জ্বলদর্চি

বিশ্ব অট্টহাস্য দিবস (১০ই জানুয়ারি)/দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে


বিশ্ব অট্টহাস্য দিবস (১০ই জানুয়ারি)

দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে

১০ই জানুয়ারি 'বিশ্ব অট্টহাস্য দিবস'।
অট্টহাসি শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো, অতি উচ্চস্বরে বা বিকট হাসি।অট্টহাস্য নামটা শুনলেই যেন প্রাণ খোলা হা- হা করে হাসির কথাই মনে হয়। 
'বিশ্ব অট্টহাস্য দিবসে'র উদ্দেশ্য হলো, হাসির মাধ্যমে সৌভ্রাতৃত্ব এবং বন্ধুত্বের বিশ্বজনীন সচেতনতা সৃষ্টি ও বৃদ্ধি করা। 
এই দিবসটি প্রথম শুরু হয়, ১৯৯৮ সালের ১০ইমে তারিখে। মুম্বাইতে প্রথমবার বিশ্বব্যাপী হাস্যযোগ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর মদন কাটারীয়া এই দিবস উদযাপন করেছিলেন। ফেসিয়াল ফিডব্যাক হাইপোথিসিস দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে, লাফটার যোগ বা হাস্যযোগ আরম্ভ করেছিলেন।
ফেসিয়াল ফিডব্যাক হাইপোথিসিস ধারণা অনুসারে, একজন মানুষের মুখের অভিব্যক্তি তার আবেগকে প্রভাবিত করতে পারে।  সাধারণত জনস্থানে হাসার উদ্দেশ্যে মানুষ একত্রিত হয়ে পালন করেন এই দিবসটি।
বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের প্রায় ১১৫ টি দেশ লাফিং ক্লাব বা লাফটার যোগ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত।
বিশ্ব অট্টহাস্য দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে বলা যায় যে, এই দিবসের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মদন কাটারিয়া ভারতের একজন পারিবারিক ডাক্তার, তিনি প্রথম মুখের প্রতিক্রিয়া অনুমান দ্বারা হাসি যোগ আন্দোলন শুরু করতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, যা অনুমান করে যে, একজন ব্যক্তির মুখের অভিব্যক্তি তাদের আবেগের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

🍂

বিশ্ব অট্টহাস্য দিবস উদযাপন, বিশ্ব শান্তির জন্য একটি ইতিবাচক প্রকাশের মাধ্যম বলা যেতে পারে, যেমন হাসির মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বৈশ্বিক চেতনা গড়ে তোলা এর অন্যতম উদ্দেশ্যে। এটি প্রায়শই একমাত্র হাসির উদ্দেশ্য নিয়ে সার্বজনীন স্থানের মানুষের সমাবেশের মাধ্যমে উদযাপিত হয়।
 ১০ ই জানুয়ারি 'বিশ্ব অট্টহাস্য দিবস', এই নির্দিষ্ট দিনটিতে বিশ্ব অট্টহাস্য দিবস উদযাপনের সাধারণ নিয়ম অনুসারে লাফটার ক্লাবের সদস্যবৃন্দ পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শহরের কোন এক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, যেমন সরকারি উদ্যান অথবা প্রেক্ষাগৃহে একত্রিত হয়ে, প্রত্যেকে উচ্চস্বরে হা-হা করে হাসতে থাকেন। শুধু তাই নয়, সেদিন তারা বিশ্ব শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন এছাড়াও ডক্টর কাটারিয়া বিশ্ব শান্তির বার্তা পড়েন।
আমাদের শরীর এবং মন মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, সেই অসুস্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে ওষুধ যেমন প্রতিষেধকের কাজ করে ঠিক সেই রকম হাসিও আমাদের জীবনে প্রতিষেধকের কাজ করে। তাই বলতে পারি, আমরা যদি মনের দিক থেকে সুস্থ থাকি অর্থাৎ মন খুলে হাসতে পারি তাহলে হয়তো অন্তত মানসিক রোগ গুলো আমাদের থেকে দূরে থাকবে।

বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে হাজার- হাজার লাফটার ক্লাব রয়েছে। সব থেকে বড় কথা,এখন 'অট্টহাস্য দিবস' বিশ্বব্যাপী পালিত হয়।

Post a Comment

0 Comments