অরূপ তোমার বাণী থুড়ি জীবনী
( দ্বিতীয় পর্ব )
অরূপ পলমল
জনৈকা ভদ্রমহিলা ২ :
"প্রথমত ,রেস্টুরেন্টে যাওয়া আমি খুব বেশি পছন্দ করিনা, যে ক'বার গেছি পরিবারের সাথে।
দ্বিতীয়ত, সিনেমা হলে যেতে ভালো লাগে কিন্তু সংগে বন্ধু (হোকনা সে পরবর্তীকালে বর ) থাকলে বেশি ভালো লাগে।
তবে বলতে দ্বিধা নেই বাকি কাজগুলো মাঝে মাঝে একা করতে ভালো লাগে। তাকে যদি কেউ 'উগ্র নারীবাদ' বলে, তবে তাই হোক।
হাঃ হাঃ হাঃ. .. "
জনৈকা ভদ্রমহিলা ১ :
"স্যার! প্রনাম নেবেন। আপনার মতো একজন সুবক্তা এবং দক্ষ লেখকের প্রতিউত্তর করার স্পর্ধা আমার নেই।
তবে আপনি এতো কিছু টাইপ করে লিখেছেন এটা ভেবেই আমি অবাক হলাম। আর আপনি আমাকে এখন ছাত্রী নাই বা ভাবলেন, আমি কিন্তু এখনো আপনাকে আমাদের স্কুলের স্যার বলেই জানি।
আর বাকি ওই একা ঘোরা বা "বিরিয়ানি প্রসঙ্গ " এই নিয়ে আমি একটু 'জনৈকা ভদ্রমহিলা ২' - এর সমর্থক।
আগেই বললাম যে এই বিষয়ে আপনার সাথে তর্ক করার ধৃষ্টতা আমি দেখাতে পারবো না, আপনি আমার শিক্ষাগুরু।
তবে একজন আছে (সুপ্ত ব্যক্তি) যার সাথে এরকম তর্ক রীতিমতো হয়। এবং সেও ঠিক আপনার মতোই আমাকে "feminist" আখ্যা দেয়!
আমিও তখন তাকে রাগে "misogynist" বলে দিই।"
শ্রীকাঙাল অরূপ:
"গোপন কথাটি রবে না গোপনে,
উঠিল ফুটিয়া নীরব নয়নে।
না না না, রবে না গোপনে॥
বিভল হাসিতে
বাজিল বাঁশিতে,
স্ফুরিল অধরে নিভৃত স্বপনে--
না না না, রবে না গোপনে॥"
- এটা আমি দূর থেকেও বুঝেছি ও বুঝেছিলামও। তোর "সুপ্ত ব্যক্তিটি"ও আর গোপন থাকবে না - গোপন রহিবে না । সে রবীন্দ্রনাথের "শেষের কবিতা" উপন্যাসের অমিতই হোক আর তুই যত লাবণ্যই হোক।
"সেদিন চৈত্র মাস / তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ। " -- ভাবটা এই ঘোর বর্ষাতেও স্পষ্ট।
তবে হ্যাঁ ! শুনেছি যে মেয়েরা নাকি
"ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত"- এর বসন্তরাজকে খুঁজে নেয় বা বেছে নেয় তার চির আকাংখিত নায়ক তথা বাবা বা পিতার মূর্তির সাযুজ্য - এর সাথে তাল মিলিয়ে।
তা তুইও নিশ্চয় এই ভাবনার ধারক ও বাহক।
তাতে অবশ্য তোর বাবার মতোই আমিও ভীষণ খুশি !
আনন্দিতও !
আবার যখন জানতে পারি তোর "সুপ্ত ব্যক্তিটি"র সাথে আমার ভাবনার "ফেমিনিস্ট" চেতনার মিল থেকে থাকে।
তখন তো আবার 'সোনায় সোহাগা'।
নিজেকে কেমন তোর "বাবা বাবা " স্থানটা দিয়েছিস বলে বা "পিতা হিরো" জায়গাটা দিয়েছিস বলে আনন্দে লাফিয়ে উঠতে ইচ্ছে করে ।
এ জীবনে তো আর কারো বাপের সাথে মিল কোন আছে বা "কল্পিত হিরো" হতে পারলুম না।
হায় ! তাই তোকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদটা প্রাপ্য।
আরও পড়ুন 👇
ঐতিহ্য বজায় রেখে সোনার জগতে আধুনিকতার সংজ্ঞা তৈরি করছে সাহা অলঙ্কার
দ্বিতীয়ত :
আমার সম্পর্কে একটা ভুল তথ্য দিয়েছিস। কারণ - এতদিন ভুল ভেবে এসেছিস।
ভুলটা ভাংগিয়ে দিই -- আমি কখনো "সুবক্তা" নই কোনকালেই।
আমার উচ্চারণটুকুই ঠিক থাকে না । শব্দ উচ্চারণ জনিত গ্রাম্য ত্রুটি আমার আজীবনের সাথী ।
ইদানিং তো আবার আমার মুখ একেবারে কাঁচা রূপ ধারণ করেছে । ভালো কিছু বলে বা লিখে উঠতে পারি না । খিস্তি- খেউড় বেরিয়ে আসে অনর্গল।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে "খেউড় যুগ" (1750-1800) নামে পরিচিত সময় কালের দিকে আমার গমন। পিছুটান।
পেছনের দিকে অভিসরণ।
তোদের মতো "আধুনিকা" (ফেমিনিস্ট) আর এ জন্মে হওয়া হলো না রে .... আফশোস রয়ে গেলো ।
পরজন্মে পুষিয়ে নেবো ভেবে রেখেছি ।
থাকলো পড়ে তোর উপাধি "দক্ষ লেখক" টা ।
শোন. .. বৎস !
হে 'নাদান' সরল বালিকে .. ..
"এ মণিহার আমায় নাহি সাজে " !
আমি একটি খুদে প্রাণী । সরীসৃপও বলতে পারিস। মুখ থুপড়ে বুকে হেঁটে চলি সারা বছর। পুঁটি মাছের থেকে মোর প্রাণ শক্তি কম।
তাও আমি ভেবে ভেবে .. .
চিন্তা করে করে .. .
মাথার চুল ছিঁড়ে ছিঁড়ে .. .
লিখে লিখে .. ..
হারাতে চাই না !
তার থেকে নাকে সরষে তেল দিয়ে সারা বছর দিব্বি নাক ডেকে ঘুমোতেই পছন্দ করি ।
আর এই সুমিষ্ট নাসিকা গর্জনে অতিষ্ট হয়ে আমার সংসারের লোকজন নাজেহাল পনের বছর যাবৎ। সংসারে নিত্য --- প্রয়োজনীয় আলু -পটল -পেঁয়াজ- রুসুন -এর অভাব বরাবর সুরক্ষিত বর্তমানে আজও। আমার মতো অকেজো - কুড়ে -অকর্মক- অসামাজিক -ঘুম কাতুরে কুম্ভকর্ণ- এর সাথে যে এক ঘরে এখন বসবাস করছে .. .
ছেড়ে যায়নি .. .
এতেই এই অধম তাদের কাছে আজীবন প্রণত ও ঋণী ।
ফলে দাঁড়াল গিয়ে আমি "লেখক" নই। আমি যদি লেখক হই তো কোর্টের "দলিল লেখক"ও লেখক।
আজও কিছু লিখতে গেলেই আমার মুখ থেকে "মুখেভাত"- এর ঢেঁকুর উঠে আসে ।
আমি এখনো স্বাদ পাই।
বা দু - চারটা কলম ভেংগে "ঘায়েল হয়ে থামলো শেষে ।"
এই বুড়ো হাড়ে মুই কিছু হতেও চাই না আর।
না সুবক্তা .. . না লেখক।
মোকে কী পাগলা কুকুরে কামড়েছে ?
নাকি ভূতে খেয়েছে ?
তৃতীয়ত :
তুই লিখেছিস - আমি "লেখক" বলে আমায় প্রতিউত্তর দিতে তোর স্পর্ধা নেই।
বেশ।
উপরে নিশ্চয় তার সমাধান করে দিয়েছি ।
আরও অন্য জায়গায় লিখেছিস - আমি তোর "শিক্ষাগুরু" তাই তর্কের ধৃষ্ঠতা দেখাতে পারবি না । good !
বড্ড ওজন বাড়িয়ে দিয়েছিস রে বেটা আমার !
বড্ড ভার !
এসব শব্দে !
আমি এতো কিছু নই রে একদম --
"সহে না এ যাতনা !"
আমি খুব সাধারণ একজন।
যে এখনো ঠিকঠাক করে বাজার পারি না - বুড়ো ঢেঁড়শ --- পোকা বেগুন -- তিতা ছিংআ --- বুড়ো লাউ -- আঝালা লংকা --- কেনাকাটা করা নিত্যদিনের একটা অতি সাধারণ মানুষ।
আর এগুলো বাজার থেকে কিনে এনে যখন বীরের মতো বৌকে চমকে দেবো ভাবি .. .
আর মাথা থেকে টপ টপ ঘাম টপকে পড়ে বা ঘর্মাক্ত জামাটা খুলে নিংড়ানোর আগেই শুনতে হয় --- "জীবনে কিছুই শিখলে না !"- "বাজার টুকুও করে উঠতে পারলে না " ... তখন সত্যই ভাবি যে --
কতটুকুই বা জানলাম ?
কীই বা পড়লাম ? আর কীই বা করতে পারি ?
আর সাথে সাথে মনে পড়ে যায় আমার “গুরুদেব”- “সম্রাটের সম্রাট” বন্কিমচন্দ্রের সেই কুখ্যাত লাইন--
"এ জীবন লইয়া কী করিব ?
অথবা -
ধর !
এই তো দিন কয়েক আগে তিন জন মিলে বাইকে বেরোলাম। ছেলে বললো রাস্তায় --"বাবা তোমার জামাটা একেবারে কুঁকড়ে গেছে - ভালো না।"
আমি তখন দেখলাম. .. দ্রুত তাড়াহুড়ো করে বেরোনোর সময় বাইরে দড়িতে ঝুলানো ছিলো যা - হাতের কাছে তাই পরে বেরিয়ে গেছি ।
পরে মনে পড়লো এটা তো বাড়িতে এক সপ্তাহ হলো ঘর মোছার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে !
তখন আমি অগত্যা বেটাকে বোঝালাম যে-- "এই সন্ধ্যাবেলা তোর বাবা আর কোথায় স্টেজ শো করতে যাচ্ছে শুনি । বিদ্যাসাগর হলের মাঠে মেলাই তো দেখতে যাচ্ছি নাকি ?"
আমারই জীবনে অনেক অশিক্ষা।
কুশিক্ষায় ভর্তি ।
অন্ধকার।
খুব খুব গাঢ়।
তাই দূর করতে পারলাম না ।
আবার শিক্ষক ?
হা হা হা .. ..
আমি নিজেই অশিক্ষক হয়ে আবার কবে শিক্ষক হলাম রে ? আবার বড় বড় শব্দ "শিক্ষাগুরু" ! ধ্যাত !
আমি ওসব না । গুরু বৃহস্পতির দিব্বি ।
ওসব চাপিয়ে দিবি না একদম আমার স্পন্ডেলাইটিস- এ আক্রান্ত বা ব্যথা - যন্ত্রণায় কাতড়ানো জুবুথুবু সরীসৃপটার ওপর । দয়া কর।
আমি অন্ধকারের একটা জীব।
আলোর পিয়াসী অনন্ত।
আমি কাওকে আলো দেখাতে অপারক।
অন্ধ ! অন্ধ আমি নিজেই। অনন্ত !
দৃষ্টিশক্তিহীন অপারক -- আমিও নির্ভরশীল অন্যের উপর ---
"আমি অপার হয়ে বসে আছি
ওহে দয়াময়
পারে লয়ে যাও আমায় !
আমি একা রইলাম ঘাটে
ভানু সে বসিলো পাটে,
আমি একা রইলাম ঘাটে
ভানু সে বসিলো পাটে,
আমি তোমা বিনে ঘোর সংকটে
আমি তোমা বিনে ঘোর সংকটে
না দেখি উপায় ..
পাড়ে লয়ে যাও আমায়,
আমি অপার হয়ে বসে আছি।"
আমার ভাইপো বলে এখনো -
"কাকু, কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। চলছে .. ."
জানিস, আমরা তার সৈনিক !
এক একজন।
হলে মর না হয় মার।
প্রতি মুহূর্তে ।
সেখানে তুই তর্ক করবি না মানে ? ধৃষ্ঠতা মানে ?
কেও এতটুকুও পথ ছেড়ে দেবে না তোকে ।
পথ করে নিতে হয় ।
গাড়ির স্টেয়ারিংটা মজবুত করে ধরে একদিকে - ওদিকে বাঁকিয়ে ঠিক রাস্তা করে নিতে হবে । কাটিয়ে বেরিয়ে যেতে হবে । না হোলেই পিষে দেবে সবাই।
দক্ষ ড্রাইভার - হতে হবে ।
তাই তর্ক ও মতামত - এর জায়গাটা কাওকে ছেড়ে দিবি না কখনো - কোনোদিন।
আরও পড়ুন 👇আর বর্তমানে "শিক্ষা" ও "শিক্ষক" কিনতে পাওয়া যায় ।
হ্যাঁ ! কিনতে পাওয়া যায় বাজারে .. .
টাকা !
বস্তা বস্তা টাকা দিয়ে ।
আমরা সেই পঁচা থেঁতলে যাওয়া কুমড়া ।
কেনা - বেচার সামগ্রী ।
অন্যদিকে "শিক্ষকতা" আমাদের পেশা।
পেট চলে ।
রুজি রোজকার উপার্জনের পথ।
সেখানে ওসব --
" গুরু"- "টুরু" লাগাস না !
আমরা "শিক্ষাজীবি" !
জীবিকা !
কোন গীতার মন্ত্র পাঠ করে পড়াতে যাই না।
বরং কচি বৌ .. . মোটা বরপণ. .. পাওয়ার লক্ষ্য টাটকা থাকে।
তাই "গুরু "- যদি খুঁজতে হয় তো নিজেকে খোঁজ ....
নিজেকে জানো ...
নিজেকে আবিষ্কার কর ....
সেটাই হবে ' গুরুর সন্ধান' ! পাওয়া হবে "মনের মানুষ"কে !
যথার্থ গুরু সেখানেই আছে -
"আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে,
আমার মুক্তি ধুলায় ধুলায় ঘাসে ঘাসে ॥
দেহমনের সুদূর পারে হারিয়ে ফেলি আপনারে,
গানের সুরে আমার মুক্তি ঊর্ধ্বে ভাসে ॥
আমার মুক্তি সর্বজনের মনের মাঝে,
দুঃখবিপদ-তুচ্ছ-করা কঠিন কাজে।
বিশ্বধাতার যজ্ঞশালা আত্মহোমের বহ্নি জ্বালা–
জীবন যেন দিই আহুতি মুক্তি-আশে।"
সাম্যবাদী এক কবিও বলিয়াছেন -
"তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব সকল কালের জ্ঞান,
সকল শাস্ত্র খুঁজে পাবে সখা,
খুলে দেখ নিজ প্রাণ!
তোমাতে রয়েছে সকল ধর্ম,
সকল যুগাবতার,
তোমার হৃদয় বিশ্ব-দেউল সকল দেবতার।
কেন খুঁজে ফের’ দেবতা ঠাকুর মৃত পুঁথি -কঙ্কালে?
হাসিছেন তিনি অমৃত-হিয়ার নিভৃত অন্তরালে!"
আরও বলিয়াছেন -
শোন - শোন - বলছেন ---
" মিথ্যা শুনিনি ভাই,
এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির-কাবা নাই।"
আমি কারো "গুরু" নই।
ওতে আমার কোন লোভও নেই।
আমি অন্ধ ! আমি মূর্খ !
আমি কারও কখনো গুরু হতে চাই না ।
কারণ আমি নিজেই একটা আস্ত চারপা জাতীয় .. .. ( হাম্বা হাম্বা টিকটিক টিকটিক
দাও ভাই নাকে এক টিপ নস্যি
খাও তারপরে একমগ লস্যি
লাগে ঝুরি ঝুরি সুড়সুড়ি হ্যাঁচ্চো হ্যাঁচ্চো
ছিকছিক ছিক ছিক
সিং নেই তবু নাম তার সিংহ
ডিম নয় তবু অশ্ব ডিম্ব
গায়ে লাগে ছ্যাঁকা ভ্যাবাচাকা
হাম্বা হাম্বা টিকটিক টিকটিক
হা-হা-হা-হা ....)
আমি নিজেও খুব একটা ঈশ্বর ও গুরুবাদী তত্ত্বে বিশ্বাসী নই।
ভন্ড ! মেকি সব !
তুই আমায় "গুরু "বলবি বা "স্যার স্যার" বলবি .. .আর আমার জীবন ধন্য হলো মনে হবে -- সে গুড়ে বালি । অত সহজে এই মালটার চিড়ে ভেজে না ।
যাইহোক - অনেক সিরিয়াস কথা হয়ে গেলো ! চল - একটু গান শুনি .. ..
আর চুলগুলো ফুলিয়ে দুলিয়ে ঝিন্কি ঝাঁকিয়ে নাচিও. ..
"ধাধিনা নাতিনা, নাতিনা ধাধিনা,
ধাধিনা নাতিনা, নাতিনা ধাধিনা
ধাধিনা নাতিনা, ধাধিনা নাতিনা
ভোরের দরজা হাট,
নাতিনা ধাধিনা শুনছি নতুন শতাব্দিটার ডাক।
ধাধিনা নাতিনা, নাতিনা ধাধিনা,
আজকে ভালো যেটা হয়তো কালকে ভালো নয়
আজকে যেটা দোটানাতে কালকে সে নিশ্চয়,
জীবন মানে উঠা-পড়া জীবন ভাঙ্গা-গড়া
ভাঙ্গতে গড়তে উঠতে পড়তে সময় চলে যায়,
মন্দ ভালো সাদা কালোয় জীবন বয়ে যায়।
ধাধিনা নাতিনা, ধাধিনা নাতিনা. .. "
( তাক. .. ধিন. .. তাক. .. ধী না ..
ধী .. .ধী না .. . ধী ধী .. .না .. .
ক্যাট. .. তেরে .. .কেটে .. . ধী .. ধা .. .না .. . তাক. .. তাক. .. ধী .. .ধী .. .না (একটু রিমিক্স করছিলাম আর কী !! )
[ পরবর্তী অংশ বিরতির পর ]
প্রকাশিতব্য
0 Comments