দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে
আজ ২৩শে ডিসেম্বর, 'জাতীয় কৃষক দিবস'। আসুন আমরা সবিস্তারে জেনে নিই, কৃষক কাদের বলে, কৃষক দিবস কি? এবং কেনই তা পালন করা হয়।
কিষাণ দিবস (Kisan Diwas) বা জাতীয় কৃষক দিবস হল, ভারতে প্রতি বছর ২৩শে ডিসেম্বর পালিত একটি বিশেষ দিন, যা দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য সুরক্ষায় কৃষকদের অমূল্য অবদানকে সম্মান জানাতে এবং ভারতের ৫ম প্রধানমন্ত্রী ও কৃষক নেতা চৌধুরী চরণ সিং-এর জন্মবার্ষিকী স্মরণে উৎসর্গীকৃত। এই দিনে কৃষকদের পরিশ্রমের স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং কৃষি খাতের গুরুত্ব নিয়ে সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য:
কৃষকের সম্মান: দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষকদের অপরিমেয় ভূমিকার জন্য তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো।
চৌধুরী চরণ সিং-এর স্মরণ: ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, যিনি কৃষকদের অধিকার ও উন্নয়নে বহু নীতি প্রণয়ন করেছিলেন, তাঁর জন্মদিনকে স্মরণ করা।
সচেতনতা বৃদ্ধি: কৃষি সমস্যা, নীতি এবং কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে সচেতনতা তৈরি করা।
পালন পদ্ধতি:
বিভিন্ন সেমিনার, আলোচনা সভা ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কৃষকদের কল্যাণে গৃহীত পদক্ষেপ ও নীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রাজনৈতিক নেতারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
🍂
কৃষকরা দেশের মেরুদন্ড, তারা না ফসল ফলালে আজ দেশ কৃষিতে এত উন্নতি করতে পারত না। সামান্য অর্থের বিনিময়ে কৃষকরা যে মূল্যবান পরিষেবা দিয়ে থাকেন, তার গুরুত্ব অপরিসীম,অথচ তাঁদেরকেই অবহেলায় থাকতে হয়। প্রত্যেক কৃষকের ফসল ফলানোর পেছনে থাকে অনেক পরিশ্রম,অনেক কষ্ট, যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষরা জানতেই পারে না, এর নৈপথ্যে থাকা মানুষদের আজ কুর্নিশ জানানোর দিন।
২৩শে ডিসেম্বর, সারা ভারত জুড়ে পালিত হয় জাতীয় 'কৃষক দিবস'। মূলত কৃষকদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে ভারতের মেরুদন্ড এই কৃষকদের উদ্দেশ্যে 'কৃষক দিবস পালন করা হয়।
সারা বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কৃষক দিবস' পালন করা হয়। আসলে কৃষক ও কৃষি জাতীয় অবদান উদযাপন করার জন্য মূলত এই দিবস পালিত হয়।
২৩ শে ডিসেম্বর ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং এর জন্মবার্ষিকী। কৃষকদের সুবিধের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী চরণ সিং। দেশের অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে তাঁর আমলে কৃষি এবং কৃষকদের দিকটি বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে দেখা হয়েছিল। খুব কম সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েও চৌধুরী চরন সিং কৃষির জন্য একাধিক প্রকল্প শুরু করেন।
২০০১ সাল থেকে চৌধুরী চরণ সিংহের জন্মদিন ২৩ শে ডিসেম্বর তারিখ টিকে 'কৃষক দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। চৌধুরী চরণ সিংহ 'জয় জওয়ান, জয় কিষান এই' বিখ্যাত স্লোগানটি অনুসরণ করেছিলেন। ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী কৃষকদের এই স্লোগান প্রচার করেন।
চৌধুরী চরণ সিংহ ২৩ শে ডিসেম্বর ১৯০২ সালে উত্তরপ্রদেশের মীরার জেলার নুরপুর গ্রামে, এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৭৯ থেকে ৮০ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশে বেশ কয়েকটি কৃষক-বান্ধব ভূমি সংস্কার নীতি নেন।
ভারতের এক বৃহৎ অংশ গ্রাম অর্থাৎ কৃষি প্রধান অঞ্চল। দেশের গ্রামীণ জনসংখ্যা বেশিরভাগ মানুষই কৃষক বা কৃষির সঙ্গে যুক্ত।
0 Comments