্যালেস এখন মিউজিয়াম | টিকিট ও বেশ দামী। নবম শতাব্দীতে প্যালেস নির্মাণের যে বিশাল কাজ শুরু হয়েছিল তা শেষ হয়েছিল ১৪২৪ সালে।ইতালী ভাষায় এর নাম ''পালাজ্জো দু কাল দি ভেনিজিয়া।''  "ফিলিপ্পো ক্যালেন্ডারিওর " গথিক স্থাপত্যের  ডিজাইনে  গড়ে ওঠা এই প্যালেস  টি অনেকটা দুর্গের মত। বিদেশী দস্যুদের আক্রমণ থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য  বিশেষ ভাবে সংরক্ষিত করে এ দুর্গটি  নির্মাণ করা হয়েছিল । চারদিক উম্মুক্ত প্রশস্ত চওড়া জায়গা। সিলিঙে বা প্রাসাদের ওপরের দিকে ঢেউ খেলানো গোলাপি সাদা দৃষ্টিনন্দন নক্সা। 
সংঘবদ্ধ পায়রার দল

  মিউজিয়ামে  বহু বিখ্যাত শিল্পী দের আঁকা অসামান্য সব শিল্পের নিদর্শন  ছাদ থেকে দেওয়াল পর্যন্ত শোভিত হয়ে আছে। বিরাট হলঘরের মধ্যে সিনেট অফিস "সালা দেল সিনেটো" তার দেয়াল থেকেও ছাদ থেকে দেওয়াল  সর্বএ  আঁকা তিন্তরেত্তোর অসাধারণ শিল্প সম্ভার "দ্য ট্রিয়াম্প অফ ভেনিস "।  সমুদ্রতল  থেকে ভেসে উঠছেন কাল্পনিক দেব দেবীরা , নানা সম্পদ ভেনিস নগর বাসীদের হাতে আশীর্বাদের মত তুলে দিচ্ছেন।অদ্রিজা বলে অনেকটা আমাদের দেবী কমলার মত পদ্ম হাতে জল থেকে জেগে উঠছেন।   তিন তলা বাড়িটি ঘুরে --সিনেট হল সিংহের মুখ দৈত্যাকার সিঁড়ি বেঁয়ে ওপরে উঠে দেখেছিল  'সালা দেল দেই ত্রেকাপি'' যেখানে অতি গোপনে নিশব্দে রাজদ্রোহী বা বিদ্রোহীদের বিচার করে প্রাণ দন্ড দেওয়া হতো। এবং কখনো বিচারের শেষে অপরাধীর নিথর দেহ টিকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হতো।

প্রাচীন গথিক শিল্প স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত  ভবন গুলো  মনমুগ্ধ কর  স্থাপত্য শৈলী তে  শহর টিকে সমৃদ্ধশালী করে তুলেছে। বেশীরভাগ প্রাসাদ ভবন গুলো এখন কোনোটি ফাইভ ষ্টার হোটেল কোনোটি মিউজিয়াম কোনোটি অফিস স্কুল কলেজ  লাইব্রেরী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে । ডজেসদের  প্রাসাদ টি তো বহুআগের থেকেই প্রশাসনিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হতো । প্রাগ, মিলানোর মত এই চত্বর টি তে ও  প্রায়  হাজারের  ও বেশী মোটাসোটা স্বাস্থ্যবান  গোলা পায়রা নিশ্চিন্তে নির্ভীক ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।  
 পায়রার ঝাঁকের পাখা ঝটপটানির মাঝেই পাশ কাটিয়ে  রিয়াল্টো ব্রীজের ওপরে এসে ওরা  দাঁড়ালো ।  অদ্রিজা শুধুই এমন  সুন্দর মুহূর্তগুলো কে ক্যামেরায় ধরে রাখতে চায়।  সানমার্কো ও সানপালো জেলা দুটির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গ্রান্ড ক্যানালের ওপর রয়েছে পৃথিবীর  অন্যতম বিখ্যাত স্থাপত্য শৈলীর  বহু কথিত প্রাচীনতম শিল্পের নিদর্শন  বিচিত্র রঙের বাহারে  সজ্জিত অপরূপ  রিয়ালটো  ব্রিজটি।      

 শ্রী ওর লেখা বার্লিনের ডায়েরির পাতা ওল্টায়। ওরে ব্বাবা ! ভেনিসের এই কাহিনী সহজে শেষ হবে না।    এবার এলো সেই দৃষ্টি  নন্দন রিয়ালটোব্রিজের রোমহর্ষক গল্প। তার কথা আজ থাক।  লিখবে  আগামীতে।                                          ক্রমশঃ

Post a Comment

0 Comments