শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর ২০২৩) সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের সিমবায়োসিস ফার্টিলিটি সেন্টার পালন করল তাদের বর্ষপূর্তির মিলন-উৎসব। ১১ তম বর্ষে পড়লো এই প্রতিষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক, সমাজসেবী, কবি-লেখক, সাংবাদিক প্রমুখ।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উপস্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ রবীন্দ্রনাথ প্রধান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বর্তমান সময়ের অপ্রাপ্ত বয়সে মেয়েদের বিয়ে ও সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাকে তুলে ধরেন।
ডাঃ সন্ধ্যা মণ্ডল তাঁর বক্তব্যে সিমবায়োসিস শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ মিথোজীবীতার ব্যাখ্যা দেন। আসলে মানুষ একে অন্যের ওপর নির্ভর করে বাঁচে। তিনি তাঁর বক্তব্যে নিঃসন্তান দম্পতিদের সঠিক চিকিৎসা ও শিশুর পরিচর্যার দিকে গুরুত্ব দেন। ডাঃ কাঞ্চন কুমার ধাড়ার বক্তব্যে উঠে আসে প্রাসঙ্গিক পৌরাণিক কাহিনি, টেস্ট টিউব বেবি প্রসঙ্গে নানা কুসংস্কার, বিশ্বের নবজাগরণ, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্রম অগ্রগতি ইত্যাদি প্রসঙ্গ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মঙ্গলপ্রসাদ মল্লিক, ডাঃ অঞ্জু মেহতা ঘোষ, আইনজীবী মোহন পুততুণ্ডু, কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন রাকেশ দাস।জেলা ছাড়িয়ে এখন সারা রাজ্যে সুনাম অর্জন করছে সিমবায়োসিস। একই সঙ্গে মা ও শিশুর চিকিৎসার পাশাপাশি বন্ধ্যাত্বের নানা জটিল চিকিৎসা পরিষেবায় উপকৃত হচ্ছেন মানুষজন।
সিমবায়োসিসে সন্তানসম্ভবা মায়েদের জন্য যেমন আছে মেডিক্যাল চেকআপ, হাইরিস্ক প্রেগন্যান্সির চিকিৎসা তেমনি শিশুদের জন্য রয়েছে ওয়েল বেবি ক্লিনিক, ভ্যাক্সিন ক্লিনিক, নবজাত শিশুর নানা জটিল সমস্যার চিকিৎসা।
উল্লেখ্য, সিমবায়োসিস ফার্টিলিটি সেন্টার হলো প্রথম সেন্টার যেখানে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় প্রথম আইভিএফ শুরু করা হয় সফল ভাবে। ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর শুভ সূচনা হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ১১ বছর চলছে এই পরিষেবা। স্বনামধন্য দুই চিকিৎসক তথা ডাঃ কাঞ্চনকুমার ধাড়া ও ডাঃ সন্ধ্যা মণ্ডলের নিরলস প্রচেষ্টা ও সিমবায়োসিস ফার্টিলিটি সেন্টারের সমস্ত কর্মীদের সক্রিয়তায় এই বিশাল কর্মকাণ্ড সম্ভব হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে আই ভি এফ হচ্ছে প্রজননে সহায়ক একটি প্রযুক্তি বা Assisted Reproductive Technology (এ আর টি)। উল্লেখ্য আই ভি এফ- এর ভেতরেও বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। টেস্ট টিউব বেবী এই পদ্ধতিগুলির অন্যতম। যে সব দম্পতি সন্তান না পেয়ে হতাশায় ভোগেন তাঁদের সন্তান লাভের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে আইভিএফ।
সংস্থার সূত্রে জানা যায় —আই ভি এফ-র ক্ষেত্রে ১২০০ কেসের মধ্যে ৪০০-র বেশি ক্ষেত্রে মা গর্ভধারণে সক্ষম হয়েছেন ও ২০০-র বেশি মা সুস্থ সন্তান প্রসব করে বাড়ি ফিরেছেন। আই ইউ আই-র ক্ষেত্রে ১০০০০-এর বেশি চিকিৎসা হয়েছে। তার মধ্যে ১৫০০-র বেশি মা সন্তান ধারণে সক্ষম হয়েছেন।
---------------
0 Comments