সুন্দরবন, ম্যানগ্রোভ মধু ও মৌবন
সজল কুমার মাইতি
সুন্দরবন : এলাকা
সুন্দরবন ইউনেস্কো স্বীকৃত একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ১৯৯৭ সালের ৬ই ডিসেম্বর। আসলে এই স্বীকৃতি সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান (Sudarban National Park)হিসেবে। সুন্দরবন বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি ব দ্বীপ। এই সুন্দরবন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিস্তৃত। এর চারপাশে বিভিন্ন নদী। আমরা অনেকেই জানি এর প্রায় ষাট শতাংশ ভাগ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত। বাকি চল্লিশ শতাংশ ভাগ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। এই ভাগের কোনো বেড়াজাল নেই। এই সীমানা নদীর জলরাশি দ্বারা নির্ধারিত।
ভারতীয় সুন্দরবনের আয়তনটা মোটামুটি এরকম: অরণ্য এলাকা – ৪২৬৪ বর্গকিমি; জঙ্গলভূমি- ২৫০৩ বর্গকিমি; জল এলাকা – ১৭৬১ বর্গকিমি। এরমধ্যে ব্যাঘ্র সংরক্ষিত এলাকা – ২৫৮৫ বর্গকিমি। ভারতীয় সুন্দরবন মূলত পশ্চিমবঙ্গের দুটি জেলা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই অরণ্য অঞ্চল এই দুই জেলার কাকদ্বীপ, বারুইপুর, ক্যানিং ও বসিরহাট মহকুমায় অবস্থিত। ভারতীয় এই সুন্দরবনে ২২টি ব্লক, ১১২টি কম্পার্টমেন্ট, ১০০ টি দ্বীপ ও ১৯৬টি খাল,নালা ও খাঁড়ি ইত্যাদি আছে(সিংহ, ২০২০)।
*সুন্দরবন : গাছ ও পশু পাখি
ঝাঁকড়া ঝাঁকড়া গাছ। গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে বেঁকানো মোটা লতা মাটির ভেতরে ঢুকে গেছে। গাছের মূল কান্ড ঘিরে মাটি ফুঁড়ে বেরিয়েছে ছোট ছোট শুকনো গাছ জাতীয় অংশ। গাছের পাতাগুলি গোল ও রসাল প্রকৃতির। গাছের কান্ড থেকে ছোট ছোট চারা ঝুলতে দেখা যায়। এগুলি সুন্দরবনের প্রান, পোষাকি নাম ম্যানগ্রোভ। এগুলি আসলে লবণাম্বু উদ্ভিদ, আর লোকাল লোকের ভাষায় বাদাবন। এই বাদাবনে যেমন বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ আছে, তেমন আছে বিভিন্ন ধরনের লতা গুল্ম ও অন্যান্য উদ্ভিদ। এই সুন্দরবনে প্রায় ছাপ্পান্ন (৫৬)ধরনের বৃক্ষ, লতা, গুল্ম, বিরুৎ ও অন্যান্য ধরনের উদ্ভিদ দেখা যায়। এদের মধ্যে মূলত গেঁউয়া, গরান, খলসে, কেওড়া, সুন্দরী, গোলপাতা ইত্যাদি। আসলে সুন্দরবনের মূল বৈশিষ্ট্য হল এই ম্যানগ্রোভ, পশু ও পাখি। এরাই ঘিরে আছে সুন্দরবনকে। এরাই এখানকার আকর্ষন। এই ম্যানগ্রোভ ছাড়াও এখানে বাঘ, হরিণ, কুমির, সাপ ও অন্য অনেক ধরনের পশুপ্রানীর দেখা মেলে। এইরুপ পশুর সংখ্যা ও প্রায় সাঁইত্রিশ (৩৭)। আর বিভিন্ন ধরনের পাখির সংখ্যা ও প্রায় আঠারো (১৮)। সুন্দরবনের জৈব বৈচিত্র্যময় পরিবেশে এই সব গাছপালা ও পশুপাখির অবদান অনস্বীকার্য।
*সুন্দরবন : মধু
মানুষের দুটি শ্রেষ্ঠ খাদ্য হল দুধ ও মধু। এর মধ্যে দুধ হজম হতে দেরি হয়। আর মধু বলতে গেলে হজম করতেই হয় না, অত্যন্ত সহজেই মানুষের রক্ত প্রবাহের সঙ্গে মিশে যায়। পৃথিবীর সব খাবারের মধ্যে মধু সবচেয়ে সহজপাচ্য। এর কারণ নিহিত রয়েছে মধু সৃষ্টির মধ্যে। মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে তা খেয়ে ফেলে। পরে চাকে এসে তা এক অদ্ভূত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উগরে দেয়। জীবদেহে একবার হজম হয় বলে মানুষকে আর দ্বিতীয়বার মধু হজম করতে হয় না।
মৌমাছি ফুল থেকে যে মধু সংগ্রহ করে তা এক বিস্ময়। এমনকি মৌচাক ও একটি বিস্ময়। মৌচাক মৌমাছির মুখ নিঃসৃত লালা থেকে মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি। মৌচাকের প্রকোষ্ঠগুলি আকারে ষষ্ঠ বাহু বিশিষ্ট (Hexagon)। এর বিজ্ঞান ভিত্তিক কারণ আছে। এগুলি চৌকো কিংবা পঞ্চ বাহু বিশিষ্ট (Square or Pentagon ) হলে এভাবে সংঘবদ্ধ আকারবিশিষ্ট হওয়া সম্ভব হতো না। একমাত্র হেক্সাগন আকার ই এর উপযোগী। এই আকার মৌচাককে এত বড় আকার হওয়া সত্বেও একসঙ্গে আটকে রাখে। একটি মৌচাকে রানি মৌমাছি চাক ছেড়ে বেরোও না। মধু সংগ্রহের কাজ করে হাজার হাজার শ্রমিক বা কর্মী মৌমাছি। তারাই ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। শ্রমিক মৌমাছি মৌচাক থেকে এক দেড় মাইল জুড়ে এলাকা ঘুরে বেড়ায় ফুলের সন্ধানে। যখন কোনো ফুলের সন্ধান পায়, সেই মৌমাছি ফিরে এসে মৌচাকের কাছে এক বিশেষ ধরনের ভঙ্গিতে নাচতে থাকে। এরফলে অন্য মৌমাছিরা বুঝতে পারে মৌচাক থেকে কতদূরে এবং কোন দিকে ফুলের অবস্থান আছে। বাকি মৌমাছিরা ঐসব ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌচাক ভরিয়ে তোলে। ভন কার্ল ফ্রিস ও অন্যান্য ব্যক্তিদের গবেষণালব্ধ হিসেব থেকে অনুমান করা যায় যে মৌমাছির মতো ক্ষুদ্র পরিশ্রমী পতঙ্গ পৃথিবীতে প্রায় নেই বললেই চলে। আধ কিলোগ্রাম মধু সংগ্রহের জন্য মৌমাছিরা যে পরিমাণ এলাকা ভ্রমন করে তার ফলে সারা পৃথিবী দুবার পরিভ্রমণ করা যায়। এই হিসেব করা হয়েছে সারা পৃথিবীর বেড় ধরা পঁচিশ হাজার মাইল ধরে নিয়ে।
পুরাকালে মধুর বিভিন্ন প্রকার উপকারিতা ও ব্যবহার মানুষের জানা ছিল। খাঁটি মধু বহু বছর অবধি নিজগুন বজায় রেখে ব্যবহারযোগ্য থাকে। মিশরের পিরামিডের মধ্যে মৃতের প্রিয় খাদ্য হিসেবে মধুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে এবং বছরের পর বছর থাকা সত্বেও এই মধু নিজগুন বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আর একালে তো কথাই নেই। বহুজনের দিন শুরু হয় সকালে উষ্ণ গরম জলে লেবু মধুর মিশ্রণ খেয়ে। পূজো আচ্চা থেকে ওষুধের কাজে ও মধুর ব্যবহার বহুলভাবে প্রচলিত। বিশেষ করে করোনার পর সারা বিশ্ব জুড়ে মধুর চাহিদা আকাশচুম্বী। এই চাহিদার সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যক্তিরা মাঠে নেমে পড়েছে ঘোলা জলে কিছুটা ব্যবসা করে নিতে।
আসলে সাধারণ মানুষ নামী ব্র্যান্ড দেখলে আর তেমন ভেতরে ঢুকতে চান না। তাই কিনে ফেলেন। এমনকি বেশি দাম দিয়ে ও কিনতে পিছপা হন না।
মধুকে আমরা দুভাগে ভাগ করতে পারি।
১) এপিকালচার মধু, যা বক্স মধু হিসেবে অধিক পরিচিত। যেসব জায়গায় অনেক ফুল ফোটে সেসব জায়গায় মৌমাছি ভর্তি বাক্স বসিয়ে দেওয়া হয়। সেগুলোতে সংগৃহীত মধু বোতল বন্দি করে বাজারজাত করা হয়। আসলে এই মৌমাছি পালন করতে হয়। সেক্ষেত্রে যখন কোনো ফুল থাকে না তখন এইসব মৌমাছিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাদের চিনির সিরাপ খেতে দেওয়া হয়। আবার বহুদিন বাক্সে থাকার ফলে ছত্রাক বা অন্য ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য এদের অ্যান্টিবেক্টেরিয়াল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এরফলে এই সুগার ও অ্যান্টিবায়োটিক মৌমাছির মাধ্যমে সংগৃহীত মধুর সঙ্গে মিশে যায়। এবং আমরা তাই সোৎসাহে মধুর গুনাবলির কথা মাথায় রেখে গ্রহণ করে থাকি নির্দ্ধিধায়। বাজারে অধিকাংশ মধু এই শ্রেণিতে পড়ে।
২) এর বিপরীতে আছে বনজ অর্গ্যানিক মধু। আর এই মধুর এক আকর ভূমি হল আমাদের প্রিয় সুন্দরবন। এখানকার জঙ্গল থেকে যে মধু সংগৃহীত হয় তা সত্যিকারের বনজ অর্গ্যানিক মধু। এতে না আছে চিনির সিরাপের মিশ্রন। না আছে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি। আসল বনজ অর্গ্যানিক মধু। এই মধু “মৌবন” হিসেবে বাজারে পরিচিত। এটিই আসলে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বা লবনাম্বু উদ্ভিদজাত বা বাদাবনের অর্গ্যানিক মধু।
সুন্দরবন: মৌলে ও মধু সংগ্রহ
এই মৌবন মধু সংগ্রহ করা হয় ম্যানগ্রোভ বেষ্টিত সুন্দরবনের গভীর অরণ্য থেকে। মূলত খলসে, কেওড়া, গরান, গৈঁউয়া, সুন্দরী ও অন্যান্য গাছের ফুল থেকে এই মধু সংগ্রহ করা হয়। হিমালয় পর্বতগুহা থেকে ‘এপিস ডরসাটা’ নামক একধরনের মৌমাছি পরিযায়ী হয়ে এই সুন্দরবনের অরণ্যে এসে মধু সংগ্রহ কাজে লিপ্ত হয়। এই মৌমাছি সাধারণ অন্য মৌমাছি থেকে আকারে অনেকটা বড়। এবং এদের পোষ মানিয়ে পালন করা সম্ভব না। চিড়িয়াখানার পরিযায়ী পাখির মতো এরা প্রতি বছর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে মৌচাক তৈরি করে মধু সঞ্চয় করে। মার্চ মাস থেকে মে মাসের মধ্যে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ গাছের ফুল ফোটার সময়। প্রথমে ফোটে খলসে গাছের ফুল। তার দু তিন সপ্তাহ পরে পরে অন্য সব গাছে ফুল আসে। এদের মধ্যে খলসে গাছের ফুলের মধু সুস্বাদু ও সর্বোৎকৃষ্ট। সুন্দরবনের মৌলেরা (মধু সংগ্রহকারীকে লোকাল ভাষায় মৌলে বলে)বনের গভীরে গিয়ে মৌচাক থেকে এই মধু সংগ্রহ করে আনে। এই কাজে মৌলেদের জীবনের ঝুঁকি থাকে। অনেকেই বাঘের আক্রমণে প্রান হারিয়েছেন। অনেকে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন বা বিকলাঙ্গ হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। প্রায় প্রতি বছর মধু সংগ্রহের সময় কিছু না কিছু এই ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যায়। ‘জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ’ এই বিপদের ঝুঁকি নিয়ে মৌলেরা এই তরল সোনা সংগ্রহ করে আনে। শুধু বাঘ কুমীর কেন? সুন্দরবনের মৌলেরা বাংলাদেশী জলদস্যুদের দ্বারা প্রায়শই আক্রান্ত হন। এই মধু সংগ্রহের জন্য মৌলেদের পশ্চিমবঙ্গ বন দপ্তর থেকে অনুমতি পত্র জোগাড় করতে হয়। তবেই তারা জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে যেতে পারে। এই কাজে পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকগন প্রতি নিয়ত মৌলেদের সাহায্য করেন। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। বিভিন্ন উপযোগী ও দরকারী জিনিসপত্র সরবরাহ করেন। এমনকি মৌলেদের ঝুঁকি হ্রাসে বীমার ও ব্যবস্থা করেন। সরকারি প্রহরীসহ বোট প্রতিনিয়ত মৌলেদের সঙ্গে থাকে এই মধু সংগ্রহের সময়। এছাড়াও জিপিএস এর মাধ্যমে মৌলেদের গতিবিধি ট্র্যাক করে নজর রাখা হয় যাতে তারা কোনো বিপদে পড়লে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
মৌলেরা সাত থেকে নয় জনের দলে বিভক্ত হয়ে দশ থেকে পনের দিনের জন্য মধু সংগ্রহে যায়। সংগৃহীত মধু মৌলেদের কাছ থেকে বন দপ্তরের কর্মীরা সংগ্রহ করে লোকাল বিট অফিসের স্টোররুমে জমা করে রাখে। এই সংগ্রহের সময় রিফ্র্যাক্টোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে মধুর গুনমান নির্ধারণ করা হয়। ‘এ’ এবং ‘বি’ এই দুই ধরনের গ্রেডে মধু সংগ্রহ করা হয় এবং প্রতি গ্রুপ অনুযায়ী তার রেকর্ড রাখা হয়। মধুতে জলীয় পরিমাণের ওপর এর গুনমান নির্ভর করে। মৌলেদের সংগৃহীত প্রায় সব মধু ই পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম কিনে নেয় এবং সেই বছরের নির্ধারিত মূল্য মৌলেদের দিয়ে দেওয়া হয়। এই সংগৃহীত মধু নিগমের কলকাতাস্থ প্রসেসিং সেন্টারে এনে বিশাল বিশাল আকৃতির কন্টেনারে রাখা হয়। এইসময় আর একবার এই মধু থেকে প্রসেসিং এর মাধ্যমে উপস্থিত বিভিন্ন প্রকার অবাঞ্ছিত বস্তু (Impurities)আলাদা করা হয়। তারপর চাহিদা অনুসারে স্টোর কন্টেনার থেকে প্রয়োজন মতো মধু নিয়ে ত্রিস্তরীয় প্রসেসিং এর মাধ্যমে ফিল্টারিং করে বোতল বন্দি করা হয় এবং সেগুলি সিল করে দেওয়া হয়। পাঁচশো এবং আড়াইশো গ্রামের কাচের বোতলে সিল করে পেপার কার্টনে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহের জন্য তৈরি রাখা হয়। মধুর গুনমানের জন্য মধুতে রেনুর (Pollen)উপস্থিতি জরুরি এবং এর ন্যূনতম পরিমাণ পাঁচ হাজার। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের প্রসেসিং সেন্টারের মধু সরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করে এর গুনমান নির্ধারণ করা হয়। এমনকি বেসরকারি ল্যাবে ও এর মান নির্ধারণ পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষায় দেখা গেছে মৌবন মধুতে রেনুর(Pollen)উপস্থিতি প্রায় পঞ্চাশ হাজারাধিক। অধিকন্তু, সুন্দরবনের বাদাবনের এই “মৌবন” মধু ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগ ও পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের আধিকারিকদের অক্লান্ত ও ঐকান্তিক লড়াই ও প্রচেষ্টার ফলে জি আই (GI) স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলস্বরূপ, মৌবন মধুর রাজ্য ও দেশের বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি অনুমেয়, এমনকি এর বৈশ্বিক চাহিদার বাজার ও উজ্জ্বল বলে আশা করা যায়। আমরা যখন কিছুটা কনফিউসড কোন মধু অর্গ্যানিক নয় আর কোন মধু সত্যিই অর্গ্যানিক এবং মূলত প্রাকৃতিক তার উত্তর এখন নিসন্দেহে পেয়ে গেছি।
1 Comments
খুব ভালো লাগলো,মৌমাছি আর মধু সমন্ধে কত নতুন কথা জানতে পারলাম।
ReplyDelete