বাসুদেব গুপ্ত
পলাতকা
ব্যস্ত থাকো জানি খুব,মেঘ এসে যখন তখন
ঘরের দখল নেয়, ছড়ায় বৃষ্টির দানা সুচারু বুননে
অরবিট ছন্নছাড়া উড়ে যায় রান্নাঘর সবুজ বাহিনী
অভিমানী স্বরলিপি একঝাঁক মৃত টিয়াপাখি
তছনছ করে দেয় তোমার দেয়ালে টানা ছবি
তোমার সময় আর হয় না শপথ মনে রাখার।
বিষাদ আকুল হয়ে টেনে ধরে তোমার আঁচল
কবেকার চোরকাঁটা সঙ্গী আজও নিরালা সন্ধ্যাবীথি
তোমায় প্যালেটে বয়ে নিয়ে যায় তালাবন্ধ জাদুঘর
ডাইনোসর আজও আছে তুমি ছাড়া আর কেবা জানে।
জানি ব্যস্ত থাকো তাই সকালে সূর্য যেই লালিমা হারায়
দেখি ঐ দীর্ঘ দীঘিপটে সিঁদুরের দীর্ঘশ্বাস জ্বলে ওঠে
পদ্মের আসর জমে আসে পদ্মকীট সকালের ভোজে
তুমি নারী কোথায় হারাও? তোমাকে যে ভবিষ্যৎ খোঁজে।
🍂
রুদ্রবেশে এসো
কি চাই বৈশাখের কাছে নতুন বছরে
তীব্র দাহন ছাড়া? কলমে বর্ণিত হোক আগুন আখরে
পুঞ্জিত গ্লানির বাষ্প ঘৃণার দ্বেষের সব জমা জঞ্জাল
ছাই হোক ছাই হোক ফাটিয়ে ক্লান্তমাটি এসো গ্রীষ্মকাল।
যতদুরে চোখ যায় মৃত কৃষ্ণচূড়া প্রেক্ষাপটে আঁকা
পরাজিত ভীত আত্মা বন্ধকী দোকানে তাকে রাখা
ক্ষণিক আহ্লাদ যদি ঘর ভাঙে আত্মীয়ের মুখ হয় ম্লান
অন্ধকার কুয়ো থেকে নির্গমন নেই, নেই কোন আলোকের ধ্যান।
প্রতিটির মুহুর্তে যেন লক্ষ চোরের দল ঘোরে পথে ঘাটে
সার্থকতম সেই অবহেলে যে সবার ঘরে সিঁদ কাটে
লজ্জা নেই কেড়ে নিতে ভাই ও বন্ধুর সম্মান
স্বপ্নহীন দিশাহীন নিজের আত্মাকে করি রোজ অপমান।
নতুন বছরে তাই চাই না গোলাপ বারি কঙ্কালের হাসি
1 Comments
এই নাহলে কবিতা।গুরুজী প্রণাম।
ReplyDelete