বার্লিনের ডায়েরি ৪০ পর্ব। চিত্রা ভট্টাচার্য্য
(জলকন্যা ভেনিসের পরবর্তী অংশ )
নীলআকাশের তলে সাগরের অগাধ নীলজলে ঢেউয়ের দোলায় ছিপনৌকার মত সরু মুখের নীলগন্ডোলায় ভেসে সোনালী রোদের পরশ গায়ে মেখে রিমোর আতিথেয়তায় মুগ্ধ শ্ৰীময়ী। দুপাড়ের ভেনিস শহর ঘুরে বেড়িয়ে দেখার সময় মনের মাঝে ও ঢেউ জেগেছে গভীর উত্তেজনায়। রোদ ঝলমল মিষ্টি সকালের আলোয় জলপথে শহর প্রদক্ষিণ শুরু হোলো। যতই কুল ছেড়ে সাগরের খাড়ির অভ্যন্তরে যাও তার ডান বাঁ দুই দিকেই মাথা উঁচু করে আছে নানান স্থাপত্য শৈলী দৃষ্টি নন্দন প্রাসাদ ,চার্চ ,সুসজ্জিত ঘরবাড়ি ও শপিংমল। আসপাশ দিয়ে ভেসে যাওয়া গন্ডোলার বিদেশী যাত্রীরা তাদের মাতৃভাষায় গিটার বাজিয়ে গান গাইছিলো। ঋষভদের গন্ডোলাতে ও তখন দেশ কাল ভুলে পিতাপুত্রীর উদাত্ত গলায় সুরে তালে ছন্দে বাতাস মেতেছিল ভাটিয়ালীর সুরে। সে এক মন মাতানো পরিবেশ।
ভেনিসের প্যালেস
রিমো ও অগাধ জলে তার আদরের খোলা পানসীটি ভাসিয়ে উচ্চস্বরে ইতালীয়ান ভাষায় ওর দেশের লোকসংগীত গাইতে শুরু করলো । শীতের সামুদ্রিক ভেজা হাওয়ায় জলের ছলাৎ ছল শব্দের সাথে। ভাষা না বুঝলে ও ওরা কানপেতে শুনেছিল ওর গাওয়া লোকসংগীত। নোনা জলে ভেসে বেড়ানোর ভাটিয়ালী গানের চেনা সে সুর টি দেশ কালের সীমা ছাড়িয়ে ভেসে যায় কোন সুদূরে। বিস্মিত শ্রীময়ী ঋষভ কে বলে গা গঞ্জের সব জল মাটির গান গুলোরই বোধহয় একই রকম আবেদন। অবাক হয়ে শ্রী দেখেছিল ,রিমোর গানের মাঝে ডুবে যাওয়ার তন্ময়তা। দাঁড় বেয়ে নির্লিপ্ত ভাবে সরু খালের মধ্য দিয়ে সুদক্ষ এক নাবিকের মত নিপুন হাতে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তার সাধের গন্ডোলা ।
দুইহাতে দাঁড় বাইতে বাইতে আলাপী রিমো গান থামিয়ে শুরু করে ওর জলের জীবনে ভেসে বেড়ানোর আনন্দময় কাহানি। আসলে ভেনিসিওদের কাছে এই গন্ডোলার চালক হওয়া খুব শৌখিন এক পেশা। রিমো ছোট্ট থেকেই স্বপ্ন দেখতো সে গন্ডোলা নিয়ে ভেনিসের জলে রাত দিন ভাসবে।গন্ডোলার পেশাদারী চালক হতে গিয়ে কত রকম প্রশিক্ষণ কঠোর নিয়ম কানুনের মধ্যদিয়ে চলতে হয়েছে। অন্ততঃ সাত টি দেশের ভাষার সাথে ভেনিস নগরীর ইতিহাস আদ্যন্ত জানতে হয়েছে এবং গান ও শিখতে হয়েছে । ভাগ্যিস রিমোর প্রিয় হবি স্প্যানিশ গীটার বাজিয়ে গান গাওয়া। দাঁড় হাতে নিলেই ওর কণ্ঠে গান সুর চলে আসে আপনা থেকেই ।ওর ইচ্ছে করে হিয়ার মাঝে লুকিয়ে থাকা গানে আকাশ বাতাস মাতিয়ে রাখতে । রিমোর মত আরো গন্ডোলার চালকরা এই পেশায় খুব খুশি। ওর কাছেই শ্রী শুনেছিল , এ শহরের অর্থনীতির কাঠামোর মূলে রয়েছে ভ্রমণ ব্যবসা। তারই বাণিজ্যিক সহায়তায় এই শহর টি ক্রমশঃ সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠেছে । প্রতিবছর প্রায় ২কোটি পর্যটককে স্বীয় রূপগুনের মোহ জালে আকৃষ্ট করে এই জলের শহর নিজের কাছে টেনে নিয়ে অর্থ নৈতিক সহায়তায় ক্রমশঃ সমৃদ্ধশালী করে তুলছে।
সারি সারি গন্ডোলা ভেসে চলেছে
ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ভীড়ের আনাগোনায়।শান্ত স্নিগ্ধ ভেনিৎসিয়ার আকাশ বাতাস মুখরিত থাকে প্রায় বছরের সব সময়। ৩৬৫ দিনই পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে পর্যটকের ভীড়ে জলকন্যা মেতে থাকে উৎসব মুখর আনন্দের জোয়ারে। এ শহরের মূল অর্থনীতির কাঠামো ভ্রমণ ব্যবসা। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব শিল্প ফ্যাশন ও খাবার দাবারের বৈচিত্র্যময়তা ও রোমান্টিকতা দিয়ে সারা পৃথিবীর দরবারে জলকন্যা "সিটি অব লাভ এন্ড লাইটস" নামে খ্যাত হয়ে আছে । বহির্বিশ্ব থেকে আগত অসংখ্য ট্যুরিষ্টের দলই এ শহরের রুজি রোজগারের প্রাণ ভ্রমরা। পর্যটক বা ট্যুরিষ্ট ছাড়া ভেনিসের নাগরিক জীবন যেন জল বিনা মাছের মত মৃতবৎ। অদ্রিজার মন নানা প্রশ্নে জর্জরিত। আজকাল বেশ ইতালীয়ান ভাষা ও বলতে পারে। রিমো কে ওর ভাষাতেই জিজ্ঞেস করে , তোমার এই জলে ডোবা শহরের সৃষ্টির রহস্য বলো। বিশাল বিশাল ভবন এবং সেতু গুলো যুগযুগ ধরে জলে ভেসে আছে শুধুই কি কাঠের তৈরী খুঁটির সাহায্যে ? রিমোর ভারী উৎসাহে কখনো ইতালীভাষায় কখনো ইংলিশে আদ্যন্ত ইতিহাস বলতে শুরু করেছিলো।
🍂
বিশেষতঃ ,জলের ওপর বানানো বাড়ি গুলোর এমন সটান দাঁড়িয়ে থাকার মূল তথ্য রহস্যের প্রধান চাবিকাঠি হলো ''সে সময় উদ্বাস্তুরা ,ঘরছাড়া মৃত্যু ভয়ে আতঙ্কিত পরিশ্রমী মানুষ তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ঘর বাড়ি গুলোকে মজবুত সুদৃঢ় করতে প্রধান উপকরণ কাঠের উপর নির্ভর করেই এ শহর কে তিলেতিলে গড়ে তুলেছিল। অনেক ঝড় ঝঞ্ঝা সহ্য করে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মোটা মোটা গাছের কাঠ থেকে খুঁটি,কাঠের পাটাতন ,বা তক্তা বানিয়ে একের পর এক জোড়া লাগিয়ে শুরু হয়েছিল ভেনিস নির্মাণের কাজ। এসব নির্মাণ কাজে যথেষ্ট পরিমান কাঠের যোগান ও ছিল না।কাঠ আসতো অধিকাংশ জাহাজে জলপথে স্লোভেনিয়া ক্রোয়েশিয়া এবং মন্টিনিগ্রো থেকে। কিন্তু কোনো শক্ত মাধ্যম ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত না হলে স্থপতি বা মজবুত ঘর দালান গড়ে তোলা মোটেই সম্ভব নয়। রিমো হাতে ঘুরিয়ে গন্ডোলা নিয়ে সোজা চলে আসে বাড়িগুলোর পায়ের কাছে।
জলের নীচে অসংখ্য মোটা কাঠের গুড়ি দেখিয়ে বলে ,ঐ যে দেখা যাচ্ছে কাঠের গুড়ি ,ঐ কাঠ গুলো লোহার মত শক্ত কঠিন। এখানে গভীর জলে নিমজ্জমান অগুনিত কোটি ,কোটি কাঠের গুড়িগুলো গন্ডোলা থেকে দেখে ওরা চমৎকৃত হয়েছিল। গাছের কাঠ কেমন লৌহ কঠিন অবয়ব নিয়ে স্বীয় কর্তব্য পালন করে অনড় থেকে সারা শহর টিকে ধারণ করে আছে। ঐ কাঠে পচন ধরে না , ক্ষয় হয় না কারণ প্রাসাদ গৃহ নির্মানে ব্যবহৃত এই কাঠ গুলো ভারী শক্ত ওক এবং লার্চ গাছের কাঠ । প্রায় ৬০ফুট লম্বা কাঠের খুঁটি জলের নীচে নরম কাদা এবং পাথরের নীচে শক্ত করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে । তারওপর ভিত্তি করেই বিশাল প্রাসাদ ইমারত দালান চার্চ মঞ্জিল গড়ে উঠেছে। অসাধারণ স্থাপনার কীর্তি কৌশল নিয়ে এই অনুপম শহরটি গড়ে তোলার পশ্চাতে বৈজ্ঞানিক যুক্তি বলে গভীর সমুদ্রের মাঝে অক্সিজেন একদমই না থাকায় কাঠে স্বাভাবিক ভাবেই পচন ধরে না। তা ছাড়া ওক এবং লার্চ শ্রেণীর গাছের কাঠ পুরোমাত্রায় জল প্রতিরোধক ও বটে।
ঋষভ ওদের আলোচনায় যোগ দিয়ে বলে যতদূর জানি ,সমুদ্র বিজ্ঞানীদের মতে জলের গভীরে তলদেশে পলিমাটির নীচে একটি স্তর থাকে যা শক্ত মাটির মত এবং সামুদ্রিক লবনাক্ত জলে মিশে থাকা খনিজ পদার্থ দিয়েই তৈরী হয়ে এই প্রকার প্রাকৃতিক স্তরগুলো গড়ে ওঠে । রিমো বলে একদম ঠিক। সাগরের তলদেশের এই স্তরে খুঁটি গুলো স্থাপন করার ফলে ভিত লোহার মত শক্ত ও মজবুত হয়ে যায়। তাছাড়া জলাভূমির গভীরে থাকা খুঁটির নীচের অংশ প্রতিনিয়ত নুড়িপাথর মাটি এসে জমা হয়ে খুঁটি গুলোর সাথে মাটির বন্ধন আরো সুদৃঢ় করে ফলে খুঁটি সরে যাওয়ার প্রশ্ন ওঠেনা। বরং আরো টেকসই হয়। এবং লবনাক্ত জলে থাকা খনিজ পদার্থতে এই ভিত্তিকে ক্রমশ লোহার মত শক্ত করে আঁকড়ে রেখেছে। পিতা পুত্রীর মুখ দিয়ে কোনো কথা বেরোয় না। ওরা নির্বাক চোখে তাকিয়ে থাকে।
রিমো আরো বলে , ইটালীর মূল ভুখন্ড থেকে এই বিশাল চওড়া গ্র্যান্ড ক্যানেলটি ই শহরের প্রধান জলসড়ক হয়ে ভেনিসের প্রধান জেলা গুলোর মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে। এটি প্রায় ৩৮০০ মিটার দীর্ঘ এবং ৩০ থেকে ৯০ মিটার পর্যন্ত চওড়া। গড় গভীরতা ৫মিটারের মত। এই পথ ধরে এগিয়ে রিয়ালটো সেতু ছাড়িয়ে কাছাকাছি দ্বীপগুলোর গা ঘেঁষে বেশ কিছুটা গভীর হ্রদের দিকে ওরা চলে গিয়ে পৌঁছলো জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল প্রাসাদ ভবনগুলোর গায়ের কাছে। এখানে ভেনিসের বাড়ি গুলো এখনো যেন সেই পাঁচ শত বা হাজার বছর আগের মতই রয়েছে। জলে ডোবা শ্যাওলা ধরা দেওয়াল গুলোর গায়ে কোথাও কোথাও অনেকাংশেই প্লাস্টার খসে বিবর্ণ .হয়ে গিয়েছে। ছাদের অবস্থা ও তথৈবচঃ। কিন্তু সময় কে ফাঁকি দিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী সে একই ভাবে গায়ে গা ঘেঁষে নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছে বিখ্যাত সব স্থপতির সারি সারি নিদর্শন হয়ে ।
এই প্রাচীন দেওয়াল গুলোর সাথে জলের যত প্রাণের বিনিময় ,না বলা কথা। কান পাতলে শোনা যায় ছল ছল শব্দের সাংকেতিক ভাষায় কত কথা। আধঘন্টা উন্মুক্ত আকাশ কে মাথার ওপর নিয়ে অগাধ নীল জলের আহ্বানে খুশির লহরী তুলে মনে রাখার মত সাগরে জলে নগর পরিক্রমা হোলো । গন্ডোলা জল কেটে রাজহংসীর মত গ্রীবা উচিয়ে এগিয়ে চলেছে। অদ্রিজা বলে আমরা এলাম "ব্রীজ-- অফ-- সাইস " মন খারাপ করা দীর্ঘশ্বাসের সেতুটির কাছে। যে সেতু র ওপর দিয়ে বন্দিরা মৃত্যুদন্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে নিক্ষেপিত হয়ে যাওয়ার পথে ,যার ছোট্ট খুপড়ি জানলা দিয়ে শেষ বারের মত দেখতে পেত তার প্রিয় শহর কে। তার ভালোবাসার বাইরের পৃথিবীর এক মুঠো আলোয় ভরা আকাশ কে। তাদের হাহাকারে ভরা বাতাস কাঁপানো দীর্ঘ্যশ্বাস আর চোখের জল ভেজা দুঃখের স্মৃতির চিহ্ন বহন করে আজো দাঁড়িয়ে আছে সেই ' ব্রিজ অফ সাইস ' মৃত্যু দূতের স্মারক সেতু হয়ে । নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে নির্বিকার সাগরের ভাষাহীন স্রোত।
আরো এক বিচিত্র কাহিনী শুনে এদের মিথ গুলো সম্পর্কে শ্রী ভারী আশ্চর্য্য ও হয়ে গিয়েছিল। রিমো একটি গির্জার কাছে এসে জানালো ঐ ক্যাম্পাইন গির্জার ঘন্টাগুলো একত্রে বেজে ওঠার সাথে এক পবিত্র মুহূর্তের সূচনা হয়। ঐ সময়ে রিয়ালটো ব্রিজের ধারে এসে স্বামী স্ত্রী বা প্রেমিক প্রেমিকারা পরস্পর ,পরস্পর কে যদি চুম্বনের সোহাগে ভাসাতে পারে তাহলে ঈশ্বরের বিশেষ আশীর্বাদে ধন্য হয়ে স্বর্গীয় ভালোবাসার অনুভূতি প্রাপ্ত হয়।তাদের জীবন প্রেমময় হয়ে সম্পর্ক অটুট থাকে।
এবারে গন্ডোলা থেকে নামার পালা সময়ের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। রিমোর কাছ থেকে সৌজন্যের বিদায়ী নিয়ে গ্র্যান্ডক্যানালের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের ধার ধরে অনেকটা হেঁটে চলে এসেছে আবার সানমার্কোতে। ইটালীর সাংস্কৃতিক ঐক্য সাধনের স্মৃতি বহন করে আছে এবং পরিপাটি করে সাজানো শহরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গায় । অসংখ্য পাব সারি দিয়ে সাজানো রয়েছে চারপাশে সেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যে রাতগভীর পর্যন্ত যত ইচ্ছে সময় বিয়ার বা ওয়াইন যা কিছু ড্রিংক নিয়ে বন্ধু বান্ধবী কিম্বা পরিবারের সাথে অথবা একাকী নিজের মতন সময় কাটাও না কেন ,কেউ এসে বাঁধা দেবে না। অদ্রিজা বলে মা এখানের মানুষ গুলো এতটাই ভদ্রতা রক্ষা করতে জানে যে কেউ কারো ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় বা প্রাইভেসী তে মোটেই হস্তক্ষেপ করবে না। কারো অযথা সময় নেই যে অন্যের পার্সোনাল বিষয়ে নাক গলাবে ।
জলকন্যা ভেনিস
এদিকটায় বাড়িগুলোর দেওয়ালের গা ঘেঁষে হ্রদের জল শ্যাওলা সবুজ।সেখানে উৎসাহী জনতার বেশ ভীড় জমেছে দেখে অদ্রিজা ও দাঁড়িয়ে পড়ে । কিছু লোকাল মানুষ অনেক মিউজিক্যাল বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নিজেদের মত ব্যান্ডের দল বানিয়ে গান বাজনায় মেতেছে। মিষ্টি অর্কেস্টার গানের সুর বাতাসে ভেসে বেড়ায় মন উতলা করে। ভ্রমণার্থীদের ও আনন্দে মাতিয়ে রাখে । কোনো দল আবার তাল ঠুকে নেচে নিজেরাই গান গাইছে। কোথাও সুবেশী নর্তকী মেয়েদের বিভিন্ন ব্যালে নাচ চলেছে এবং সঙ্গে তাদের পুরুষ সঙ্গীরা যত্ন করে গীটার বা ভায়োলীনে গানের সুর বাজিয়ে চলেছেন। তাদের ঘিরে গোল করে দাঁড়িয়ে প্রচুর উৎসাহী দর্শক। তাদের মনোরঞ্জন করাও দল গুলোর রোজগারের উপায় । শীতের ছুটির দিনে বেড়াতে আসা সুবেশী মানুষ গুলোর নানান রঙের পোশাকের বাহারে মনে হলো স্বাধীন সুখী মুক্ত জীবনের খুশির মেলা বসেছে। ওরা আবার এসে ভেপোরাত্তির জন্য দাঁড়ালো । টিকিট ছিল সেন্ট লুসিয়া থেকে ভেনিসের শেষ প্রান্ত সেন্ট এলেনা পর্যন্ত। ঢেউয়ের দোলায় সুন্দর আরামের ওয়াটারবাস নাগর দোলনার মত উঁচু নীচু ঢেউয়ের তালে দুলতে দুলতে জল কেটে ছুটে চলেছে এ দ্বীপ থেকে সে দ্বীপ। হ্রদের এ প্রান্ত থেকে অন্য আরেক দিকের প্রান্তে ঘুরে নামা ওঠার খেলায় মেতে ওরা এসে পৌঁছে ছিল ফ্যাব্রিক্স গিলিয়ানাতে। ক্রমশঃ
0 Comments