জ্বলদর্চি

বাগদি চরিত ( ঊনচত্বারিংশতি পর্ব )/ শ্রীজিৎ জানা

বাগদি চরিত ( ঊনচত্বারিংশতি পর্ব ) 

শ্রীজিৎ জানা

সেই থেকে বালি বিল সবার কাছে ভয়ের। সন্ধের পর ওদিকের মাঠে কেউ যেতে চায় না। ডোবরি বিল নদী বাঁধের কোলে। একটু লম্বাটে, আঁকাবাঁকা। কলমীঝাড়ে ডোবরির জল ঢাকা পড়ে থাকে। বরফের মতো ঠান্ডা এই বিলের জল। রোদ পোহাতে অনেক সময় কলমী লয়ের উপর জলঢোড়া শুয়ে থাকে। বেগুনী রঙের কলমী ফুল দিনমান খিলখিল করে হাসে। ডোবরি যেন আহ্লাদী মেয়ে। খুব তার সাজগোজ। খোঁপায় তার গোঁজা কলমীর ফুল। সেই গোছা গোছা ফুলে টলটল করছে মধু। ঝাঁক ঝাঁক মৌমাছি কলমীর মধু খেতে ভিড় করে ডোবরিতে। কিন্তু তারা তো কদিনের মাত্র মেহেমান। কালী মন্দিরের আটচালায় হঠাৎ একদিন কালসাবার বিলের ডাক হবে। রতন ঝাঁঝ বাজিয়ে গোটা গ্রামে ডাক দেবে।
— গেরাম বাসীদের জানানো যাচ্ছে,আজ সন্ধ্যায় মায়ের থানে আটচালায় বিল ডাকের একটি দেশ ষোল আনার  মিটিং ডাকা হচ্চে। ওই সভায সমস্ত গ্রামবাসীকে থাকার জন্য জানানো হচ্চে।
বলেই ঝন ঝন করে ঝাঁঝ বাজাবে। দেশ ষোলআনায় বিলের ডাক শেষ হলেই,পরের দিন থেকে ডেকা মাছ ধরার তোড়জোড় শুরু করবে। আর তখন থেকেই যেন ডোবরির মুখ থেকে হাসি উধাও হয়ে যায়। যদিও কালসবার মাঠের দূরের বিল আগে মারা হয়। সবার শেষে জল মারা হয় ডোবরির। তার আগে ধবাখালি,তারপর চাকরান। শেষে ডোবরির পালা।চাকরানকে বিল না বলে খাল বলাই ভাল। রোগা ঢ্যাঙাপারা একটা মাতাল যেভাবে টলতে টলতে হাটে। শেষে নেশার ঘোরে রাস্তার ধারে উল্টে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকে। চাকারানের হয়েছে সেইরকম দশা। ধবাখালি বিলের মুখ থেকে এসে ডোবরির কোলে মিশেছে। লোখা চাকরানের একটা ভালো উপমা দেয় তার ভগী খুড়ার কাছে। বলে,
— জান খুড়া,চাকরানের দশা বাপ মায়ে খ্যাদানা ছেনার মত! ধবাখালি লাঠি ধরে ত ডোবরির কাছে এসে আর ডোবরি খেদায় ত ধবাখালির কাছে ছুটে। কুথাও অর ঠাঁই নাই। 
— সিটা যা বলেচু,তুই। তবে ওই চাকরান ছিল বলেই বাঁদ গায়ের জমি গুলানে ফসল হয়ঠে। নাইলে কালসাবা ত এক ফসলি হোয়েই পড়ে থাকত।
আসলে ডোবরি বিলের জল পুরা মারা নিষেধ। তাবাদে নদীবাঁধের ধারে বলে জল কোথা দিয়ে ঠিক আধভরা হয়ে যায়। ভগী খুড়া বলে, 
— ইসব বিল বুড়ির দয়া। তরা বুজবিনি। দাদুর মুখে শুনতম ডোবরির তলায নাকি কুথাকার শীতলামায়ের ঘট আছে। বন্যার জলে মন্দির ভেসে গেইল। সেই মায়ের থানের পিতলের ঘট ডোবরিয়ে জীবদান পেইচে। মোদের মায়ের থানের বামুনকে ত স্বপ্ন দিইল। সেই থিকেই ত ওই বিলে মোদের গেরামের অনেকেই ঠাকুর বিসজ্জন করে। কুনু দিন কারো ক্ষতি হয়নি। তবে যেই বিল ডাকু,বিল মারার আগে ডোবরিয়ে বিল বুড়ির পূজা দিবেই দিবে।
চাকরানের গায়ে বেড়া কলমী ঝাড় বেঁধে থাকে। মোটা মোটা কলমীর ডাঁটা জট পাকিয়ে ঝাড় হয়ে ভেসে থাকে। বেড়া কলমী ঝাড়ের তলায় কাঁকড়া থাকে প্রচুর। বোষ্টমী ঘুসামাছও থাকে। ঢোলের মেইয়া বউড়িরা চাটনি জাল নিয়ে চাকরানে নামে। বিল ডাকার আগে বিলে নামতে বারণ নাই। চাকরানের জল আগেই কমে যায়। মেইয়াদের দল বেঁধে যাওয়াটি দেখতে বেশ লাগে। সবার কাপড়ের পাড় হাঁটু অব্দি তোলা থাকে। কারো কারো কোমরে বেচ দেওয়া থাকে গামছা। খোঁপার চুল ঝুটুন করে মাথার উপরে তোলা থাকে। কাঁধে ঝোলানো থাকে চাটনি জাল। জালের ভিতরের কোলে লকি -হাঁড়ি ঝুলতে থাকে। সবার হাঁড়ির গলায় একটা দড়ি বাঁধা থাকে।যখন জলে নামে তখন দড়ির অন্য খুঁটটা গোঁজা থাকে কোমরে। লকি ভাসতে থাকে জলে। বাগদি বউরা তাদের চাটনি জাল দিয়ে চাকরানের জলকে ঘোলা করে দেয়। কলমী ঝাড়ের তলায় জাল ঢুকিয়ে কাঁড়া বোষ্টমীঘুা ধরে।  গেঁড়ি গেঁড়াও কলমীর ডাঁটা কামড়ে বসে থাকে। চাটনি জাল দিয়ে ঝলা মারলেই সব জালে ওঠে। জাল থেকে বাগদি বউরা লকিতে রাখে। চাকরানের পাঁক গুলিয়ে মাছ ধরে ভেজা শাড়িতে দল টেঁধে বাড়ি মুখো হয়। গা- হাত পায়ে ঘোলাটে পাঁক জলের আস্তরন পড়ে। তাদের পাশ দিয়ে গেলে এক আঁচলা আঁশটে গন্ধ নাকে আসবেই।  চাকরচনে যত মাছরাঙা আর বকের ডেরা। বেড়াকলমঢর ডালে চুপটি করে বসে থাকবে। তাল বুঝলেই ধারালো ঠোঁটের ফলায় মাছ গেঁথে সানন্দে আবার বসবে কলমী ডালে। তখন তাদের সেকি উপাদেয় মৎস্য ভোজের আহ্লাদ! ধবাখালির সৌন্দর্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। যত রাজ্যের টোপর পানা জমা হয় ধবাখালি বিলে। খুব একটা গভীর নয় এই বিল। তবে আয়তনে বেশ বড়। টোপরপানা বিছানো ধবাখালি বিলকে সবুজ দ্বীপ বলে মনে হয়। আর যেই না নীলচে -সাদ ফুল ফুটতে লাগল তখন আর চোখ ফেরানো যাবে না। মনে হবে সত্যিই যেন টোপর পরে বর সেজেছে বিয়ের বাসরে যাবে বলে। ধবাখালির পাড় বেশ উঁচু। সেখানে শীতের মাঝামাঝি বসা যায়। ভগীখুড়া যায়। মাঝেমধ্যে লোখাও তার বাঁশিটা নিয়ে খুড়ার সঙ্গী হয়। সেই যে সূর্য পাটে বসল, নীলচে টোপর ফুলের গায়ে কালি পড়তে শুরু করল। তখনও নাকের কাছে ফুলের মৃদু সুবাস লুটোপুটি খাবে। মাঠের হিম বাতাস ফুলের নরম পাপড়ির গালে,হরিৎ পাতার গায়ে আদুরে স্পর্শ রেখে যাবে। অম্নি লোখা তার আড়বাঁশিতে ধরবে গান। 'এমন মানুষ পেলাম নারে যে আমায় ব্যাথা দিল না'। ভগীখুড়া চোখ বুজে শুনবে সেই গানের সুর। তারপর আরো কয়েকখানা গানের সুরে শীতের কালসাবাকে মনে হবে অন্য এক জগত। বিস্তীর্ন ফাঁকা মাঠ। একটু দূরে বাঁধের ওপিঠ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে রুখা ঋতুর শীর্ণ স্রোতের শিলাই। বাঁথের উপরে ছোট ছোট কুঁড়ে ঘরে বেমানান ইলেকট্রিক আলো যেন তাচ্ছিল্যের হাসি ছড়াচ্ছে।  শাঁখের আওয়াজ ভেসে আসছে ঢোলের উঁচু উঁচু ভিটেগুলো থেকে। কালি মন্দির থেকে ঝাঁঝ আর ঘন্টার শব্দ আসছে কিছুটা ক্ষীন স্বরে। মাঠ থেকে কেউ কেউ ফিরছে কাজ সেরে। তাদেরও কানে বাজে লোখার বাঁশির সুর। ভগীখুড়া চুপ থাকতে পারে না। লোখাকে মাঝখানে থামিয়ে দেয়। বলে-
— বইলু লখি,যতবার এই গানটা তুই ধরু, ভিতরটা কেমন যেন হাউ হাউ করে। জীবনে সুখ বলে কীইবা পেলম! তারচে কত লোকের কাছে কত যেন গঞ্জনা পেইচি,বোলে ফুরাবেনি। লোগ দেখানা ওই যে অত ভাব দেখায়ঠে, অকে বলে ঠাটের চিঁড়া কাঠের আদর। 
— তা তুমি ঠিকই বোলেছো গো খুড়া। মানুষ শালা স্যাঁকামোটি সাপ। দুপাশে মুখ। কুন মুখে কার সঙে কথা বলেঠে আর কাকে চটায়ঠে বুজা মুশকিল। তাবাদে পরকে কি বোলবো ঘরের বউকেই বুজতে পাল্লম নি এখন পজ্জন্ত!
— কাছের লোকই ত বেশি ছ্যাঁকা দেয় রে। পরের লোকের ছ্যাঁকাটা ছ্যাঁকা কুন্তু তার দাগ থাকেনি। আর নিজের লোকের ছ্যাঁকার পুড়া দাগ থেকে যায়রে মনে। উ দাগ মিটবার লয়।
—ইটা ত একশ ভাগ খাঁটি কথা,খুড়া। পয়জন ফুরি গেলে দুনিয়ায় কেউ কারো নয়। এই ত দেখনা কালসাবার বিলগুলানাে। যদ্দিন জল আছে, জলের নীচে মাছ গেঁড়ি ক্যাঙড়া আছে তদ্দিনই বিলের কত্ত খাতির। তারপর যেই জল শুকি গেল,ভুলেও মাড়াবেনি কেউ এদিকে।
—- লোকের কথা বোলুঠু কেনে রে,তুই- আমিও কী এসব। এই যে ফুলের এত বাহার দেখঠি বোসে,সময় এলো ইও শুকিয়ে বিলের গায়ে পড়ে থাকবে। সামনের কটালদের ভিটার মেইয়ারা ধান সিদ্দর জন্নে ঝড়ায় করে লিয়ে যাবে।
— ছোটবেলায় টকা পানার ফুলা পেটগুলানকে ফটকার মত ফাটাতম। ফট ফট করে ফাটত। এখনকার ছোট ছেনারা ইসব জানেনি। তা যা হউ খুড়া ইভাবেই ত কাটি দিতে হবে সময়টাকে। 
— তা দিতে হবেনি আবার। মনের ব্যথা মনের ভিতর চাপা হোয়েই থাকবে। নিজের স্ত্রী বল্ আর নিজের  বেটা- বউ বল্ কেউ বুজবেনি।
কথায় কথায় কালসাবার গায়ে আঁধারের কালো রঙ গাঢ় হয়। খুড়া - ভাইপো ঘরের দিকে হাঁটা দেয়।

জীবনের রঙের সঙ্গে কালসাবা মাঠের কত মিল খুঁজে পায় খগেন মাস্টার। এই তো ক'মাস আগেই মাঠময় জলের উথালপাতাল। কোথায় হারিয়ে গেল সেই ভরভরন্ত জলস্রোত। বাবুর খাল বেয়ে, কুমীরনালা বেয়ে শিলাইয়ে গর্ভে জমা জল ফুরিয়ে গেল নিমিষে। খাল বিল আর জলাজমির চেটোয় আচমন করার মতো সামান্য জল থেকে যাবে শেষ অব্দি। কালসাবা চোত- বোশেখে ঠা ঠা করবে জলের জন্য। জীবনেও তার এই ভরা সুখের জোয়ার তো পরক্ষণেই দুঃখের হাহাকার। তবে কালসাবার মাঠের মতো প্রচ্ছন্ন একটা শূন্যতা তার বুকের ভিতর রয়েই গেছে। নিদারুণ সেই শূন্যতার একাকীত্ব। তাকে বাইর থেকে দেখা যায় না,অনুভব করা যায়। খগেন মাস্টার লুকিয়ে রাখে নিজেকে। তার ভেতরের ভাঙন চোখে দেখা যায় না। কালসাবার মতো বারবার নিজের রূপ বদলে আড়াল করে রাখে একাকীত্বের যন্ত্রনাকে। এখন কালসবায় আনাজপাতি চাষের মরসুম। ভূই-শশা তার সবুজ ডগমগে লতা মাটির কোলে পরম আহ্লাদে মেলে ধরছে ফুল- পাতা। উচ্ছার মাদা কাটা হয়ে গেছে। চারা পুঁতা হয়ে গেছে জমি থেকে জল শুকাতেই। এখন নরস লতানো ডানা কঞ্চির আশ্রয়ে সূর্যের আলো মেখে উঠে দাঁড়াতে চাইছে। লঙ্কার চারা বসানো হয়ে গেছে সার সার সিতা কেটে। বাঁকে করে জল বইয়ে লঙ্কা উচ্ছায় দেওয়ার হিড়িক পড়েছে সারা মাঠে। ঢোলের মেইয়া -বউরা বিকেলে ধানের লাড়া ছিঁড়ে নিয়ে যায়। প্রায় সবার ভিটায় দুটা চারটা করে ধান সিদ্ধ করার দোপাকা তিনপাকা উনুন আছে। শুকনা ব্যানাগাছ,আর শুকানা লাড়ার জ্বালে ধান সিদ্ধ ভালো হয়। লোখার বউ এইসময় মাঠকে চিকনি শাক তুলতে যায়। চিকনি শাকে সিম,বেগিন আর গেঁড়ি দিয়ে রাঁধলে থালার ভাত নিমেষে কাবার। খগেন মাস্টার চিকনি শাক খুব পছন্দ করে। লোখার বউ ময়না এই সময়ে দু'বার ঠিক লোখাকে মনে করিয়ে দেবেই
—কি গ মেস্টারদাকে ইবারে কী ডাকবেনি?
— ক্যানে!  আবার কী হোল তোর?
— সত্যি তুমি ভুলা লোগ বঠে! পতি বচ্ছর অগঘান মাসে মোদের ঘরে মেস্টারকে ডেকে তুমি কী খাওয়াওনি? 
— ধূর্ শালা! লিকুচি করেছি যা মোের মনকে! এগবারে ভুলেই গেছি। কুন্তু সেদিন চিকনি শাগটা খেতে খেতে মোর মনে  হইছিল। মেস্টার চিগনি শাগ খেতে খুম ভাল পায়। মেরস্টার বলে কালসাবার চিগনি আর চাকরান বিলের গেঁড়ি যে না খেইচে সে ঢোলের বাগদিই নয়। কালকেই মেস্টারকে ডাকিঠি। তুই থাইলে শাগ আর গেঁড়ি তুলে আনবি।  
— তাই ডেকে দাও। সামনেই আবার পোষ সংকান্তি,তখন ত আর এগবার ডাকতেই হবে।
খগেন মাস্টার জানে লোখার ঘর থেকে তার নেমতন্ন এলো বলে। মাঠঘাটের শাকপাতার সঙ্গে মিশে আছে মাটির আদর। সবুজ শিরায় আছে মাতৃত্বের স্নেহরস। খগেন মাস্টার কালসাবা মাঠের আলে বসে চিন্তা করে মেঠো লতাপাতার ঔষধি গুন। একসময় এই মাঠঘাটের শাকপাতা তাদের পূর্বপুরুষদের খিদে মিটিয়েছে। শরীরে শক্তি দিয়েছে। প্রাণ রক্ষার জীবনদায়িনী ওষুধ দিয়েছে। খালবিলের মাছ-কাঁকড়া- গেঁড়বগুগলি অভূক্ত পেটে খাবার যুগিয়েছে। মাস্টার মনে মনে নত হয়। আর হেমন্তের বিকেলে কালসাবা মাঠে দাঁড়িয়ে বুক ভর্তি করে নিঃশ্বাস নেয়। আহারে হেমন্তের কালসাবা! একটা যেন বিশাল ক্যানভাস আর তাতে কত রঙের আচড়ে আঁকা ছবির সম্ভার। লাড়া ভরা মাঠ, আলেপথের দু'ধারে বেনাঘাসের ঝাড়, জলাজমিতে ভর্তি হগলা বন,কোথাও কোথাও আঁকড় আর টিবিফলের গাছ,ছিপছিপে জলে বকের পাল,খালেবিলে পানকৌড়িদের ডুব দেওয়ার ধূম,উঁচু শুকনো জমিগুলোতে চিকনিশাক আর বেথা শাকের চাটি, যত্রতত্র শুশনি আর কাঁটাকুলকা,বাঁধের পাশের জমিতে রকমারি শীতের আনাজ, আর চারদিকে সর্ষের ক্ষেত। এই সময় কালসাবার দিকে তাকালে চোখ ফেরানো যাবে না। বালতি বালতি বাসন্তী রঙ গুলে কারা যেন আহ্লাদে ছড়িয়ে দিয়ে গেছে সারা মাঠে। যেন গাঁয়ের কোন লাজুক মেয়ের গায়েহলুদের আসর বসেছে। গোধূলিবেলায় সব এয়োরা মেতেছে হলুদ খেলায়। কত আমোদ মাখা কালসাবার সর্ষে ক্ষেতের শোভা। আর নরম সর্ষেফুলের মাতাল করা গন্ধ।সেই সুবাস মনের ভিতরে পুলক ছড়িয়ে দেয়। খগেন মাস্টার বিভোর হয়ে চেয়ে থাকে অস্তমিত সূর্যের রঙে রাঙা সর্ষে ক্ষেতের দিকে।

Post a Comment

0 Comments