জ্বলদর্চি

কবিতার চেরী ব্লসম-৬/স্বস্তিকা ধর

কবিতার চেরী ব্লসম-৬
স্বস্তিকা ধর


আপনাকে না পাঠানো তিনটি চিঠি
২৫ শে চৈত্র, ১৪৩১

উষ্ণকুন্ডের পাহাড়ী শুশ্রূষার ঝারি, তুমি।
জড়িয়ে আছো আজকের মাখন চাঁদের মোমে।
দূরের মাটির আকাঙ্খা জন্মের দাগ ছুঁতে পারে না তোমায়।

শিমুল তুলোর দিন, কাপাস তুলোর দিন এলে, 
চরকা ঘোরাই মনের;
সকলের এলেবেলে আমিই হয়ে উঠি ঝাঁ দুপুরের রেশম শিল্পী!
পুরাণের পাতা থেকে রহস্য বুনতে আসা রহস্যময়ী কারিগর।

তোমার সুন্দর মন, 
বর্ণনাতীত!
পদাবলীর চণ্ডীদাস, কম পড়ে!
টানাটানি বাংলা অভিধানের শব্দ ভাণ্ডারেও!

গাছের বুকের ভেতর, অনর্গল, অবিচল, যে জলের নদী, মুখচোরা,
যদি তেমনই কোনো সুর পেতাম, স্পর্শ পেতাম;
নিশ্চিত তোমায় পাঠাতাম।

বাকি সব
বড় স্থূল
আড়ম্বর
ভুল।


কিভাবে রেখেছো সরিয়ে?
বলো কিভাবে!

ঘোর জঙ্গলের দেশে,
রঙিন পাতার হোরি খেলা চলে।
কোন ছলে? নিজেকে ভোলালে?

কিভাবে সম্ভবে শরীর, 
বলো কিভাবে?
ঘোর জঙ্গলের দেশে, অন্ধকার তাড়া করে এলে,

দূরবর্তী আলোকবর্তিকায় 
মন, জ্বলে, নেভে, জ্বলে।

কিভাবে ভোলালে বলো?
জোনাকির দেশে, চোখে ধাঁধা
আধখানা বাঁচা, সম্পূর্ণ মরা 
সোহাগে জড়িয়ে ধরা
পায়ে ধরে সাধা।

কিভাবে ফেরালে বলো
কিভাবে সরালে?
সমস্ত আদর উড়ান, আবেগের নেশা , গোপন রাত্রির ভোর
নির্ঘুম, আধা ক্লান্তি মেশা! 

কিভাবে পোড়ালে বলো? জলে না ডাঙায়? কোন ছলে নিজেকে ভোলালে?


'তাহলে আসি?' বলেও, দরোজায় থমকে দাঁড়িয়ে আশে,
একটা রাত
আরেকটা রাত
আরো একটা রাত!
পরপর...
অবসর নেই অবসর নেবার।

এভাবে কি বেঁধে রাখা যায়
সময়?
সকালের সময়
দুপুরের সময়
রাত্রির সময়
এরা কি আলাদা? 
একই ঘরে থাকে তবু মুখ দেখা বন্ধ বহুকাল?

কাল কত মাত্রিক?
সেই কাল - যখন শুনিয়েছিলে গান -
বিষাদের ভান -
ধান থেকে চাল হলো কালে কালে।
কাল কত মাত্রিক?
যাত্রীরা, 
সহযাত্রীরা হেসে,কেঁদে,রেগে মুখ ফিরায়!
বেলা যায়।
বলো সখা...
এভাবে কে বেঁধে রাখে, হায়?

হাতের মুঠোয় বালি...
বলো সখা -
খালি শুকনো কথায়, চিঁড়ে ভিজেছে কার কবে?

বলে দাও, আর কত পল ছিন
জানালার চৌকাঠে -
আদরের থুতনি রেখে -
পাতাবাহার চোখে -
অপেক্ষা ফোটাতে হবে?

🍂
ad

Post a Comment

1 Comments