জ্বলদর্চি

নিমাই জানার পাঁচটি কবিতা

নিমাই জানার পাঁচটি কবিতা

(১) গাংচিলের মাথা হাইড্রোফেনল ও অ্যাডিনোকার্সিনোমার থুতু বিশেষজ্ঞ

পৃথিবীতে সব বিষাক্ত এডিনোকার্সিনোমা থুতু ব্যবসায়ীরা মারা যায় না, আমার ক্লোরাইড ফর্মেশনের অ্যাপকোলাইট নেভিগেশন রুম ঠংঠং করে ভেঙে ফেলতে পারি এক একটি মহাজাগতিক কিন্নরীর থার্ড জেন্ডার, আমি তবে কাকে পাপ দিয়ে যেতে পারি হে শর্মিষ্ঠা?  রাতের হোটেল থেকে নামে পরিযায়ী দুর্গন্ধ বিশিষ্ট গাংচিলের মাথা, সারারাত আমি মৃত মানুষদের স্বপ্ন দেখতে থাকি , দশটি মুখের রক্তস্রাবের সাথে বেরিয়ে যাচ্ছে হাইড্রোফেনলের এসকর্বিক লেভেল, প্রত্নতাত্ত্বিক শরীর তাপের মতো, বায়ু বায়ুর মতো তাপমান , সকলেই রাত্রির জন্য অপেক্ষা করে সঙ্গমের জন্য উলঙ্গ হবে বলে, বিধ্বস্ত পর্নসাইটে আমার হার্ডকোর রভস খোলা ছবি আমি নখ দিয়ে আঁচড় কাটি মাথার ভেতর দিয়ে অসুস্থ হিক্কা তুলতে থাকি, মৃত অযুত গাছেরা অস্থায়ী কবরের দরজা খুলে গোলাপের থার্ড জেন্ডার রেখে দেবে হাইপোক্লোরেটের নীল নক্ষত্র মানুষের থেকেও আরও চকচকে একটা রোগগ্রস্ত সাপের চেরা জিবের অনুদ্বায়ী অ্যাভোকাড্রো সংখ্যায়,  আমি কি হত্যার পর শর্মিষ্ঠাকে নশ্বর বিছানায় নিয়ে গিয়ে ছিলাম হে কৃষ্ণ মৃত্তিকার কাঁচ পোকা? জ্যোতিশ্বর বেরিয়ে আসে আমি নৌকোয় করে মাতৃ মন্দিরে গেছি জলভেড়া চিতার মাংস আনতে , প্রিপারেশন সেন্টার অফ ফিটাস সাকশন , সব তরুণ কঙ্কালের মাথায় তরল লাল রসের পাগলাঝোরা নামছে জলপ্রপাতের সব অবিন্যস্ত বোনম্যারো প্রিম্যাচিউরড মলত্যাগ করছে সব ডাইনামিক ঘোড়ার অপ্রকৃতস্থ অসমতল থেকে নেমে যাওয়ার পর , খাঁ খাঁ পেট্রোল পাম্পের ভেতর ঢুকে যায় মাদকাসক্ত নারীদের অসুস্থ হাইড্রেনের থেকে ছিটকে বের করে দেওয়া লাফিং গ্যাস ভর্তি রেলের ওয়াগান , স্থির হব্যের মতো গলে যাচ্ছি আমি মার্কন্ডেয় পাষণ্ড হয়ে যাচ্ছে যক্ষের মতো সুতীব্র ছাল ছাড়ানো বাঁশির কিউ আর কোটেড ভদকা যাচ্ছি একটা কালপুরুষের লক্ষ কোটি অযোগের মানচিত্রে ঠ্যাং কসমিক বসিয়ে দিচ্ছে কিম্ভুত কিমাকার অষ্টাঙ্গিক পাঠকের বধিজ √ক ঈশ্বরীয় আত্মহত্যার নন হেমোরেজিক লাইসোজেন অনুচক্রিকার বিষ গোলাপি সেন্ট্রোজোমের পাহাড় নিউক্লিওলাসের বিষাক্ত জনন কসমিক চুনা পাথরের প্লেটে বসে আছে অবৈধ অপ্সরাদের গলার ভেতর দিয়ে টেসলিক নাভি পাঠাবো বলে, সকলেই হাইপোথাইরয়েডিজম মহা কুম্ভ দৃশ্য দেখছে , ঋ কার বৈদুর্য্য নগরীর ঋষি ক্রমাগত সন্ন্যাস বায়ু বের করছেন 


(২) পিউরিফাইড জাহাজের শুক্র দেশ ও পোস্টমর্টেমের ক্ষত্রিয় পুরুষ।

পিউরিফায়েড লালা গলিয়ে গড়িয়ে পড়ছে কবজ কুণ্ডলের মতো, চিতার অযুত সংখ্যা আমিও নশ্বর মৃতদেহ পেরিয়ে নামতে থাকি মৃত সেগুন গাছের মাথা থেকে , এতো যৌনবিষয়ক ইস্পাতের রবার কারখানায় হাইড্রেন গন্ধের ধ্রুপদী নৃত্য নাচছে , সকলেই ঋত্বিকের মতো ঋচীকের মতো ঋ কারের মতো অ্যালুমিনেট পুরোহিতের মতো মৃত দ্রাক্ষা লতার থেকেও আরো ভয়ংকর হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে রাত্রিকালীন অসুস্থ শ্বাসকষ্ট ওঠা জাহাজের দিকে , জাহাজেই প্রাচীন নাবিক আছে অন্তঃস বর্ণের খুনি শুয়ে শুয়ে এতিমের যুগান্তর ট্রিবিউটে অশ্লীল হয়ে যাচ্ছি আমি। পায়ের নখ থেকে মাথা পর্যন্ত এতো লম্বা করে চিরে দেওয়া পোস্টমর্টানের হাড় আর ক্যাট গার্ড সুতো এ জন্মে দেখিনি , কে ওই চিতার চারপাশে শুয়ে শুয়ে সরীসৃপের মতো মাটির ক্ষত্রিয় পুরুষ বানাচ্ছে? মাঝরাতে কোন এক দিব্য বিমানের পুরুষ নরম-মাংসাশী শিরার গিঁটগুলো নেমে আসবে চতুর্থ তলা থেকে , বিষাক্ত ফিমেল ফিটাস ডিটারমিনেশান ডায়াগনস্টিক সেন্টার নেই, সব অবতল ফ্লাইওভারের মতো চ্যাপ্টা সেবিকাদের অসুস্থ মাথার হাড়গুলো জমিয়ে রাখা আছে ইন্ট্রা ক্রেনিয়াল নার্ভের ভেতরে কোন আল্ট্রাসনিক চুম্বকের ভেতর সকলে অন্তর্বাসের হুক খুলে রাতের মৃত বজ্রপাতের জন্য অপেক্ষা করে , ফিকে হয়ে যাচ্ছে সামুদ্রিক জলজ অক্টোপাসের থাইল্যান্ড মার্কা অবস্ট্রাক্টিভ ফ্লেভার ফেনোমেনার ফিনাইলের অঘোর শাস্ত্রের ভূমিকাসন রোধ, একগুচ্ছ কালো সাপের মাথা। আমি প্রজননজাত ধ্বংসস্তূপের স্পেস সেন্টারের দক্ষিণমুখী দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে জৈবিক রসে আবৃত জাহাজের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গোলা মাইন মারণাস্ত্রের ক্লিভেজে ফুটিয়ে দিচ্ছি নর্তকীদের সালোয়ার কামিজ কাটা বিষাক্ত শূকরের মাংস ডিম চর্বি মেশানো তেলে , প্রতিটা ক্লীব লিঙ্গের পুরুষ ল এ কার মাঝ রাতের দিকে কসমিক নাশপাতি কিনতে যায়,  হড়হড় করে পাগলের মতো ট্রাইকালারের বমি করে যৌনাঙ্গ বিক্রি করে দেয় কালো প্রস্টিটিউট এলাচ কিনে বাড়ি ফিরে আসে ,  হে ভেদ্যপর্দার ভেরিফাইলিন ইনহেলার আগুন মন্দিরের জঙ্ঘা তন্ত্রধেনুর রাজত্বে চলো উর্বর ব্রহ্মচর্য শেখাবো ইনফিনিট থিওরিওমে..
🍂

(৩) নন ক্রিস্টালাইজড বায়োলজিক্যাল জলপ্রপাতের পিতা ও অ্যাজ কার্ভিং গিরিখাত 

প্রতিটি ঘোড়াই মৃততান্ত্রিকের মতো মুখে জলজ লাফিস লাজুলি মেটাল বডি মেখে গলগি বডির প্রাচীন সরাইখানার বেসিনেই মৃত নাগরিকদের গলার রক্ত দিয়ে কেক বানাচ্ছে। এখানে নিরাময়হীন সব পুরুষেরা উবু হয়ে বসে থাকে। এসব উনবিংশক্ত তম নৈঋত কোণের দশম জ্ঞান যোগের ক্রিস্টাল নীলা পাথরটি কৈলাসের শ্বেত পতাকা উড়াচ্ছ , আমি লা উপত্যকায় আমাদের অঙ্কুরিত ধান বীজ ছড়িয়ে থাকি বরফের উন্মাদ পাহাড়ে ,  নদী ধসে ধসে পড়ে নখের মতোই আমিও বিস্তৃত স্তন আলগা করে শুয়ে থাকি পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে গিরিপ্রপাতের মতো আমার জলপ্রপাতের নাব্যতায় হাড়হীন বায়োলজিক্যাল এজ কার্ভিং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে , পিতার নাভির অসুস্থ রক্তের মায়া ভক্ষণের রাত কে মাঝরাতে মায়াবাদের হাতে রেখে যাব আমি স্ফটিকের দন্ড খুলে খুলে হেভিওয়েট জরায়ু পদার্থ ছুঁকতে থাকবে , কালো রঙের বজ্র কেতু কুকুর ক্রমশ তামাটে হয়ে যাচ্ছে এই পরা নক্ষত্রের সব অতিপিণ্ড বজ্রপাতের অভিশাপগ্রস্থ মুখ ও বধির দশার যমেরা নষ্ট চরিতার্থ অশ্লীল গাছের নিচে বস্ত্র হরণ করছে। এ সুড়ঙ্গ মহাপাপ পৃদ্ধ রাতের জৈবনিক কে নদ ভেঙে ভেঙে আসছে ওই প্রাচীর দুর্ভেদ্য হিলিয়াম পর্বত থেকে , মধ্যরাতেই বেরিয়ে এসো মদ আমি আপেলের অশ্লীল যৌনাঙ্গ ভেদ করে ঢুকে যাব পৃথিবীর উত্তপ্ত সরাইখানায় এসো দেবযানি নীল পুরুষের সাংখ্যযোগে জোলাপের উৎকৃষ্ট বীজ বপন করি এই পার্বত্য ক্ষত্রিয়ের লিঙ্গবর্ধকের মাথায়, আমাদের পাপ গাছগুলো ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। হে উন্মাদ 8 কোটি ধ্বনির বৃত্তে নিয়ে এসো উপাচারের জাতি সংক্রমণশালা বেদব্যাসের অপ্সরাদের , জল কেলিতে নিভে যাব মহাপ্রস্থানের সঙ্গম ঘোর জ্ঞানযোগ শালায় তীব্র আস্থাবান কুকুরগুলো রক্তের কর্কট বীজ কুচি কুচি করে কেটে খাচ্ছে চামচের অগ্রভাগ দিয়ে.. 


(৪) ব্রিটানি হিলারি ও অস্থিতিস্থাপক মাংসের অ্যালকালাইড কবর 

ব্রিটানি হিলারি , নাইট অ্যাঙ্গেল উইচি ফ্লেভার মেডউসা ভার্চুয়াল ডার্ক পোর্টাল অফ ক্যারিয়ার্স ওয়ার্ক এন্ড দি আননোন হিউমার মাথাওয়ালা হাতুড়ি মার্কা ঝরঝরে মাংসের স্থাপত্য বিহীন অনুবাদ মাংসপেশির দল আমাকে ক্রমশ ঘিরে ধরছে , আমি তাদের মাথায় ধারালো চাকু দিয়ে অস্থিতিস্থাপক কেক বানিয়ে পিরামিডের ভেতরে থাকা মৃতদেহের মাংসাশী দ্রবণে লবণাক্ত পেশমেকার গুলোকে ঢুকিয়ে পৃথিবীর নীল হাড়ের মৃতদেহ তৈরি করছি , সব মৃতদেহের জন্য প্রত্যক্ষদর্শী জবানবন্দী নেই বিলীয়মান সাপেরা হাহাকার করে, আঁশের ভেতর থেকে তারা শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। সাপের শরীরেই ফুলকা গজিয়ে উঠছে। অথচ পৃথিবীর সব মানুষেরাই চিরুনির মতো দাঁত নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে খেয়ে ফেলছে হরিণের স্থিতিস্থাপক দুর্গন্ধযুক্ত কবরের ভেতরে ঢোকানো অ্যালকালাইড মাংস , নিজেই হিহি করে হেসে ফেলি গুণধর গর্তের ভেতরেই নখের দুঃখ দিয়ে আমি কামার্ত করে তুলি পৃথিবীর যৌনবতী আশ্রমিক অরণ্যের সব অভয়াবতী অপ্সরাদের , এখনই প্রতিটি মাংসাশী বাঘ হলুদ দুধের বমি করবে চামড়ার ভেতরে ঘৃতাহুতি গন্ধ উঠবে চামচ নিয়ে অলৌকিক যুদ্ধে নেমে পড়বে, রক্তাক্ত আগুন মাখা শিখাময় নারীদের প্রলয় হুংকার। আমি মোমবাতির মতো পিচ্ছিল গম বাগানে ধাতব দন্ডটিকে ঘষে ঘষে মহাজাগতিক মদন কুকার বানাচ্ছি , হে যমের বীজ উন্মাদ হয়ে এসো নর্মদা নদীর তীরে , বাল্মিকী তিন দিন হলো অলৌকিক পুরোহিতের ঘর্মাক্ত সন্তানদের জাহান্নামে পাঠাচ্ছে..


(৫) নষ্ট থিওরির ডায়নামিক্স ছোরা ও অপরাবৃত্তের ইনফিনিট কাঞ্চনজঙ্ঘা

থার্মো এ্যানাফেজের থেকেও সিএ ১২৫ পোলোনিয়ামের তেজস্ক্রিয় দানা। ১১১ জন পুরুষ নাবিক যোনি দেশের কাঞ্চনজঙ্ঘা মাংসটা কে নখ দিয়ে টেনে ধরে রেখেছে সার্জারির ছরাটিকে অপরিপক্ক ভ্রুণময় ক্ষেত্রফলের দিকে ঢুকিয়ে দেবে বলে , আমি মৃত সরীসৃপের গাছ কিনে হাওয়ার ভেতর থেকে নামিয়ে ক্রোম অপশনের ওয়েব ব্রাউজার কফ ওয়েবে ইনফিনিটি ডাইনামিক্সের ছোরাটিকে ঢুকিয়ে দিতে থার্মোডিনামিক্স এর সেবিকা হয়ে গেছে। কালো কুচকুচে পোশাক পরে নেমে আসে মায়া গন্ধের রুদ্রজাতক , সাঁই সাঁই করে ঘুরতে থাকা ইউরেনিয়ামের পায়ুমন্থনের দাগ , বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে এক একটা অ্যান্টিভাইরাস দাম,  ডব্লিউ ডব্লিউ এক্স ডট ওয়েব পেজের হড়হড়ে চুম্বক দন্ডের চারপাশে ইলেকট্রিক্যাল রাক্ষসেরা কোয়ান্টামের বজ্রের দানাগুলো মার্বেল কোশাইন থার্মোফাক্সে রেখে পিতাদের শুক্র উৎপাদন করছে , জলদস্যুদের মতই আমার ইনফার্টিলিটি কাঁচের বোতল থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে রাক্ষসের নখ সবুজ পেরিফেরাল ওয়াটার বাল্ব ক্ষেপণাস্ত্রের অ্যাসিড জুতো কারখানার ফোম মার্বেল দোকানের সুপার ডিলাক্স তৈলাক্ত চামড়ার মতো গোবর্ধন লিঙ্গের ঢাকনা আর লিপগ্লস বিকৃত করে রাখা কুকুরের বাচ্চার হাড়, এতো দুর্গন্ধ উড়ে আসছে কেন ? চক্রের ভেতর থেকে চক্রাকার সারথি নেমে যাবে। বিশুদ্ধ হয়ে যাবে বিশ্বকর্মা। শুক্রাচার্যের নষ্ট অন্ধকূপ পালক থেকে খসে যাওয়া মেরুর রসের থেকেও মৈথুন বিযুক্ত রাশিফল গর্ভবতী হচ্ছে তলপেট থার্মোকল , কাঁকড়া বিছারা হত্যার শিরদাঁড়ায় ঢুকিয়ে দেওয়া অ্যানাস্থেটিক রগরগে জাইলোফ্যান ও কেটামিনের সাবস্টিটিউট , পাখনাগুলো জরায় ভর্তি নৌকার উপর থেকে নষ্ট সমুদ্রের অদ্বৈতবাদী মাংস খাচ্ছে , হে ধনাত্মক বিষবৃক্ষ আমাকে কালকূটের চর্বি দাও চর্ম রোগের মেলোডিয়াস পিশাচিনী বানাবো 


Post a Comment

1 Comments

  1. কমলিকা ভট্টাচার্যSeptember 06, 2025

    প্রথমে কেমিস্ট্রি বইটি বার করব ভাবলাম,তারপর বায়োলজি,তারপর ফিজিক্স তারপর অঙ্ক,মেডিসিন,অর্থশাস্ত্র ,বেদ, পুরান ,উপনিষদ কোনটা পড়ব ভাবছি,হঠাৎ কেউ মাথায় চাটা মেরে বলল এসব কবিতা তোর জন্য নয়,শনিবারের বার বেলায় কেউ ঠেলা মরার আগে কেটে পড়।
    নিমাই ভাই আগে থেকে তোমার এই অবুঝ দিদির জন্য একটু সহজ করে মানেও লেখে দিও।
    ভাইটি আমার রাগ করোনা প্লীজ।
    বোকা দিদি বলে ক্ষমা করো।

    ReplyDelete