জ্বলদর্চি

একত্রিশ পেরিয়ে জ্বলদর্চি। শুভেচ্ছা জানালেন লেখক, শিল্পী, গায়ক, ক্রীড়াবিদ।

একত্রিশ পেরিয়ে জ্বলদর্চি। শুভেচ্ছা জানালেন লেখক, শিল্পী, গায়ক, ক্রীড়াবিদ।

অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য 

 শান্তিনিকেতনে পৌষের শীতের এই সকালে জ্বলদর্চির সঙ্গে কথা বলছি। এবারের দাবি মুখে এক দু মিনিটের একটি শুভেচ্ছা চাই। তা যাইহোক, জ্বলদর্চির সম্পাদকের যে সম্পাদকীয় দাবি সেও অগ্রাহ্য করতে পারি না। কণ্ঠস্বর রুদ্ধ, তবু্ও সেই গলা দিয়েই কথা বার করতে হবে। লিটল ম্যাগাজিন সাহিত্য সৃষ্টি করে, লালন করে, সাহিত্যকে সে জীবন দিয়ে গ্রহণ করে, রক্ষা করে। জ্বলদর্চি নিজে বেঁচে আমাদের বাঁচতে দিন। টাকা দিয়ে জমি কেনা যায়, ঘরবাড়ি কেনা যায়, রাজনীতির টিকিট কেনা যায়, কিন্তু  টাকা দিয়ে  সাহিত্য  কেনা যায় না।ভালোবাসার জোরে মরা নদীতেও বান ডাকে।


শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

শ্রীমান ঋত্বিক ত্রিপাঠীর পত্রিকা হল জ্বলদর্চি। কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠীকে আমি খুব পছন্দ করি। আর তার আন্তরিক প্রয়াসে এই জ্বলদর্চি প্রকাশিত হয়, তা আমি জানি। আর জ্বলদর্চি হচ্ছে কবিদের অঙ্কুরিত হওয়ার জায়গা। খুব নিষ্ঠার সাথে পত্রিকাটি দীর্ঘদিন বের করে আসছে। ২৫ বছর হয়ে গেল, আমি এই পত্রিকার সাথে যুক্ত সমস্ত পাঠক কবি এবং যাঁরা যেভাবে সংযুক্ত হয়ে আছেন সকলকে আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জ্বলদর্চি এগিয়ে চলুক। জ্বলদর্চি কবিদের বীজতলা হয়ে উঠুক এই প্রার্থনা করি।


বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য 

জ্বলদর্চি পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। পত্রিকার সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠী যাত্রা শুরু করেছেন লিটল ম্যাগাজিন হিসেবে। সেই যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি অনবরত। দ্বিধাহীনভাবে তাঁর প্রকাশনা প্রকাশিত হয়ে চলেছে। সাহিত্যপ্রেমী মানুষদের উৎসাহ জোগাচ্ছে।বিভিন্নস্তরের নবীন এবং প্রবীণ লেখকদের লেখায় সমৃদ্ধ তাঁর এ পত্রিকা। সম্প্রতি তাঁর পত্রিকা ৩২ বছরে পদার্পণ করেছে। আমার একান্ত শুভেচ্ছা রইল। আমার বিশ্বাস আগামী দিনে জ্বলদর্চি পত্রিকা ধারাবাহিক প্রকাশনার মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে প্রকাশনার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। আবেদন সমস্ত লেখকবন্ধুদের কাছে আপনারা জ্বলদর্চি পত্রিকাকে সমর্থন করুন। নমস্কার। ধন্যবাদ


সম্বরণ ব্যানার্জী

আগামী নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫। ২০২৫ এ নতুন যাঁরা জ্বলদর্চির পাঠকরা আছেন তাঁদের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল। আপনারা এই ম্যাগাজিনটা পড়লে অত্যন্ত উপভোগ করবেন। অত্যন্ত উচ্চমানের একটা ম্যাগাজিন। আশাকরি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন —এই শুভেচ্ছা রইল।


পি. সি. সরকার জুনিয়র 

নমস্কার। গ্রীটিংস। আজকাল আবার শুদ্ধ বাংলা কেউ বোঝেন না। ইংরেজি সব ত্যাগ করে দিয়েছি আমরা। আসলে ওই ১৫ই আগস্ট আমরা স্বাধীন। কেমন স্বাধীন বুঝতেই পারছেন। সে কারণেই আমি জানালাম শুভ নিউ ইয়ার। মানে হ্যাপি নিউ ইয়ার। বাংলিশ, নমস্কার।


 সুবোধ সরকার

ঋত্বিক ত্রিপাঠী সম্পাদিত জ্বলদর্চি পত্রিকা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা।   লিটল ম্যাগাজিন হিসেবে এর একটি বিশেষ জায়গা আছে। এবং এতদিন ধরে, প্রায় ৩২ বছর হয়ে গেলো, —৩২ বছর ধরে একট লিটল ম্যাগাজিন চালানো সে বড় কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজ ঋত্বিক করতে পেরেছেন। আপনাকে অভিবাদন ঋত্বিক ত্রিপাঠী যে আপনি এরকম একটা সুসম্পাদিত পত্রিকা আমাদের জন্য এতদিন ধরে করে আসছেন। আমরাতো এতদিন ধরেই মুদ্রিত আকারেই জ্বলদর্চি পড়েছি।কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি যে একসঙ্গে ইন্টারনেটে অর্থাৎ অনলাইনে যাতে পড়া যায় তারও যথেষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা খুবই  উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সমস্ত লিটল ম্যাগাজিনকেই হয়তো ইন্টানেটের সাহায্য নিতেই হবে। ইন্টারনেট ছাড়া তো আমাদের কোনো ভাল বিকল্প আর কিছু নেই। কেননা  লিটল ম্যাগাজিনকে পৌঁছে  দেওয়া কঠিন কাজ, সেখানে ইন্টারনেট ক্লিক করলেই একেবারে তা ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। সুতরাং জ্বলদর্চির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত লেখক, সমস্ত বন্ধু এবং যাঁরা যাঁরা এই পত্রিকার পেছনে এতদিন মন দিয়েছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন তাঁদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। ভালোবাসা জানাই। ৩২ বছর আপনারা পেরেছেন, ১০০ বছর পারবেন। আপনারা সকলে আমার শুভেচ্ছা জানবেন। ভালোবাসা নেবেন। আবার দেখা হবে। নমস্কার।


সুধীর দত্ত

 দেখতে দেখতে জ্বলদর্চি পত্রিকাটি তার ৩২ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে। এটা খুব  আনন্দের কথা যে একটি প্রান্তিক জায়গা থেকে পত্রিকাটি প্রকাশিত হচ্ছে নিয়মিতভাবে। মুদ্রিত পত্রিকার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েভ মাধ্যমেও পত্রিকাটি নিয়মিত। এখানে যে সমস্ত লেখা প্রকাশিত হয় গদ্য কিংবা কবিতা নানান স্বাদের, এদের মধ্যে চটুলতা কখনও দেখিনি। মনস্ক ও মেধাবী হৃদয়ের পাঠক  মাত্র এর থেকে অন্য মানের মাত্রার সাহিত্য তাঁরা পেয়ে থাকেন। এই পত্রিকাটির উত্তরোত্তর উন্নতি, অন্তত যে মানটি তাঁরা অর্জন করেছেন, সেটি যাতে করে বজায় থাকে —আমি চাইব সেটি হোক। অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও আমি এই পত্রিকায় যে নিয়মিত লিখতে পেরেছি, তা নয় । মাঝে মাঝে কিছু লিখেছি। কিন্তু এই পত্রিকাটির প্রতি আমার খুব উচ্চ মনোভাব আছে। এই পত্রিকায় যে মনস্কতা বা মেধা দেখেছি তা বিরল। এই পত্রিকাটির জন্য রইল আমার শুভকামনা। ২৫ থেকে এদের আবার নতুনভাবে এটা শুরু করেছেন। আমার ইচ্ছে  এই পত্রিকায় আমি নিয়মিত লিখি। এর সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠী- র কাছে আমি ঋণী যে তিনি আমাকে দিয়ে  কিছু লেখা লিখিয়ে নিতে পেরেছেন। নমস্কার।


শিলাজিৎ

জ্বলদর্চি পত্রিকা ৩২ বছরে পড়ল। এতদিন ধরে তাঁদের প্রচেষ্টা বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে এবং পত্রিকা মাধ্যমে  বিভিন্ন লেখক বিভিন্ন পাঠকদের আনন্দ দিয়ে এসেছে। অনেক শুভেচ্ছা। আরো বেশি সারকুলেটেড হোক। আরও বেশি মানুষজন জানুক জ্বলদর্চির কথা। জ্বলদর্চির লেখাগুলির কথা।


শিবাজী প্রতিম বসু

দুই মেদিনীপুর থেকে একযোগে প্রকাশিত ঋত্বিক ত্রিপাঠীর নেতৃত্ব এবং সম্পাদিত জ্বলদর্চি প্রকাশিত হয়ে আসছে ৩২ বছর ধরে। এর অগনতি পাঠক। যাঁরা অত্যন্ত কৃতী লেখক তাঁরাও এর গুণগ্রাহী। এরা কেন  লিখি, স্মৃতিকথা ইত্যাদি নানান বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ  করে আসছে। আমি এই ৩২ বছরের জ্বলদর্চির সম্পাদক মশাই, আর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত হয়ে আছেন তাঁদের প্রত্যেককে, পাঠকবর্গকে  আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।


যশোধরা রায় চৌধুরী 

নমস্কার, আমি যশোধরা রায় চৌধুরী। জ্বলদর্চি পত্রিকা ৩২ বছরে পা দিচ্ছে। তার সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠীর জন্য রইল অনন্ত শুভকামনা।
বাংলা সাহিত্যের জন্য নিবেদিত প্রাণ এই কাগজটি বহুদিন ধরে অনেক  ভালোসাহিত্য আমাদের উপহার দিয়েছেন। আরও দেবে।

রূপম ইসলাম

নমস্কার। আমি খবর পেলাম ২০২৫-এ জ্বলদর্চি ৩২ বছর পূর্ণ করেছে। এটা একটা বিরাট ব্যাপার। জ্বলদর্চির সমস্ত লেখক কবি পাঠকদের পাশাপাশি  সম্পাদক এবং সম্পাদকমণ্ডলীকেও আমার তরফ থেকে ২০২৫-এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। জ্বলদর্চি এভাবেই জ্বলন্ত থেকে যাক। এভাবেই সবাইকে Inspire করুক।


সন্মাত্রানন্দ

নমস্কার। আমার নাম সন্মাত্রানন্দ। আমি বাংলা সাহিত্যে সামান্য কিছু লেখালিখি করি। জ্বলদর্চি পত্রিকাটি মেদিনীপুর শহর থেকে প্রকাশিত হয়। আর তা ৩২ বছর পূর্ণ করেছে। মুদ্রিত পত্রিকার পাশাপাশি পত্রিকাটি এখন ওয়েবম্যাগ হিসেবেও প্রকাশিত হয়ে চলেছে। এটা খুবই গৌরবের ব্যাপার। এত বছর ধরে একটি পত্রিকা সম্পাদক শ্রী ঋত্বিক ত্রিপাঠী যেভাবে পরিচালনা করে চলেছেন এবং এত বছর ধরে পত্রিকাটিকে যে স্বশ্রম মনোযোগে টিকিয়ে রেখেছেন তা প্রশংসার দাবী করে। জ্বলদর্চিতে বাংলা সাহিত্যের শিল্প- সংস্কৃতির প্রথিতযশা  ব্যক্তিরা অনেকেই লিখেছেন, আমিও সামান্য কিছু লেখালিখি জ্বলদর্চিতে করেছি এবং  আমার একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার জ্বলদর্চির তরফ থেকে নেওয়া হয়েছিল — সেটিও জ্বলদর্চিতে প্রকাশিত হয়। জ্বলদর্চি  আরও সামনে এগিয়ে যাক—এই প্রার্থনা করি।আরও  উজ্জ্বল হোক তার যাত্রাপথ।  মেদিনীপুর শহর আমার জন্মশহর। আমার সেই জন্মশহর থেকে এমন একটি পত্রিকা এমন উজ্জ্বল পদক্ষেপে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে দেখে আমি যারপরনাই আনন্দিত, গর্বিত বোধ করছি। সকলে আমার নমস্কার নেবেন। ভালো থাকবেন।


 বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

নমস্কার। আমি বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জ্বলদর্চিকে। জ্বলদর্চি ৩০ বছর পেরিয়ে আগামীর  দিকে এগিয়ে চলেছে। বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে জ্বলদর্চিকে আমি বলতেই পারি কেবল একটি লিটল ম্যাগাজিন নয়। লিটলকে লিটল ভাবতে নেই কারণ নক্ষত্রকেও দূর থেকে লিটল বলেই মনে হয়। জ্বলদর্চি তার গদ্যে, পদ্যে প্রবন্ধে সবকিছুতে বাংলা সাহিত্যের একটি উজ্জ্বল  ভিন্ন ধারার পথযাত্রী। আগামী দিনে জ্বলদর্চি আরও নতুন নতুন মাইল ফলক স্পর্শ করুক। জ্বলদর্চির সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠী এবং তার পুরো টিমকে, তার জ্বলদর্চির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। জ্বলদর্চি এগিয়ে চলুক। জ্বলদর্চি ৩২ থেকে ৩৩, ৩৩ থেকে ৩৪, ৩৪ থেকে ৩৫ এগিয়ে চলুক অনন্তের দিকে। জয় হোক জ্বলদর্চির।


বিশ্বজিৎ রায়

নমস্কার, জ্বলদর্চি ৩২ বছরে পা দিচ্ছে। তাঁদের এই যাত্রায় সাফল্য আসুক। এমনিতে ছোট পত্রিকা, কিন্তু আয়োজনে ও কাজের বহরে বড়। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে তাঁরা কাজ করেন। প্রত্যেক দিনের ঘটনা বৈচিত্র্য তাঁদের অ্যাপে, অনলাইনে নিয়মিত প্রকাশ করেন। দু মাধ্যমেই কাজ করছেন তাঁরা। এমন উদ্যোগ যত হবে, বাংলা ভাষার পক্ষে তত ভালো। আমি মাঝে মধ্যে জ্বলদর্চিতে লিখি।তাঁরা লিখতে বলেন। গভীর ভাবনা মূলক পত্রিকা করেন। এমন সাহিত্যিক কৃতিকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাই, জ্বলদর্চি আরও এগিয়ে যাক—এই  আশা রাখি। সকলে ভালো থাকুন।


🍂

Post a Comment

1 Comments

  1. আমাদের গর্ব- আমাদের অহংকার।

    ReplyDelete