জ্বলদর্চি

কবি ও কথাসাহিত্যিক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সাক্ষাৎকার নিলেন/কেশব মেট্যা

কবি ও কথাসাহিত্যিক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়
সাক্ষাৎকার নিলেন কেশব মেট্যা


কেশব মেট্যা : আপনার কাব্যগ্রন্থের সংখ্যার চেয়ে উপন্যাসের সংখ্যা বেশি; তবু আপনার নামের আগে ‘কবি’ শব্দটি বেশি উচ্চারিত হয়!

বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় : আমি তো কবিতা দিয়েই শুরু করেছিলাম, আর এখনও তো আমি কবিতা লিখি। যদিও কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ষোলো, আর উপন্যাস পঁচিশটির মতো। উপন্যাস যেমন বসলে লেখা যায়, মানে বসলাম - চেষ্টা করলাম - লিখলাম ; কিন্তু কবিতাটা আসে। সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আর কবিতার জন্য অপেক্ষা করতে আমার ভালো লাগে।

কেশব : কবি বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে কবিতা লেখেন না; মাথায় লেখেন। লেখা সকলের মাথাতেই আসে। কিন্তু আপনি নাকি একসাথে অনেক কবিতা মাথায় লিখে রাখেন! এটা কি ম্যাজিক! 

বিনায়ক : (একটু হেসে) না, না ম্যাজিক কিছু নয়।‌ সাধারণ মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে যে ছেলেটি বেড়ে ওঠে, সে খাতা কলম নিয়ে কবিতা লিখতে বসছে দেখলেই একটা আতঙ্ক হয় বাড়ির লোকদের। হয়তো তাঁরা ভাবতেন ছেলের সর্বনাশ হবে। তাই আমার ওই মাথায় মাথায় লেখার অভ্যাস হয়। তারপর মাথায় তিনটে চারটে জমা হলে লিখতাম। সেই অভ্যাসটা বাড়তে বাড়তে যা হয় আর কী! কিন্তু এখন ভুলে যাই। মনে থাকে না। 
 
কেশব : আপনার একটি  দীর্ঘ কবিতা–‘বাবা আমার হাতটা ধরো’-র কথা মনে পড়ছে আমার। ‘দেশ’ পত্রিকায় বেরিয়েছিল...

বিনায়ক : হ্যাঁ, ‘বাবা আমার হাতটা ধরো’, ‘ঘর–সোহাগী চাঁদ’ এরকম আরো কিছু। পুরো টপ-টু-বটম দশপাতা আটপাতার কবিতা আমি মাথাতেই লিখেছি। একটা তো দীর্ঘ কবিতার বইও আছে আমার।

কেশব : হ্যাঁ। ‘ছেড়েছি সব অসম্ভবের আশা’।

বিনায়ক :  আমার ‘সম্ভবামি’ বইতে গীতার এক-একটি অধ্যায় নিয়ে এক-একটা কবিতা। অর্জুন আর কৃষ্ণের কনভার্সেশন ঠিক আজকে হলে কীরকম হতো।  
তো এটা আমি ভাবিনি যে, দশজন লোকও পড়বে। এটাও কিন্ত আউট অফ প্রিন্ট হয়েছিল। সেকেন্ড প্রিন্ট বেরিয়েছিল। তাহলে এরকম কবিতাও মানুষ পড়েন! এটা আমার ভালো লেগেছে, আমাকে অবাক করেছে।

কেশব : আপনার কী মনে হয়–কবিতার পাঠক কমছে না বাড়ছে? কবি তো অবশ্যই বেড়েছে। বই কিনে পড়ার প্রবণতা কি এখন কমছে? 

বিনায়ক : বই পড়ার প্রবণতা কমছে বলে আমি মনে করি না। মানুষ পড়ছেন। বইয়ের বদলে হয়তো পিডিএফ পড়ছেন। কারণ সেখানে হয়তো পয়সা খরচ করে কিনতে হচ্ছে না। দেখুন, আমার বই যদি পাঁচ জন পড়েন বা দশজন পড়েন বা অনেকে পড়েন, কিন্তু তত হয়তো বিক্রি হলো না। তাতে তেমন সমস্যা আমার হওয়ার তো কথা নয়। কিন্তু সমস্যা হয় প্রকাশকের। কারণ তাঁর তো একটা ইনভেস্টমেন্ট সেখানে থাকে। অবশ্য বই কিনতে গেলেই বাঙালির মনে হয়– বাপরে কী খরচ ! এটা একটা দিক। আবার এটাও অস্বীকার করতে পারি না সেটা হচ্ছে যে, এখন পশ্চিমবাংলার চাকরি বাকরির যা অবস্থা, তাতে তরুণদের বই কেনার কথা বলতেই তো কীরকম একটা লাগে! 

কেশব : আপনি কোন্ বয়স থেকে লিখছেন?

বিনায়ক : আমি ছোটোবেলা থেকেই লেখালিখি শুরু করি। ‘দেশ’ পত্রিকায় তো আমার প্রথম কবিতা বেরিয়েছিল, তখন বয়স ১৮ বছর।  

কেশব : লেখালেখির প্রথমদিকে লিটল ম্যাগাজিন কীভাবে আপনাকে উদ্বুদ্ধ করেছে?

বিনায়ক : লিটল ম্যাগাজিন বা বড় ম্যাগাজিন আমাকে তেমন উদ্বুদ্ধ করেনি। আমি কবিতা লিখবো ভাবিনি, ভালো ফুটবল খেলতাম। আমার এক বন্ধু, সে এখন সিনেমার সহকারী পরিচালক। সে একটি কবিতার বই বের করে একসঙ্গে দুটি মেয়েকে উৎসর্গ করেছে। এই ঘটনায় দুটি মেয়েই রেগে যায়। অনেক ছেলেও রেগে যায়। আমাদের একটা করেই বান্ধবী নেই, তোমার দুজন কেন! যাই হোক সবার সঙ্গে আমিও বন্ধুটিকে ভর্ৎসনা করি। সে তখন আমাকে অপূর্ব একটি কথা বলেছিল, ‘তোমার যদি অনেক টাকা থাকে, তুমি কি সেই টাকা একটা ব্যাঙ্কে রাখবে? আমার অনেক ইমোশন, আমি কী করবো? আমিও অনেক জায়গায় রাখবো।’ এই কথাটা আমাকে চমৎকৃত করে। বাড়ি ফিরে এসে ওটাই মাথায় ঘুরপাক খায়। সেখান থেকে একটা কবিতা লিখলাম–‘আমরা যারা ডুবে গেছি সব টাকা একটা ব্যাঙ্কে রেখে।’ এই কবিতা ‘দেশ’ পত্রিকায় বেরিয়েছিল। তারপর পাকেচক্রে যেমন হয় আর কী। সাদা কাগজ কালো করা। 

কেশব :  ‘বাবা, বুশ বা লাদেন থেকে আমার তত ক্ষতি করতে পারেনি
তুমি চলে গিয়ে যা করে দিলে–’
সন্তানের কাছে বাবা তো আকাশ কিংবা ভরসার ছাদ। –কত বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন? 

বিনায়ক : বাবা সংস্কৃত পণ্ডিত ছিলেন। ইংরেজি বিশারদ। মুক্তমনা। শুধু আমার না। আশেপাশের অনেকের আশ্রয় ছিলেন। বাবার আচমকা চলে যাওয়াটা আমার বিরাট একটা ক্ষত ; তখন বয়েস আমার ২৯ ।

কেশব : ফেসবুক সাহিত্যে কি বিপ্লব নিয়ে এল?

বিনায়ক : সাহিত্যটা সাহিত্যই। সেটা ফেসবুক বা যেকোনও মাধ্যমেই হোক, অসুবিধা কোথায়? আগেকার মানুষ তো আলতামারীর গুহায় ছবি এঁকেছে। তার জন্য এটাকে নস্যাৎ করতে হবে এমন গোঁড়ামি আমার মধ্যে নেই। ফেসবুকেও কেউ অসামান্য কবিতা লিখতে পারেন, পড়তেও পারেন। ফেসবুকের মুশকিল হল– প্রত্যেকে প্রত্যেকের লেখায় একটি আলগা প্রশংসা করে দেয়। যেখানে সমালোচনার দরকার, সেখানেও কেউ সেটা করে না। ফলে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের শিখতে অসুবিধে হয়।

কেশব : কবিতা থেকে গল্প উপন্যাসে এলেন কেন? 

বিনায়ক : কখনো উপন্যাস লিখবো ভাবিনি। বাবার মৃত্যুর পর পর উপন্যাস লিখতে শুরু করি। একটি কাগজ উপন্যাস চেয়েছিল। বাবাকে আগুনের মধ্যে সমর্পণ করা, ওই জায়গা থেকে উপন্যাসটি শুরু হচ্ছে। তার পরপর অনেক উপন্যাস লিখেছি। বাবা চলে যাওয়ার পর একটা বিপন্নতায় কাটাচ্ছিলাম। সেইসময় আমার একটি সম্পর্ক হয়। সেই সম্পর্ক চলে যায় অদ্ভুত কারণে। সেই মেয়েটি খুবই বিদূষী, রূপসী। কিন্তু পরীক্ষার প্রশ্নগুলো পরীক্ষার আগেই সে জেনে যাচ্ছে, সে প্রেমিকা হলেও আমি এটা মানতে পারিনি। আজকাল তো কবি, শিল্পী অধ্যাপকরা অনেক রকম ভ্যানতারা করছেন।  প্রশ্ন ফাঁস করছেন, ছাত্রীদের সঙ্গে কুকীর্তিতে জড়াচ্ছেন। এগুলো তো সমর্থন করা যায় না। প্রতিবাদ তো করতেই হয়। অনেকসময় পাঠকরা বলেন–আপনার ঐ উপন্যাসের কথা মনে পড়ছে। আমার গল্পগুলো জীবন থেকে উঠে আসে।

কেশব : ‘শোকজ’ উপন্যাস পড়তে পড়তে মনে হয়েছে শাক্য সান্যালকে তো চিনি। বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যিকারের সাহসী লেখক। ‘সত্যি’ লিখতে গিয়ে কখনো ভয় লাগে না?

বিনায়ক : আমার বাড়ি যেহেতু বামপন্থী পরিবারের, আমি দেখেছি–একটা শ্রেণীর লোক, যারা প্রত্যেকটা সুবিধা নিয়ে বলবে আমার ছেলেটি আমেরিকায় থাকবে, আমার মেয়েটি জার্মানিতে থাকবে। আমি সমস্ত সুবিধা ভোগ করবো, তারপরও আমাকে তোমরা বামপন্থী বলে ডেকো– এই জায়গাটার বিরুদ্ধে আমি লিখেছি। প্রতিবাদ কিন্তু নির্ভর করে একটা গণতান্ত্রিক পরিসরের উপর। আমার কোনো পুরস্কারের দরকার নেই, তাই খুব সহজেই বলতে পারি। 

কেশব : আপনার বেশীরভাগ কবিতা ছন্দে লেখা। আবার গদ্যকবিতাও তো কম লেখেননি। কোনটায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?

বিনায়ক : বাংলা কবিতার একটা ঢাল আছে তো, ছন্দের দিকে। ছন্দের কবিতা লিখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ছন্দের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে বলে। কিন্তু সবসময় চেষ্টা করি  ছন্দটা যেন মশলার মতো ঝোলের উপর ভেসে না ওঠে। ধোপার গাধার মতো ছন্দকে বহন করবো না। ছন্দটা ঘোড়া হবে, পক্ষীরাজের মতো আর তার উপর রাইড করবো।

কেশব : অনেক কবির ছন্দোবদ্ধতা এতটাই উচ্চকিত যে ছন্দের কারণে কবিতাটি মনে থেকে যায় ‌। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে মনে হয় কবিতার বিষয় বা আপনি কবিতায় যা বলতে চেয়েছেন তার থেকে ছন্দকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ করেননি।

বিনায়ক : তার মানে ভুল ছন্দে লিখবো না নিশ্চয়ই। ছন্দের দুটো নাম্বার হয়, শূন্য নয় একশো। একশো হয়তো আমরা কেউই পাই না। তবে ছন্দটা জানতে হবে।

কেশব : শক্তি চট্টোপাধ্যায় একটি কবিতায় বলছেন–
‘যেভাবে জল জলের মতো যায়...’
আর আপনি বলছেন–‘সাপের মতন মাথা নিচু করে নেমে যায় জল।'
–আপনার এই লাইনটি আমাকে চমৎকৃত করেছে। 

বিনায়ক : এটা আমার লাইন ছিল! আচ্ছা। বাঃ! মনে পড়ছে না কোন্ কবিতার লাইন। তারমানে দাসপুরেও আমার কবিতা পড়া হচ্ছে, এটা আমার ভালো লাগছে। তার মানে গোটা জীবন আমার ব্যর্থ হয়নি। এরকম পাঠকের কাছে সত্যিই আমি দায়বদ্ধ।

কেশব : কবিতা সচেতন নির্মাণ। একজন কবি সচেতন মানুষ। সামাজিক রাজনৈতিক অবক্ষয়ে সাধারণ মানুষ চায়, পাঠকও আশা করে তার প্রিয় কবি প্রিয় লেখক সৎভাবে কিছু বলুক।

বিনায়ক : মুশকিলটা হয় কি, নীচুতলায় অনেকে চোখে চোখ রেখে লড়ে। তারপর উপরতলায় কখন যে শুভদৃষ্টি হয়ে যায়, আমরা কেউ তো বুঝতে পারি না।

কেশব : বাংলাসাহিত্য বাজারে অনেক গোষ্ঠী। সেটা শহর মফসসল, গ্রাম, সবজায়গায়। আপনার দিকে এরকম আঙুল ওঠে না যদিও। জানতে ইচ্ছে করছে কবিদের বিভিন্ন গোষ্ঠীবদ্ধতা কি সাহিত্যের কোনো উপকার হয়?

বিনায়ক : ধরুন সন্ধেবেলায় আপনারা কয়েকজন কবিতা নিয়ে বসবেন দাসপুরে। সবং, পিংলা থেকে তো ওইসময় আসা সম্ভব নয়। ফলে আপনাদের এই গোষ্ঠীবদ্ধতা খারাপ না। কিন্তু আমার পাড়ার ৭ জন সেই আড্ডায় বসছি, দুজনকে নিচ্ছি না। এটাই খারাপ।‌ 
একজন জেলে বসেও যদি ভালো কবিতা লেখে, তার কবিতা তো আমরা নিতে পারি। তার অপরাধটা সমর্থন করবো না। একজন অপরাধীকে কবিতা লিখতে বাধা দেওয়া যায় না। গান গাইতে, ছবি আঁকতে বাধা দেওয়া যায় না। একজন মানুষ যখন লেখেন, তিনি একা। একা না হলে মানুষ লিখতে পারেন না। কিন্তু লেখা ছাপানোর ব্যাপারে দেখি অনেক গোষ্ঠী। এটাতে লাভ কিছু হয় না। যদিও আমি ওরকম কোনো গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারিনি।
কেশব : লিখতে গিয়ে এমন কিছু ‘সত্যি’ লেখা হয়ে যায়, যেটা অনেকটা প্রতিবাদের মতোই। আজকাল লেখকরা প্রতিবাদে নেই তোষামোদে আছে। 

বিনায়ক : আমার প্রতিবাদের ফল যদি পরিবারের উপর পড়ে, এই জায়গাটাকে তো অস্বীকার করা যায় না। তখন পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা সংযত হয়ে যাই। সবসময় প্রতিবাদটা আমাদের উপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে কোন্ পরিস্থিতির মধ্যে বেঁচে আছি তার উপর। হিটলারের জার্মানিতে কেউ প্রতিবাদ করতে পারতো? তালিবান আসার পরে আফগানিস্তানে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে? প্রতিবাদের সাহসটা নির্ভর করে একটা বিশ্বাসের উপর, যে আমি সেই লেখাটি লিখেও রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে পারবো!  লোহার ডাণ্ডা দিয়ে কেউ আঘাত দেবে না তো! সেই পরিসরটা কতটা আছে আমরা যেখানে বেঁচে আছি! সে তো মানুষ বলবে, আমি একা বলবো না।

কেশব : এখনও কি  সিরিয়াল, সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখেন?

বিনায়ক : এখন আর ওসব লিখতে ইচ্ছে হয় না। একসময় লিখেছি অনেক। তখন পারিবারিক একটা টানাপোড়েন ছিল, অর্থের প্রয়োজনে লিখেছি। 

কেশব : NABC  সম্মেলন কেমন কাটলো? সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে অনেক বিতর্ক দেখতে পাচ্ছিলাম। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

বিনায়ক : এবার পরিচালনায়  কিছু সমস্যা হয়েছিল। গুণী শিল্পী অপমানিত হলেন সেটা নিশ্চয়ই খারাপ। তবে আমেরিকার প্রোগ্রাম আমেরিকার কোন্ বাঙালি কীভাবে করবেন সেটা তাঁদের ব্যাপার। হ্যাঁ একটাই অনুরোধ, তাঁরা যাঁদের নিয়ে যাবেন তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা যেন ঠিকঠাক হয়। সিনিয়র শিল্পীদের এরকম কোনো অসুবিধা হলে সেটা তো দুঃখজনক। তবে আবার এটাও মনে হয় – শিল্পীরা যদি এতো অপমানিত হন, প্রতিবছর তাঁরা যান কেন? তাঁরা তো আপনার দাসপুরে যান না ছুটে ছুটে, তাঁরা আমেরিকাতেই যান কেন ছুটে ছুটে? 

কেশব : জ্বলদর্চি ৩০ বছর পেরোলো। এ বিষয়ে আপনার কোনও পরামর্শ বা বার্তা! 

বিনায়ক : জ্বলদর্চি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর।জ্বলদর্চি খুব চমৎকার কাজ করছে এবং জ্বলদর্চিতে লেখেননি বা কিছু বলেননি এরকম কবি সাহিত্যিক পাওয়া কঠিন। আগামীদিনে, জ্বলদর্চির আরও উন্নতি হোক, এই কামনা করি...

কেশব : এই যে এতো কথা হল আমাদের,  আমার  মনে হচ্ছিল আপনাকে যেন না থামাই, আর আমি শুনে যাই। এরকমই থাকুন আপনি। শ্রদ্ধা জানবেন।

বিনায়ক: আপনারাও ভালো থাকুন।

----------
সংগ্রহ করতে পারেন। হোয়াটসঅ্যাপ -৯৭৩২৫৩৪৪৮৪

Post a Comment

0 Comments