জ্বলদর্চি

গুচ্ছকবিতা /ঈশিতা পাল

গুচ্ছকবিতা
ঈশিতা পাল



ট্রায়াঙ্গেল

তারারা আকাশে আধো ঘুমে,
নীরোর বাজনা-
বেহালার ছড় টেনে কালো রাত এফোঁড় ওফোঁড়,
আমি,ঘুম আর একলা রাতেরা পারফেক্ট ট্রায়াঙ্গেলে।



নাবিক

পিঁপড়ের সারি নিরলস শ্রম-
ভীষ্মের শরশয্যা সবার মূলধন,
হাস্যকর মানবজনম।

আমরা কার্যত শিরদাঁড়াহীন প্রাণী-
ব্যথাগুলো আসলে আমাদের বর্ম বিষে বিষে বিষক্ষয়,
এলিয়েনরা পেনকিলার খেয়েই জন্মায় মনে হয়।

শোকযাত্রা ফুলদানির ক্যালেন্ডুলা,
কান্না এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে গেলে আবার ঢেউ-
এভাবে ঢেউ সামাল দিতে দিতে আমরা সবাই অস্কারজয়ী নাবিক।



মরমিয়া

রাতের পায়রাদের সংসার সংসার খেলা দেখছি চোখ ভরে,
আমি জেগে থাকি ওরাও তারার মত মিটমিট করছে কবিতা লিখবে বলে-

কবিতায় কত কথা বলা যায়!

তোমার কপালে স্বেদজল মুছে দিলে পড়ে থাকে অমীমাংসিত ভাগশেষ-
স্নায়ুতন্ত্র থেকে বিষাদ মাইনাস করলে একটা বন্ধু হাত,

কি একটা চেনা গানের কর্ড।
ছবিতে ছবিতে ভরিয়ে দিচ্ছ নিষিদ্ধ আদর,
কার অপেক্ষায় হাতচিঠি পাঠাও আকাশের ডাকবাক্সে?

তার সাথে কি তোমার পত্র মিতালী?



জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇




ঘুম

ঘুম এত সহজ নয় পথিক!
কালিগুলো মোছ অনেক কাজ বাকি অনেকটা জন্মদাগ-

পথ পড়ে আছে মায়াগাছের পাশে।
কুড়িয়ে নাও রোদ ধুলোবালি মেখে নাও মুখ-

মিশে যাও ধরার শান্ত কোলে সব ভুলে,
তবে তো নদীর মত লম্বা ঘুম সাঁতরে পার হবে।



ঘুমের পর্দাফাঁস

ঘুমের পর্দাফাঁস
        রাতের শীৎকার,
জেব্রা ক্রসিং-এ পা ছড়িয়ে বসে ধর্নার দল-

অবরোধ ভেতরবাড়ি।
বাসের পাদানিতে দুলছে
          কবিতার খাতা,

শব্দগুলো কেমন ঝিমধরা-
রোসো,সুনামি আসছে।

ঢেউ-এর পর ঢেউ
        আলগা চুইংগাম,
ব্লু-ফিল্মে মজেছে পেঁচা-
ফাঁকি দিচ্ছে সম্ভাবনা।

পুজোর উপাচার
              হাওয়ামহল,
ঝুঁকছে ঘরবাড়ি ধোঁয়ার দিকে-

আঙুলের ডগায় একটি মাকাল ফল।

Post a Comment

3 Comments

  1. ভালো লাগলো বেশ। আন্তরিক শুভেচ্ছা কবিকে।

    ReplyDelete
  2. সবগুলো কবিতাই ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা

    ReplyDelete
  3. খুব সুন্দর। কবিতা পাঠে অসম্ভব আনন্দ পেলাম। 🌹

    ReplyDelete