Jalal-ad-Din Muhammad Rumi and his Poetry- 4
কবি জালালুদ্দিন মুহাম্মদ রুমি ও তাঁর কবিতা-৪
তৌ ফি ক হো সে ন
রুমি বা মৌলানা জালালুদ্দিন রুমি বা জালালুদ্দিন বাল্খি ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও কিংবদন্তিসম পার্সি সুফি কবি। সেই সময়ের পারস্য সাম্রাজ্যের আফগানিস্তানের বালখে ১২০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মেছিলেন। তাঁর পিতা বাহাউদ্দিন ওয়ালাদ ছিলেন একজন অতীন্দ্রিয় সাধক, তত্ত্বজ্ঞানী ও ধর্মীয় গুরু। বিভিন্ন দেশ ঘুরে তাঁরা স্থিতু হন তুরস্কের কোনিয়ায়। পিতার মৃত্যুর পর তিনি সেখানকার দরবেশ সম্প্রদায়ের দ্বায়িত্ব নেন। তাঁর অভিন্ন-হৃদয় বন্ধু শামস্-ই-তবরিজ তাঁর জীবন ওই দর্শনকে সম্পূর্ণ বদলে দেন। শামস্-এর প্রভাবেই বিশ্ববাসী রুমির মতো একজন বিশ্বকবিকে পেয়েছেন। 'মসনবি' তাঁর শ্রেষ্ঠ তথা বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। এই 'মসনবি'কে পার্সি ভাষার কোরান বলা হয়। যাপন, দর্শন ও কাব্যে তিনি যাবতীয় প্রচলিত বেড়াজাল ভেঙে দিয়েছিলেন। তাঁর সৃষ্টি সমগ্র মানবজাতির আদরের সম্পদ।
তিনি প্রয়াত হয়েছিলেন ১২ ডিসেম্বর,১২৭৩।
কোলম্যান বার্কসের ইংরেজি অনুদিত রুবাই সংগ্রহ 'বার্ডসঙ' থেকে কবিতাগুলি নেওয়া হয়েছে।
আগের তিনটি পর্বে গেছে ১০ টি করে কবিতা। এবার অন্য ৭ টি কবিতা থাকলো এই চতুর্থ তথা শেষ পর্বে। পরের সপ্তাহে অন্য কবির অন্য কবিতা তুলে ধরবো।
আপনাদের অভিমত পেলে ভালো লাগবে।
চতুর্থ পর্ব
-------------
একত্রিশ
প্রেমিকরা জড়ো হয়, পরস্পরকে ছায়া দান করে,
মুক্তি দেয় সম্মুখ সূর্যের হাত থেকে।
ঐ সম্প্রদায়ের কাছে থাকো।
ছায়া হও ওদের সঙ্গে, যতক্ষণ না তুমি নিজে
আলোয় পূর্ণ হচ্ছো
চাঁদের মতো, তারপর সূর্যের মতো।
বত্রিশ
গোলাপ গ্রহণ করলো তার আরক্ত লাবণ্য
ভিন্ন অস্তিত্ব থেকে, যেমন চোর
ফাঁসিকাঠে দাঁড়িয়ে গ্রহণ করে বায়ু।
তাই নাইটিঙ্গেল সারারাত্রি
বৃথাই প্রার্থনা করে সকালের বাতাসের কাছে,
'সতর্ক থাকো যা তুমি বয়ে আনো, তার থেকে।'
তেত্রিশ
যেই ভালোবাসুক, ভালোবাসে
একই প্রিয়তমকে, আমার প্রিয়তমকে।
এক হয়ে চলা রত্ন থেকে,
বজ্র পড়ে এখানে ওখানে।
সৃষ্টির পূর্বে সোনায় সীলমোহর দেওয়া হয়েছিল,
তাই এখন মাটির কোথায় লুকিয়ে আছে
কিছু আসে - যায় না,
এটা আমার!
চৌত্রিশ
প্রথম প্রভাতের বাতাস আনে
সেই উপস্থিতি
যাতে দেবদূতদের তাক লেগে যায়।
অশ্রু ও রুদ্ধশ্বাস নিরবতা
একসঙ্গে।অতঃপর প্রভাত নিজে
শক্তসমর্থ হয়ে জিজ্ঞাসা করে,
'কে কাকে ভালোবাসে,
এই দুজনের মধ্যে?'
পঁয়ত্রিশ
আমি আমার চোখদুটি চাইলাম।
'আমি ওদের সঙ্গে নদীতে যাবো
বর্ষায়।'
'আমার প্রিয়তম',
'রক্তে লাল',
'অন্তত আমার শরীরটা আমার!'
'কিছুদিন কাটার পূর্বেই
মানুষ এর দিকে অবজ্ঞায় তাকাবে
আর শহরের বাইরে বার করে দেবে।'
ছত্রিশ
এক পা রাখলাম মৃত্যুর বিস্তৃর্ণতায়,
আর এক দারুণ অনন্ত বেজে উঠলো সেই শূন্যতায়।
আমি ঐ মুহূর্তের উৎকট চমক ছাড়া
আর কিছুই বুঝতে পারলাম না।
সাঁইত্রিশ
আমি লজ্জায় রাঙা হতাম,
তুমি আমায় দিয়ে গান গাওয়ালে।
আমি খেতে বসে সব না করতাম
এখন আমি আরো মদ্য চাই।
গম্ভীর সম্ভ্রমে আমি পাটিতে বসে
প্রার্থনা করতাম,
এখন শিশুরা
আমাকে প্রদক্ষিণ করে।
-------------------------------------------
অভিমত জানাতে পারেন।
jaladarchi@yahoo.in
-------------------------------------------
আরও পড়ুন।
1 Comments
Persi theke English tarpor bangla kora hoyeche. Tai kobitar vasa valo lagleo chhanda ta hariyeche
ReplyDelete