পশ্চিমবঙ্গের লৌকিক উৎসব, পর্ব -- ১০৩
দণ্ডমহোৎসব
ভাস্করব্রত পতি
কৃষ্ণদাস থেকে শ্যামানন্দে পরিবর্তন হওয়ার পর শ্যামানন্দের কপালে শ্রীরাধার নূপুরের চিহ্ন তিলক আকারে দেখা যায়। স্বভাবতই তিনি পূর্বের তিলক ধারণ এবং ভজন ও সাধন ছেড়ে অন্যভাবে থাকতে শুরু করেন। যথারীতি এ সংবাদ পৌঁছে গেল গুরু হৃদয়ানন্দ ঠাকুরের কাছে। তিনি তখন ভয়ানক রুষ্ট হয়ে শ্যামানন্দকে শাস্তিদানের ইচ্ছা করলেন। হৃদয়ানন্দ ঠাকুর তখন শ্যামানন্দের কাছে তাঁর এই সাধন ভজন পদ্ধতির পরিবর্তনের কারণ জানতে চাইলেন। কিন্তু শ্যামানন্দের বর্ণনা অবশ্য হৃদয়ানন্দের পছন্দ হয়নি। তিনি তখন রেগে গিয়ে নরুন দিয়ে শ্যামানন্দের কপালের তিলক মুছিয়ে দিতে চাইলেন। যথারীতি তিনি সফল হলেন না। সেদিন রাতেই হৃদয়ানন্দ ঠাকুর স্বপ্নে দেখতে পেলেন যে স্বয়ং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু রক্তাক্ত কপালে তাঁর শিয়রে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তা দেখে হৃদয়ানন্দ খুব ভয় পেলেন। ভয়ার্তভাবে তিনি মহাপ্রভুর কাছে এ ঘটনা কিভাবে ঘটল জানতে চাইলেন। মহাপ্রভু বললেন, হৃদয়ানন্দের জন্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য সেইই দায়ী। আসলে হৃদয়ানন্দ তাঁর প্রিয় শিষ্য শ্যামানন্দকে নরুন দিয়ে আঘাত করে পক্ষান্তরে শ্রীচৈতন্যকেই আঘাত করেছেন। তখন হৃদয়ানন্দ নিজের অপরিণামদর্শীতার কথা কল্পনা করলেন। নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করলেন। তৎক্ষণাৎ মহাপ্রভুর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাইলেন। তখন শ্রীমহাপ্রভু তাঁর অপরাধের দণ্ডস্বরূপ ১২ দিন ব্যাপী মহোৎসব করার আদেশ দিয়ে এই পাপস্খলনের সুযোগ করে দিলেন। আর এইভাবেই সৃষ্টি হল দণ্ডমহোৎসবের উৎপত্তি।
অন্য একটি কাহিনীর কথা শোনা যায় দণ্ডমহোৎসব সৃষ্টির পেছনে। একদিন শ্যামানন্দ ভাবের ঘোরে মন্দিরে ছুটে যাচ্ছিলেন। সেসময় মন্দিরের সিঁড়িতে পড়ে যান। তাঁর কপালে একটা নূপুরের মতো স্থায়ী ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়ে যায়। এদিকে কালনায় হৃদয়চৈতন্যের কাছে ভুয়ো খবর চলে যায় যে, শ্যামানন্দ তাঁর দীক্ষাগুরু পরিবর্তন করেছেন। তিনি জীব গোস্বামীর কাছে দীক্ষা গ্রহণ করে নবতিলক ধারণ করেছেন। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী এই গুরু পরিবর্তন করা যায় না। যা নাকি অমার্জনীয় অপরাধ। খবর শুনে হৃদয়চৈতন্য বৃন্দাবনে এলেন। বৈষ্ণবদের সভায় শ্যামানন্দের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলেন না। তখন বৃন্দাবনের বৈষ্ণব সমাজ কুপিত হলেন। উল্টে তাঁকেই শাস্তি হিসেবে চব্বিশ প্রহরব্যাপী অখণ্ড হরিনাম সংকীর্তন ও সহস্র ভক্তকে ভোজন করানোর দণ্ড প্রদান করেন। শ্যামানন্দ গুরুকে শ্রদ্ধা করতেন। তিনি দেখলেন তাঁর গুরুকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই দণ্ড তিনি নিজের মাথায় তুলে নিলেন। পাড়ায় পাড়ায় ভিক্ষা করে ভিক্ষান্ন সংগ্রহ করলেন তিনি। সেই সংগৃহীত ভিক্ষান্ন দিয়ে চব্বিশ প্রহর ধরে অখণ্ড হরিনাম করলেন এবং সহস্র বৈষ্ণবকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভোজন করালেন। এভাবেই পালিত হল দণ্ড পালন। আর দণ্ড পালনের এই উৎসব পরিচিত হয়ে উঠলো দণ্ড মহোৎসব নামে।
আরও একটি কাহিনী অবশ্য অন্য কথা বলে। সাধক শ্যামানন্দ বৃন্দাবনে গিয়ে নরোত্তম ঠাকুর ও শ্রীনিবাস আচার্যের সঙ্গে জীব গোস্বামীর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করছিলেন। সেসময় তিনি স্বপ্নের মাধ্যমে শ্রীরাধার নূপুর কুড়িয়ে পান। তখন তিনি শ্রীরাধাকে কুড়িয়ে পাওয়া নূপুরটি ফেরৎ দিতে গেলে শ্রীরাধা নুপুরটি তাঁর কপালে ছুঁইয়ে দেন। ছুঁইয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কপালের ঐ স্থানে একটি স্থায়ী ছাপ তৈরি হয়ে যায়। যা দেখতে অবিকল ঐ নুপুর এর মতো।
যাইহোক, প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সাধক শ্যামানন্দের প্রতিষ্ঠিত গোপীবল্লভপুরের রাধাগোবিন্দ মন্দিরে মহা উৎসাহে অনুষ্ঠিত হয় এই দণ্ড মহোৎসব। জ্যৈষ্ঠ মাসে স্নান পূর্ণিমার পরের প্রতিপদ তিথি থেকে গোবিন্দ জীউর মন্দির সংলগ্ন মাঠে ১২ দিনের এই মহোৎসব পালিত হয়ে আসছে। বৈষ্ণব ধর্মের অন্যতম আচার্য শ্রীশ্যামানন্দ (১৫৩৪-১৬৩০) ও তাঁর প্রধান শিষ্য শ্রীরসিকানন্দের (১৫৯০-১৬৫২) চেষ্টায় বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম মহকুমার শ্রীপাট গোপীবল্লভপুরে 'দণ্ড' মহোৎসব শুরু হয়েছিল আজ থেকে ৪০০ বছর আগে। এই দণ্ডমহোৎসব বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সম্পূর্ণ নিজস্ব উৎসব। কিন্তু ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে রাধাগোবিন্দ মন্দিরের গাদীশ্বর মহান্তদের উদ্যোগে এই দণ্ডমহোৎসব আজ অন্যতম লৌকিক উৎসব থেকে গণমহোৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে বলা যায়। এই শ্রীপাট গোপীবল্লভপুরই হল শ্যামানন্দ গোষ্ঠীর একমাত্র শ্রীপাট।
এই সাধক শ্যামানন্দ কিন্তু মেদিনীপুরের মানুষ। খড়গপুর শহরের উত্তর পশ্চিমে কলাইকুণ্ডার কাছে ধারেন্দা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন কৃষ্ণ মণ্ডল এবং মাতা ছিলেন দুরিকা। এই দুরিকার অনেকগুলি ছেলে মেয়ে খুব কম বয়সে মারা যায়। ফলে নবজাতক শ্যামানন্দের নাম রাখা হয়েছিল 'দুঃখী'। শ্যামানন্দ এক সাধারণ সদগোপ বংশে জন্মগ্রহণ করেও সংস্কৃত এবং অন্যান্য বিদ্যা শিক্ষা করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। সদগোপ বংশীয় দুঃখীর হৃদয়ে ভক্তিভাবের উদয় হয়। ভক্তিভাবের প্রাবল্যে তিনি বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে অম্বিকা কালনায় এলেন। সেখানে হৃদয়ানন্দ ঠাকুরের কাছে বৈষ্ণব মন্ত্রে দীক্ষা গ্রহণ করলেন। নাম পরিবর্তন করে 'দুঃখী' থেকে হয়ে উঠলেন 'কৃষ্ণদাস'। এরপর গুরুদেব হৃদয়ানন্দ ঠাকুরের নির্দেশে বৈষ্ণব শাস্ত্রে সম্যক জ্ঞানার্জনের জন্য শ্রীধাম বৃন্দাবনে চলে যান। সেখানে পেয়ে যান শ্রীজীব গোস্বামীকে। তাঁর কাছে শাস্ত্র শিক্ষা লাভ করেন। এদিকে কৃষ্ণদাসের হৃদয়ে প্রগাঢ় ভক্তিভাবের রস উথলে ওঠে। জারিত হয়ে ওঠেন প্রবল ভক্তিভাবের জারকরসে। তা দেখে শ্রীজীব গোস্বামী খুব আপ্লুত এবং আনন্দিত হয়ে ওঠেন কৃষ্ণদাসের ওপর। এদিকে কৃষ্ণদাস শ্রীরাধাকে স্বপ্নে দেখতে শুরু করেন। স্বপ্নেই শ্রীরাধা নাকি তাঁর নতুন নামকরণ করেন -- 'শ্যামানন্দ'। আবার কারও কারও মতে, শ্রীজীব গোস্বামী তাঁর এই নতুন নামকরণ করেছিলেন।
শ্রীপাট গোপীবল্লভপুরের এই দণ্ডমহোৎসব আজ আর কেবলমাত্র স্থানীয় মহোৎসব হিসেবে পরিচিত নয়। এটি এখন স্থানীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের উদ্যোগে পরিচালিত হলেও অবিভক্ত মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া থেকে ওড়িশার পুরী, বালেশ্বর, জলেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ অঞ্চল থেকেও রাশি রাশি বৈষ্ণব ভক্তগণ এসে যোগদান করেন। দণ্ডমহোৎসব অনুষ্ঠানে গোপীবল্লভজিউর মন্দিরে সারাদিন ধরে চলে হরিনাম সংকীর্তন সহ বিভিন্ন বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ। বর্তমানে এই মেলা পরিচালনা করার জন্য গাদীশ্বর মহান্ত মহারাজার নেতৃত্বে সর্বসাধারণের কমিটি গঠিত হয়েছে। সেইসাথে এলাকার ধনী ব্যক্তি এবং শিষ্যদের দানে এই উৎসব চলে। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে একান্ত নিজস্ব উৎসব।
ড. মধুপ দে লিখেছেন, "শ্যামানন্দের প্রিয় শিষ্য রসিকানন্দ গুরুর দণ্ডমহোৎসব নিজে গ্রহণ করেছিলেন। সেই উৎসব বংশ পরম্পরায় গোপীবল্লভপুরে মহান্ত মহারাজারা উদযাপন করে চলেছেন। এই উৎসব কেবল মাত্র মন্দিরের গাদীশ্বর গোস্বামী, রাধাগোবিন্দের পূজারী, আর নিষ্ঠাবান বৈষ্ণবদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, সপ্তদশ শতাব্দীতে ১৬৩০ সালের মধ্যে শ্যামানন্দ এবং রসিকানন্দ যে দুর্জয় সাহসে সুবর্ণরেখার তীরে কাশ ঝোপে ঢাকা কাশীপুর নামক স্থানে গোপীবল্লভ রায়ের বিগ্রহ স্থাপন করেছিলেন, যেভাবে শিব, মানকা, বড়াম, রঙ্কিণী, সাতভৌনি, দুয়ারসিনি, কুন্দরাসিনিদের নিরামিষাশীতে পরিণত করে মন্দিরের প্রাচীরের বাইরে থাকতে বাধ্য করেছিলেন, যারা তাঁর কথা শোনেনি তাঁদের বাধ্য করেছেন দূরে কোন গ্রামে সরে যেতে। বর্গী হাঙ্গামার সময়ে মারাঠারা সর্বত্র লুঠতরাজ চালালেও কখনো এই মন্দিরে ঢুকে লুঠ করার চেষ্টা করেনি। যেখানে আদিবাসীরা দামোদর যাত্রার সময়ে 'ঠাকুরবাড়ির গঙ্গা সিনান বল হরি--হরিবোল' ধ্বনি দেয়, সেখানে মন্দিরের মহোৎসব তো এলাকার সামাজিক উৎসবে পরিণত হবেই। ধর্মীয় মেলা হলেও এই মেলার সামাজিক ঐতিহাসিক তাৎপর্য অপরিসীম"।
গবেষক রোহিনীনাথ মঙ্গল উল্লেখ করেছেন বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের কাছে গোপীবল্লভপুরের জনপ্রিয়তা এবং শ্রদ্ধাভক্তির পীঠস্থান হয়ে ওঠার কাহিনী। তিনি লিখেছেন, "দীর্ঘদিন পর প্রভু শ্যামানন্দ এবার বৃন্দাবন থেকে ফিরে কাশীপুরে প্রিয় শিষ্য রসিকানন্দের কাছে এলেন। গোবিন্দ জিউয়ের মূর্তি দেখে তাঁর কৃষ্ণনিষ্ঠ চিত্ত ভাবসাগরে আন্দোলিত হল। বিগ্রহের নতুন নামকরণ করলেন গোপীবল্লভ রায়। এই নামের সূত্র ধরে কাশীপুরের নাম পরিবর্তিত হয়ে হল গোপীবল্লভপুর। ভগবান জগন্নাথদেবের স্বপ্নাদেশ পেয়ে ও শ্যামানন্দের সমর্থনে রসিকানন্দ গোপীবল্লভপুরে গোবিন্দ জিউ নামে আরও একটি নতুন কৃষ্ণবিগ্রহ স্থাপন করলেন।
প্রায় একই সময়ে ওড়িশার ভঞ্জরাজার রত্নভাণ্ডারে প্রাপ্ত রাধারানির সঙ্গে গোপীবল্লভপুরের গোবিন্দ জিউ এর বিয়ে দেওয়ার দৈব নির্দেশ পেয়ে ধন্য হলেন ভঞ্জরাজ। উভয় পক্ষের সাগ্রহ ও সভক্তি সমর্থনে খড়িয়াশোল গ্রামে গোবিন্দ জিউ ও রাধারানির শুভ দৈব বিবাহ সম্পন্ন হল। আবার জগন্নাথদেবের আজ্ঞায় রসিকানন্দ তৈরি করালেন আরও একটি কৃষ্ণ বিগ্রহ। গুরু শ্যামানন্দ বিগ্রহের নাম দিলেন বৃন্দাবনচন্দ্র। প্রভু শ্যামানন্দের অভিলাষে বৃন্দাবনচন্দ্র জিউয়ের প্রতিষ্ঠা হল শ্যামসুন্দরপুরে। শ্যামানন্দ শ্রীপাট গোপীবল্লভপুরকে 'দ্বিতীয় বৃন্দাবন' বলে ঘোষণা করলেন। গোপীবল্লভপুর হয়ে উঠল দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার কিয়দংশ ও ঝাড়খণ্ডের অধিবাসীদের কাছে বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের প্রাণকেন্দ্র।
প্রয়াণকাল আসন্ন বুঝতে পেরে ১৬৩০ খ্রিস্টাব্দে প্রভু শ্যামানন্দ গোপীবল্লভপুর ও আশপাশ এলাকার শিষ্যবর্গকে, বিশেষ করে, রসিকানন্দ ও ইচ্ছাদেবীকে আন্তরিক আশীর্বাদ জানালেন। রসিকানন্দকে প্রিয় শিষ্য শ্যামানন্দপ্রভু নিজের আরব্ধ কর্মসম্পূর্ণ করার যাবতীয় দায়ভার অর্পণ করলেন। তিনি রসিকানন্দকে শ্যামানন্দ গোষ্ঠীর আচার্য পদে অভিষিক্ত করে রসিকানন্দ দেবগোস্বামী আখ্যায় আখ্যায়িত করলেন। গুরুদেব তিরোধানের পর রসিকানন্দ দেবগোস্বামী হলেন শ্রীপাট গোপীবল্লভপুরের মহান্ত"।
বর্তমানে এই দণ্ডমহোৎসব পালনের দায়িত্বে রয়েছেন গোপীবল্লভপুরের দেব গোস্বামী পরিবার। যা কিনা শ্রীশ্রীশ্যামানন্দের নামানুসারে নামকরণ হয়েছে। এই বৈষ্ণব ভক্ত পরিবারের প্রত্যেকেরই নামের সঙ্গে 'নন্দন + আনন্দ = নন্দনানন্দ' শব্দটি যুক্ত হয়েছে। ১২ দিন ধরে অনুষ্ঠান শেষে ১৩ দিনের দিন এখানে পালিত হয় কাকমহোৎসব। আসলে ১২ দিন ধরে বৈষ্ণব ভক্তদের উৎসব চলাকালীন এলাকার কাক সহ বাকি পাখপাখালির খাওয়ার জোটেনা ভালো করে। তাই ১৩ তম দিনে বৈষ্ণব ভক্তগণ যেসব খাবার উদ্বৃত্ত হয়, সেগুলো এখানকার কাক ও অন্যান্য পাখিদের জন্য ছড়িয়ে দেন। ড. মধুপ দে এই উৎসবের নাম দিয়েছেন 'কাকমহোৎসব'।
0 Comments