বার্লিনের ডায়েরি ৬১ পর্ব।
চিত্রা ভট্টাচার্য্য
(সিস্টিন চ্যাপেলের ও
মাইকেলেঞ্জেলোর পরবর্তী অংশ )
''পৃথিবীর সব সৌন্দর্য যেন এখানেই ছড়িয়ে আছে ,তুমি শুধুই প্রাণ ভরে তাকিয়ে দেখো ,কত যে বিস্ময় নিহিত রয়েছে এর প্রতিটি তুলির টানে রঙ থেকে রঙের মিলনে রূপ থেকে রূপান্তরের যাত্রায় '' অস্ফুট স্বরে শ্রী কে এ কথা জানিয়ে আদ্রিজা তন্ময় হয়ে শুধুই চেয়ে থাকে। ওর চোখের পলক পড়ে না। নিরন্তর কী এমন দৃশ্যের সন্ধান করে চলেছে দেখে মনে হয় ঐ অনুপম সিলিং ঐ অতুলনীয় দেওয়াল চিত্রের নিখুঁত, সুদক্ষ হাতের রঙ তুলির বর্ণময় টান এই মুহুর্তে বুঝি ওর সব নিশ্বাসই কেড়ে নেবে। অনেকটা সময় সিলিঙের দিকে চোখ রেখে ঘাড় উঁচু করে তাকিয়েই রয়েছে। এবারে দেওয়ালের দিকে চোখ ফিরিয়ে শ্রী কে বলে খুব আফশোস হচ্ছে মা পেইন্টিং টা কেন সে সময়ে ছেড়ে দিয়েছিলাম। এই ফ্রেস্কো ঐ রিলিফের কাজ ঐ মোজাইক এই ছবির বিশ্লেষণ!সব দূর্বার আকর্ষণে আমায় টানছে। মনে হচ্ছে রঙ তুলি ক্যানভাস ছবি আঁকার যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে আবার সেই শুরুর দিনগুলোতে ফিরে যাই। সিস্টিন চ্যাপেলের অসামান্য সিলিং,দেওয়াল চিত্রের কারুকীর্তির দিকে তাকিয়ে ওর চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় জল ঝরতে থাকে।
ঋষভ হাত নেড়ে শ্রী কে বলে ওকে এখন কোনো প্রশ্ন করোনা। শ্রীময়ী ভাবে তিতিরের ছোটবেলার দুস্টুমি তে ভরা দিনে স্কুলের হোমওয়ার্কের খাতার পাতাগুলো ভরে উঠতো খেয়াল খুশিতে আঁকা ছবিতে। শত বকুনী ,শাস্তিতে ও তিতিরের ছবি আঁকায় বিরতি ছিল না।তারপর মন দিয়ে আর্টস্কুলেও অনেকদিন আঁকা শিখেছিল। ছবি ও আঁকতো বেশ যত্ন করে। ওর বেশীর ভাগ অবসর সময় কাটতো ড্রয়িংবোর্ড ,ক্যানভাস প্যালেট ,পেন্সিল ,পেইন্ট ,ব্রাশ ,ওয়াটার কালার ,ইত্যাদি নিয়ে। তবে পড়ার চাপ বাড়ার সাথেসাথেই ড্রয়িংয়ের খাতা পেন্সিল থেকে যাবতীয় সরঞ্জাম রং তুলি সহ সব আপন ভালো লাগার খেলা ঘরে তালা বন্দী করেছিল নিজেই ।
সিস্টিন চ্যাপেল
ও বলে ,সিস্টিন চ্যাপেলের সিলিং হলো খ্রিষ্টান চিত্রের প্রায় অপ্রতিরোধ্য সমাবেশ। এখানে ছাদের দুইদিকে সাত টি নবী এবং পাঁচটি সিবিল দেখা যাচ্ছে যা রয়েছে বিকল্প ভাবে। খ্রিষ্টানঐতিহ্য বা প্রচলিত ভাবধারায় দেখাযায় এই দুই দল ই যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের অর্থাৎ পুনরায় আগমনের ভবিষ্যৎ বাণী করেছিল। পাঁচটি সিবিল হলো ডেলফি, কুমাই ,লিবিয়া ,পারস্য,এবং এরিথ্রিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী দল । এবং সাতজন ভাববাদী হলেন জোনাহ ,ড্যানিয়েল , ইশাইয়া ,জাকারিয়া , জোয়েল ,যিরমিয় ,এবং ইজেকিয়েল। জোনাহ একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য নাম কারণ বেদীর ওপরে উপস্থিত তাকে দেখানো হয়েছিলো গিলে ফেলা বড়ো মাছের সাথে। তিনি এখানে চিত্র টি কে আপাতদৃষ্টিতে পিছনের দিকে পতিত হতে দেখিয়েছেন। ছাদ জুড়ে তাঁর রঙ তুলির অজস্র কৌশল যা জাত চিত্র শিল্পীর চোখে সহজেই ধরা পড়ে। শ্রী চিত্র শিল্পের ব্যাপারে অতকিছু বোঝেনা। কিন্তু একমনে ছবি দেখতে ওর ভারী আগ্রহ, হেডফোনের ক্যাসেটে ছবির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা চলে। বাধ্য ছাত্রীর মত খাতায় ছবির নোট লেখে।
🍂
আনমনে পা চালিয়ে সামনের দেওয়ালের ছবিটির সামনে এসে দাঁড়ালো শ্রী। এ ছবিটিতে যীশু খ্রীষ্টের দ্বিতীয়বার পৃথিবীর বুকে আবির্ভাব এবং বিশ্বব্রম্মান্ডের সমগ্র পাপের নির্মূলতা ও ধ্বংসের ছবি আঁকা হয়েছে। মানব আত্মার পুনরুত্থান এবং তাঁদের কৃত কর্মের ফল ভোগের দৃশ্য। মাইকেলেঞ্জেলো প্রভু যীশু কে এঁকেছেন বিচারকের আসনে বসিয়ে। তাঁর পাশে রয়েছেন করুণার প্রতিমূর্তি মাতা মেরী, ম্যাডোনা। আর তাঁর চারপাশে রয়েছেন যীশুর স্বৰ্গীয় বিশিষ্ট অনুগামীরা। শিল্পী এখানে ছবির ভাষায় বোঝাতে চাইলেন ,বাস্তব সংসারের নিয়মে বাঁধা এই মানব দেহের ক্ষয় অনিবার্য ভাবে একটি সময় আসবেই । এই বিশ্বের মানুষ মরণ শীল অবশ্যই। কিন্তু তাঁর আত্মার মৃত্যু নেই। আত্মার পুনরুদ্ধারে পরমেশ্বর পুণ্যবান ও পাপীদের জন্য পৃথক স্বর্গ নরক নির্ধারণ করেছেন।
এই ভুবনে বিশ্ব প্রাণের স্রষ্টা ঈশ্বরের অবমাননা, অমান্য কারীদের তিনি নরকে নিক্ষেপ করেছেন। অন্যদিকে মাতা মেরী সৎ সাহসী ধর্ম পরায়ণ অনুগত দের স্বর্গে প্রেরণ করেছেন। যীশু কে ঘিরে আছে তাঁর অনুগত কিছু সাধুসন্ত। বিশেষকরে সাধু পিটার যাঁর হাতে স্বর্গের চাবি রয়েছে। নীচের অংশে ফেরেস্তারা শিঙ্গারে ফুঁ দিয়ে বাজিয়ে মৃতদের পুনরায় জীবিত করে তুলতে চাইছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যারা পুণ্যবান এবং হৃদয়বান ছিলেন সেই স্বর্গ পথ গামীরা আবার জীবিত হয়ে জীবনের ছন্দে ফিরে আসছেন। কিন্তু তিনি এঁকেছেন ফেরেস্তা বা স্বৰ্গীয় দূতেরা ,দুষ্ট কপট লোকেদের সাথে জঘন্য পাপীদের নরক বাস করাতে বাধ্য করেছেন।
দ্য লাস্ট জাজমেন্ট আঁকা সমাপ্ত হলে ঈশ্বরের দরবারে বিচারাধীন সাজাপ্রাপ্ত মানুষের শাস্তি ও তার শেষের করুণ পরিণতির অবস্থা দর্শনের পর পাপী অবিশ্বাসী দের সেই ভয়ানক শাস্তির নির্মম চিত্র সমাজের মহামান্য ব্যক্তি থেকে সাধারণ মানুষ অনেকেই ভীত আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সবচেয়ে অবাক লেগেছিল এই ছবিতে আঁকা মানবদেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বা দেহসৌষ্ঠব ছিল অনবদ্য এবং দৈহিক সম্পূর্ণ নগ্ন চিত্র।
মাইকেলেঞ্জেলোর যুগান্তকারী সৃষ্টি তে রঙ তুলি ভাষা পেয়েছিলো। প্রচলিত প্রথা ভেঙে তিনি ছবির ফিগার দের বস্ত্রহীন করে আঁকলেন এবং এটি পশ্চিমা বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এক শিল্প কর্মের পরিচায়ক হয়ে উঠেছিল। এখানে চিত্রিত আছে ওল্ড টেস্টামেন্টের সৃষ্টি তত্ত্ব থেকে যীশুখ্রীষ্টের ছোট বড় তিনশোটি চরিত্র। কোথাও বলা হয়েছে ঈশ্বরের কাছে মানুষের শেষ বিচারের দিনে সবাই সমান। জীবনের --সেই পরম লগনে ধনী দরিদ্রর কোনো ভেদাভেদ নেই। পৃথিবীর মায়ার বাঁধন ত্যাগ করে লেনদেন মিটিয়ে শূন্য হাতে নিঃস্ব হয়ে প্রত্যেক কে ফিরে যেতে হবে সেই সৃষ্টি কর্তা পরম পিতা ঈশ্বরের দরবারে।
সিস্টিন চ্যাপেল
ছবিটির একেবারে নীচে বাঁ দিকে দেখা যাচ্ছে আগুনে রাঙা লাল আকাশ। গ্রীক পুরাণ অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির আত্মাবহন কারী পাপী দুষ্টদের নিয়ে চলেছে নরকে যেখানে তারা দীর্ঘ সর্প দ্বারা আবৃত গ্রীক মাইথোলজি তে ক্রিটের রাজা এবং যীশুর পুত্র মিনোসের দ্বারা অভিবাদিত হবেন।
কানে একটানা বেজে চলেছে হেডফোনের ম্যাসেজ। ''তৎকালীন পোপ সহ সমাজের রক্ষণশীল বিজ্ঞ জনেদের অনেকের কাছে এই নগ্ন মানব দেহের অঙ্কন চিত্র যথেষ্ট মনোপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
শোনাযায় ১৫৬৪ সালে মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যুর পর রীতিমত বিচার সভা ডেকে ধর্মীয় আর্টে অশালীনতা বর্জন করার জন্য পোপের আদেশে নগ্ন মানবদেহের অংশে লজ্জা নিবারণ বস্ত্র অঙ্কনের দ্বারা ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেওয়ালের গায়ে ছবিগুলোর ওপর বহুদিনের জমা ধুলো ঝুল ইত্যাদি পরিষ্কার করার ফলে কৃত্রিম রঙে আঁকা বস্ত্র ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাওয়ার ফলে ছবিগুলো আবার আদি রূপের অবস্থায় ফিরে আসে। সিস্টিন চ্যাপেলের সিলিংয়ের সাথে "দ্য লাস্ট জাজমেন্ট " ফ্রেস্কোটি পরিষ্কার হয় এবং মূল রঙ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে বর্তমানে মাইকেলেঞ্জেলোর আঁকা ছবিগুলোর আদি অকৃত্রিম রূপ থেকে যাচ্ছে।
তাঁর অঙ্কিত সিলিং ও দেওয়ালচিত্র নিয়ে যুগযুগান্তর ধরে বিদ্ব জনেদের বহু আলোচনা সমালোচনা,বহু মত বহু দর্শন আলোচিত হয়ে আসছে। তবে সব থেকে বড় কথা সিস্টিন চ্যাপেল ও লাস্ট জাজমেন্ট শিল্পীর এক অপার্থিব নিখুঁত স্বর্গীয় সৌন্দর্যের অপরূপ মনোমুগ্ধ কর চিত্র।বরণীয় শিল্পী মেতেছেন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে রং তুলি দিয়ে জীবনের মহাকাব্য বিশ্লেষণের উৎসবে। তাঁর অমর সৃষ্টি ,অনন্য সাধারণ চিত্র শিল্পের মাধ্যমে নিজেকে সর্বকালের সেরা অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিত্রকরের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন ।
ঋষভ, শ্রী ওরা দুজনেই নির্বাক হয়ে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকে অনন্য এই চিত্র সম্ভারের দিকে। অদ্রিজার মুখে ও ভাষা নেই। ওর মতে চ্যাপেলের দেওয়ালগুলো ইতিমধ্যেই রেনেসাঁ যুগের সেরা কিছু শিল্পীর কাছ থেকে অলঙ্করণ পেয়েছিল কিন্তু চার বছরের পরিশ্রমে মাইকেলেঞ্জেলোর উচ্চাকাঙ্খা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা দিয়ে সেসব কিছু ছাড়িয়ে যে কোনো শতাব্দীর পশ্চিমা চিত্র শিল্পের সংজ্ঞায়িত কাজগুলির মধ্যে একটি অনন্য শিল্প সৃষ্টির দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।বহু প্যানেল যুক্ত সিলিং সৃষ্টি থেকে নোহা এবং মহাপ্রলয় পর্যন্ত এবং জেনেসিসের গল্প মূলত দৃশ্যগুলি মানবতার সৃষ্টি ,অনুগ্রহ থেকে পতন ও চূড়ান্তমুক্তি কে প্রকাশ করে।
ওর মতে বর্তমান যুগের মানুষের, শিল্পী মাইকেলেঞ্জেলোর এই অনুপম বিশাল সৃষ্টি কে নিয়ে সমালোচনার আসরে বসে বিশেষজ্ঞের মতামত দেওয়া শুধুই ধৃষ্টতা মাত্র এবং অজ্ঞতা ছাড়া আর বিশেষ কিছু নয়। তিনি সমাদৃত হয়েছেন তাবৎ বিশ্বের শিল্প বোদ্ধাদের কাছে। পৃথিবীর সর্বত্র বিখ্যাত মিউজিয়ামের গ্যালারিতে তাঁর ছবির সমাদর যেমন দেখা যায় তেমনি বিশাল অর্থ মূল্যের বিনিময়ে শিল্প প্রেমী অনুরাগীবৃন্দের কাছেও তাঁর অঙ্কিত ছবি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। মাইকেলেঞ্জেলোর আঁকা ছবি সমাজের ধনীব্যক্তি দের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি সাধারণ গৃহীর কাছে বহুমূল্যবান একান্ত নিজস্ব সম্পদ হিসেবে সুরক্ষিত হয়ে থাকছে ।
এতক্ষণ ধরে মোটেই বিশেষ কথা বলেনি ঋষভ। সে শুধুই ছিল শ্রোতার ভূমিকায়। ও এবার আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে বলে ক্যাপ্টেন মল্লিকের সাথে রোমের পথে বেড়ানোর সময় সিস্টিন চ্যাপেল ও শিল্পী মাইকেলেঞ্জেলোর সৃষ্টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। এই পৃথিবী বিখ্যাত শিল্পীর সৃষ্টি আর্ট নিয়ে। যতদূর জানি তিনি ছিলেন এক ভাস্কর। চিত্রকর এবং সার্থক স্থপতি যাঁকে ব্যাপক ভাবে রেনেসাঁর তো বটেই এমন কি সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ক্যাপ্টেন বলেছিলেন তাঁর কাজে মনস্তাত্বিক অন্তরদৃষ্টি ,শারীরিক বাস্তবতা এবং তীব্রতার মিশ্রণ ঘটেছে যা আগে কখনো কারো কাজে দেখা যায়নি। তাঁর সমসাময়িক শিল্পীবৃন্দ ,জ্ঞানী গুণী পন্ডিতজন তাঁর অসাধারণ প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মাইকেলেঞ্জেলো তার সময়ের সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাবান ব্যক্তি বর্গের কাছ থেকে স্বীকৃতী পেয়েছিলেন যার মধ্যে পোপ এবং ক্যাথলিক চার্চের সাথে যুক্ত অনান্য বিদ্বজনরাও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এবং এরই ফল স্বরূপ কাজ তাঁর পিয়েটা এবং ডেভিড ভাস্কর্য্য এবং তাঁর সিস্টিন চ্যাপেলের পেইন্টিংগুলো সযত্নে সংরক্ষিত রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে যে সৃষ্টি এক বিশাল দৃষ্টান্ত ও হয়ে থাকবে।
প্রায় দিনের আলো শেষের পারাবারে পাড়ি দিয়েছে সিস্টিন চ্যাপেল দেখা শেষ করে আস্তে আস্তে ওরা বেরিয়ে এলো বিশাল উপাসনা গৃহের বহির্গমনের পথ ধরে। সেইমুহূর্তে শ্রী নিজেকে ধন্য মনে করেছিল। এ জীবনে ও যে কোনোদিন ভাবেনি বিশ্বের বিস্ময় এমন অতুলনীয় অনুপম সৃষ্টির সাগরের সামনে এসে দাঁড়াবে । দুচোখ ভরে এই অবিনশ্বর জগতের সুধা রসের ধারায় মন প্রাণ পরিপূর্ন করে এমন অপার আনন্দের স্বাক্ষী থাকবে। মোহমুগ্ধ হয়ে সুন্দরের ধ্যানে মগ্ন শ্রী আবার বাস্তবে ফিরলো অদ্রিজার তাড়ায়।আর সময় বেশী হাতে নেই , এবার চলেছে ভ্যাটিকানের অপর আরেকটি সম্পদ সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা কে দেখতে। মন প্রাণ ভরে তৃষা মিটিয়ে দেখার আশায় ওর বিন্দু মাত্র ক্লান্তি নেই। ক্রমশঃ
0 Comments