জ্বলদর্চি

ইতিহাসের ফাঁদ/পর্ব - ৪/অরিজিৎ লাহিড়ী

ইতিহাসের ফাঁদ
পর্ব - ৪

অরিজিৎ লাহিড়ী 


সকালবেলা। জানালার ওপার থেকে ছেঁকে আসা রোদ, পাখিদের ডানার শব্দ, আর লেক রোডের ট্র্যাফিকের হালকা গুঞ্জন। প্রথম অ্যাপার্টমেন্টের দোতলার ঘরে বসে ডক্টর হেমাঙ্গ হাজরা ভেপের ধোঁয়া ছাড়ছিলেন, চোখে আধোঘুমের রেশ। তাঁর চোখের নিচে গাঢ় কালি, টেবলে ছড়িয়ে আছে কাগজ, বই, আর হালকা নীল আলোয় জ্বলছে একটা স্মার্টগ্লাস।

চায়ের কাপ থেকে ধোঁয়া উঠছে।

ঘড়ির কাঁটা আটটা ছুঁয়েছে। দরজায় হালকা নক।
—‘এসো।’

ঋতব্রত গুহ ঢুকলেন ঘরে। সাদা কুর্তা, গলায় ঝুলছে পুরনো একটা ম্যানুয়াল এস.এল.আর ফিল্ম ক্যামেরা—অকারণে। চোখের তলার কালি, অনিদ্রা, আর খানিকটা দিশেহারা চাহনি।

হাজরা হেসে একটা ইশারায় তাঁকে বসতে বললেন। তারপর সামনে একটা স্ট্যুল এগিয়ে আনলেন। একটা মোটা বইয়ের তলা থেকে টেনে বের করলেন একটা ছোট্ট লাল বাক্স। ধীরে ধীরে খুললেন। বেরোল এক টুকরো পুরনো, ক্ষয়ে যাওয়া ধাতব মুদ্রা। অদ্ভুত সব চিহ্ন খোদাই করা। ত্রিভুজের ভেতর চোখ। নিচে অলীক ভাষা।

—‘দেখো।’
ঋতব্রত অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলেন। অস্ফুটে বললেন
—‘এটা তো… কোথায় যেন…’

হাজরা হাসলেন।
—‘তুমি কোথায় দেখেছ জানো? তোমার পুরনো একটা নোটবুকের শেষ পাতায়। হয়তো তোমার অবসর সময় বেখেয়ালে আঁকা। নিজের অজান্তে’।

ঋতব্রত শিউরে উঠলেন।
‘কিন্তু… আমি তো…’

হাজরা স্মার্টগ্লাসে ছবিটা ফুটিয়ে তুললেন। হুবহু সেই মুদ্রারই হাতে আঁকা রূপরেখা।
—‘তুমি জানো না। জানার কথাও না। কিন্তু এই চিহ্ন, এই ইতিহাস—তোমার মধ্যেই লেখা আছে। শুধু চোখ খোলা দরকার।’

ঋতব্রতের কাঁধ গরম হয়ে এল। নিঃশব্দে কণ্ঠ শুকিয়ে এল।
—‘আমি কে?’

হাজরা চোখ রাখলেন তাঁর চোখে।
—‘তুমি বিশ্বাসঘাতক। বিশ্বাসের নয়, অবিশ্বাসের উত্তরসূরী। তুমি প্রশ্ন করো। তুমি সন্দেহ করো। তুমি সেই মানুষ, যার কারণে ইতিহাস বারবার নিজের গঠন বদলায়।’

—‘কিন্তু কেন আমি? কেন এই আমি?’

—‘কারণ তুমি প্যাটার্ন ব্রেকার। ধর্ম, জাতি, ইতিহাস—সব সিস্টেমের ভিতরেই একটা নিরবধি মিথ্যা আছে। যাদের মধ্যে সেই মিথ্যাকে চিনতে পারার জন্মগত প্রবৃত্তি থাকে—তাদের বেছে নেয়া হয়।’

হাজরা এবার মুদ্রাটা উল্টে দেখালেন। ছোট্ট একটা চিহ্ন—যা দেখা যায় না এক নজরে। শুধু সূর্যের আলোয় পড়লেই উন্মোচিত হয়।

ত্রিভুজের নিচে অদ্ভুত ভাবে লেখা—জি ও ডি।

ঋতব্রত ধীরে ধীরে উচ্চারণ করল —‘জি ও ডি…’

—‘এই জি ও ডি তোমাকে বেছে নিয়েছে। তোমার মধ্যেই আছে সেই সম্ভাবনা—যা দিয়ে ভুল ইতিহাসের প্রাচীর ভাঙা যায়। কিন্তু ওরা চায় তুমি সিদ্ধান্ত নাও। ওরা জোর করবে না।’

ঠকঠক—দরজায় আবার শব্দ।

ঘরের মধ্যে ঢুকল একজন। পরণে কুচকুচে কালো স্যুট , মুখে নিষ্প্রাণতা, চোখে অস্বচ্ছ সানগ্লাস, হাতে সাদা গ্লাভস। কণ্ঠস্বর একেবারে ঠান্ডা, যান্ত্রিক—‘আমি এসেছি। আমি জি ও ডি-র পক্ষ থেকে।’

ঋতব্রত থতমত খেল।হাজরা চোখ সরালেন না। হালকা নাক সিঁটকিয়ে বললেন—‘আরে ভাই, একটু ধৈর্য ধরো তো। সকালবেলা ভেপ টানা শেষ হলো না, তুমি এসে দাঁড়ালে কনফিডেন্ট মুখ করে। এই নাটক শেষ কবে হবে?’
🍂

লোকটা বিন্দুমাত্র নড়ল না—‘আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরি।’

হাজরা হেসে উঠলেন—অদ্ভুত এক গা-জ্বালানো ঠান্ডা হাসি।
—‘শোনো, ভাই। আমি জানি তোমরা কারা। প্রোটোকল, বুলশিট, সব জানা আছে। আমি ঋতব্রতের গার্ডিয়ান। এই কেসে আমি ওর সঙ্গে যাবই যাব।’

লোকটা বলল—
‘এই যাত্রা নির্বাচিতের জন্য। অন্য কেউ…’

হাজরা ওর কথা কেটে দিয়ে বললেন—
‘বস্, শোন। আমাকে বাদ দিয়ে এই সিনেমা হবে না। আর আমাকে ছাড়া তোমাদের এই প্রোগ্রাম ক্র্যাশ খাবে। বুঝেছ?’

বলেই তিনি হালকা হাসলেন। 
—‘ডিল করো।’

নীচে নেমে গাড়িতে উঠলেন তিনজন। কালো গাড়ি, কালো কাচ, জানালার ওপার দিয়ে পিছিয়ে যেতে থাকা শহর। ঋতব্রত চুপ। হাজরা আবার ভেপ তুললেন ঠোঁটে। তারপর আপন মনে বললেন, 

—‘এই দুনিয়াটা ক্রমশ মেটাভার্স হয়ে যাচ্ছে। রিয়াল আর ভার্চুয়ালের মধ্যে ডিফারেন্স আর থাকছে না। জাস্ট একটা ল্যাগ।’

একটা নিঃশ্বাস ফেললেন।

—‘সব শেষে মনে হবে, আমরা আসলে কেউ নই। একেকটা ডেটা পয়েন্ট। ইতিহাসও সিম্যুলেটেড। স্মৃতিও।’

ভুবনেশ্বর। সন্ধ্যার মুখ। পুরনো শহরের গন্ধ, বাতাসে ধুলো, মন্দিরের ভাঙা প্রাচীন গাথা। সবাই গাড়ি থেকে নামলেন।

একটা পুরনো মন্দিরের ভিতর ঢুকলেন সকলে। গোপন দরজা, সরু সিঁড়ি, মাটির নিচের দুনিয়া।সব সাদা। দেয়াল, আলো, ছায়া—সবই সাদা।

ঋতব্রত আর হাজরার মাথায় পরানো হল ‘সিম্যুলেশন ভিজর’।

—‘চোখ বন্ধ করুন।’

হালকা বীপ। আলো পাল্টে গেল।

চোখ খুলতেই তাঁরা দাঁড়িয়ে—অশোকের সভায়।সুবিশাল সিংহাসন।সামনে অশোক—ঠিক সেই প্রচলিত, শান্তিপ্রিয়, ধর্মরক্ষা করা অশোক।তাঁর মুখে করুণ হাসি। চারপাশে বিজয়দ্বার, পতাকা, ধর্মলিপি।

সম্রাট অশোক বলছেন—‘হিংসা পরিত্যাগ করলাম। ধর্মের পথে চলছি। কলিঙ্গের রক্তের স্রোত আমাকে অনুধাবন করায়, শান্তি! শান্তিই সমাধান একমাত্র।’

ঋতব্রত হতবাক। কেমন যেন ভেসে বেড়ানো দৃশ্য। হাজরা মৃদু হেসে বললেন—‘কী ভাই? একদম টেক্সটবুক পারফেক্ট। ভারতের বেস্টসেলার গল্প। তোমার ব্রেন আপডেট করতে চলেছে এখন।’

ঋতব্রত ফিসফিসিয়ে বললেন—‘এটা...এটা তো যা আমরা জানি...’

হাজরা চশমা খুলে বললেন—‘আরে ভাই, এইটাই তো সিম্যুলেটেড প্রোপাগান্ডা। যেটা সবাইকে শিখিয়েছে দুনিয়া, সেটা জোর করে খাইয়ে দিচ্ছে। এটা আসল ইতিহাস নয়। এটা প্রোগ্রামড।’

আলো নিভে গেল।ফিরে এল সেই সাদা ঘর।লোকটা বলল—‘প্রথম ধাপ সম্পন্ন। সংশয় দূর করতে হবে।’

হাজরা থামল না। বিদ্রুপ মাখা গলায় বলল—‘ড্যুড, তোমাদের আপডেট ভার্সনে একটু মেটা-হিউমার ঢোকাও। লোকে কম ঘুমিয়ে পড়বে।’

ঘরের ভিতরটা জমানো হিমের মতো। সাদা আলোয় ঝাঁঝালো নিঃশব্দ।
হেমাঙ্গ হাজরা আর ঋতব্রত মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, আর ঠিক সামনে—সে লোক, নিজেকে ‘জি ও ডি’র প্রতিনিধি বলে পরিচয় দেওয়া ছায়ামানব।

‘আপনারা তো দেখলেন,’—লোকটা বলল ঠান্ডা গলায়, ‘ইতিহাস আর সত্য একটাই। কলিঙ্গ যুদ্ধের সাক্ষ্য রয়েছে। সংশয় একটা রোগ। এটা নির্মূল করতে হবে।’

হাজরা হালকা কাশি দিলেন, তারপর ভেপ টানতে টানতে বললেন—‘বস্, প্লিজ! এত সোজা প্লট রচনা করলে বক্স অফিসে ধরা পড়বে। সংশয় একটা রোগ—এই ডায়লগ তো কালোজিরের তেলের বিজ্ঞাপনেও মানায় না।’

তিনি মাথা দুলিয়ে হাসলেন—‘তোরা জানিস, ইতিহাস হল সর্বদা ওয়্যারহাউস—হাজারটা সত্য, হাজারটা বিকৃতি। আর তুই একটা গল্প হাতে ধরে বলছিস—এইটাই ঠিক—মানে হ্যাঁ, এই যে, সাপটা উঠে এসে বলে—আমি কালিয়া নাগ। ওই টাইপ।’

লোকটা নির্লিপ্ত ভাবে বলল—‘কিন্তু আপনারাই তো দেখলেন সিম্যুলেশন। কলিঙ্গ যুদ্ধ ছিল। অশোকের অনুতাপ ছিল। তাঁর ধর্মপরিবর্তন মানবতারই জয়।’

হাজরা চোখ সরু করে তাকালেন—‘ওই যে ভাই, বললাম না—দেখেছি মানেই সত্য নয়। তোরা দেখিয়েছিস। ইমারসিভ সিনেমা বানিয়ে সত্য বেচা হচ্ছে। সিনেমা দেখাচ্ছিস মানুষকে প্রভোক করতে, তোদের লাইনে ভাবতে। বাস্তবে কলিঙ্গ যুদ্ধের প্রমাণ জিরো। খালি কয়েকটা চুনোপুঁটি লিপি, সেটাও পরে লেখা।’

তিনি হালকা হাসি হেসে বললেন—‘এটা ঠিক তুই দেখলি সাপ আর তুই দেখলি রশি—দুটোই তো দেখলি। প্রশ্ন হল, আসলে কী?’

লোকটা গলাটা নামিয়ে বলল—‘কিন্তু রাজনীতি, সমাজ ও মানবতাবাদ তো অশোকের পর থেকে বদলেছে। তাঁর বৌদ্ধনীতি ছড়িয়েছে পৃথিবীজুড়ে।’

হাজরা ভেপের ধোঁয়া উড়িয়ে বললেন—‘আরেহ্ ভাই, মার্কেটিং সাকসেস আর সত্য আলাদা জিনিস।সৌদি আরবও তো নিজেকে “মডার্ন” বলে। তাতে কী?ধর্মের নামে শাসন, জাস্টিফাইড হিংসা, আর ইতিহাস বিকৃতি—সব একই। অশোকের ওই ধর্মানুশাসন ছিল একটা পলিটিক্যাল টুল। তক্ষশীলা আর মগধের সঙ্কট থেকে বেরোতে গিয়ে ও করল ওই নাটক। কলিঙ্গের রক্তারক্তির গল্প বানানো হল মানুষের মনে পাপ-পরিশুদ্ধি ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য। এটাই প্রাচীন পিআর স্টান্ট।’

লোকটা বলল—‘আপনি মানবিকতার বিরুদ্ধে?’

ডক্টর হাজরা  অট্টহাসি হেসে উঠলেন—‘আমি তো ভাই শূন্যপন্থী। মানবিকতা একটা মিম। আর তোদের মতো দলেরা এই মিমটাকে ডিএনএ-তে ঢুকিয়ে দিচ্ছে।’

এবার তিনি ফিসফিস করে বললেন—‘মানবিকতা আসলে পলিটিক্যাল কনসট্রাক্ট। যেখানে দরকার, সেখানে ওটা থাকে। যেখানে দরকার নেই, সেখানে মানুষকে অসুর বানিয়ে মারতে কোনও বাধা থাকে না। আর ইতিহাসের মহৎ গল্পগুলো এই স্ক্রিপ্টে কাজ করে।’

হাজরা হেসে ফেললেন—‘দেখ, ভাই। নেটফ্লিক্সে একটা সিরিজ চলত—ফেক ইট টিল ইউ মেক ইট। অশোকও সেটাই করেছে। প্রথমে যুদ্ধের গল্প বানিয়ে পাপ দেখিয়েছে। তারপর ধর্ম বিক্রি করে পুণ্য দেখিয়েছে। আর সেই মিম আজও চলছে। হিস্ট্রি ইজ অলওয়েজ অ্যা ‘ফাঁক’ ইউ—কে কার আগে ফাঁকি দিল, সেইখানেই গেম।’

ঋতব্রত নিশব্দ। লোকটা স্তব্ধ। সাদা ঘরের ভিতর সেই নিস্তব্ধতা যেন ঠান্ডা ছুরির মত কেটে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ জানত না—দূরে কোথাও অন্ধকারের মধ্যে এক ছায়া তাদের কথা শুনছিল। চুপচাপ, নিঃশব্দে। নতুন এক খেলার ছায়া আরেকটু কাছে এগিয়ে এল।

ঘরের বাতাস হঠাৎ ভারী হয়ে উঠল। লোকটা আচমকা কোমর থেকে একটা চকচকে পিস্তল বের করল। ঠান্ডা গলায় বলল—‘এই ফাজলামি অনেক হয়েছে। এখনই যেতে হবে আপনাদের। বাধা দিলে ফল ভাল হবে না।’

ঋতব্রত হতবাক। কাঁপা গলায় বললেন—‘স্যার…’

কিন্তু হেমাঙ্গ হাজরা একদম নির্বিকার। ঠোঁটে ভেপ, মুখে সেই চেনা বিদ্রুপাত্মক হাসি।

‘ও মা! এটা কী? সিম্যুলেশন-এর পর এবার লাইভ অ্যাকশন? বাজেট কম পড়ে গেল নাকি?’

তিনি ঠোঁট বাঁকিয়ে নাটুকে গলায় বললেন—

‘কি ভাই, ইউএসবি গান? ফেক পিস্তল? জি ও ডি-এর লোকেরা এতটা লো-টেক হয় না। তোরা তো কোনো সাবস্ট্যান্ডার্ড কসমেটিক টেররিস্ট।’

এই কথা বলতেই দরজা দিয়ে ঢুকল আরও দু’জন। একই রকম পোশাক, মুখে সেই একই নিষ্প্রাণ ঠান্ডা ভাব। তিনটে অস্ত্র এখন ডক্টর হাজরা আর ঋতব্রতের দিকে তাক করা।

ঋতব্রত একপা পিছিয়ে গেলেন। হাজরা দাঁড়িয়ে রইলেন।

—‘শোন, তোদের স্টাইলে ফিনেস নেই, স্মুথনেস নেই। গড-এর অরিজিনাল এজেন্ট হলে এত লো-রেজ সিম্যুলেশন করত না। তোরা আসলে অলটারগ্রুপ।’

লোকটা দাঁতে দাঁত চেপে বলল—‘আপনাদের নিয়ে যেতে হবে। নইলে…’

হাজরা থামালেন। ঠান্ডা চোখে তাকিয়ে বললেন—‘নইলে কী? মারবি? খেলবি? শোন ভাই, গড যদি সত্যি থেকে থাকে, তোরা ওদের খেলার পুতুল। আর যদি গড-ই একটা ফেক, তাহলে তোরা একটা বেসিক স্ক্রিপ্ট-এর দু-টাকার ক্যারেক্টার। কিছুই না।’

তিনি হালকা হাসলেন—‘আর তাছাড়া, সিম্যুলেশন-এ ঢুকেই বুঝে গেছি—তোদের সফটওয়্যার আউটডেটেড। গড-রা এতটা প্রেডিক্টেবল হতে পারে না, বস। নো ওয়ে।’

লোকটা থমকে গেল। বাকি দু’জনও দ্বিধায় পড়ল। হাজরা এবার হালকা গলায় বললেন—‘তোরা ভুল লোক ধরেছিস। আমরা যাব, ঠিক আছে। কিন্তু আমার রুলস, আমার শর্ত। আর এই গাড়ি-বন্দুক-নাটক গুলো একটু আপগ্রেড কর। মানুষ এখন পাবজি খেলেই বুঝে যায় কোনটা রিয়েল, কোনটা ক্র্যাশ।’

ঋতব্রত এবার একটু শান্ত, নিস্প্রভ । লোকটা কড়া মুখ করে মাথা নাড়ল।
—‘ঠিক আছে। চলুন।’

Post a Comment

0 Comments