জ্বলদর্চি

নতুন আইনের দাবি তুলে প্রকাশ পেল 'গঙ্গা আমার মা' পত্রিকা

নতুন আইনের দাবি তুলে প্রকাশ পেল 'গঙ্গা আমার মা' পত্রিকা

দ্বিজ দাস

সোমবার প্রকাশিত হল মেদিনীপুর শহর থেকে 'গঙ্গা মাইকি অ্যাসোসিয়েশনে'র পক্ষ থেকে 'গঙ্গা আমার মা' পত্রিকার নভেম্বর সংখ্যা। এবারের বিষয়- মানব মুক্তির পথ। মানুষের সুস্থ জীবনের জন্য বিশুদ্ধ জলের ভূমিকা তুলে ধরতেই এই বিষয় নির্বাচন। পত্রিকার সম্পাদক অভিজিৎ দে।

উল্লেখ্য এই সংস্থা ও পত্রিকার তরফ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিধায়ক দীনেন রায়ের কাছে ইতিমধ্যেই লিখিত আবেদনপত্র রাখা হয়েছে নতুন আইন প্রণয়নের জন্য। এঁদের দাবি ভারতবর্ষে যত পতিত পুকুর-জলাশয় আছে তা আইন করে প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের মধ্যে যাতে বিলি করা হয়। তাতে জলাশয় যেমন সংরক্ষণ হবে তেমনি গরিব মৎস্যজীবী মানুষরাও পাবেন কাজ। সুন্দর হবে পরিবেশ।  
সেই সঙ্গে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন আমতলা ঘাটের সৌন্দর্যায়ন ও সেখানে যাতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয় তার জন্য সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন পত্রিকার কর্মকর্তারা।
এই সব আন্দোলনের স্মারকপত্রের প্রতিলিপি স্থান পেয়েছে এ সংখ্যায়। পাশাপাশি আছে নদীতে স্নান করে শুচি হওয়ার পৌরাণিক প্রসঙ্গ ও ব্যাখ্যা। দেশের কোন কোন নদীঘাটে স্নানের জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করে চলেছেন তার তালিকা সংকলিত করেছেন রঘুবংশ পত্রিকার সম্পাদক শ্রীকান্ত ভট্টাচার্য। 

মূলত, জলাশয় সংরক্ষণ ও জলের গুরুত্ব তুলে ধরবার জন্য অভিজিত দে এই পত্রিকাটি দীর্ঘদিন সম্পাদনা করছেন। এর প্রতি সংখ্যায় তাই জল সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এবারের সংখ্যার সম্পাদকীয় অংশে উল্লেখিত হয়েছে -"আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও বায়ু জল দেশ ও কাল দূষণের মূল কারণ বলা হয়েছে অধর্ম বা পাপ। অধর্ম হলো সামাজিক বিধিনিষেধের লঙ্ঘন, ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সামগ্রিক স্বার্থকে অগ্রাহ্য করা। আয়ুর্বেদে সবরকম শুচিতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তাই এই পাপ থেকে মুক্তি এবং সমস্ত রকম শুচিতার জন্য নদী স্নান অবশ্যই দরকার। শুচিতা- শুদ্ধতা আর সবার প্রতি প্রেম ভালোবাসা জীবনের মূল কথা।
সোমবার জগদ্ধাত্রী পূজার দিন সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের  পঞ্চুরচকে পত্রিকাটি উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক অচিন্ত মারিক। উপস্থিত ছিলেন কবি শ্রীকান্ত ভট্টাচার্য, রানা দাস প্রমুখ।

সম্পাদক অভিজিৎ দে জানান, "এই পত্রিকার মাধ্যমে আমরা সাধারণ  মানুষের মধ্যে জল সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরতে সচেষ্ট। মেদিনীপুর শহরে বহু জলাশয় আজ মশার আঁতুড়ঘর। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে পারলে মৎস্যজীবীরা যেমন উপকৃত হবেন, পাশাপাশি আমরা জল সংকট থেকেও পাবো মুক্তি। " সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, "আজ করোনামুক্তিতে  ঘনঘন হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে জলের ব্যবহার ও গুরুত্ব কতখানি তা আমরা সবাই মর্মেমর্মে উপলব্ধি করছি।"
পত্রিকার এ সংখ্যায় প্রচ্ছদ এঁকেছেন ঋত্বিক ত্রিপাঠী।

আরও পড়ুন

Post a Comment

1 Comments

  1. খুবই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ এই পত্রিকার কর্মকর্তারা নিয়েছেন । এঁদের সাধুবাদ জানাই ।

    ReplyDelete