জ্বলদর্চি

জলঢাকা দৃশ্যের অতীত ও আগামী /অলক জানা

জলঢাকা দৃশ্যের অতীত ও আগামী 

অলক জানা 

ফলের দোকানে বসন্তের প্রথম 
লাথা লাথা ঝুলানো 
আঙুর দেখলে নাকে এসে লাগে 
মাধ্যমিক পরীক্ষার গন্ধ, 
আর লাইনে দাঁড়ানো 
দশলক্ষ চোদ্দোষোলো 
পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যাশার ছবি----
দানাপানি সংগ্রহের উচ্চরক্তচাপে 
প্রায় ভুলে যাওয়ার জোগাড় 
এমন একটি সপ্তাহ হয়তো কখনো 
উপভোগ করেছে জীবন! 

শরীর থেকে সময় 
বেরিয়ে যাওয়ার দৃশ্য 
এখনো মজুত রেখেছে ঘরের আয়না, 
তার মুখোমুখি কিছু প্রহর পুড়িয়ে 
জানা যায়, ঠোকাঠুকির সমস্ত বলিরেখা 
কেবল ধারণ করে আছে 
আমার শরীর, কচিকাল এখনো 
মাটিভাত খেলে আয়নার বিপরীত। 
আয়নার অন্তরে যা অধরা 
সবই এখন তার পশ্চাতে ঘুমঘুম, 
যা অতীত নামে সুপরিচিত, 
অথবা মন যাদুঘর। 

এসব নিয়ে লেখালেখি 
নেহাৎ পানসে, নাকি 
সরল মোয়া থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে 
আমাদের অদেখা ভবিতব্য, 
গন্তব্যহীন মেঘ-বাতাসের উসখুস 
ব্যগ্র বিপত্তি, অথবা পড়িমরি 
উচ্চনাদ মোদো চালিত 
দুর্ভাগ্যের ললাটে চলমান 
গাড়িও হতে পারে। 
কবিতা, সেই ধ্যান 
যে আদৌ সহ্য করে না 
রক্তলোলুপ বেহায়া অশৌচ উচ্চারণ। 

আগের চেয়ে জল 
দৌড়ে উঠে আসছে উঁচুতে
সামলানোর চেষ্টা হরণ করে 
আমার আকণ্ঠের নিম্নাংশ 
এখন সবই জলঢাকা,
দৃশ্যের অতীত। সমস্ত রকম  
ভৌগোলিকবাদ ও মহাকাশচারীর 
সতর্কসূচক চিত্রলেখ নস্যাৎ করে 
উগ্র আলটোপকানো মেজাজ 
আশকারা পায়। আর স্বাচ্ছন্দ্যে 
সেরে ফেলে সারবন্দি দম্পতি 
নিজের সন্তানের দাহপর্ব ! 
প্রতিটি যুদ্ধ ভারসাম্য রক্ষার 
অধুনান্তিক দাওয়াই ? 
ক্ষুদ্র এঁড়ে বুদ্ধি এটাই বলতে চায়ঃ 
পৃথিবী, যুদ্ধের জ্বরে 
নিরন্তর থরহরি কম্পমান,
ঘটা করে সংস্কৃতি পুরষ্কারের 
তৈলাক্তকরণ এবার তবে বন্ধ হোক। 

চামদান্নের আলোছায়ায় 
ডুবে থাকে শহর মফস্বল, 
বাহারি বোহেমিয়ান দিগন্তের 
কিছু নিষিদ্ধ ইশারায় 
সংগোপন ডুবসাঁতার----
মনমেরামতির যৌনতায় 
ভাগাভাগির দ্রৌপদীভূম থেকে 
ভূস্বর্গের দূরত্ব শুধু 
এক ধর্ম পুরুষ পরিমাপ। 

সংরক্ষিত কিতাব পাহারায় 
সুখেই থাকে "যুদ্ধ নয় শান্তি চাই" শ্লোক 
হোলির ঋতুতে এটাই প্রমাণিত, 
সভ্যতার সেরা আশ্চর্য, জনতা জনার্দন
সর্বাধিক ভালোবাসে
বনজঙ্গলের অলিখিত সংবিধান!

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

2 Comments

  1. অসাধারণ প্রকাশ ও নির্মাণ..ভাবনাও অনন্য....অসাধারণ লাগলো

    ReplyDelete
  2. অসাধারণ প্রকাশ ও নির্মাণ..ভাবনাও অনন্য....অসাধারণ লাগলো

    ReplyDelete