বার্লিনের ডায়েরি --৯পর্ব চিত্রা ভট্টাচার্য্য
নীল আকাশে উড়োমেঘ এসে মাঝে মাঝেই বেলা শেষের সোনালী রোদ্দুর কে আড়াল করছে ,এখোনো অনেকটা পথ পরিক্রমা বাকী | বার্লিনের মসৃণ পীচ ঢালা রাস্তায় সুন্দর সাজানো ফুটপাতের ওপর লম্বা লম্বা পা ফেলে ঋষভ হেঁটে চলেছে। পথের দুই পাশে অপূর্ব মনোরম দৃশ্য ,হাইওয়ের ওপর দিয়ে নতুন মডেলের বিলাসী গাড়ি গুলোর তীব্র গতিতে ছোটা দেখে, তিতির কে বলে,এই যে জার্মানির সর্বত্র হাইওয়ে গুলোয় আমরা প্রতিনিয়ত চলেছি--, এই গুরুত্বপূর্ণ রোড গুলোর প্রথম পরিকল্পনা করেছিলেন এডল্ফ হিটলার। তারপর ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশই হিটলারের এই হাইওয়ের প্ল্যান ফলো করে দেশের Road construction ও পরিবহণ ব্যাবস্থা সবিশেষ উন্নতি করেছিল। শেষে শ্রীময়ীর দিকে তাকিয়ে হেসে বলে, ইতিহাস ঠিক বললাম তো ? শ্রী অবাক হয়ে বলে তাই ! সত্যি জানতাম না। ডায়েরিতে নোট করলাম।
কিশোরী লেখিকা আনাফ্রাঙ্ক
আজ লিখতে বসে শ্রীময়ীর ধূসর ডায়েরির ছেঁড়া পাতায় কিছুটা আগে পড়ের ঘটনা একাকার হয়ে গেছে চোখে পড়লো। স্মৃতি হাতড়ে চলেছে সে ফেলে আসা বার্লিনের সেই দিন গুলোতে। মনে পড়ে অটো তে করে ওরা এসেছিল বার্লিনের ফ্লাক টাওয়ারে। ছোট্ট একটি পাহাড়ের মত টিলায়। ধীরে ধীরে ওপরে উঠেছিল । খুববেশী উঁচু নয় বলে কষ্ট হয় নি। এইটি এলাইড এয়ারফোর্সের আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য ১৯৪০ সালে হিটলারের নির্দেশে টাওয়ার টি গড়ে তোলার কারণ বিদেশী বিমান হামলা থেকে দেশকে সুরক্ষিত করা এবং শহরের জনসাধারণ কে বিপদে আশ্রয় দেওয়া। নাৎসি বাহিনীর ভারী ভারী বিমান ,বিধ্বংসী কামান এখানে সুরক্ষিত ছিল। এবং দশ হাজার মানুষ কে আশ্রয় দেওয়ার জন্য একটি হাসপাতাল ও সেই সময়ে এখানে গড়ে তুলেছিলো। ঋষভ অবাক হয়ে বলে সেদিনের এই নিরাপত্তা দানের বিধ্বংসী অস্ত্র গুলো আজ সবই নীরব দর্শনীয় বস্তুর মত এখন এখানে শোভিত হচ্ছে।
তিনজনে কথায় গল্পে তর্কে মত্ত হয়ে বার্লিনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র দর্শনীয় স্থান আলেকজান্ডার প্ল্যাৎস এর কাছে পৌঁছলো। অদ্রিজার এতো অদম্য উৎসাহ যে কোথাও থামবার উপায় নেই। বলে এখানকার অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ন দর্শনীয় বস্তু যদি না দেখো তাহলে বার্লিন দেখা অসম্পূর্ন থাকবে। শ্রীময়ী অত্যন্ত কৌতূহলী হয়ে সকল স্থাপত্য নিদর্শন গুলোর দিকে তাকিয়ে বলে এই স্থাপত্য গুলো সব রাশিয়ান সময়ের গড়া তাই মূল বার্লিন ধারা থেকে একটু ব্যতিক্রমি লাগছে।
🍂
আরও পড়ুন 👇
১৮০৫ সালে রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডারের বার্লিন ভ্রমণের স্মৃতি অনুসারে এর নাম আলেকজান্ডার প্লাতস। শহরের প্রধান সাবওয়ে স্টেশন গুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা ব্যস্ততম স্টেশন। অদ্রিজা একটু দূরে বার্লিনের টেলিভিশন টাওয়ার টি কে দেখিয়ে বলে ,ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার গুলোর মধ্যে অন্যতম এবং সর্বাপেক্ষা উঁচু স্থাপত্য যা প্রায় ৩৬৫ মিটার লম্বা এবং শহরের সর্বকোণ থেকেই একে দেখা যায়। বন্ধু আলেক্সেই ও রোজিনার কাছে শুনেছে কোনো রৌদ্রোজ্জ্বল আলোকিত দিনে টাওয়ার থেকে এ শহরের দৃশ্যাবলী ৪০ কিমি দূর পর্যন্ত খুব স্পষ্ট দেখা যায়। শ্রীর অদ্ভুত লাগে ,এ বিশাল শহর টি সর্বত্র সজ্জিত নানা ছোট বড়ো মাপের গম্বুজ টাওয়ার আর যুদ্ধপ্রিয় ইউরোপীয়ান জাতির রাজাধিরাজেরা কোথাও সৈনিক বেশে অশ্বারোহী ,কোথাও বা বল্লম হাতে শত্রু নিধনে ব্যস্ত।
বার্লিন টাওয়ার
সামনেই লাল ইটের তৈরী বার্লিনের নগর ভবন বা রাজভবন রোটেস রাথাউস (rotes rathaus) একটি অসাধারণ স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন। বার্লিনের রাজভবনের বিরাট চত্বরে শ্রী একাকী পায়চারী করতেই অদ্রিজা এক গাল হাসি নিয়ে দৌড়ে এসে বলে টাওয়ারে উঠলে দারুণ হতো, সুন্দর এক দৃশ্য দেখতে পাওয়া যেত ঠিক যেন পাহাড়ের গায়ে তুলি দিয়ে আঁকা ছবির মত। শ্রী বলে ,এখান থেকেই মিউজিয়াম আইল্যান্ড এর বিখ্যাত বার্লিন ক্যাথেড্রাল আর জাদুঘর গুলোর সামনে চলে যাওয়া যায়। অপরূপ কারুকার্য মন্ডিত গ্রীক শিল্প কলার অনবদ্য নিদর্শন। যা সারাদিন ধরে দেখে ও যে দেখার শেষ হয় না। চলো এবার মিউজিয়াম দেখতে যাবো।
১২৪৪ সালে গড়ে ওঠা মিউজিয়াম আইল্যান্ডে বিশ্বের সেরা জাদুঘর গুলোর কয়েক টিকে এখানেই দেখে শ্রীময়ী উৎসুক চোখে খুঁজে বেড়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম সর্ব কনিষ্ঠা ডায়েরি লেখিকা ' আনাফ্রাঙ্ক মিউজিয়াম' টি। এবং খুব সামনেই দেওয়াল চিত্র দেখতে পেয়ে তাঁর অমর স্মৃতি বিজড়িত অনেক ঐতিহাসিক আলোকচিত্র ও জীবনী সম্পর্কিত অনেক নতুন তথ্যের কথা জেনে বেশ কিছুটা সময় স্তব্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসাত্মক ছবি গুলো দেখে চোখে জল আসে।এখানে গিজগিজে মানুষের ভীড়।ওরা মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে একটা পরিত্যক্ত চার্চের সিঁড়িতে কিছুটা সময় পথ চলার ক্লান্তি দূর করতে বসে পরে।অদ্রিজা বলে ' আনাফ্রাঙ্ক ' নাম টা বহু চর্চিত হলেও , বিশেষ কিছু জানিনা, এর সাথে জড়িত ইতিহাস যদি তুমি বলো ।
অনেক আগে আনার ডায়েরি শ্রী পড়েছিলো। তখন যেমন করে গায়ে কাঁটা দিয়েছিল , আজ ও একই রকম মন খারাপ ওকে স্পর্শ করছে । আনাফ্রাঙ্ক হচ্ছে হলোকস্টের শিকার সবচেয়ে বেশী আলোচিত ও বিখ্যাত ইহুদি ব্যক্তি। হলোকস্ট হলো দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি পার্টির পরিচালনায় ইউরোপের ইহুদি ধর্মালম্বী জন গোষ্ঠীর ওপর নির্বিচারে গণ হত্যা। আনাফ্রাঙ্ক ওর ১৩ তম জন্মদিনে উপহার স্বরূপ যে ডায়েরিটি পেয়েছিল বন্দী জীবনের মর্মন্তদ বীভৎস অত্যাচারের ঘটনায় তার রোজকার দিনলিপি ওলন্দাজ ভাষায় ভরে তুলেছিল প্রতিটি পাতায় পাতায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষা পটে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা কনিষ্ঠাতম লেখিকার মর্মস্পর্শী এই লেখনী ''আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি '' ওঁর বেদনা দায়ক রক্তাক্ত দিন যাপনের ঐতিহাসিক দর্পন বিশ্বের প্রায় ৭০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। শ্রীময়ী বলে অনেক আগে যখন পড়ে ছিলাম গায়ে যেমন কাঁটা দিত ,আজ ও একই মন খারাপ আমাকে স্পর্শ করছে। সেই তেরো বছরের কিশোরী মেয়েটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলা কালীন জার্মান অধিকৃত নেদারল্যান্ডসের বাস ভূমিতে প্রতিদিনের ঘটনার বর্ণনা যথেষ্ট নিখুঁত ভাবে কালের স্মারক হিসেবে লিখে রেখেছে। সে ডায়েরি তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৫২সালে আন্তর্জাতিক ভাবে প্রথম বারের মত ইংরেজিতে অনুদিত হয় ''দা ডায়েরি অফ এ ইয়ং গার্ল।' বাংলায় এটি প্রকাশিত হয় ' আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি 'নামে।যেখানে আনার জীবনের ১২জুন ১৯৪২ থেকে ১লা আগস্ট ১৯৪৪সাল পর্যন্ত সময়ের ঘটনা গুলো নিখুঁত ভাবে বর্ণনা করেছেন। তিতির ঋষভ মন্ত্র মুগ্ধ শ্রোতা --আনাফ্রাঙ্কের কাহিনী তে ওরা ডুবে গিয়েছে ।
আনার জন্ম ১৯২৯ সালে ১২ই জুন ভাইমার জার্মানীর ফ্রাঙ্কফ্রুটে আম মাইন শহরে হলেও তাঁর জীবনের বেশীর ভাগ সময় কেটেছে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে। জাতীয়তায় ১৯৪১সাল পর্যন্ত ওরা ছিলো একজন উদার জার্মান পরিবারের সদস্যা। খুব ছোট্ট বয়স থেকেই বই পড়তে ভালবাসতো ছোট্ট মেয়টি । নাৎসি জার্মানির সেমেটিক বিদ্বেষী নীতির কারণে ওরা জার্মান নাগরিকত্ব হারিয়ে ছিলো । ১৯৩৩সালে ফ্রাঙ্কের পরিবার আমস্টারডামে চলে যায় এবং সেই সময়েই নাৎসিবাহিনী জার্মানির ক্ষমতায় আসে। ১৯৪০ সালে নাৎসিরা আমস্টারডাম দখলের কারণে সেখানে আনা ও তার বোন সহ সমস্ত পরিবার কে গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয়। ১৯৪২সালে হিটলারের এই বাহিনীর পৃথিবী থেকে ইহুদি নির্মূল করার যজ্ঞে অকথ্য অত্যাচার উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছিল। সেই সময়ে আনার বাবা অটোফ্রাঙ্ক নিজের কর্মস্থলের একটি ছোট গুপ্ত কক্ষে বইয়ের আলমারির পিছনে প্রায় আড়াই বছর সমস্ত পরিবা রের সদস্য সমেত তার দুই মেয়ে আনা ও মার্গট কে লুকিয়ে রাখেন। এবং বহুকষ্টে ঐ ছোট্ট ঘরে তাদের দিন যাপন করতে হয়। কিন্তু বেশীদিন সেখানে লুকিয়ে থাকা সম্ভব হলো না।কোনো অর্থ লোলুপ বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতায় তারা ধরা পড়েন এবং তাদের কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
শ্রী বলে,আনার ডায়েরিতে পড়েছি ওই ছোট্ট কুঠুরিতে কোনো শৌচালয় ছিল না। সারাদিন কোনো প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়াও সম্ভব হতো না কারণ নীচের তালার কর্মরত লোকেরা টয়লেটের পাইপের জল পড়ার আওয়াজে টের পেয়ে যাবে যে ওপর তলায় মানুষ বসবাস করছে। ঘরের কোণে এক বালতি রাখা থাকতো সেখানেই চলতো মল মূত্র ত্যাগ। ভাবতে পারিস তিতির কী দুর্বিষহ অসহনীয় জীবন ছিল ? আনা লিখেছে নাৎসি দের হাতে ধরা পড়ার পর এই ক্যাম্প গুলোর আরো বীভৎস অত্যাচারের কাহিনী। কেমন করে শারীরিক দূর্বল অসমর্থ দের গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে মেরে ফেলা হতো।
মিউজিওয়ামে সুরক্ষিত ভাস্কর্য
নাৎসি বাহিনীর হাতে ওরা ধরা পড়লে আনা ও তার বোন মার্গট ফ্রাঙ্ক কে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে বার্গেন বেলজান কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে সেখানে তাদের ওপর নৃশংস ভাবে যৌন অত্যাচার ,শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। দুইবেলা আহারের রুটি তো দূরের কথা প্রচন্ড ঠান্ডায় তারা একটা কম্বল ও গায়ে দেবার জন্য পেতোনা। এবং ১৯৪৫সালে প্রবল শীতে টাইফাস রোগে আক্রান্ত হয়ে দুজনেই মৃত্যুবরণ করে। দুই বোনের মর্মান্তিক জীবন যন্ত্রণার রক্তাক্ত কাহিনী প্রতিটি পাতায় নাবালিকা কিশোরী মেয়েটি জানিয়ে গিয়েছে যে কাহিনী তা শুধুই অস্ত্র দিয়ে প্রাণ সংহার নয় ,তার সাথে বর্নিত হয়েছে ভয়ঙ্কর মর্মস্পর্শী সব ঘটনা মানব মানবীর অবমাননা,মনুষত্বের নির্লজ্জ্ অপমান। যুদ্ধশেষে আনাফ্রাঙ্কের পরিবারে একমাত্র বেঁচে থাকা ব্যক্তি তাদের বাবা অটোফ্রাঙ্ক আমস্টারডামে ফিরে আসেন এবং আনার ডায়েরিটি খুঁজে বার করেন। তার প্রচেষ্টাতেই ১৯৪৭ সালে আনার দিনলিপি প্রকাশিত হয়। এবং এটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হওয়ার ফলে সমস্ত পৃথিবীতে এই অত্যাচারের ঘটনা ছড়িয়ে পরে ।
বেলা শেষের ঘোলাটে আকাশ ,বিষণ্ণতায় ভরে গিয়েছে আশেপাশের চারদিক। মনে হচ্ছে ছোট্ট মেয়েদুটি যেন ইতিহাসের পাথর চাপা কবর থেকে বেরিয়ে এসে বলছে যতদিন বিশ্বজুড়ে এমনি যুদ্ধ ,নিধন যজ্ঞ চলবে আনাদের কাহিনীও চলবে। এ যে ভোগবাদ সমাজের চিরন্তন দৃশ্য। এ গল্পের যবনিকা নেই তা পৃথিবী যতই সভ্য যতই উন্নতির শিখরে উঠুক না কেন। অজস্র মূল্যবান তথ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন ,অঙ্কন চিত্রে সংগ্রহশালা গুলো বেশ সমৃদ্ধ শালী। দিনের পর দিন সকাল থেকে বিকেল কেটে যাবে তবু এ দেখা শেষ হবে না। সব মিউজিয়াম গুলো একদিনে সময়ের অভাবে ঘুরে দেখা সম্ভব হয়নি। কল্পনার চোখে কেবল ই ভেসে উঠছে কত রকম রক্ত ক্ষয়ী সংগ্রামের বিষাদ ঘন মুহূর্তের ছবি।
এবার দিনের শেষে আজকের ঘরে ফেরার পালা ! সারা দিনের ঘোরাঘুরিতে শীতের হাওয়াও প্রবল বেগে বইতে শুরু করেছে। পথ শ্রমে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছি , এখানে খুব দ্রূত ধরণীর বুক জুড়ে ঘোর অন্ধকার নেমে এলো। বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই দেখলাম যত দূর দেখা যায় শহরের সব বিশেষ স্থান পর্যটন কেন্দ্র গুলো ধীরে ধীরে আলোক মালায় সেজে উঠলো। মায়াবী আলোয় ভাসছে চারিদিক। অদ্রিজা বলে এখন এখানে চলছে আলোর উৎসব। ফেস্টিভাল অফ লাইটস। তাইতো রাতের রানী বার্লিনের এতো মোহময়ী সাজ। ক্রমশঃ
0 Comments