তোমার শাদা হাত
বাসুদেব গুপ্ত
কবিতা সেই ছেলেটা যাকে আকাশ খেয়ে নিলো
কবিতা সেই জাহরা যার শরীর চেনে জহুরী ফসফরাস
কবিতা সেই একলা বল লাফিয়ে যায় ওয়ার্ড থেকে ওয়ার্ড
কবিতা সেই মেয়েটি যে নৌকো করে কুমীর, বাঘকে ডাকে আয়।
কবিতা কবে গদ্গদ গদ্য হয়ে গেছে বলেনি কেন শংখনাদে কেউ
কবিতা বসে একলা ফ্ল্যাটে শূন্য চোখে কি ভাবছ দুর্বোধ্য বুড়ো?
কবিতা তোমার বয়স হলো কাগজওলার সংগে ভেগে পড়ো
কবিতা তুমি মেঘের বাড়ি তড়িতলতা বেয়ে বৃষ্টি আনতে চাও?
কি হবে কাল ? প্রশ্ন কঠিন এম সি কিউ নয়
ঠিক বা ভুল পরীক্ষক দেবেই নেগেটিভ
কি লাভ বলো পরীক্ষায় আর, করো যা মন চায়
কফির কাপে এক চামচে পদ্য গুলে দাও।
সন্ধে যেন হামড়ে নামে কামড়ে ধরে ভুল অতীতের দাঁত
কবিতা তোমর শরীর থেকে রক্ত ঝরে শাদা
দেখছে না কেউ, বাড়িয়ে দাও চাঁদের দিকে তোমার শাদা হাত।
🍂
আমাদের নিরন্তর ছুটে চলার অর্থ - হেরে যাওয়া
ভবেশ মাহাত
মৃত্যুর আরো কাছাকাছি এসে বিশ্রাম নিতে নিতে
মাকড়সার জাল বোনা দেখে মনে হয়েছে ---
পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো,
চন্দ্রবিন্দুকে অযোগবাহ রূপে হিসেব করি, তাই সে
সুযোগ পেলেই সবার আগে বসে যায়।
এ এক অমোঘ ঘেরাটোপ, পালানোর পর
ফিরে আসতেই হয় শূন্যের কেন্দ্রবিন্দুতে,
তারপর শুরু হয় ডুব সাঁতার; যার শুধু হেরে যাওয়া আছে।
এখানে চরৈবতি র অর্থ শ্মশান, থেমে যাওয়া মানে মৃত্যু
কবিতার প্রেক্ষাপট নির্মাণের মতোই
1 Comments
শ্রী ভবেশ মাহাতর কবিতাটি খুব সুন্দর।
ReplyDelete