দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে
আজ জাতীয় সেনা দিবস। এই সেনা দিবস কি? এবং কেন হয়? আসুন সবকিছুই আমরা সবিস্তারে জেনে নিই
সেনা দিবস হল, বীর সৈনিকদের অভিবাদন জানানোর দিন, যাঁরা দেশ ও দেশের নাগরিকদের রক্ষার জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
১৫ই জানুয়ারি দিনটি জাতীয় সেনা দিবস' হিসেবে পালিত হয়।
১৯৪৯ সালে ১৫ জানুয়ারি তারিখে ভারতীয় সেনার প্রথম কমান্ডার ইন চিফ কন্দনডেরা এম কারিআপ্পা (সেই সময়ের লেফটেন্যান্ট জেনারেল) অন্তিম ব্রিটিশ কমান্ডার এন্ড চিফ জেনারেল স্যার ফ্রান্সিস বুট চারের থেকে কার্য্যভার গ্রহণ করেছিলেন। পরে তিনি ভারতের ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হয়েছিলেন। এই দিবস বিভিন্ন সেনার কার্য্যালয়ের সঙ্গে জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং প্যারেড অনুষ্ঠিত করে পালিত হয়। 'জাতীয় সেনা দিবস' কেন্দ্রীয়ভাবে ইন্ডিয়া গেটের সামনে থাকা অমর জোয়ান জ্যোতিতে উদযাপন করা হয়।
এই দিবস দেশের জন্য শহীদ হওয়া প্রত্যেকটি দেশ প্রেমিকদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পালিত হয়। কে এম কারিআপ্পা ১৯৪২ সালে ইউনিত অ্যাটাক কমান্ডোতে যোগ্য বলে বিবেচিত হওয়া প্রথম ভারতীয় সেনার কর্মচারী ছিলেন।
এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে গেলে একটু পেছনের দিকে যেতে হয়। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে ভারত স্বাধীনতা অর্জনের পর সমগ্র দেশ বিভাজন ও স্মরনার্থীর আগমনের জন্য এক উত্তম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে ভারতের বিভিন্ন প্রশাসনিক সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায়, ভারতীয় সেনারা এগিয়ে আসে। এরপর দেশ-বিভাজনের পর শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এক বিশেষ কমান্ডের গঠন করা হয়। কিন্তু সেই সময় ভারতীয় সেনার অধ্যক্ষ ছিল। ১৯৪৯ সালের ১৫ জানুয়ারি তারিখে প্রথমবার কে এম কারিআপ্পা স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় সেনা অধ্যক্ষ হন। সেই সময় ভারতীয় সেনার প্রায় ২ লক্ষ সৈন্য ছিল। তার আগে এই পদের কমান্ডার জেনারেল রয় ফ্রান্সিস বুটচার ছিলেন তখন থেকেই প্রতি বছর ১৫ই জানুয়ারি তারিখে সেনা দিবস পালন করা হয়।
🍂
১৫ই জানুয়ারি (২০২৩) এ ভারত ব্যাঙ্গালোরে তার ৭৫ তম সেনা দিবস পালন করেছে। সেনা দিবস হল, সেই বীর সৈনিকদের অভিবাদন জানানোর দিন, যাঁরা দেশ নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য আত্মত্যাগ করেছে।
সারা দেশে সেনা দিবস উদযাপনের সময় প্রধান সেনা দিবসের কুচকাওয়াজ টি দিল্লি সেনা নিবাসের কারিআপ্পা প্যারেড গ্রাউন্ডে পরিচালিত হয়।
বীরত্ব পুরস্কার ও সেনা পদকও এই দিনেই প্রদান করা হয়। তথ্য অনুসারে বলা যায় যে ২০২০ সালে ১৫ জানুয়ারি ১৫ জন সৈন্যকে বীরত্বের পুরস্কার প্রদান করা হয়। অশোক চক্র ও পরম বীরচক্র পুরস্কার প্রাপকেরা প্রতিবছর সেনা দিবসের কুচকা আওয়াজে অংশগ্রহণ করেন।
সামরিক হার্ডওয়্যার, অসংখ্য কন্টিজেন এবং একটি যুদ্ধ প্রদর্শন প্যারেডের অংশ। ২০২০ সালের ক্যাপ্টেন তানিয়া শেরগিল সেনা দিবসের কুচকা আওয়াজের নেতৃত্বে প্রথম মহিলা অফিসার হয়েছিলেন।
সর্বোপরি বলি, প্রত্যেকটি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে এই সেনারাই। আমরা সাধারণ মানুষেরা যদি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি তা এই দেশ রক্ষাকারী সেনাদের জন্য।
0 Comments