জ্বলদর্চি

চাসনালা কল্যাণেশ্বরী কালী মন্দির ও ঝরিয়া রাজবাড়ির ধারে কাছে /রাজকুমার সরকার

[ভ্রমণ]
চাসনালা কল্যাণেশ্বরী কালী মন্দির ও ঝরিয়া রাজবাড়ির ধারে কাছে
                         
রাজকুমার  সরকার 


সকলে ধানবাদকে দেশের  কয়লা রাজধানী বলেই জানেন কিন্তু ধানবাদের যেখানে সেখানে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান যা সকলের কাছে জানা না'ও থাকতে পারে।বেশ কিছু দর্শনীয় স্থানের কথা আজ তুলে ধরবো।চাসনালা কোলিয়ারির ভয়ঙ্কর খনি দূর্ঘটনার খবর টি.ভি.-তে দেখেছেন, রেডিওতে শুনেছেন আবার খবরের কাগজেও পড়েছেন অনেকেই আশা রাখি কেননা এধরনের  ভয়ঙ্কর দূর্ঘটনা এই অঞ্চলে এটিই প্রথম।২৭শে ডিসেম্বর, ১৯৭৫ ভারতবর্ষের ইতিহাসে সব থেকে বড় খনি দূর্ঘটনা হঠাৎই  ধানবাদের চাসনালা খনিতে হয়ে যায়।এক নম্বর পিট্  ও দুই  নম্বর পিট্ এর উত্তর স্থিত একটি জলাধার [বাঁধ]হঠাৎ করে ভেঙে জল খাদের ভিতরে ঢুকে যায়।ভেতরে তখন কর্মরত কয়লা শ্রমিকরা ফেঁসে যান।জল বের করার  জন্য পাম্প আনা হয় কিন্তু পাম্প ছোট থাকায় অত পরিমাণ জল বের করা সম্ভব হয়নি।কোলকাতা থেকেও  বড় পাম্প আনার  ব্যবস্থা করা হয় কিন্তু তখন  অনেক দেরি হয়ে গেছে।৩৭৫ জন শ্রমিকের সলিল সমাধি হয়।অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা।তখন দেশের  প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড.জগন্নাথ  মিশ্র। সেইসময় কংগ্রেসের অধিবেশন চলছিল চণ্ডিগড়ে।পরিস্থিতি সামাল দেন তৎকালীন ধানবাদ জেলাশাসক লক্ষণ শুক্লা ও এস.পি. তারকেশ্বর প্রসাদ সিনহা। পার্শ্ববর্তী অনেকটা বড় এলাকাজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত। ছিটকে ছুটকে যে কয়েকজন এলাকায় প্রাণে বেঁচেছিলেন তাঁরা সেই  এলাকা ছেড়ে যে যেদিকে পেরেছেন চলে গেছেন।সে ইতিহাস আমরা একটু একটু জানি।চাসনালা খনি দুর্ঘটনার পর এখানে একটি সিনেমার স্যুটিং হয়। প্রখ্যাত অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন  অভিনীত সিনেমা "কালাপত্থর"।
ওই  সিনেমায় চাসনালার ঘটনা রয়েছে।
               জি.টি. রোড দিয়ে চাসনালার যোগাযোগ রয়েছে।সুবিধার জন্য  জানাই যাঁরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসতে চান চাসনালা তাঁদের প্রথমে গোবিন্দপুর আসতে হবে।গোবিন্দপুর থেকে বাঁহাতি রাস্তায় আসতে হবে।গোবিন্দপুর থেকে বেলিয়াপুর হয়ে সিন্দরী হয়ে চাসনালা।আর যাঁরা জেলা শহর ধানবাদ দিয়ে আসতে চান তাঁদের ঝরিয়া হয়ে ডিগওয়াডিহ ,পাথরডিহ হয়ে আসতে হবে চাসনালা।ধানবাদ জেলা শহর থেকে চাসনালার দূরত্ব কুড়ি কিলোমিটার। এই চাসনালাতেই রয়েছে কল্যাণেশ্বরী মন্দির।মা কালীর প্রসিদ্ধ মন্দির। এই  মন্দিরে নিয়মিত বিয়ে হয়।কয়লাঞ্চলের একটি পবিত্র তীর্থভূমি।অনেক  দূর-দূরান্ত থেকে পূণ্যার্থীরা আসেন।জাগ্রত মন্দির।
কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের ইতিহাসটি অনেক  প্রাচীন। ঝরিয়ার রাজ পরিবারের দেবতা।রাজারা দারভাঙ্গা থেকে পুরোহিত এনে তাঁদেরকে জায়গা দিয়ে বসিয়েছেন চাসনালায়।মৈথিলী ব্রাহ্মণরা তখন থেকেই মন্দিরের পূজারী।তাঁদের  পদবী ওঝা।পরম্পরায় তাঁরাই  পুজো করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।এক সূত্রের খবর এই চাসনালার বিখ্যাত কালীমন্দিরটি পাঁচ শত বছরের পুরোনো।হ্যাঁ, তবে কয়েক'শ বছর ধরেই  মৈথিলী ব্রাহ্মণরাই পুজো করে আসছেন মন্দিরে।একটি ছোট্ট  নদীর  ধারেই  মন্দির । এখানে স্থানীয়রা 'জোড়' বলেন। মন্দিরে যেতে হলে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে হয়।মৈথিলী ব্রাহ্মণদের একজন জানালেন কাশীপুরের মহারাজ স্বপ্ন পান যে 'মা' চাসনালার ওখানে আছেন তাঁকে প্রতিষ্ঠা করা হয় যেন।মহারাজ ঝরিয়ার  রাজাকে সবিস্তারে তা জানান তখন ঝরিয়ার  রাজা ওই এলাকায় পুজোর ব্যবস্থা শুরু করেন। ঝরিয়ার  রাজা জমি দান করেন পুরোহিতদের।তখন থেকেই  পুজো হচ্ছে।আগে এই  এলাকার  মানুষজন সবাই  মাইথনের কাছে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরেই পুজো করতে যেতেন।মা স্বপ্ন দেন আর এখানে আসতে হবে না আমি চাসনালাতে আছি।ওখানে তোরা আমার  পুজো কর।আগে এই অঞ্চলের সকলেই মাইথন  কল্যাণেশ্বরী যেতেন। ওখানে যেতেন ছাগল নিয়ে বলি দেওয়ার জন্য;মনস্কামনা পূরণের জন্য। এখন  চাসনালাতেই পুজো করেন।সিন্দরী ও চাসনালার মাঝে একটি ছোট নদী যাকে স্থানীয়রা জোড় বলে।কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের ঠিক পেছনেই জোড়।মন্দিরের সাইড দিয়ে সিঁড়ি করা আছে একদম জোড় পর্যন্ত। পূণ্যার্থীরা বা ভ্রমণ পিপাসু মানুষরা সিঁড়ি দিয়ে নেমে জোড় দেখতে যান বা যেতে পারেন। খুব  ভালো, সুন্দর  প্রাকৃতিক পরিবেশ। পাখিদের কলরব।এক অদ্ভুত মনোরম মায়াবী পরিবেশ। মন ভালো হয়ে যাবে।সুন্দর  প্রকৃতিকে ক্যামেরাবন্দী করতে পারেন। এখানকার জল কালো; যেহেতু কয়লাঞ্চল।চারিদিকে খনি, কোলিয়ারি।এই  জোড়ের ধারে মাথামুণ্ডন হয়।
এই জোড়ে স্নান  করেন  সবাই।
কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে অনেকেই মানসিক করেন। মনোকামনা পূর্ণ হয় সকলের।এই  মন্দির সংলগ্ন এলাকায় একটি গাছ রয়েছে যাকে মনোকামনা গাছ বলেন সবাই। সবাই  পাথর বেঁধে রাখেন বা পাথর বেঁধে বাড়ি যান। মনোকামনা পূর্ণ হয়ে গেলে এখানে এসে তারা পাথর খুলে দিয়ে যান।এই  মন্দিরে নিয়মিত বিয়ে হয়।জানা গেল প্রতিদিন তিনটি চারটি এমনকি পাঁচটিও বিয়ে হয় বা হয়ে থাকে।বিবাহের যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে এখানে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।কয়েকটা বড় বড় উনুন নজরে এলো।প্রকাণ্ড সেড রয়েছে যেখানে বিয়ে হয়।মা এর কাছ থেকে কেউ নিরাশ হয়ে ফেরেন না।সকলের মনের ইচ্ছা বা মনোকামনা পূর্ণ করেন মা কল্যাণেশ্বরী।সকাল সকালের সময় মন্দিরে আসার উপযুক্ত সময়।সকাল থেকে একটা দেড়টা  দুটো পর্যন্ত এলেই  ভালো।সেই সময়টিতেই পুজো হয়, বিয়ে হয়, মাথা মুণ্ডন হয় বাচ্চাদের যাঁদের মানসিক থাকে।পাঁচ শত বছরের  পুরোনো মন্দির।এখানে নিয়মিত নতুন গাড়ি পুজো হয়।শিল্পাঞ্চলে নিয়মিত গাড়ি বেড়েই চলেছে।মোটরসাইকেল, চারচাকা গাড়ি এখানে পুজো হতেই  থাকে।নিয়মিত। এই  মন্দিরে পাঁঠা বলি হয়।পুজোর সামগ্রীর প্রচুর দোকান  রয়েছে।সবই পেয়ে যাবেন  এখানে।কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের পাশে শিবের মন্দির রয়েছে।একটি হরি মন্দির রয়েছে এবং দুর্গামন্দির রয়েছে।এখন দেখলাম  ধানবাদ  নগর নিগম বেশ লাইট দিয়ে সাজিয়েছে।লেখা রয়েছে - আই লাভ ধানবাদ। মানে সেলফি পয়েন্ট। সবাই  এখানে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। 
🍂
আমি মন্দিরে পৌঁছাতেই স্থানীয়রা বললেন- এই যে দেখছেন  না বড় লাইটটি এটা ছয় মাস ধরে লাগিয়ে রেখেছে জ্বলে না।আমি তাঁদের  আশ্বস্ত করলাম নিশ্চয়ই জ্বলবে।যখন লাগানো হয়েছে তখন নিশ্চয়ই জ্বলবে।আর জ্বলবে বলেই তো লাগানো হয়েছে।আর কয়েকটা দিন  দেখুন না হলে পরেরবার নিশ্চয়ই লিখবো কাগজে।লেখার জন্যই তো আমাদের কলম।মুচকি হাসলেন মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক।
চাসনালাতে মৈথিলী ব্রাহ্মণদের [ওঝা পদবী] ঘর বেড়ে বেড়ে ৮০/৮২ ঘর হয়ে গেছে।এখানে নাপিত  রয়েছে ।আগে এক ঘর ছিল।এখন  বেড়ে বেড়ে তা সাত ঘর হয়েছে।স্থানীয় এক নাপিত জানালেন তাঁরা নাকি চার প্রজন্ম ধরে চাসনালাতেই রয়েছেন।দে/দত্ত পদবী রয়েছে এখানে মানে বেনিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন প্রায় ১৭ /১৮ ঘর।মাহাতোরা রয়েছেন ৫০/৬০ঘর।বাগতী দুই তিন ঘর।মলিক সম্প্রদায়ের লোক প্রায় ৪০ঘর।ছয় জাতির  মানুষ  রয়েছেন চাসনালাতে।আর যদি চাসনালা কোলিয়ারির কথা ধরা যায় তাহলে বিভিন্ন  জাতি ও ধর্মের লোক রয়েছেন এখানে। এখানে একটু সিন্দরী সম্পর্কে দু এক কথা জানিয়ে রাখি।সিন্দরীতে এশিয়ার প্রথম সার কারখানা স্থাপিত হয়েছিল। এখানে একটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বি. আই. টি. [বিহার ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি]
এখন  বিহার নেই  এখন ঝাড়খণ্ড তবুও  ওই পুরোনো নামটিই থেকে গেছে।ভারতবর্ষের বিভিন্ন  এলাকার শিক্ষার্থীরা এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য  আসে এমন কি বিদেশ থেকেও  ....
সিন্দরীতে এ. সি.সি. সিমেন্ট কারখানা রয়েছে।সাঁই বাবার একটি বেশ বড়সড় মন্দির রয়েছে।অনেকে এই  মন্দির আসেন বিশেষ করে সন্ধ্যা আরতি সময়।
ঝরিয়া দেশের কয়লা রাজধানী বলে খ্যাত। কালো হিরে যাকে বলে।তাই ধানবাদ জেলা শহর থেকে একটি ট্রেন ছাড়ে যেটি ধানবাদ থেকে হাওড়া যায়। তার নাম দেওয়া হয়েছে ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস। ঝরিয়ার কথা আমরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায়  পাই।তাঁর লেখা "দামোদর শেঠ" কবিতায়।তিনি  সেখানে উল্লেখ করেছেন---  "খোঁজ নিও ঝরিয়াতে জিলিপির রেট কি?"
ঝরিয়া বিখ্যাত সঙ্গীত জগতের প্রখ্যাত গায়িকা কমলা ঝরিয়ার জন্য। ঝরিয়া,বিশেষ করে ঝরিয়া রাজবাড়ি ছিল বাঙালির শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চার কেন্দ্রস্থল।
জনশ্রুতি আছে কমলা ঝরিয়ার ব্ল্যাক কেটেছে এইসব অঞ্চলে।বিশ শতকের চল্লিশ পঞ্চাশ দশকে  সঙ্গীত জগতে আগমন ঘটে ছিল এই ভারত বিখ্যাত  শিল্পীর।অতিশয় খর্বকায়  ও ঘোর কৃষ্ণকায়  কমলা চেহারার দিক থেকে তেমন মুগ্ধকর  ছিলেন  না,কিন্তু তাঁর সুরেলা কন্ঠস্বরের গুণগ্রাহী ছিল সমগ্র  ভারতবর্ষ। ঝরিয়ার  রাজা শিবপ্রসাদের জমানায়  কমলা ঝরিয়ার  "স্বর্নযুগ" শুরু হয়েছিল  গোটা মানভূমজুড়ে।রাজা শিবপ্রসাদের  জমানায়  ঝরিয়া ও পঞ্চকোট রাজবাড়িতে  সঙ্গীত পরিবেশন  করে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন কমলা।
পাশাপাশি দুটি শহর ঝরিয়া-ধানবাদ।রাজা শিবপ্রসাদের নামে ঝরিয়ায় একটি নামকরা কলেজ রয়েছে।এই রাজা শিবপ্রসাদ কলেজ [আর.এস. পি.]থেকে এম. এ. পাশ করেছি রাজনীতিশাস্ত্র নিয়ে কিন্তু রাজনীতিতে আমার যেভাবেই  হোক এক ঘৃণা চলে আসে পরবর্তীতে এবং বাংলা ভাষার  প্রতি ভালোবাসা জন্মে যায়।তাই স্বাভাবিকভাবেই আমার  লেখায় বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যের কথা বার বার উঠে আসে।এখানে এক কথা পাঠকদের জানিয়ে রাখি কাতরাস মোড়ের কাছে সুন্দর  একটি মন্দির রয়েছে দুঃখ হরনী মন্দির। এখানে পুজো দিলে দুঃখ চলে যায় অনেকেই তো তা বলেন তাই  মন্দিরটির নাম দুঃখহরনী মন্দির। ধানবাদ জেলা শহর  পৃথিবী বিখ্যাত কয়লা রাজধানী বলে।এখানেই  রয়েছে ইন্ডিয়ান স্কুল অব মাইন্স।
[আই. এস. এম.]
মাইন্স নিয়ে পড়াশোনা হয় এখানে।দেশ-বিদেশ থেকে সব পড়তে আসে।এটি একটি বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।জেলা শহরের শেষপ্রান্তে রয়েছে ভুঁইফোড় মন্দির। মাটি ফোঁড়ে শিব ঠাকুরের জন্ম।ধানবাদের বিখ্যাত মন্দির এটি একটি।নিয়মিত  বিয়ে হয় এখানে।যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে।পাশেই  অনুকূল ঠাকুরের একটি আশ্রম রয়েছে।ধানবাদ শহরের শেষ প্রান্তে হীরক রোডের ধারে রয়েছে বিশাল জায়গা জুড়ে একটি পার্ক বা উদ্যান নাম - বিরসা মুণ্ডা পার্ক।
সাহিত্যিক বিমল কর- এর জীবনের একটি মস্ত বড় অধ্যায় কেটেছিল এই  ধানবাদে।তাঁর  পিতৃপুরুষেরা জীবিকার সন্ধানে  জব্বলপুর,এলাহাবাদ,গয়া ঘুরে ঘুরে শেষ পর্যন্ত হন বাংলা-বিহার মিশেল এই  ধানবাদে।বাবা কাকা জ্যাঠা ছিলেন  রেল কর্মচারী,ছোট কাকা এইচ. সি.কর ছিলেন ঝরিয়ার কাছে জামাডোবা'র টিস্কো কোলিয়ারির ইঞ্জিনিয়ার।
চাসনালার রাস্তা দিয়েই সুদামডি হয়ে বিরসা পুল [দামোদর  নদীর  উপর]পার হয়ে চন্দনকেয়ারির পথ ধরে রাস্তা চলে গেলে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া শহর।ধানবাদ জেলার  আরও  কয়েকটি মন্দির  রয়েছে যেমন কাতরাসে লিলোরী মা এর মন্দির,চিটাহি গ্রামের রামরাজ মন্দির,নওয়াগড় রাজবাড়ি, ডুমরা'র রাজবাড়ি,কাতরাসের রাজবাড়ি সহ আরও  অনেককিছু......

Post a Comment

0 Comments