বার্লিনের ডায়েরি / ১১ তম পর্ব/
চিত্রা ভট্টাচার্য্য
বার্লিনের পথে প্রান্তরে।শহর থেকে উপকণ্ঠে....
মেঘে ঢাকা স্লেট রঙের কান্না ভেজা দিনের বেলা গুলো শ্রীময়ীর একটুও পছন্দ নয় । বিষন্নতায় ভরা নীরব আকাশ প্রতিদিন বড় নিরুত্তাপ বৈচিত্র্যহীন লাগে। মেঘ পিওনেরা প্রত্যহ তাদের শ্লেট রঙের কালো ভারী থলির ভিতর দিস্তায় দিস্তায় মন খারাপের চিঠি দেশ থেকে দেশান্তরে বয়ে নিয়ে বেড়ায়। ঋষভ বলে ,' এখানে এই শীতের দিনে কুয়াশা কাটিয়ে আমার দেশের মত পুবের আকাশ আলো করে সূর্য ওঠার শীতের আড়ম্বরময় সোনালী সকাল দেখতেই পাই না। বড্ড মন খারাপ লাগে। এমনি দিনে দূরের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর ছেড়ে অজানা ঠিকানায় বেড়াতে যেতে মোটেই ইচ্ছে করে না।' কিন্তু পথ ভোলা পথিকের মনে শীতের জীর্ণ পাতা ঝরার গল্পে চারিদিকের থেকে ভেসে আসে এক নৈস্বর্গিক ধ্বনি। পথের ডাকে সাড়া দিয়ে সে সুদূরের নেশায় ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখে প্রতিদিন ।
শহরের একেবারে বুকের মাঝে ব্যস্ত কাইজার স্ট্রীটের রাস্তার ধারে এপার্টমেন্ট। বিল্ডিংটির সিংহ দরজা টি পেরোলেই চওড়া ফুটপাত ও দশ লেনের অতি ব্যস্ততম সুদূর প্রসারিত অন্তহীন রাজপথ। পীচ ঢালা রাস্তা টি কালো চকচকে সরীসৃপ--যেন বিশাল এক ময়াল সাপের পিঠের মত এঁকেবেঁকে চলে গিয়েছে আদি অন্ত হীনদূরে। মসৃণ পথে কোথাও একটুও ভাঙাচোরা নেই ,স্তূপীকৃত দূর্গন্ধ যুক্ত ময়লা-বা জল জমে নেই । অনবরত হাইওয়ে দিয়ে সার বেঁধে চলেছে ছোট বড় বিভিন্ন নতুন মডেলের দামী প্রাইভেট কার বা সুদৃশ্য অত্যাধুনিক গাড়ির সারি। তারা আপন দূর্বার গতিতে শৃঙ্খলিত হয়ে নিজেদের গন্তব্য স্থানে পাড়ি দিচ্ছে। কালো ধোঁয়া নেই ঘনঘন হর্নের উৎকট আওয়াজ নেই ,বিনা কারণে ওভার টেক নেই ,পেট্রোল ডিজেলের পোড়া গন্ধ কিছুই নেই। ধোঁয়ায় শ্বাস কষ্ট বা নাকে জ্বালা ধরায় না। ওরা কঠোর অনুশাসন মেনে চলে এবং যথেষ্ট পরিবেশ সচেতন। গাড়ি গুলো ও নতুন যেন সদ্য কেনা ,পাবলিক বাস ট্রাম কার্গো ভ্যান ট্রান্সপোর্টের ট্রাক--নিঃশব্দে যাতায়াত করছে। যা প্রমান করিয়ে দেয় যে জার্মানী মোটর কার শিল্পে বা বিভিন্ন ভেকেল উৎপাদন শিল্পে পৃথিবীর মধ্যে শীর্ষ স্থানাধিকারীর দেশ।
কত নতুন নতুন ঝাঁ চকচকে সেতু ঠিক ছবির মত সাজানো। দু দিক দিয়ে আসা যাওয়ার পথের মাঝ খানটা ভাগ করা যাতে মুখোমুখি গাড়ি না আসে । আট লেন বা দশ লেনে ভাগ করে দেওয়া। শহর কে অতি মাত্রায় সুন্দর তর করে তুলেছে শপিংমল পার্ক ও সবুজ ঢালা সুদৃশ্য খেলার মাঠ।মাঝে মাঝে পথের ধারে সারিবদ্ধ গাছ গুলো তাজা ঘাসের কার্পেটে নিশ্চিন্তে পা ডুবিয়ে কোন অচেনা পথিকের আসার অপেক্ষায় কত শত কাল একঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে। এই সবুজের আদুরে রাঙা শহরটি পর্যটকের দরবারে যেমন আকর্ষণীয় তেমন ই চলমান ইতিহাসের একটি স্মৃতি স্তম্ভ স্বরূপ। সে কোনোভাবে কখনোই তার আপন অসাধারণ গৌরবময় ঐতিহ্যেপূর্ন অতীত কে বিস্মৃত হয় নি।
বার্লিন মেট্রো রেল পথ
এবারে শীতের শুরুতেই প্রকৃতির এক অনবদ্য রূপে শ্রী মোহিত হয়েছিল ।হিমশীতল বাতাসের তাড়নায় গাছের ডাল গুলো থেকে অজস্র হলদে পাতা ঝরে পড়তে থাকে চক্রাকারে। পর্ণমোচি গাছে দের থেকে পাতা ঝরার মরসুম শুরুর পালা বোধহয় এখনই। ন্যাড়া গাছ গুলো নিষ্পত্র ,লম্বা ডালপালা মেলে কঙ্কালের মত হাড় পাঁজর দাঁত বার করে হিঃহিঃ করে ভয় দেখিয়ে হাসছে যেন। পথ চলার সময় শুকনো প্রাণহীন হলুদ বাদামী নানা রঙের পাতা অবিরত ঝরে পড়ছে আর তার পাতা ঝরার রিনরিন শব্দ শুনতে শ্রীময়ী উৎকর্ণ হয়ে থাকে। চারদিকে ছড়িয়ে পরা শুকনো পাতা রাশি জমতে না দিয়ে কী তৎপরতায় তখনি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে পরিষ্কার করে ফেলা হয় ।
কাজ না থাকার দিনে দিব্যি এই পার্কে বসেই অলস সময় কেটে যায়। ঘনো কচি সবুজ ঘাসের কার্পেট বিছিয়ে রাখা পার্ক গুলোতে দিগন্ত রেখা নীলাকাশের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। ফ্রেঞ্চাই পাইন লার্চ মেপল প্রভৃতি চেনা গাছ গুলো ছাড়া ও নানা প্রজাতির উঁচু উঁচু অচেনা গাছেরা ডাল পালা ছড়িয়ে একে অপরের থেকে দশ বারো ফুটের ব্যবধানে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার পাতা ঝরার সুরেলা শব্দে সাড়া দিতে তৎপর হয়ে শ্রীময়ী ছুটে চলে যায় সামনের পার্কের নিজের পছন্দের জায়গাটিতে। এখানে প্রতিবেশীদের অনেক পরিচিত মুখ।সব বয়স্ক দের ভীড় পার্কে সময় কাটে সাধারণ গল্প গুজবে ও বৈকালিক ভ্রমণ পর্বে স্বাস্থ্য চর্চায়।মেঘলা আকাশে আঁকাবাঁকা আলোর রেখা দেখা দিয়ে যায়। মাঝে মাঝে সূর্যদেব তার গভীর সুপ্ত জগৎ থেকে চোখ মেলে তাকায় ধরা তলে। যেন এক রুপালি শাড়ির আঁচল আকাশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে আদিগন্ত ছড়িয়ে আছে।
🍂
আরও পড়ুন 👇
শ্রীময়ীর দুপুরে খেতে বসে গল্প জমে ওঠে ,গরম ভাতে পরম যত্নে রাঁধা আলু ফুলকপি ধনেপাতা দিয়ে চিংড়ির ডালনায় ,কাঁচা লঙ্কার ঝাল মাখিয়ে মুখে তুলতে গিয়ে ঋষভ কে মনে করিয়ে দেয় বার্লিনে আসার প্রথম দিনের কথা। ওদের সাথে সেদিন যেন প্রবল হিমেল বাতাস শুভ্র তুষারে মোড়া আল্পস পর্বত মালার থেকে কত রাজ্য রাজধানী সাগর মহাসাগর পেরিয়ে কনকনে ঠান্ডা ও এসেছিল। তারপর থেকে যত দিন এগিয়েছে দাপুটে শীতের ডাকাতি তে প্রাণ পাখির তিষ্ঠনো দায়। ঝড়ের গতিতে,ঠান্ডা ক্রমশ বেড়েই চলেছে ।.মেঘে ঢাকা এমন দিনে দূরের ডাকে সাড়া দিয়ে শীত কাতুরে শ্রীময়ীর ঘর ছেড়ে অজানা ঠিকানায় বেড়াতে যেতে ইচ্ছে করে না। তবুও অদেখা পথের কোন আকুল করা ডাক তার কানে বলে যায় পাথুড়ে পথ যে তোমায় ডাকছে চল বেরিয়ে পড়ি । প্রতিদিনই ,ভবঘুরের মত নিরুদ্দেশের পথে , একাকী ঘুরে সব বাঁধা তুচ্ছ করে অদেখা কে দেখার অসীম আগ্রহ কৌতূহলী মনের গোপন তলে বাসা বেঁধেছে। নতুন পথ চলার তাগিদে অদম্য সাহস নিয়ে সুযোগ পেলেই ফেরারি মন ছোটে অদেখার পানে। পড়ন্ত বেলায় মেঘ ছেড়া আলো এসে ছড়িয়ে পড়লে প্রবল উৎসাহে ,ঠান্ডা কে অগ্রাহ্য করেই ওভার কোট টুপি জুতো মোজায় আবৃত হয়ে একটু ক্ষণের জন্য বেড়াতে বেরিয়ে পায়ে চলার ফুটপাথ ধরে সময় কাটাতে গুটি গুটি হেঁটে অনেক দূর পর্যন্ত বৈকালিক ভ্রমণ চলে। শহরের সবুজে ভরা খেলার মাঠ, উন্মুক্ত প্রান্তর, বিশ্ব বন্দিত ফুটবল তারকাদের পাদস্পর্শে রঞ্জিত ফুটবল স্টেডিয়াম, মিউজিয়াম,বড় বড় শপিং মল ,সিনেমা থিয়েটার হল-ও ক্যাথলিক চার্চের সাথে ,গ্রীন হাউজ প্রকল্প -কৃত্রিম হ্রদ পার্ক বন বীথিকায় সাজানো বার্লিন কে দেখতে পেয়ে অপরিসীম আনন্দ লাগতো। কখোনো মেঘলা আকাশ থেকে হঠাৎ ঝুপ করে বুড়ি ছোঁয়ার মত ঝিরঝিরে পাহাড়ি বৃষ্টি নামলে হাতের ছাতা খুলে মাথা বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চলে। এলোমেলো হাওয়ায় ছাতা উল্টে যায় তখন কোথাও কাছাকাছি শপিংমলে বা কোনো শেডের তলায় লাজুক মুখে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় ঠান্ডায় জড়োসড়ো হয়ে অপ্রস্তুতের মত দাঁড়িয়ে থাকে। বার্লিন মেট্রো রেল পথ
এমনি করেই কাটে সপ্তাহের কর্ম ব্যস্ত দিন গুলো। অদ্রিজা ইনস্টিটিউটের ল্যাবে নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। অচেনা রাস্তায় শ্রীময়ী ও ঋষভ বেড়াতে বেরিয়ে পড়ে --পথ হারাবার ভয় নেই এবং রোড ম্যাপ ও আছে। তাছাড়া কয়েক দিন ধরে ওরা শিখে নিয়েছে রাস্তায় চলাচলের আইন কানুন। বাস ট্রাম ট্রেনে চড়ার রুট এবং যথেষ্ট কুপন ও তার ব্যবহারের নিয়ম।মেঘলা পরন্ত বেলা যত দূর যাওয়া যায় সোজা চল কালো মজবুত পাথর দিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বাঁধানো রাস্তা। যত দূর খুশি ইচ্ছেমত হেঁটে যায় ক্লান্ত হলে বিশ্রাম নিতে পার্কে অথবা লেকের ধারে কাঠের চেয়ার দখল করে বসে কিছুটা সময় কাটে আপন মনে।
শ্ৰীময়ী একাকী পুরোনো মলিন ডায়েরির পাতা গুলোয় হাত বুলোয়। এখানে পাতা গুলো বেশ স্পষ্ট অযত্নে বিবর্ণ হয়ে যায় নি। আজ স্মৃতি চারণ করতে বসে পুরোনো কথা মনে পড়ে বেশ মজাই লাগে।
ডায়েরির পাতা একের পর এক উল্টে চলে।
রাস্তায় বেরিয়ে যত ঠান্ডা লাগুক বা বৃষ্টি তে যতই ভেজা যাক না কেন শরীর খারাপ তেমন হয় না। তবুও এরপর থেকে ছাতার সাথে সব সময় রেইনকোট সঙ্গে নিয়েছে। বেলা শেষে শহরের পথের ঐকান্তিক ডাকের হাতছানিতে ঘর ছেড়ে বেড়াতে যাওয়াতে এক অদ্ভুত পাগলামী।ইচ্ছে মত অনেক টা সময় কাটানোর আশায় নেশা গ্রস্থের মত অচেনা পথের রাস্তায় ঘুরে সান্ধ্য ভ্রমণে মনে বেশ সাহস সঞ্চয় করে নিজেদের কে অবাস্তব এক কল্পনার স্বর্গে বসিয়ে মনে হতো সেই গল্পে পড়া "দেশ আবিস্কারক" দের মত ওরা ও যেন এক স্বনাম ধন্য পর্যটক।
বিকেলের চা 'এর পর্ব শেষ হলে মাঝে এক দিন ঝোঁকের বশে সাহস করে শ্রী হাঁটা পথে কাছে যে রেল স্টেশন টি আছে ইনফর্মেশন ডেস্ক থেকে সব তথ্য ও টিকিট সংগ্রহ করে ঋষভের সাথে ট্রেনে চড়ে বসেছিল। তিতির কে ছাড়া এ শহরের ট্রেনে বাসে চড়ার এমন দুঃসাহস আগে কখনো হয়নি , ভাবলে হাসি পায় ,সে ছিল এক দারুণ অভিজ্ঞতা। দূরের দোকান বাজার রাস্তা ঘাট ঘুরে বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশন ট্রাম ,বাস মানুষ জন দেখে সান্ধ্য আলোয় ঘরে ফিরে আসতে এক মুক্ত আনন্দের অনুভবে সদা চঞ্চল হয়ে উঠতো। কখনো ভুল করে পথ হারিয়ে অচেনা রুটের ট্রেনে বাসে চড়ে বসেছে । তারপর চলন্ত গাড়িতে যে স্টপেজ নির্দেশনায় দেখাতো তখন ভুল বুঝতে পেরে গাড়ি থেকে নেমে পড়তো । বেশীর ভাগই পথ ভুল হলে সহ যাত্রী বাংলা দেশী কোনো ছাত্রর সাথে আলাপ করে ঠিক রুটের গাড়ি ধরে ঘরে ফিরত।
বার্লিনে বা জার্মানীর অনেক অঞ্চলে বাংলা দেশের ছাত্র বা অভিবাসীর সংখ্যা অনেক বেশী ,তাঁরা অনেকেই ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বা পড়তে এসে এখানেই থেকে গিয়েছে। অজানা দেশে জার্মান ভাষা না জানায় তবু একাকী পথে চলার আনন্দ তে এক অদ্ভুত শিহরণ জাগাতো। অসুবিধায় পড়লে কাগজে ইংরাজীতে লিখে তৎকালীন বিপদ থেকে অবশ্যই উদ্ধার পাওয়ার বুদ্ধি শ্রীর মাথায় বেশ খেলে যেত ।এখানে বেড়ানোর জন্য আমেরিকার বিভিন্ন শহর গুলোর মত প্রাইভেট কার ই একমাত্র ভরসা নয়। নিত্য প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যাবস্থা ট্রেন ট্রাম বাস এবং মেট্রো রেল খুবই সুন্দর নিয়ম শৃঙ্খলায় বাঁধা। শহরের খুব দ্রুত পরিবহণ ব্যাবস্থার জন্য আছে "এস বান " ইউ বান এটা মূলত ভূগর্বস্থ পাতাল রেল। ১৫ টি লাইন এবং ১৬৬ টি স্টেশন নিয়ে গঠিত। বার্লিন উ বান ও এরই সাথে আছে। এবং পাঁচ দশ মিনিট ও অপেক্ষা করতে হয়না যাত্রী পরিষেবার জন্য তারা সদা প্রস্তুত। এতো জনসংখ্যার শহরে পাবলিক যানবাহনের এমন উন্নত মানের ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা খুব উপযোগী এবং প্রসংশনীয়। এর সীমাহীন সৌন্দর্য আধুনিক সভ্যতা বিজ্ঞান প্রযুক্তির সুপরিকল্পিত যুক্তি নির্ভর ব্যবস্থাপনা কত যে উন্নত শীল এ মহানগরীতে দেখে অবাক হয়ে যাই।
ঋষভ বলে ভাবতে পারো শ্রী,একটা দেশ কিছু বছর আগে বিশ্ব যুদ্ধের বিস্ফোরক বোমার আঘাতে বিধংসী লীলায় ধ্বংস প্রাপ্ত হয়ে গিয়েছে। তার অজস্র ধ্বংস চিন্হ সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। তবু ও সে আপন আলোকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এমন নিখুঁত ভাবে নিজেদের কে কয়েক বছরের মধ্যে কি ভাবে গড়ে তুলতে পারে?
শ্রীময়ী বলে ,ইতিহাস প্রমান করে ,সত্যিকারের দেশত্মবোধ ,স্বদেশপ্রেম , চারিত্রিক দৃঢ়তা অন্তহীন সততার সাথে কর্মনিষ্ঠা ,ও জাতীয়তাবাদ থাকলেই ধ্বংসের পর এমন নিখুঁত ভাবে একটা জাতির পক্ষে উন্নতি সম্ভব । ওরাই পারে এমন ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে।
ক্রমশঃ
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপনের বিকল্প বিজ্ঞাপনই || ঋত্বিক ত্রিপাঠী
0 Comments