জ্বলদর্চি

ইস্কুল ফিস্কুল/ পর্ব ১৯/সৌমেন রায়

ইস্কুল ফিস্কুল 

পর্ব ১৯

সৌমেন রায়

চিত্র – অসিত কুমার সেনাপতি।

কাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া (১)


শিক্ষকের সমস্যা তো হল, ছাত্রের কি সমস্যা নেই?  অবশ্যই আছে। তারা তো সর্ব অর্থে এক বিপন্ন প্রজাতি। তাদের কথা কেউ ভাবেনা। সে কেমন কথা! সবাই তো তাদের কথা ভেবেই অস্থির। হ্যাঁ তাদের মঙ্গলের জন্য ভাবছে  হয়ত কিন্তু তাদের মনের কথা বোধ হয় নয়। কিছু সচেতন অভিভাবক ও দরদী  শিক্ষক আছেন তারা এই হিসাবের বাইরে।

   সিলেবাসের কথা আগে বিস্তৃতভাবে বলা হয়েছে। এ সিলেবাস সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে আয়ত্ত করা খুব মুশকিল। কারণ  সিলেবাসের  দাবী অনুযায়ী নিষ্ঠাভরে  নিরবিচ্ছিন্ন  পড়াশুনা তাদের  অনেকেরই করা  হয়ে ওঠেনা  বিভিন্ন  কারণে। তার উপর দেখেছেন শিখন দিবস কিভাবে কমে গেছে। তার ফলে সিলেবাস পড়াতে হয় অত্যন্ত দ্রুত। এ বিষয়টিও আগে আলোচনা হয়েছে। দুটি বিষয়ই ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ গ্রহণ করার পক্ষে মারাত্মক বাধা। একটা গল্প বলি। বুড়ো বয়সে একবার গিটার শেখার সখ হয়েছিল । আসলে কিশোর বয়সের  সখ। তখন পূরণের কোন সম্ভাবনাই ছিল না। বুড়ো বয়সে দুটো পয়সা জমতে একটা গিটার কিনে ফেলা সোজা হয়েছিল । কিন্তু শিখতে গিয়ে দেখা গেল  মাথা যেভাবে ভাবছে তার  তালে হাত যাচ্ছে না। মাথায় যখন ‘মা’ হাতে তখনও ‘রে’। যাই হোক তবু টিম টিম করে চলছিল। একবার  দু চার দিন কোন  কারনে স্যার আসতে পারেননি। যেহেতু তিনি নিজে বন্ধ করেছেন ঘাটতিটা পূরণ করে দিতে চান। তিনি একদিনে অনেক কর্ড শেখালেন। বললেন মাস্টার মশাই এইতো মাঝের আঙুলটা ছেড়ে দিলে এই কর্ডটা, অনামিকা তিন নম্বর তারে দিলে এই কর্ড ,চার নম্বরে দিলে এই কর্ড  ইত্যাদি  ইত্যাদি । সব ঘেঁটে ঘ নয় একেবারে  চন্দ্রবিন্দু।গিটার শেখার ইচ্ছেটাই মরে গেল। এই ঘটনাই ঘটছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। এতগুলো বিষয়ের পাঠ মিলে তাদের মাথা গুলিয়ে দিচ্ছে। আগে কি তাহলে সব অনুশীলিত ছাত্র ছিল। একদমই না, আগেও এমনটা হতো। কিন্তু প্রশ্ন করার ধরনটা ছিল একটু ভিন্ন।  কিছুটা সাজেশন ভিত্তিক পড়া করা যেত। এখন সে সম্ভাবনা প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে মাধ্যমিক স্তরে। সাজেশন করে পড়া নিশ্চয়ই ভালো কথা নয়। সার্বিকভাবে পড়াশোনা করা, যুক্তিবোধ গড়ে তোলাটাই উচিত। কিন্তু সব সময়, প্রথম থেকেই সব ছেলে সেটা পারে না । এই কথাটিও উদাহরণ সহযোগে বলা হয়েছে আগের একটি পর্বে। এখানে আরেকটা গল্প বলি। বছর কুড়ি আগের কথা, এক ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষক সদ্য  এক চাকরি ছেড়ে এসেছেন  যোগ দিয়েছেন গ্রামের স্কুলে। তিনি সাজেশনের ঘোর বিরোধী। বিজ্ঞান পড়তে হবে পুরোটাই ,বুঝতে হবে, নিজে করতে হবে, তবে না শেখা। ক্রমশ বুঝতে পারলেন ‘চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্য’। দেখলেন কিছু ছেলে চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছে না। অল্প কিছু জিনিস বললে তারা কিন্তু সুন্দর আয়ত্ত করে আসছে। খানিকটা  দ্বিধা  নিয়ে  তিনি বসলেন কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র নিয়ে সাজেশন করতে। সে সাজেশন লাগল বেশ কিছুটা। অমৃত, মাজেদ, আবু বক্করের মত ছেলেরাও আশির উপর নম্বর পেল। আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেল জীবনে। কেউ সফল হল ,কেউ অতটা নয়। কিন্তু বিশ্বাসটুকু অর্জন করেছিল সেটা বোঝা যায়। একই ঘটনা দেখা যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।  কখনও কখনও কিছুটা ‘ইগনিশন এনার্জি’ বা ‘শুরুবাত কি উর্জা’ দিলে খুব কাজ হয়।একবার বিতর্কে বেলাল সাহেব বলে একটি ছেলেকে তৈরি করে দেওয়া হলো। বক্তব্য বলে সে যে আত্মবিশ্বাস পেল তার পর আর দেখতে হয়নি। স্কুলের বাইরেও  অন্য  টপিকে  অন্ত স্কুল প্রতিযোগিতায় নিজের বক্তব্য বলে পুরস্কার পেল । অর্থাৎ কিছু সাধারণ প্রশ্ন সাধারণ মানের স্টুডেন্টদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।প্রথমে একটু ঠেলা দিয়ে দিলে অনেক গাড়ি গড় গড় করে চলতে থাকে।তাহলে কি পুরানো প্রশ্নের ধরনে, পুরানো সিলেবাসে ফিরে যাওয়া উচিত? না সেটা অবশ্যই পিছিয়ে যাওয়া হবে। যেটা করা উচিত সেটা  হল বিষয়ে এবং প্রশ্নে কিছু বিশেষ অংশ চিহ্নিত থাকা উচিত। যেগুলো খুব সাধারণ ছেলেমেয়েরা  অবশ্যই পড়বে এবং সেখান থেকে একটা  সম্মানজনক নম্বরও স্কোর  করা যাবে। পড়াশোনাতে এগিয়ে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা আবার একটু ভিন্ন। জীবিকার নিশ্চয়তা দেয় যে সব  কোর্স সেখানে সুযোগ পাওয়ার পরীক্ষার প্রশ্নের কাঠিন্য মান দাবি করে বেশ কয়েক বছর আগে থেকে নির্দিষ্ট পথে কঠোর অনুশীলন। আর স্কুল চায় সার্বিক শিক্ষা। এই দুইয়ের যাঁতাকলে পড়ে তারা জরাসন্ধের মতো দু’ভাগ হয়ে যায়। ‘আর্লি বার্ড’ হতে হলে বিজ্ঞান বিষয়ের গভীরে যেতে হয়। আর স্কুল দেয় ৬০ পাতার ইতিহাস প্রজেক্ট(  একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল)।

     দ্বিতীয় সমস্যা কিশোর বয়সের সমস্যা। এই সময়  হরমোনাল চেঞ্জ এর জন্য শরীর ও মনে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। ধৈর্য  কমে যায়, মেনে চলার অভ্যাস কমে, রাগ বৃদ্ধি হয়, নিজেকে প্রকাশ করার জন্য অস্থিরতা দেখা যায়। প্রাক্ষোভিক স্তরে কিছু উন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আসে। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে, বিচক্ষণতার অভাবে ভুল সিদ্ধান্ত হয় ।হতাশা আসে। শরীরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়, গলার স্বর ভাঙ্গে। আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগে। যৌনাঙ্গের দ্রুত বিকাশ হয়। বিপথগামীতার সম্ভাবনা বাড়ে। এই সময় অভিভাবকের পাশে থাকা, ভালোবাসা, মিষ্টি ব্যবহার মনকে শান্ত এবং সংযত রাখে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ব্যাপারটা সোনার পাথর বাটি। অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যেন পরস্পরের প্রতিপক্ষ। কথা বলে জানা গেছে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। অভিভাবক ভাবে সন্তান ফাঁকি দিচ্ছে, ছেলেটি  বা  মেয়েটি ভাবে তার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। দুপক্ষের মাঝে  কথা বলার কোন পরিসর  নেই। আগে কৈশোরের ব্যাপারটা সামলে দিত পাড়ার ইন্দ্রনাথরা। কিন্তু ইন্দ্রনাথরা এখন বিলুপ্ত অথবা  নিজেরাই  বিপথগামী। তাই পরিবারই ভরসা। শহরাঞ্চলে  তো শুধু মা, বাবাই ভরসা। অথচ অধিকাংশ অভিভাবক এই সময়ের চাহিদা  সম্পর্কে উদাসীন।তারা শুধু ফলাফল চায়। এমনকি দাদু, ঠাকুমার যে রূপটি গল্প, উপন্যাসে দেখা যায় তাও খানিকটা দুর্লভ। একটি  মেয়ে বলছে পড়ার সময় পাশের রুমে  ঠাকুমা উচ্চগ্রামে টিভি দেখে। এক  ছেলে  বলছে স্কুল আসার সময় দাদু ইচ্ছে করে বিভিন্ন কাজ দেয়।  আশ্চর্যরকম ভাবে সব উদাহরণ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। আবার শহরাঞ্চলে উল্টো ধরনের অভিভাবকও দেখা যায় যারা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে চিটে থাকে আঠার মত। না বলে জোরে শ্বাস নিতেও পারেনা বেচারারা। অদূরে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়ার দিকে তাকালে  মা বলবে বাইরে  দিকে  তাকিয়ে বসে আছিস কেন?  ছেলে কিভাবে পা ফেলে হাঁটছে দেখছে বাবা। সাঁতারের ব্রেস্ট  স্ট্রোক মেয়ের কি গোলমাল হচ্ছে পাড়ে বসে দেখছে মা।উঠে এলে বুঝিয়ে দিচ্ছে একদিনও জলে  না নামা  মা। এমন অভিভাবক শহরে বেশি তবে গ্রামেও ইদানিং বাড়ছে। সর্বদাই অন্যের নিয়ন্ত্রণে থাকতে অভ্যস্ত এই সমস্ত ছেলেমেয়েরা স্বাধীন জীবনে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। সেসব উদাহরণ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ঘটনাগুলি দেখলেই বোঝা যায়। সমাজ তখন গালে হাত দিয়ে ভাবে এমন ভালো ছেলে একাজ করল কি করে?  আসলে এটা এন্ট্রান্স বার্ন আউট। সর্বশক্তি নিয়োগ করে সে  সাফল্য পেয়েছে। তার পরে সে স্বাধীনতা পেয়েছে। সেটির  সুব্যবহার করার শিক্ষা সে পায়নি।  অভিভাবক ছেলে মেয়ের মনোগত চাহিদার দিকে মনোযোগ দেয়না। বস্তুগত চাহিদাগুলি তারা পূরণ করে দিয়ে খালাস। তারপর চা দোকানে আড্ডা মারেন, সেখানে তাকে ভারতের বিদেশনীতি, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তর, আমেরিকার সামরিক দপ্তর ইত্যাদি অনেক কিছু সামলাতে হয়। আর একাংশ সিরিয়াল দেখেন। সেখান থেকেই হুংকার দেন,’ কৈ রে পড়ছিস?’ তিনি সিরিয়াল দেখতে দেখতে প্রত্যাশা করেন যে তার মেয়েটি পাশের ঘরে মনোযোগ দিয়ে পড়বে। এই যে এত বস্তা পচা সিরিয়াল চলছে; কুচক্র, হিংসা, প্রতিহিংসা দেখানো হচ্ছে এর পিছনেও কিন্তু শিক্ষার অভাব। এর থেকে উন্নত মানের সাহিত্য নেওয়ার মতো মাথা তৈরি হয়নি। অনেক শিক্ষকও স্টুডেন্টদের  মন  বুঝতে  অপরাগ। সমস্যাসঙ্কুল  বয়সে মাথায়  একটু  স্নেহের  পরশ  দুর্লভ হয়ে  উঠছে  ক্রমশ। স্কুলে শৃঙ্খলা রক্ষায় বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিয়ে পরে একটি পর্বে আলোচনা হবে।

🍂

  অস্থির সময়, প্রতিগোগিতার আবহে   ভালো  বন্ধুত্বই গড়ে  উঠছে না।  কিছু অভিভাবকই শিশুকে শিখিয়ে দেয়, ‘কার কাছে টিউশন পড়ছিস বলবি না। গত বছরের কোশ্চেন পেপার পেয়েছিস, একদম বন্ধুকে দিবি না’। গ্রামাঞ্চলে তবুও দু চারটে বন্ধু পাওয়া যায়। অথচ ভালো বন্ধুত্বই  পরস্পরের কৈশোরের ভার বহন করতে পারত  অনায়াসে। খেলার মাঠ গুলি নিঃসঙ্গ, ছেলেরা আজকাল খেলেনা। মাঠে সান্ধ্য বাসর বসে, হয় প্রেম বাসর, নয় মদ্য বাসর। শহরাঞ্চলের কিছু ছেলেরা খেলে, তবে সেটা কোনো ক্যাম্পে। একটি থ্রির বাচ্চা স্কুল সেরে সেখানেই বসে টিফিন করে ক্রিকেট ক্যাম্পে কোচিং নিয়ে বাড়ি ফেরে। কি হয় সে কোচিংয়ে ? সেখানে টাকা নেয়। সুতরাং তারা নিয়ম অনুযায়ী শরীর চর্চা করায়, শর্টের পারফেকশন নিয়ে আসে। কিন্তু মনের আনন্দে যে খেলা সে খেলা প্রায় নেই। গ্রামাঞ্চলে ফুটবল খেলা উঠেই গেছে। যাও একটু আছে সে  স্বল্প দৈর্ঘ্যের মাঠে ঢালাই বল। মুক্ত মাঠ থেকে সরে গিয়ে বন্দী জীবন কাটাচ্ছে শিশুরা।

 শুনতে খারাপ লাগলেও না বলে উপায়ও নেই। কিছু বাবা আছেন যারা  নিয়মিত মদ খান ,ঘরে এসে অশান্তি করেন। ছেলে মেয়েরা প্রতিনিয়ত এইসব দেখে বড় হয়। তার মনোজগতে কি ঘটে অনুমান করুন। ব্যাপারটা মোটেই আঞ্চলিক নয়, সার্বিক। এক প্রণম্য মহাপুরুষকে নিয়ে প্রচলিত কথা আছে অমুকের  মেদিনীপুর ‘ভাকু তেলে’ ভরপুর। শুধু মেদিনীপুর নয় সর্বত্র।শুধু অভিভাবক ই বা কেন, মাঝে মাঝেই পেপারে দেখা যায় শিক্ষক মদ খেয়ে স্কুলে ঢুকছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা প্রাথমিক স্কুলে ঘটে। কারণ ছোট বাচ্চারা প্রথম প্রথম একটু আধটু নেশা পানির ব্যাপারটা ধরতে পারে না। ক্রমশ সেটা বেড়ে যায়। কিছুদিন আগে ছবি দেখা গেল এক শিক্ষক  এমন মদ খেয়েছেন যে  দাঁড়াতে  পারছেন না। কয়েকটি ছাত্র তার দুপাশে ধরে তাকে বাড়ি পৌঁছাতে নিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা জগতের এর থেকে হৃদয়  বিদারক পোস্টার আর কি হতে পারে? মদ আমাদের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। তাই হয়তো কন্যাশ্রীরা  বার বার অভিযান চালিয়েও নেশার প্রবণতা রুখতে পারেনি। এরা অবশ্য সরকারী ‘বাংলার’ উপর নির্ভর করেনা।  সন্ধান  (Fermantation) প্রক্রিয়ায়  নিজেদের ‘চোলাই’ নিজেরাই তৈরি করে নেয়। এই ব্যাপারটিতে স্কুলের জীবন বিজ্ঞান বা রসায়নের শিক্ষকের সাহায্যের দরকার হয়নি।

 (পরবর্তী অংশ পরের সংখ্যায়)

Post a Comment

3 Comments

  1. নির্মাল্য ঘোষOctober 15, 2024

    নামতে নামতে আমরা কি পাতালে পৌঁছে গেছি? যদি পাতাল বলে কিছু থাকে! না কি শেষের সেদিনের আরো কিছু ভয়ংকর অপেক্ষা করে আছে? লেখার ভেতরের মজাটুকু খুব সুখের হয় না ভাবতে বসলে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. নেশা সম্পর্কে যেটুকু লেখা হয়েছে সেটা হিমশৈলের চূড়া। মোবাইল নিয়ে পরের পর্বে আছে।প্রথমটি বাহ্যিক পরিবেশ ও দ্বিতীয়টি অভ্যন্তরীণ পরিবেশটি সম্পূর্ণ বিগড়ে দিয়েছে।জানিনা উদ্ধার পাওয়া যাবে কিনা !

      Delete
  2. সৌমেনের বিশেষতা হলো, যখন যে পক্ষের হয়ে কথা বলছেন তখন সেই পক্ষের মতো করে বলেন। শিক্ষার্থীদের বয়স জনিত ও পরিবেশ জনিত মনোবিকলনের হদিশ নেবার তাগিদ নেই কার‌ও। প্রত্যেকেই আমরা নিজেদেরটুকুকে নিয়েই ব্যস্ত। এই প্রচেষ্টার কারণে ব্যবধান বাড়ছে। বলতে কষ্ট হচ্ছে যে শিক্ষা ঐ ফাঁক গলে উধাও হয়ে গেছে নীরবে।

    ReplyDelete