জ্বলদর্চি

চিত্রা ভট্টাচার্য্য ও অনামিকা তেওয়ারী-র কবিতা

চিত্রা ভট্টাচার্য্য  ও অনামিকা তেওয়ারী-র কবিতা 

সুপ্ত স্বর্গ      
চিত্রা ভট্টাচার্য্য 

কল্পলোকের অজানা সেই মানস সরোবরে                   
নীরবে রয় প্রতীক্ষা দিনেরাতে অনন্তকালে ।                    
গহন মনের অনুরাগে প্রথম আলোক শিখা           
কান্না ভেজা চোখের পাতায় নবীন স্বপ্ন আঁকা।    
 আকাশছোঁয়া পরশে মোর অনুভবে এলে কাছে  
স্বর্গরচি ঘুমের ঘোরে মধুর হাসির নির্ঝরে। 
আড়াল থেকে বললে যেন এসেছি গো দেখো চেয়ে                                
 চলো এবার ভাসাই ভেলা  রূপ সাগরের অচিনপুরে ।   
 চলবে তরী হেলে দুলে নিরুদ্দেশের ঠিকানাতে ।
 ছোট্ট তুমি সবুজ তুমি অবুঝ মনের খেয়াল পনা। 
 পাগল হয়ে  ঘুরে বেড়ায় তোমার চোখে উদাস চাওয়া।
    
তোমার হাসির প্রতিধ্বনি রিনিঝিনি সারাদিনে 
তোমায় নিয়ে আমার ভূবন ছন্দে গানে স্বর্গরচে। 
  
  পদ্ম পাতায় শিশির সম জলে  ভেজা আঁখির পাতা। 
  তোমায় কাছে পাবার তরে তৃষিত প্রাণে বাজে ব্যাথা।

🍂

নবজন্ম
অনামিকা তেওয়ারী

বড়ো কঠিন এ পথ!
উপাধি বিহীন 'আমি'র খোঁজে 
ক্রমশ প্রকট হয় ছায়াহীন রৌদ্রের নিঃসীম বিলাপ! 
ফেটে চৌচির হয় চুপকথার শক্ত মাটি।
আঘাত যত তীব্র হয় ঋজু হয় শিরদাঁড়া,
তপ্ত শব্দ শলাকায় বিদ্ধ পাঁজর মুক্ত করে পিছুটান।
বানভাসি হতে চেয়েও, আশ্রয় খোঁজে চিরায়ত ভাবাবেগ।
মেঘলা বুক ঝেঁপে বৃষ্টি নামে অনর্গল,
পার্থিব প্রলেপ মুছে গিয়ে খসে পড়ে পুরোনো কঙ্কাল।
রচিত হয় আগুনপাখির নব জন্মক্ষণ!

Post a Comment

1 Comments

  1. ধন্যবাদ সম্পাদক মহাশয়কে। অনামিকা তেওয়ারী।

    ReplyDelete