জ্বলদর্চি

দূর দেশের রূপকথা-- ২১২সিংহ-রাজকুমারের বউ -স্পেন (ইউরোপ)চিন্ময় দাশ

চিত্র- শুভম দাস 

দূর দেশের রূপকথা-- ২১২

সিংহ-রাজকুমারের বউ 

স্পেন (ইউরোপ)

চিন্ময় দাশ


এক গ্রামে ছিল একটি মেয়ে। ভারি গরীব সে। বাবা মা নেই। দু-মুঠো ভাতও নাই ঘরে। তাই ঘুরে ঘুরে বেড়ায় এ-গাঁয়ে ও-গাঁয়ে। কেউ মুখ ফিরিয়ে নেয়। কেউ কিছু খেতে দেয় মেয়েটিকে।

একদিন এক বাড়িতে কাজ পেয়ে গেল মেয়েটি। সে বাড়িতে মেলাই গরু ভেড়া গাধা। রাখালের কাজে লেগে গেল মেয়েটি।

একদিন গরু নিয়ে মাঠে গিয়েছে। একটা গোঙানি কানে এলো মেয়ের। সেদিক পানে গিয়ে দেখে, একটা সিংহ। ধুলায় গড়াগড়ি। তারই কাতর গোঙানি। 

দেখেই তো ভারি ভয় পেয়ে গেছে। বাপরে, একটা আস্ত সিংহ! দেখে, কার না বুক কাঁপে? কিন্তু সিংহটার কষ্ট দেখে, পালিয়ে যেতে পা উঠল না মেয়েটির। গুটি গুটি পায়ে কাছে এগিয়ে গিয়ে দ্যাখে, মস্ত একটা কাঁটা ফুটে আছে সিংহটার পায়ে।

আহারে, কত কষ্টই না পাচ্ছে বেচারা! পায়ের কাছে বসে পড়ল মেয়েটি। যত্ন করে কাঁটা টেনে বের করল। বলল—উঠে পড়ো না এক্ষুনি। শুয়ে থাকো চুপটি করে। ভালো করে বেঁধে দিই আগে।

নিজের পোষাক ছিঁড়ে, বেঁধে দিল পশুরাজের পায়ে। লম্বা খসখসে জিভ সিংহের। তাই দিয়ে মেয়েটার হাত চেটে দিল সিংহ। সেটাই তার আদর বা কৃতজ্ঞতা, যাই বলো না কেন।

কাজ সেরে মাঠে ফিরেছে মেয়ে। কিন্তু একটা গরুরও দেখে নাই কোথাও। খুঁজতে খুঁজতে বেলা গড়িয়ে গেল। ঘরে ফিরে আসতে হোল খালি হাতেই। 

মালিক অবাক হয়ে বলল—তুই ফিরে এলি। গরুগুলো কোথায়?

মেয়েটা খুলে বলল সারাদিনের ঘটনা। কিন্তু চাষি অত গল্প বুঝবে কেন। খুব বকাবকি করে বলল—আজ ছেড়ে দিলাম। কাল গাধাগুলো চরিয়ে আনবি।

এবার গাধা চরাতে নিয়ে যায় মেয়েটি। বছর খানিক কেটে গিয়েছে। একদিন সেই একই গোঙানি কানে এলো আবার। মেয়েটি কান খাড়া করে শুনল ভালো করে। গতবারেও শুনেছিল। প্রথমে ভেবেছিল মানুষের গলা। কাছে গিয়ে দেখেছিল সিংহ।

আজও সেই একই ব্যাপার। মানুষের গলা। গিয়ে দেখল, আজও সেই সিংহ। মেয়েটি বলল—আজ আবার কী হোল? 

সামনে গিয়ে দ্যাখে, আজ মুখে আঘাত লেগেছে রাজার। নিশ্চয় খুব যাতনা। জল গড়াচ্ছে চোখ দিয়ে।

--আহারে, খুব কষ্ট হচ্ছে নিশ্চয়। উঠে পড়ো না। আমি আসছি। দৌড়ে গিয়ে লতাপাতা ছিঁড়ে আনল বন থেকে। তার রস বুলিয়ে দিল সিংহের মুখে। 

আরাম বোধ করে, সিংহ সেদিনও খরখরে জিভটা বুলিয়ে দিল মেয়ের হাতে। 

সেদিনও মাঠে ফিরে এসে মেয়ের বিপদ। একটা গাধাও নাই মাঠে। সারাদিন খুঁজে বেড়াল চার দিক। কিন্তু সেদিনও খালি হাতেই ফিরে আসতে হোল।

সেদিন শুধু বকাবকিতে শেষ হোল না। মেয়েটির পিঠে দু-চার ঘা বসিয়ে, চাষি বলল—বনের রাজাকে দয়া দেখিয়ে এলি। ঘরের পশুগুলো যে খোয়া গেল এদিকে। 

কাল শুয়োরগুলো নিয়ে বেরুবি। 

তখন থেকে শুয়োর নিয়ে মাঠে যায় মেয়ে। দিন যায়, মাস যায়, বছরখানিকও কেটে গেল। আবার একদিন সেই গোঙানির শব্দ। এগিয়ে দেখে সেই সিংহ। আজ সারা শরীর জুড়ে ক্ষত। 

মেয়েটা বকাবকি করল—কেমন রাজা তুমি। গায়ে গতর নাই, তো লড়তে যাও কেন? সেদিনও যত্ন করে পাতার রস লাগিয়ে দিল সিংহের শরীরে। সিংহও হাত চেটে দিল তার। 

মেয়েটি উঠতে যাবে, সিংহ বলল—এখুনি যেও না। একটু বসো আমার কাছে।

--না, না। সে হবে না। তোমার জন্য বকাবকি খেয়েছি। মারও খেতে হয়েছে গত বার। হবে নাই বা কেন? গরু গাধা সব হারিয়ে গেছে তোমার জন্য। এবারে যদি শুকরগুলোও হারায়, রেহাই দেবে না। হয়তো মেরেই ফেলবে আমাকে। 

মেয়েটি চলেই গেল। কিন্তু যা ভয় পেয়েছিলো, তাই। এবারেও সেই বিপদ। একটা শুকরেরও দেখা নাই কোথাও। কোথায় যেন উবে গিয়েছে সব। 

এদিক দ্যাখে, ওদিক দ্যাখে। এদিক ছোটে, ওদিক ছোটে। কোত্থাওই নেই। হাপুস চোখে কাঁদতে লাগল বেচারি। আজ খালি হাতে ফিরলে আর রেহাই নাই। 

ভাবল, একটা গাছে উঠতে পারলে, অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যাবে। তাতে হয়ত খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। 

বড়সড় একটা গাছ বেছে, উঠে পড়েছে। একেবারে মগডালে উঠেছে। নিজের দুটো চোখই তখন একেবারে ছানার বড়া। এ কাকে দেখছে সে?

এক যুবক নেমে আসছে পাহাড়ি পথ ধরে। কী সুন্দর দেখতে। একেবারে রূপকথার রাজকুমার যেন। গাছটার কাছাকাছি এসে, একটা পাথর সরিয়ে তার আড়াল হয়ে গেল মানুষটা।

নিজের চোখকেই বিশ্বাস হচ্ছে না। নেমে আসতেও পারছে না। আগে জানতে হবে, কে সে। গাছেই বসে রইল চুপটি করে। সকাল হতে, দেখল, একটা সিংহ বের হয়ে গেল পাথর ঠেলে। 

এবার গাছ থেকে নেমে, ভারি কৌতুহল হল মেয়ের। ভেতরটা একবার দেখা যাক। পাথরে হাত ছোঁয়াতেই দরজা খুলে গেল। ভেতরে বড়সড় সুন্দর একখানা ঘর। তবে তেমন গোছালো নয়। 

অগোছালো ঘর কোন মেয়েরই বা ভালো লাগে। এদিকে, কাল সারা দিন সারা রাত পেটে কিছু পড়েনি। ঘরে খাবার দাবার সব মজুদ। পেট ভরে খেয়ে, ঘরদোর সাফসুতরো করে ফেলল চটপট। জিনিষপত্র গুছিয়ে রাখল, যেখানে যা রাখবার। বিকেল না হতেই, বেরিয়ে আবার গিয়ে গাছে চড়ে পড়ল।

যেই না সূর্য ডুবেছে, সেই যুবকটিকেই ফিরে আসতে দেখল। সকাল হলে, সিংহ বেরিয়ে গেল আবার। মেয়েটিও গাছ থেকে নেমে, ভেতরে ঢুকে পড়েছে। টুকটাক ঝাড়পোঁছ সেরে, খেয়ে নিল পেট ভরে। আবার গাছে চড়ে রাত কাটানো।

এভাবে আর ক’দিন চালানো যায়। পরিচয় তো কিছুই জানা যাচ্ছে না মানুষটার। একদিন সন্ধ্যার মুখে, গাছের তলায় অপেক্ষা করতে লাগল যুবকের। সন্ধ্যার মুখে এসে হাজির হতেই, মেয়েটি বলল—আজ তোমার পরিচয় না শুনে ছাড়ছি না। 

যুবকটির মুখে মিষ্টি হাসি—ওহ, তাহলে তুমিই আজ ক’দিন আমার ঘরদোর সাজিয়ে গুছিয়ে রেখে আসো।

--হ্যাঁ, আমিই। কিন্তু এই বনপাহাড়ে তুমি কে?

এক গাল হাসি যুবকের মুখে—কেন গো, চিনতে পারোনি? সকালবেলায় একটা সিংহ বেরিয়ে যায়। যাকে তুমি তিন-তিনবার সেবা করে সারিয়ে তুলেছ। মারধোরও খেয়েছ যার জন্য। সে-ই আমি। 

মেয়েটার মাথায় কিছু ঢুকছে না। যুবক তাকে বলল—আসলে আমি এক রাজার ছেলে। এক রাক্ষসের যাদুতে, দিনের আলোয় সিংহ হয়ে থাকতে হয়। আরও শোন, তুমি আমার সেবা করেছিলে, তাই ঐ রাক্ষসই তোমার গরু-গাধা-শুকর সাবাড় করেছে।

সব শুনে মেয়েটি খুব খুশি। বলল—তোমাকে মুক্ত করবার কোন উপায় নাই? 

--আছে, কিন্তু সে ভারি কঠিন কাজ। তোমার পক্ষে তো আরও কঠিন।

--আগে তো বলো। শুনি, কতো কঠিন সে কাজ। 

--এ দেশের রাজকুমারীর মাথার চুল জোগাড় করতে হবে আর, তা দিয়ে একটা কোট বুনে দিতে হবে রাক্ষসকে। তাহলেই আমি মুক্তি পাবো।

মেয়েটি বলল—আমি চেষ্টা করে দেখি, পারি কি না। 

বলেই মেয়েটি বেরিয়ে পড়ল। ক’দিন পথ হেঁটে, পৌঁছেও গেল রাজধানিতে। যাকেই দেখে, জিজ্ঞেস করে—কাজের লোক রাখবে আমাকে? 

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মেয়ে। পছন্দ হয়ে অনেকেরই। কিন্তু রাজি হয় না কেউ। শেষমেশ দেশের রাজকুমারিরই এক দাসী দেখতে পেল মেয়েটিকে। বেশ পছন্দও হোল তার। সে সোজা রাজবাড়িতে নিয়ে চলল মেয়েটিকে। হেঁসেলের থালা-বাসন ধোয়ার কাজে লাগানো হোল তাকে। 

রাজার বাড়িতে থাকা বলে কথা। সব সময় ধোপদুরস্ত থাকতে হয়। খেয়ে দেয়ে দেখতেও ভারি সুন্দরটি হয়ে উঠেছে। একদিন রাজকুমারির কানে গেল মেয়েটির কথা। ডেকে পাঠিয়ে মেয়েকে দেখল রাজার মেয়ে। বাহ, ভারি পরিপাটি করে চুল বেঁধেছে তো। পছন্দ হয়ে গেল সাথে সাথে।

হেঁসেল থেকে ছুটি হয়ে গেল। রাজকুমারির চুল বাঁধবার কাজ দেওয়া হোল তাকে। মেয়ে তো আহ্লাদে চৌষট্টিখানা। এটাই তো চাইছিল সে। 

এক মাথা চুল রাজকুমারির। যেন ঢাল বেয়ে ঝরণা নামছে পাহাড় থেকে। ভারি যত্ন করে চুল আঁচড়ায় মেয়ে। বাঁধবার কৌশল তার আলাদা। রাজকুমারি ভারি খুশি তার উপর।

মেয়েটি একদিন বলেই ফেলল—কী সুন্দর চুল তোমার। আমাকে দেবে একটি গাছি?

রাজকুমারি রাজি হয় নাকি কখনো। মেয়েটিও দমবার পাত্র নয়। প্রতিদিন কাকুতি মিনতি করে যেতেই আছে। একদিন রাজকুমারি বলল—দিতে পারি। তবে, আমার জন্য দুনিয়ার সেরা একটি ছেলে খুঁজে আনতে হবে তোকে।

এ আর এমনকি কথা। তেমন ছেলের জন্যই তো জিনিষটা তার দরকার পড়েছে। সে রাজি হয়ে গেল। এক গাছি চুল উপড়ে ধরিয়ে দিল রাজকুমারিও। 

সারা রাত বসে একটা কোট বুনে ফেলল মেয়ে। বনে ফিরে এসেছে ছেলেটির কাছে। কোট দেখে রাজকুমার খুশি। বলল—এবার এটা নিয়ে রাক্ষসের কাছে চলে যাও। তবে দূর থেকে চেঁচিয়ে বলবে, কোট এনেছি তোমার জন্য। নইলে কিন্তু বিপদ। কেটে দু’-টুকরো করে ফেলবে তোমাকে।

আশায় ভর করে, পাহাড়ে চড়তে শুরু করেছে মেয়ে। পাহাড়ের একেবারে মাথায় রাক্ষসের বাস। একটু দূর থেকেই ধুপধাপ শব্দ শোনা গেল, রাক্ষস বেরোচ্ছে ডেরা থেকে। এক হাতে খোলা তলোয়ার, অন্য হাতে একটা মুগুর। 

দেখে ফেলবার আগে, মেয়েটা চেঁচিয়ে উঠল, একটু দাঁড়াও দয়া করে। তোমার জন্য একটা কোট বুনে এনেছি।

শুনে রাক্ষসের মনমর্জি বেশ দরাজ। বলল—তাই না কি রে? নিয়ে আয় দেখি।

কোট হাতে নিয়ে মুখে আলো ফুটে উঠেছে রাক্ষসের। গায়ে চড়িয়ে ভারি খুশি। এমন একটা জিনিষই তার অনেক দিনের চাহিদা। গদগদ গলায় বলল—কেরে তুই? জিনিষটা কিন্তু ভারি পছন্দ হয়েছে আমার। বল, কী বখশিস চাই তোর। 

মেয়েটার তো আনন্দে বুক ফেটে যাবার জোগাড়। বলল—যা চাইব, দেবে তো? 

--বলছিসটা কী তুই। এই বন-পাহাড়ের রাজা আমি। কথার খেলাপ করি না। 

সাহস করে রাজকুমারের কথা বলেই ফেলল মেয়ে—ওর ওপর থেকে যাদু তুলে নাও তুমি। 

রাক্ষসের মুখ গম্ভীর। জবাব দিচ্ছে না কোনও। মেয়েটি আদুরে গলা করে বলল—পাহাড়ের রাজা কিন্তু কথার খেলাপ করে না। 

ফিক করে হেসে ফেলেছে রাক্ষস—মাথায় মগজ আছে দেখছি তোর। বলে, হাতের তলোয়ারখানা ধরিয়ে দিল মেয়ের হাতে—এটা নিয়ে যা।

ভয় পেয়ে গেছে মেয়েটা—এটা নিয়ে আমি কী করব?

--সিংহটাকে কেটে ফেলবি এটা দিয়ে। তবে মনে রাখিস, এক কোপে কাটতে হবে কিন্তু। তারপর কাটবি ছোট ছোট টুকরো করে। 

🍂

ভয়ে শিউরে উঠছে মেয়েটা—বলছোটা কী তুমি?

--ভয় পাস না। যাদু কাটাবার এটাই উপায়। যা বলছি, শোন মন দিয়ে। টুকরোগুলোকে পুড়িয়ে, তার ছাই ঢেলে দিবি নদীতে। তাতেই মানুষের জীবন ফিরে আসবে রাজার ছেলের।

আনন্দে নাচতে নাচতে ফিরে এলো মেয়েটি। রাজকুমারও বসে ছিল পথ চেয়ে। সব শুনে, সেও বলল—তোমাকে ঠিকই বলেছে রাক্ষস। এটাই একমাত্র উপায়। মনে সাহস রাখতে হবে তোমাকে।  

সকাল হয়েছে। যেই না সিংহের রূপ ধরেছে রাজকুমার, অমনি তলোয়ারের এক কোপ। ধড় থেকে মুণ্ডু একেবারে আলাদা। সে কী আনন্দ মেয়ের। আর মূহুর্তও দেরি নয়। কুচি কুচি করে, কেটে ফেলল সিংহকে। তারপর পুড়িয়ে ছুট লাগালো নদীর দিকে। 

নদীর জলে ঢেলে দিয়েছে ছাই। অমনি অবাক করা কাণ্ড। জল ফুঁড়ে উঠে এল এক রাজকুমার। আরও সুন্দর, আরও অপরূপ চেহারায় সূর্যের মতো জ্বলছে। 

রাজকুমার মেয়েটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলল—তোমার জন্যই জীবন ফিরে পেয়েছি আমি। আমার একটা কথা রাখতে হবে তোমাকে। তুমি আমাকে বিয়ে করো। 

মেয়েটি জবাব দিল—তা হয় না, রাজকুমার। রাজার মেয়েকে আমি কথা দিয়ে এসেছি। তার হাতেই তুলে দেব তোমাকে। তাতেই মাথা থেকে চুল উপড়ে দিয়েছে আমার হাতে। সেখানেই নিয়ে যাব আমি তোমাকে।

রাজকুমার সায় দিয়ে বলল—কথা দিয়ে এসেছ তুমি। আমি যাবো। 

মজার ব্যাপার হোল, রাজকুমারির বাড়িতে হাজির হয়েছে মেয়ে। সাথে যাদু থেকে মুক্তি পাওয়া রাজকুমার। রাজকুমারকে দেখে, ভেঙে পড়েছে গোটা রাজবাড়ি। হুলুস্থুলু পড়ে গিয়েছে প্রাসাদ জুড়ে। 

রাজামশাই দৌড়ে এসেছেন। রানিমা দৌড়ে এসেছেন। রাজকুমারি বেরিয়ে এসে, জড়িয়ে ধরেছে নিজের বড়ভাইকে। 

মেয়েটি থ’ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সিংহ থেকে রাজকুমার হয়ে ফিরে আসা ছেলেটিই, এই রাজবাড়িরই ছেলে! বুঝে উঠতে সময় লেগে গেল তার। 

রাজকুমারকে মুখে কিছু বলতে হোল না মুখ ফুটে। রাজামশাই নিজে এগিয়ে এলেন। নিজের ছেলের বিয়ের আয়োজন করে ফেললেন। ধুমধাম করে রাজকুমারের সাথে বিয়ে হয়ে গেল অভাবী মেয়েটির।

Post a Comment

0 Comments