জ্বলদর্চি

সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী নিরালা (হিন্দি কবিতার ছায়াবাদী যুগের কবি, মহিষাদল) /ভাস্করব্রত পতি

মেদিনীপুরের মানুষ রতন, পর্ব -- ১২২
সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী নিরালা (হিন্দি কবিতার ছায়াবাদী যুগের কবি, মহিষাদল) 

ভাস্করব্রত পতি

কি অদ্ভুত সমাপতন। ১৮৯৬ সালে যেদিন তাঁর জন্ম হয়, পরবর্তীতে সেই দিনটি হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। হিন্দিভাষী কবি সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী নিরালা এই পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাটিতে জন্মগ্রহণ করলেও নিজেকে পরিশীলিত করেছিলেন মাতৃভাষা হিন্দিতেই। প্রাণীত করেছিলেন হিন্দিকে। নিরালার কবিতা তাঁর দেশ ও তাঁর ভাষার প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ তাঁর তেজ, যা হিন্দি ভাষায় ভাব প্রকাশের শক্তিকে দিয়েছে অমূল্য পরিপূর্ণতা। তিনি যখন তাঁর কবিতায় হিন্দি ভাষার পূর্ণতা অক্ষুণ্ণ রেখেছেন, তখন তাঁর সমসাময়িক কবিদের ভাষা ইংরেজি রীতিতে রীতিমতো সাজানো ছিল। মহিষাদলের বুকে হিন্দি কবিতার ছায়াবাদী যুগের এই বোহেমিয়ান কবি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে ভারতীয় ডাকবিভাগ প্রকাশ করে কবিকে নিয়ে ডাকটিকিট

বাবা পণ্ডিত রামসহায় তেওয়ারি ছিলেন মহিষাদল রাজবাড়ির একজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী। সেই সূত্রেই এখানে আসা। রাজবাড়ির দক্ষিণে ফুটবল মাঠের পূর্ব পাশে এক বাড়িতে তাঁরা থাকতেন। তাঁদের আসল বাড়ি ছিল উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার গড়কোলা বৈসওয়াড়া অঞ্চলে। যখন তাঁর বয়স মাত্র আড়াই বছর, তখনই তিনি হারিয়েছেন তাঁর মাকে। মহিষাদল রাজবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় থাকার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন এখানেই। মহিষাদল রাজ হাইস্কুলে পঠনপাঠনের জন্য তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। এখানকার বিদ্যালয়ে সংস্কৃত, বাংলাও পড়ানো হলেও হিন্দি পড়ানো হতনা। যদিও পড়াশোনা বেশিদূর এগোয়নি। আসলে তিনি সাহিত্যচর্চায় বেশি আগ্রহান্বিত ছিলেন। সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ ছিল মনন থেকে। মহিষাদল রাজপরিবারের এক নিঃসন্তান ব্যক্তি মাতৃহারা সূর্যকান্তকে দত্তক নেওয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যুতে তা আর হয়ে ওঠেনি। 
সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী নিরালার কয়েকটি বই

প্রথমে কিন্তু 'সূর্যকান্ত' নাম ছিলনা। তখন ছিল 'সুর্জকুমার তিওয়ারি'। পরবর্তীতে তিনি 'সূর্জকুমার' নাম বদল করে নতুন নাম নিলেন 'সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী'। আরও পরে তাঁর নামের সাথে যুক্ত হল 'নিরালা' ছদ্মনাম। হিন্দিতে 'নিরালা' শব্দের বাংলা অর্থ হল 'অনন্য'। তিনি তাঁর বর্ণময় জীবন এবং কর্মময় সাহিত্যকর্মকে পাথেয় করে সত্যি সত্যিই হয়ে উঠেছিলেন 'নিরালা'। সাহিত্যপাঠের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল তাঁর। ফলে মির্জা গালিব থেকে কালিদাস, তুলসীদাস, ভবভূতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মুন্সী প্রেমচাঁদ পর্যন্ত তাঁর আগ্রহ ছিল মারাত্মক। বাংলার বৈষ্ণব সাহিত্য, উইলিয়াম শেকসপিয়র, ম্যাক্সিম গোর্কির রচনাও তাঁকে আকৃষ্ট করত প্রতিনিয়ত। এমনকি রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের লেখাতেও মন মজিয়েছিলেন তিনি। নিরালা একজন সঙ্গীতজ্ঞও ছিলেন। তিনি হারমোনিয়াম ব্যবহার করে গান রচনাও করেছিলেন। তাঁর গানের অসংখ্য সংকলন, গীতিকা শিরোনাম ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
মহিষাদলের বুকে সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী নিরালার মূর্তি

মা হারা সূর্যকান্ত ২০ বছর বয়সে বিয়ের করেন মনোহরা দেবীকে। মূলতঃ তাঁর পীড়াপীড়িতেই হিন্দি ভাষায় মনোনিবেশ করেন আরও ভালো করে। আসলে বাংলা ভাষা তিনি বুঝতে পারেননি। তাই স্বামীকে অনুপ্রাণিত করেন হিন্দিতে চর্চার জন্য। অচিরেই তিনি বাংলার পরিবর্তে হিন্দিতে কবিতা লিখতে শুরু করেন। 

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দেশজুড়ে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯১৮ সালে সেই মহামারী ছিল স্প্যানিশ ফ্লু। এই ফ্লুতে তিনি হারিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী মনোহরা দেবী সহ তাঁর কাকা, ভাই ও ভগ্নিপতিদেরও। এমনকি নিজের কন্যাকেও হারাতে হয়েছে এসময়। অনেকের মতে হিন্দি শোকগাথাও তিনিই প্রথম লিখেছিলেন। স্প্যানিশ ফ্লুতে মৃত মেয়ে সরোজকে মনে রেখে লিখে ছিলেন 'সরোজ স্মৃতি'। এটিই হিন্দি ভাষায় অন্যতম সেরা শোকগাথা। এই সরোজ স্মৃতিতে তাঁর আবেগের বহিঃপ্রকাশকে গভীর অনুশোচনা এবং দুঃখের অনুভূতি দিয়ে অতিক্রম করেছেন। স্বজন বিয়োগের শোক এবং যন্ত্রনা বুকে নিয়েই চালিয়ে গিয়েছেন সাহিত্য সেবা। একদিকে স্বজন হারানোর যন্ত্রনা আর অন্যদিকে তুমুল আর্থিক দৈন্যতা -- বাকি জীবন এভাবেই কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু কখনও মাথা নোয়াননি, দম হারিয়ে ফেলেননি, সংগ্রামী মনকে বিকিয়ে দেননি। সমঝোতা করেননি একবিন্দু। 

১৯২০ সালে গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনে যখন সারা দেশ উত্তাল, তখন তিনি 'জন্মভূমি' নামে একটি দেশাত্মবোধক কবিতা লিখেছিলেন। সেসময় তা প্রকাশিত হয়েছিল কানপুরের গণেশশংকর বিদ্যার্থী সম্পাদিত 'প্রভা' পত্রিকায়। এই রচনা ছিল তাঁর প্রথম কবিতা। এরপর তিনি থেমে থাকেননি। এগিয়ে গিয়েছেন সুমুখপানে। তবে 'জুহি কি কালী' নামের একটি কবিতা, যা দীর্ঘ সময় ধরে নিরালার প্রথম সৃষ্টি হিসেবে পরিচিত ছিল। বলা হত যে এটি নাকি ১৯১৬ সালে লেখা হয়েছিল। আসলে এটি ১৯২১ সালে লেখা হয়েছিল এবং ১৯২২ সালে প্রথমবার প্রকাশিত হয়েছিল। 

রবীন্দ্রনাথের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত অনুরক্ত। কবির দর্শন, আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃতিপ্রেম, স্বদেশপ্রীতি ও মানবতার মন্ত্রধ্বনিতে তিনি নিজেকে একাত্ম করে রেখেছিলেন। বলা হয়ে থাকে যে, নিরালার প্রথম দিকের কাজগুলি পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য সংস্কৃতি এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অফুরন্ত প্রভাবে গড়ে উঠেছিল। তাঁর প্রথম দিকের কবিতাতে বাংলা রেনেসাঁ এবং প্রাসঙ্গিক আধুনিকতা প্রতিফলিত হয়েছে, যা পরবর্তী দশকে হিন্দি সাহিত্যে আবির্ভূত নিও রোমান্টিসিজম বা ছায়াবাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটা নিবিড় বন্ধন তৈরি হয়েছিল রবিকবির সঙ্গে। কবিগুরুর গান, কবিতা অনুবাদ করেছিলেন হিন্দিতে। বিবেকানন্দ এবং রামকৃষ্ণের লেখনীও আত্মীকরণ করেছিলেন অনেক আগেই। 

তিনি তাঁর কবিতায় কল্পনার বদলে বাস্তবের ছোঁয়া বেশি দিয়েছেন। ইংরেজিতে ব্ল্যাঙ্ক ভার্স কবিতাই বাংলাতে অমিত্রাক্ষর ছন্দ। পরে শুরু ফ্রি ভার্স ধারার কবিতা। যা কিনা হিন্দিতে বলা হত মুক্ত ছন্দ কবিতা। তিনি ছিলেন মুক্ত ছন্দের ধারার অন্যতম কবি। তাঁকে হিন্দি সাহিত্যের মুক্ত ছন্দের প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সূর্যকান্তের লেখা 'পরিমল' (১৯২৯) কাব্যগ্রন্থটি হিন্দি ভাষায় প্রথম মুক্ত ছন্দের গ্রন্থ বলে স্বীকৃত। তাঁর প্রভাবে অনেক তরুণ কবি মুক্ত ছন্দেই আধুনিক হিন্দি কবিতা রচনায় নিজেদের ব্যাপৃত রেখেছিলেন। তিনি হলেন হিন্দি কবিতার ছায়াবাদী যুগের চারজন প্রধান কবিদের অন্যতম কবি। বাকিরা হলেন জয়শঙ্কর প্রসাদ, সুমিত্রানন্দন পন্থ এবং মহাদেবী ভার্মা। ১৯৩৬ সাল নাগাদ শুরু হয় হিন্দি কবিতায় ছায়াবাদ বা 'নিও রোমান্টিজম' এর ধারা। ১৯৪২ সালে শুরু হয় প্রয়োগবাদের ধারা। ফের ১৯৫০ সালের পরে শুরু হয় নব্য কবিতা আন্দোলন। সবগুলি ধারার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বহাল তবিয়তে তিনি তাঁর সৃষ্টিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তরতর করে। ধীরে ধীরে হিন্দি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিরূপে স্বীকৃত হয়েছেন তিনি। 

সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী 'নিরালা'র কাব্যে মেলে অসাধারণ চিত্রায়নের দক্ষতা। অভ্যন্তরীণ অনুভূতি হোক বা বহির্জগতের দৃশ্য, বাদ্যযন্ত্রের শব্দ হোক বা রঙ গন্ধ, জীবন্ত চরিত্র হোক বা প্রাকৃতিক দৃশ্য, আপাতদৃষ্টিতে ভিন্ন ভিন্ন উপাদানকে একত্রিত করে এমন এক অনন্য ও প্রাণবন্ত ছবি উপস্থাপন করে থাকেন যে পাঠক তার মধ্যে ডুবে যায়। ১৯৩৬ সালে দেশে 'প্রগতিশীল লেখক সঙ্ঘ' স্থাপিত হয়। মুন্সী প্রেমচাঁদ ছিলেন তার প্রথম সভাপতি। আর সূর্যকান্ত ছিলেন অন্যতম সদস্য। জীবনভর বিদ্রোহী ছিলেন। এজন্যেই তাঁকে 'বিদ্রোহী কবি' কাজী নজরুলের সাথে তুলনা করা হয়। ডক্টর দ্বারিকা প্রসাদ সাক্সেনার কথানুসারে, 'কবি আধুনিক হিন্দি ভাষার এক অনন্য স্বৈরশাসক, কারণ তিনি তাঁর অনুভূতি এবং চিন্তাকে তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী প্রকাশ করতে খুব সফল বলে মনে হচ্ছে। এটা অন্য বিষয়। যেখানে ভাষা কবির গভীর অনুভূতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তা কাজ করতে পারেনি, সেখানে শুধু কবির প্রকাশভঙ্গিই বিশৃঙ্খল নয়, ভাষাও হয়ে উঠেছে অস্পষ্ট। কিন্তু এ ধরনের ঘরানা খুব বেশি নেই'।

তাঁর লেখা কবিতার বইগুলি হল -- অনামিকা (১৯২৩), পরিমল (১৯৩০), গীতিকা (১৯৩৬), অনামিকা (দ্বিতীয়, ১৯৩৯), তুলসীদাস (১৯৩৯), কুকুরমুত্তা (১৯৪২), অণিমা (১৯৪৩), বেলা (১৯৪৬), নয়ে পত্তে (৯৪৬), অর্চনা (১৯৫০), আরাধনা (১৯৫৩), গীত কুঞ্জ (১৯৫৪), সন্ধ্যা কাকলি এবং অপরা (সঞ্চয়স্থান)। তিনি যেসব উপন্যাস লিখেছেন, সেগুলি হল -- অপ্সরা (১৯৩১), অলকা (১৯৩৩), প্রভাবতী (১৯৩৬), নিরুপমা (১৯৩৬), কুল্লি ভাট (১৯৩৮-৩৯), বিলেসুর বাকরিহা (১৯৪২), চোটি কী পকড় (১৯৪৬), কালে কারনামে (১৯৫০, অসম্পূর্ণ), চামেলী (অসম্পূর্ণ), ইন্দুলেখা এবং তকনীকী। এছাড়াও তাঁর লেখা যেসব গল্পগ্রন্থ রয়েছে, সেগুলি হল -- লিলি (১৯৩৪), সখী (১৯৩৫), সুকুল কি বিবি (১৯৪১), চাতুরী চামার (১৯৪৫) এবং দেবী (১৯৪৮)। তিনি যেসব বইয়ের সম্পাদনা করেছেন, তা হল -- রবীন্দ্র কবিতা কানন (১৯২৯), প্রবন্ধ পদ্ম (১৯৩৪), প্রবন্ধ প্রতিমা (১৯৪০), চাবুক (১৯৪২), চয়ন (১৯৪৩), সংগ্রহ (১৯৬৩), পুরাণ, মহাভারত (১৯৩৯) এবং রামায়ণ কী অন্তর্কথায়ে (১৯৫৬)। তাঁর লেখা কিছু শিশুসাহিত্য বিষয়ক বই হল -- ভক্ত ধ্রুব (১৯২৬), ভক্ত প্রহ্লাদ (১৯২৬), ভীষ্ম (১৯২৬), মহারানা প্রতাপ (১৯২৭) এবং শিক্ষামূলক গল্প (ঈশপের উপকথা, ১৯৬৯)। তিনি রামচরিতমানস (বিনয়া ভাগ, ১৯৪৮) বইটিকে খড়িবোলি হিন্দিতে পদ্যানুবাদ করেছেন। বাংলা থেকে হিন্দিতে অনুবাদ করেছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দ মঠ, বিষ বৃক্ষ, কৃষ্ণকান্ত কা উইল, কপালকুন্ডলা, দুর্গেশ নন্দিনী, রাজ সিংহ, রাজরানী, দেবী চৌধুরানী, যুগলাঙ্গুরীয়, চন্দ্রশেখর, রজনী সহ শ্রীরামকৃষ্ণ বচনামৃত (তিন খণ্ডে), পরিব্রাজক, ভারত ম্যায় বিবেকানন্দ, রাজযোগ (অংশানুবাদ) বইগুলি। পরবর্তীতে নন্দকিশোর নবলের সম্পাদনায় দিল্লির রাজকমল প্রকাশন থেকে ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত হয় 'নিরালা রচনাবলী' (আট খণ্ড)। নিরালার অনেক কবিতা ডেভিড রুবিন ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন। যেমন - 'আ সিজন অন দ্য আর্থ: সিলেক্টেড পোয়েমস অফ নিরালা' (কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৭৬)।  এছাড়াও 'সরস্বতীর প্রত্যাবর্তন: চার হিন্দি কবি' (অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৯৩), 'অফ লাভ অ্যান্ড ওয়ার: এ ছায়াবাদ অ্যান্থোলজি' (অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০৫) উল্লেখযোগ্য। আজ নিরালার সাহিত্যকর্ম ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। আজও তাঁকে নিয়ে অসংখ্য বই এবং গবেষণাপত্র প্রকাশিত হচ্ছে। 

'কুকুরমুত্তা'তে তিনি পুঁজিবাদের সমালোচনা করার জন্য সহায় সম্বলহীন অবস্থায় বেড়ে ওঠা ছত্রাকের রূপক টেনেছিলেন। একসময় মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে রাঁচি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কবির জীবনের শেষ সময় কেটেছে এলাহাবাদে। ১৯৬১ সালের ১৫ অক্টোবর দারাগঞ্জ এলাকায় রায় সাহেবের বিশাল প্রাসাদের পিছনে একটি ঘরে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর 'সরস্বতী' পত্রিকায় কবিকে নিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল অনবদ্য স্মৃতিচারণ -- 'তাঁর মতো তেজস্বী, মেধাবী, মৌলিক এবং উচ্চকল্পনাপ্রবণ কবি এবং শব্দের সম্রাট কচিৎ কদাচিৎই জন্ম নেয়। তুলসীদাস ও সুন্দরদাসের মতো তিনি হিন্দির মস্তক চিরদিনের মতো গৌরবান্বিত করেছেন'।

🍂

Post a Comment

0 Comments