জ্বলদর্চি

ইস্কুল ফিস্কুল /পর্ব – ২১/সৌমেন রায়

ইস্কুল ফিস্কুল

পর্ব – ২১

সৌমেন রায়

চিত্র – অসিত কুমার সেনাপতি

আয় দেখি ফুটোস্কোপ দিয়ে’

শিক্ষার অন্যতম স্তম্ভ মূল্যায়ন। মূল্যায়ন দেখে ত্রুটি শুধরে নেওয়া যায় । সমস্যা থাকলে সমাধানের চেষ্টাও করা যায়। মূল্যায়নে কি প্রতিপন্ন হচ্ছে কোন অব্যবস্থা ? একদমই তেমন কোনো ইন্টারপ্রিট যোগ্য ডাটা  নেই যা দেখে বলা যাবে শিক্ষা গোল্লায় গেছে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট , পাশের হার সবকিছুই  আপনাকে  আশ্বস্ত করবে। এতগুলি পর্ব ধরে  যা কিছু বলা হল সেটা কি তবে বানানো? একটা ট্রেইলার শুনুন। পুরো সিনেমাটা আন্দাজ পেয়ে যাবেন। পূর্বে একটি পর্বে বলা হয়েছিল অক্ষর চেনেনা অথচ ফোর  ফাইবে  পড়ে এমন  চারজন  ছাত্র-ছাত্রীকে পড়াতেন এক  দম্পতি। তাদের এক ছাত্রী দেবী রানা ( পঞ্চম শ্রেণী) নাচতে নাচতে এল। এবার খুব ভালো রেজাল্ট হয়েছে। দেখি তোর মার্কসিট। তারা দেখলেন দেবী বাংলায় পেয়েছে ৬৪। দেখে তো তাদের ‘চক্ষু দুটি ছানা বড়া’। কি করে পেল! এ মেয়ে তো অক্ষর চেনে না। সিনেমাটা আন্দাজ করুন। আর জি কর আবহে মাননীয় সোমা মুখোপাধ্যায়ের আনন্দবাজারে লেখা ‘বিষবৃক্ষ’ (সেপ্টেম্বর ২০২৪) নামক লেখায় ডাক্তারি পাশের পরীক্ষা ব্যবস্থা পড়ে  থাকলে  নিচের কথাগুলি  নেহাতই বালখিল্য মনে হতে পারে আপনার। তবে বিষবৃক্ষের বীজ নিহিত স্কুল ব্যবস্থাতে।

  আগে বড় পরীক্ষার কথা বলি। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের শরীরের ভাষাটাই এখন পাল্টে গেছে। কোন ভয়ভীতির চিহ্ন মাত্র নেই।  প্রবল আত্মবিশ্বাসী। প্রশ্নপত্র পাওয়ার আগেই বুঝে যায় নিজে কিছু লিখতে পারবে না। লেখারও তেমন তাড়া নেই। প্রতীক্ষায় থাকে কখন তাড়া তাড়া নোটস বের করা যায়।   অনর্জিত জ্ঞানের টুকরো কাগজে ঘর ভরে উঠে। ওয়াশ রুমে ‘নোটের’ বাঁধে জল আটকে যায়। বিচিত্র তাদের ধরন। তবে হাতে ছোট করে লেখা কমে গেছে। এখন টেকনোলজির যুগ। মাইক্রো জেরক্স করে। কারো  কারো  আবার পরিশ্রমে অনীহা। পুরো খাতাই নিয়ে চলে আসে। দেখে লিখতে  না  দিলে নির্বিকার মুখে বসে থাকে। একটা  ধরা  পড়ার  পর সতর্ক করলেও পরেরটা আবার বেরিয়ে আসে অনায়াসে। পরস্পরের খাতা দেখে লিখছে, পাঁচ বেঞ্চ পরে বসা বন্ধুর সঙ্গে  খাতা বিনিময় করছে। প্রায় প্রত্যেকেই মিথোজীবী। আপনারা, মানে গার্ডরা করছেন কি ? দেখুন পাড়া সুদ্ধ চোর হলে পুলিশ আটকাবে কি করে? তাছাড়া মাস্টার এখন নিধিরাম সর্দার। ঢাল, তরোয়াল নেই। নোট  করা স্টুডেন্টকে শাস্তি দিলে গোটা সমাজ রে রে  করে ছুটে আসবে । বলবে সামান্য কারণে এত বড় শাস্তি? নোট তো করছে আপনি পড়াননি বলে। কত নমস্য তাত্ত্বিক জীবন বহির্ভূত সিলেবাসকে দায়ী করবেন। তবে কি ধরনের পড়া হলে জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে অথচ সময়ের চাহিদা পূরণ করবে সেই গোপন কথাটি তিনি গোপনই রাখবেন। কত রকমের চাপ আসবে ভাবতেই পারবেন না। অযথা কেউ নিজের রক্তচাপ বাড়াতে চায় না।  আগে মনে হতো ইলেকশন ডিউটি শিক্ষক জীবনে সবচেয়ে কঠিন কাজ। এখন মনে হয় পরীক্ষার  হলে  গার্ড দেওয়া সবচেয়ে কঠিন  কাজ। স্নেহের পাত্রদের  সারাক্ষণ  হেই হেইট  করতে  খুব  কষ্ট  হয়।

   ছেলে মেয়েরা নাকি এখন  সায়েন্স কম পড়ছে।বহু স্কুলে সিট ফাঁকা।কিন্তু পরীক্ষা হলে এদের আচার-আচরণ দেখলে মনে হয় এত ছেলে সায়েন্স পড়ছে কেন?সরাসরি  বলছে  কম্পিউটার  সায়েন্স  এর  স্যার নেই স্কুলে, দেখতে দিতে হবে। সামান্য  NOR Gate এর ট্রুথ টেবিল দেখে টুকছে। তবে এটা ঠিক সবাই এরকম নয়। নিষ্ঠার সঙ্গে পরীক্ষা দেয়, ভালো ফল করে এমন ছেলে মেয়ে তো আছে। সংখ্যার দিক থেকে এই ভালোভাবে পরীক্ষা দেওয়া ছেলে মেয়ের সংখ্যাটা কম এবং ক্রমশ আরো কমছে। 

   দুটো গল্প বলি শুনুন। মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে দুই অভিভাবকের গল্প হচ্ছে। একজন ম্যাডাম ঢুকছেন  সেসময়। তাকে দেখিয়ে প্রথমজন বলছেন ,’এই ম্যাডামটা বেশি বাড়াবাড়ি করছে। একটুও ঘাড় ঘোরাতে  দিচ্ছেনা।‘ দ্বিতীয়জন মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে বলছেন, ‘একটু কড়কে দিলেই হবে’। দ্বিতীয় ঘটনা কোন একটি মাধ্যমিক কেন্দ্রে।পরীক্ষা  শুরুর  আগে খবর এল রুমে ভাঙচুর হয়েছে  আগের  দিন  পরীক্ষার পর। হেডমাস্টারমশাই রেগে বেরিয়ে গেলেন  । এক পরিচিত সুহৃদ শিক্ষক পাশ থেকে বললেন কি করবো বলুন তো? আমাদের ছোট স্কুল টাকা পয়সা কম। এমন ভাঙচুর করলে সারাবো কি করে? তবুও তো  আমরা  রুমে  রুমে  ‘ ডাল – ভাত’ এর ব্যবস্থা করি। শিক্ষক  চিন্তায় পড়েছেন, দেখাদেখি  করতে  না  দিলে ভাঙতেই পারে।  কিন্তু  ডাল ভাতের পরও ভাঙল  কেনো?  আপনি ভাবছেন এ আর এমনকি। এসব তো সব কালেই হয়েছে। হ্যাঁ সে কথা সত্য।  আগের দিনে কিছু পরোপকারী  সিনিয়র বাইরে থেকে জোরে জোরে উত্তর বলে দিত। সমাজ মাধ্যম ছাড়া কিভাবে তারা প্রশ্ন পেত জানা নেই।যেমন ইংরেজি ট্রু ফলস বাইরের থেকে বলতো ফাটা টায়ার, টায়ার ফাটা। ফাটা মানে হল ফলস, টায়ার  মানে  ট্রু।  এখনের  সঙ্গে কিন্তু  সে  সবের  খানিক তফাৎ আছে। তখন অপরাধী জানতো এটা অপরাধ। প্রশাসন বা শিক্ষকরা আটকে দেবার চেষ্টা করত। এই চেষ্টাকে অপরাধীরা ভয় করত, খানিকটা শ্রদ্ধাও করত। এখন সেই  ভাব নেই। যাদের আটকানোর কথা তারা ভয়ে সিঁটিয়ে আছে। মাঝে মধ্যে ফোঁসফাঁস করে চালাচ্ছে। স্পষ্ট বুঝতে পারছে এতে বেশিদিন কাজ হবে না।  অভিভাবকের সুর যদি কড়কে  দেওয়ার হয়, সমাজের মোরালিটি যদি হলে  বলে দেওয়ার  তারে  সুর তোলে তাহলে পরিস্থিতি অনুমান করুন!

🍂

  এরপর আসে খাতা দেখা। একটা অলিখিত  হাত  উপুড় করার নির্দেশ থাকে।নম্বর এখন রাজনৈতিক খয়রাতির অঙ্গ । বেশি  বেশি  নম্বর  দেওয়ার  ব্যাপারটি  এই রাজ্যে বৃহৎ  মঞ্চেও  উচ্চারিত  হয়েছে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ডে বলেছেন জিতলে অঙ্ক ও বিজ্ঞানের পাস নম্বর কমিয়ে কুড়ি করে দেবেন ( আনন্দবাজার 26/10/24)।তাই শিক্ষকও ঝামেলায় জড়াতে চায়না। নম্বর পেলে যদি অভিভাবক, ছাত্র, সমাজ সবাই সন্তুষ্ট হয় তাহলে ‘লে নম্বর’ বলে দুহাত  উপুড় করে দেয়। সামান্য নম্বর কমিয়ে কে আদালতে ছুটবে বউ-বাচ্চা ঘরে রেখে। দুহাত উপুড়  করার পরেও যাদের সমস্যা হয় তাদের জন্য মনে হয় বিশেষ ব্যবস্থা আছে। মাধ্যমিকে এখন প্রতি বিষয়ে ২৫ পেলে পাস। । তার মধ্যে স্কুলে প্রজেক্টে সবাই দশে দশ পায়। মূল্যায়ন করে দেওয়ার প্রশ্ন নেই। তাইলে একটি  মারও মাটিতে পড়বে না। বাকি থাকে ১৫ নম্বর। তার জন্য হলের ব্যবস্থা কি সেটা শুনলেন। তারপরও অনেক স্কুলে প্রতিবছর বেশ কিছু স্টুডেন্ট ২৫ পেয়ে মাথায় মাথায় পাস করে। ঠিক ২৫ ই কি করে পায় কি জানি!এক ইতিহাসের পরীক্ষক নীল  কালি, কালো কালি, আর লাল কালি  নিয়ে  খাতা  দেখতে  বসেন। লাল কালিতে খাতা দেখেন। আর নীল কালি, কালো কালি দিয়ে হাতে কল্কি অবতারের উল্কি আঁকেন মনে হয়।উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সদ্য পরীক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার হয়ে এসেছে  MCQ পরীক্ষা ব্যবস্থা। এতে যে পুরো ব্যবস্থার পোয়া  বারো হবে সেকথা অবশ্য বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

  সম্প্রতি আবার শোনা যাচ্ছে যে ওপেন বুক ইভ্যালুয়েশন হবে। ওপেন বুক ইভেলিউশন মূল্যায়নের একটি আধুনিক পদ্ধতি। এই ব্যবস্থায় পরীক্ষার্থী বই দেখতে পারে পরীক্ষা হলে।  প্রশ্ন হবে বিশ্লেষণমূলক । যাতে সরাসরি তথ্য টুকে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তত্ত্ব এবং তথ্য বই থেকে দেখে ছাত্র ছাত্রী নিজের মনে বিশ্লেষণ করবে এবং উত্তর লিখবে। ছাত্রছাত্রী তো দূরের কথা  সব  শিক্ষকও ভালো করে এই ব্যবস্থা সঙ্গে পরিচিত নন । এইরকম  প্রশ্ন  করতে  শিক্ষককেও একটু পড়াশোনা করতে হবে। তা করার সম্ভাবনা কম। যদি এটি চালু হয় তাহলে অচিরেই অর্থাৎ দুই এক বছর চলার পরে প্রশ্নপত্রটি সাধারণ প্রশ্নপত্রের মত হয়ে যাবে। কিন্তু সঙ্গে বই রাখাটি চালু থেকে যাবে। একেবারে সোনায় সোহাগা হয়ে যাবে ।তাছাড়া বিশ্লেষণ মূলক প্রশ্নের সঙ্গে জ্ঞান মূলক প্রশ্নও দরকার।

   ক্লাসের পরীক্ষাগুলির অবস্থা তথৈবচ।কিছু খাতায় দেখা যায় শুধু প্রশ্ন টোকা। বেশিরভাগ খাতা দেখলেই বোঝা যায় পড়ার সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। কোথাও বা টুকতে টুকতে বাবার বয়স হয়ে যায় 41 কিলোমিটার। কলয়েড দ্রবণ হয়ে যায় কোলগেট দাঁতের মাজন।কত সহস্র মণিমুক্তা যে ছড়ানো থাকে সেসব গোপনই থাক।  হলের মধ্যে ওরা প্রথমে ‘নিকটদৃষ্টি’ ও ‘দূরদৃষ্টি’ সহযোগে খানিক চেষ্টা করে। তারপর  পকেটের ভাঁজ থেকে ‘টুকরো জ্ঞান ‘ বার করে। বাধা পেলে ‘ভাববাদী  দার্শনিকে পরিণত হয়। তখন এরা বিষয়ের সীমা অতিক্রম করে। প্রেসার কুকারের কার্যনীতি লিখতে গিয়ে পিকনিকের বিবরণ দেয়।এইসময় লেখা উত্তর গুলি গবেষণার বিষয় হতে পারে। শঙ্খ ঘোষের ‘ছোট্ট একটা ইস্কুল’ এর পড়ায় পিছিয়ে পড়া, পিছনের বেঞ্চের পরীক্ষা পাহারা দেওয়া সৎ ছাত্রটি এখন বাড়ির নিচে সুড়ঙ্গ করে মাগুর মাছের চাষ করছে। সুতরাং ময়দান ফাঁকা। খেলা মানে গোলের পর গোল আর হাততালি। এরা যে পরীক্ষাটা দেয় তার কারণ জানে ওটা দিতে হয়। যেমন জানে ঠাকুরের মানত শোধ করতে হয়। পরের ক্লাসে কিভাবে উঠে যেত সেটা আগে শুনেছেন। বর্তমানের স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় কিভাবে উঠে সেটা পরের পর্বে শুনবেন। এটা এমন একটা বেদনার জায়গা যে কথকতার আকারে বলতেও কষ্ট হয়।এই টোকাটুকির প্রচেষ্টটা অত্যন্ত ধারাবাহিক। স্কুল, কলেজ ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত যথেষ্ট ধারাবাহিকভাবে চলে।একজন পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পদাধিকারী বলছিল তোর স্কুলের গল্প তো 26 পর্বে শেষ হয়ে যাবে বলছিস , বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লিখলে তোর জীবদ্দশায় শেষ হত না। টোকাটুকি কথা বললেই অনেকে বিহার, ইউপির উদাহরণ দেন। অস্বীকার করার উপায় নেই সার্বিক শিক্ষায় ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশ গুলি থেকে আমরা এখনো খানিকটা এগিয়ে। তবে ওরা উঠছে আর আমরা নামছি । নিচে নামার জাড্য বজায় থাকলে কোথায় গিয়ে থামবো সেটাই চিন্তার।

বিদ্যালয়ের মূল্যায়ন ব্যবস্থা আসলে চৌর্য বৃত্তির হাতে খড়ির ব্যবস্থা। শিক্ষক, অভিভাবক, সমাজ, শিক্ষাবিদ সবাই এটাকে প্রশ্রয়ের দৃষ্টিতে দেখে। ভাবে সামান্য ব্যাপার। এই সামান্যই ধীরে ধীরে অসামান্য হয়ে ওঠে। অথচ যথার্থ মূল্যায়নের সামান্য ব্যবস্থা করলেই শিক্ষার প্রকৃত পরিস্থিতি জানা যেত ও সেইমত ব্যবস্থা নেওয়া যেত। সিলেবাসের সংস্কার হয়েছে কিন্তু সে অনুযায়ী মূল্যায়নের সংস্কার তেমনভাবে কিছু হয়নি। এটাও টোকাটুকির অন্যতম কারণ। জীবজগতের বাস্তুতন্ত্রে বিভিন্ন জীবের সৃষ্টি হয়,আবার ধ্বংস হয় প্রাকৃতিক কারণে। মূল্যায়ন ব্যবস্থা যে চৌর্য বৃত্তি শিক্ষার একটা আখড়া হয়ে উঠছে তার কারণ মনে হচ্ছে সামাজিক প্রয়োজন। সমাজের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকালে দেখা যাবে ঐ বিদ্যাই এখন ‘বড় বিদ্যা’। তাই হয়তো হাতে খড়িটা  পূর্বাহ্নেই সেরে ফেলা হয়। 

Post a Comment

4 Comments

  1. লেখক যখন লেখেন মূল্যায়ন ব্যবস্থা আসলে চৌর্যবৃত্তির হাতেখড়ি তখন গুরুতর কিছু প্রশ্ন উঠে যায়। পরীক্ষা হলের নজরদারিও কিন্তু একটা আর্ট। অনেক সময়ই দেখা যায় গার্ড সাহেব এসে আগেই সবুজ পতাকা নেড়ে দেন। তাঁর হাতে যে একটা লাল
    পতাকাও আছে সে কথা বেমালুম ভুলে যান। কথায় আছে বেড়ালকে প্রথম রাতেই বশ মানাতে হয়, না হলেই বিপদের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর এই কথাটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে বৃহত্তর সমাজজীবনে পারস্পরিক বিশ্বাসের ক্ষেত্র টাই বিলকুল নড়বড়ে হয়ে গেছে। এমনটা হবার পেছনে শিক্ষকদের দায় এড়িয়ে যাব কী করে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. দায় অবশ্যই নিতে হবে।প্রাথমিক দায় তো শিক্ষকেরই।পরীক্ষা যে একশ ভাগ অসততায় ভরে গেছে তাও নয়।সে কথা লেখাতেও আছে।সমগ্রতার বিচারে ভালো কমছে।অসহায় অবস্থা থেকে কথাগুলি লেখা।

      Delete
  2. সামগ্রিক ভাবে দিন কে দিন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যাপনের চেনা ধারাটি বিলকুল বদলে গেছে। শিক্ষার মূলগত তাৎপর্য ভাবনার ব্যাপক অবনমন ঘটেছে তথাকথিত ভোগ্য পণ্যবাদী বিশ্বায়নের কালে।
    এরফলে আজকের শিক্ষা যেন হয়ে উঠেছে যেন তেন প্রকারেণ কাজ হাসিলের স্থূল অবলম্বন মাত্র।না হলে
    শিক্ষক হয়ে ওঠেন শেয়ারের ব্রোকার???
    মা







    রেণ কাজ হাসিলের স্থূল অবলম্বন। না হলে একালের
    মাসা্টাষরমশ

    ReplyDelete
    Replies
    1. শিক্ষক সম্পর্কে যা বললেন বিলকুল সেই কথা ও সেইরকম অন্যান্য কথা আসবে 23 ও 24 তম পর্বে।

      Delete