জ্বলদর্চি

অরূপ তোমার বাণী থুড়ি জীবনী (চতুর্থ পর্ব)/অরূপ পলমল

অরূপ তোমার বাণী থুড়ি জীবনী

  (চতুর্থ পর্ব)

 অরূপ পলমল      

 ষষ্ঠতম :                                

ভালো ছাত্র ও ছাত্রী হওয়ার যন্ত্রণাটা আমি বুঝি রে… এই জন্য আমি আমার ছেলেকে বলি -"বেশি ভালো হতে হবে না তোকে !" আর ফার্স্ট তো নয়। সে আর এক যন্ত্রণা। ওই ফার্স্ট সিঁড়ির ধাপটা ধরে রাখতে গিয়ে আবার জীবনের অনেকটা অংশ ছাড়তে হয়। মুছে যায়। চাপ প্রচন্ড খেতে হয়। যতটুকু পড়বি আনন্দে পড়. .. চাপ নয়। Life is not a প্রেসারকুকার। জীবনটা রেসের ময়দান না বরং --- 

 " এই ছন্দ কী আনন্দ !

 এ যে বিধাতার মহাদান"।

       উপভোগ করার মনটা তৈরী কর। বাঁচবি। প্রাণ থাকবে। তুইও…

 হ্যাঁ … 

তুইও....

ভালো ছাত্রী ছিলি একদিন। আজ প্রতিষ্ঠিত। সফল। নিশ্চয়। সুখের ও আনন্দের অবশ্যই। তবে কী জানিস-ভালোর ওপর আশাটা বেশি করে মানুষ। তাকিয়ে থাকে। কী আর করা যায় বল-লোকের তাকানো ও আশাকে তো তুই বনধ করতে পারবি না আধুনিকা সাজে।যেমন আমায় পারলি না সেদিন। তোর ওই পোস্টের লেখাটা(এই নাটকের প্রথম সংলাপটা) দ্বারা।

       আমার চোখে পড়ে গেলো। আর আমি কী সব খুঁজে পেলাম-দেখে ফেললাম-

যা খুশি লিখে দিলাম। বলে ফেলাম। বাড়িতে ঝাড়ও খেলাম। উন্মাদ-পাগল বলে। হা হা হা .. .আর গানটা গেয়ে গেয়ে বেরিয়ে গেলাম পথে পথে- "তুমি যখন আমায় পাগল বলো ধন্য যে হয় সে পাগলামি। ধন্য আমি ধন্য যে পাগল তোমার জন্য হে!"    

     জানিস--- দু-একদিন আগে ছেলেকে বোঝাচ্ছিলাম আমাদের জীবনের সফলতা দুটো। প্রথম সাফল্য  হলো-নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। নিজের পায়ে নিজেকে দাঁড় করানো। লড়াইটা নিজের সাথে নিজের।

খুব গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়। সেখানে আমরা আছি আবার কেউ নেইও। নিজের পরিশ্রমের সাফল্য। তোমার সাধনা। সে এক আনন্দ। আনন্দটাই আলাদা!                      

        দ্বিতীয় সাফল্য হলো-তোমার সাফল্যে আর কতজনকে তুমি সাফল্যর পথে পৌঁছে দেবে। সেও এক লড়াই। জীবন থেকে পিছু ছাড়ে না লড়াই। কুরুক্ষেত্র। তার মানে আমি তো সফল হলাম, এখানেই শেষ হচ্ছে না- অন্যদের পাশে হাঁট। অন্যদের কথা ভাবো । অন্যদের রাস্তা দেখাও-- অন্তত অন্যদের কথা ভাবো। অন্যদের কথা ভাববার একটা মন তৈরী কর। না হলে কী হবে তোমার ওই প্রথম সাফল্যে? আমি গায়ে মাখব না মাথায় মাখাবো-তোমার সাফল্য নিয়ে। ধুয়ে জল খাবো?ধার!ধার! ধার! ধার দেওয়া।

তোদের ভাষায় কী বলে যে- “শান”। শান দেওয়া। “পাঁজানো”! নিজেকে পাঁজানো!

 'উঘা'! উঘা! উঘা! ঘষে ঘষে.. . ধার দিয়ে যাও. .. .আজীবন। অনন্ত! নিজেকে। পাঁজিয়ে যাও. .. ততক্ষণ পাঁজাও, যতক্ষণ না “ধন” জাগে!ধন!ধন!ধন! আস্ত মনধন! 

       বাজার থেকে ভালো লোহার বঁটি কিনে আনলাম- মানেই সে সব দিন ধার থাকবে ভালো লোহা বলে তা নয়। প্রতিদিন এমনই করে পাঁজাতে হয় নিজেকে। ধারালো করার জন্য। না হলে লোহাতেও মরিচা ধরে।

মানুষ তো কোন দূর ছাড়।                            তুমি সেই ভালো লোহা। বুঝলি? হয়তো তোর আপন জনদের কাছে সোনাও! তো? 

মুই কী করবা? গলায়-কানে-নাকে ঝুলাবা? 

নারী বিদ্বেষী নয়-প্রমাণ করার জন্য? নারী অনুরাগী মুই একজন প্রমাণের জন্য? -- তোদের মতো আর কী? পুরুষের কিছুই তো আর বাকি রাখালি না? মান-ইজ্জত-টা নিলি ঠিক আছে--কিন্তু তা বলে প্যান্ট -শার্টটাও গায়ে জড়িয়ে নিলি?

    আজ! 

   পৃথিবীর বড় অসুখ রে আজ-কেও কারও কথা ভাবে না। কাওকে দেখে না। ভাবে না। এ বড় সুখের সময় না। আমরা নিজেদের "শ্রী" ধরে রাখতে গিয়ে বিচিত্র "শ্রী"- এর ভীড়ে "হতশ্রী" হয়ে বিকিয়ে বসে আছি। নিজেদের কথাই ভেবে চলেছি--টি. এস . এলিয়টের "The West Land"-এর "The Hollow Men"-দের মতো সৌন্দর্য্যহীন প্রতিবাদহীন পাথর। যারা ফিস ফিস করে এসে কথা বলে--

"We are the hollow men 

We are the suffed men 

Learning together 

Headpiece filled with starw"!

       আমার কথা বিশ্বাস না হয় তো চল  গোটা গোটা বাংলায় আস্ত বাংগালী কবির কাছে জেনে নিই. .. . 

"আমার কথা কি শুনতে পাও না তুমি?

কেন মুখ গুঁজে আছো তবে মিছে ছলে?

কোথায় লুকোবে? ধু-ধু করে মরুভূমি;

ক্ষ’য়ে-ক্ষ’য়ে ছায়া ম’রে গেছে পদতলে।

আজ দিগন্তে মরীচিকাও যে নেই;

নির্বাক, নীল, নির্মম মহাকাশ।

নিষাদের মন মায়ামৃগে ম’জে নেই;

তুমি বিনা তার সমূহ সর্বনাশ।

কোথায় পলাবে? ছুটবে বা আর কত?

উদাসীন বালি ঢাকবে না পদরেখা।

প্রাকপুরাণিক বাল্যবন্ধু যত

বিগত সবাই, তুমি অসহায় একা।।"

(সুধীন্দ্রনাথ দত্ত)

     আর কবিতার শেষলাইনে আমিও কবির সাথে তোকে বলতে চাই--- 

  "আমি জানি এই ধ্বংসের দায়ভাগে

আমরা দুজনে সমান অংশিদার! 

অপরে পাওনা আদায় করেছে আগে,

আমাদের ‘পরে দেনা শোধবার ভার।

তাই অসহ্য লাগে ও-আত্মরতি।

অন্ধ হ’লে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?

আমাকে এড়িয়ে বাড়াও নিজেরই ক্ষতি।

ভ্রান্তিবিলাস সাজে না দুর্বিপাকে।

অতএব এসো আমরা সন্ধি ক’রে

প্রত্যুপকারে বিরোধী স্বার্থ সাধি:

তুমি নিয়ে চল আমাকে লোকোত্তরে,

তোমাকে বন্ধু আমি লোকায়তে বাঁধি।।"

 -এই মন্ত্র-এ কান পাততে হলে তো একটা মন দরকার।

        নিজের নিজের "কাটলেট -বিরিয়ানি", ধোশা- ধাবা, ঘোরা আর 'বিদেহী আত্মা যক্ষ প্রিয়া রূপে মানী অভিমানী রূপ'ই - শেষকথা না জীবনের। তার প্রকাশ আর প্রচারই জীবনের আসল উদ্দেশ্য হতে পারে না।

     আমি জানি-তুইও জানিস- "LOVE IS THE PART OF LIFE, NOT HEART OF LIFE" (আমার ছাত্রজীবনের ডায়েরিতে লিখা থাকতো এটা!) অবশ্য তোরা নাও একমত হতে পারিস। তোরা একমত হয়ে গলা জড়াজড়ি করে আকাশে বাতাসে উড়িয়ে দেনা কাটলেট- বিরিয়ানি গন্ধ! ঝা চকচকে রেস্তোরাঁ বা রেস্টুরেন্ট- এর স্বাদ।

মোর কী? তোকে কী ভাবতেই হবে? করতেই হবে আর কিছু? না মানলেই বা কী এসে যায়?

      শুধু।

     প্রকৃতির যায় আসে।

কুইন্ট্যাল কুইন্ট্যাল অক্সিজেন বরবাদ হয়ে যাচ্ছে। কার্বনডাই অক্সাইড-এ ভর্তি হচ্ছে। জলের স্তর প্রায় শেষের মুখে। রেস্টুরেন্ট- থেকে ফিরে হাত-মুখ ধুতে ধুতে। স্নান করে করে ময়লা তুলতে তুলতে। সূর্য মামাও  ক্লান্ত। কে জানে কবে এরা ফ্রীতে আলো- বাতাস- জলকল না বন্ধ করে দেয়? জয় কাটলেট বাবা! জয় বিরিয়ানি কাকা! জয় রেস্টুরেন্ট চাচা! জয় হৃদয়হরণ সখা! সুখে থাক! চল গান শুনি--

"দিল তো পাগল হ্যা .. .

দিল দিবনা হ্যা.. ."   

    [ Dil To Paagal Hai

Dil Deewana Hai 

Dil To Paagal Hai

Dil Deewana Hai. .. 

Pehli Pehli Baar Milaata Hai Yehi

Seene Mein Phir Aag Lagaata Hai

Dheere Dheere Pyaar Sikhaata Hai Yehi

Hansata Hai Yehi Yehi Rulaata Hai

Dil To Paagal Hai

Dil Deewana Hai

Dil To Paagal Hai

Dil Deewana Hai. ..

#

  सारी सारी रात जगाता है

 यही अँखियों से नींद चुराता है 

सच्चे झूठे ख्वाब दिखाता है 

यही हँसाता है यही,

 यही रुलाता है 

दिल तो पागल है, 

दिल दीवाना है

 दिल तो पागल है, 

दिल दीवाना है 

#

इस दिल की बातों में जो आते हैं 

वो भी दीवाने हो जाते हैं 

मंज़िल तो राही ढूँढ लेते हैं 

रस्ते मगर खो जाते हैं 

दिल तो पागल है, 

दिल दीवाना है

 दिल तो पागल है, 

दिल दीवाना है... 

#

सूरत से मैं ना पहचानूँगी 

नाम से भी ना उसको जानूँगी

 देखूँगी कुछ ना मैं सोचूँगी 

दिल जो कहेगा वही मानूँगी

 दिल तो पागल है, 

दिल दीवाना है 

हाँ ये पागल है... 

#

দিল কা কহনা হাম সব মানে 

দিল না কিসী কী মানে 

জান দী হমনে জান গয়ে সব

এক বহী না জানে 

দিল তো পাগল হে 

 দিল দীবানা হে .. .

দিল তো পাগল হে. .. 

 দিল দীবানা হে. .. 


রহনে দো ছোড়ো যে কহানিযাঁ

দীবানেপন কী সব নিশানিযাঁ

লোগো কী সারী পরেশানিযাঁ

ইস দিল কী হে যে সারী মেহরবানিযাঁ

হো দিল তো পাগল হে .. 

 দিল দীবানা হে .. .

দিল তো পাগল হে .. 

 দিল দীবানা হে. ..

#

ساری ساری رات جگاتا ہیں یہی

انکھیوں سے نیند چراتا ہیں

دھیرے دھیرے پیار سکھاتا ہیں یہی

ہنستا ہیں یہی یہی رلاتا ہیں

دل تو پاگل ہیں دل دیوانا ہیں

دل تو پاگل ہیں دل دیوانا ہیں


دل تو پاگل ہیں دل دیوانا ہیں

دل تو پاگل ہیں دل دیوانا ہیں


پہلی پہلی بار ملاتا ہیں یہی

سینے میں پھر آگ لگاتا ہیں

دھیرے دھیرے پیار سکھاتا ہیں یہی

ہنستا ہیں یہی یہی رلاتا ہیں

دل تو پاگل ہیں دل دیوانا ہیں

دل تو پاگل ہیں دل دیوانا ہیں 


[ধারাবাহিক / পরবর্তী অংশ বিরতির পর]

Post a Comment

0 Comments