----------
শ্রীরামকৃষ্ণের সন্ন্যাসী সন্তানেরা
প্রীতম সেনগুপ্ত
মাদ্রাজি যুবকবৃন্দ এবং আলাসিঙ্গা ও একমাত্র আলাসিঙ্গা পেরুমল
মাদ্রাজবাসী যুবকবৃন্দ স্বামী বিবেকানন্দের আমেরিকাযাত্রার উদ্দেশ্যে যে অভূতপূর্ব উদ্যম ও উদ্যোগ প্রদর্শন করেছিলেন তা চিরস্মরণীয়। স্বামীজী শিকাগো বিজয়ান্তে জানাচ্ছেন -- ‘I can not express my obligation to you ( Alasinga ), G G ( Narasimachrya ), and all my friends in Madras, for the most unselfish and heroic work you did for me ... You have known now what you can do, for it is really you, young men if Madras, that have done all, I have only figurehead.’ ( Complete works of Swami Vivekananda, Advaita Ashrama, Kolkata ) নিবেদিতপ্রাণ এই যুবকবৃন্দকে ‘Friends’ বলে উল্লেখ করতেন স্বামীজী। এঁদের বিষয়ে স্বামী সুনির্মলানন্দজী লিখছেন -- ‘These young men were no ordinary persons -- each one of them was great in his own discipline, as we shall see presently. Furthermore, they all had one strong quality which led them to the feet of the prophet; it was their heart full of compassion and love for the miserable and suffering.’ ( Alasinga Perumal An illustrious disciple of Swami Vivekananda -- Swami Sunirmalananda )
কারা এই যুবকবৃন্দ? এঁদের মধ্যে যাঁদের পত্র লিখেছেন বিবেকানন্দ তাঁর তালিকাটি এইরকম -- বিলিগিরি আয়েঙ্গার, বালাজি রাও, জি জি নরসিমাচার্য্য, ড. নাঞ্জুণ্ডা রাও, রাজম আয়ার, সিঙ্গারভেলু মুদলিয়র ( কিডি ) ইত্যাদি আরও অনেকে এবং চূড়ান্তভাবে আলাসিঙ্গা পেরুমল। স্বামীজীর পাশ্চাত্য মাত্রার পিছনে এই ব্যক্তির প্রয়াস ভোলার নয়।
আলাসিঙ্গা বিষয়ে সুনির্মলানন্দজী লিখছেন -- “A well-known verse by Sri Shankaracharya says: ‘There are some noble saints in this world who live in silence and peace. They do good to the world quietly, like the spring season, unpercieved.’ Such as Alasinga Perumal. Alasinga lived and died for an idea: he lived to realize the ideal of his spiritual master, Swami Vivekananda, dedicating his life for the realization of goals of his guru. Everything else -- even his own family, his own body -- was secondary for him. Alasinga Perumal was a spiritual seeker, primarily. In the world, he was a well-known teacher, writer, journalist, patriot, organizer, student leader, friend of the poor, and a friend of several national leaders. The Dewan of Mysore called him ‘The Uncrowned Prince of Madras.’ He was a man of learning and dedication, firmly rooted in his ancient culture and tradition. At the same time, Alasinga was modern in his learning and approach to life. He was a staunch defender of his faith.“
🍂
আরও পড়ুন 👇
গবেষক শঙ্করীপ্রসাদ বসু লিখছেন -- “...এই সময়ে যে, বিদেশগমনের ইচ্ছার কথা স্বামীজী নানাস্থানে প্রকাশ করেছিলেন, তা দেখতে পাই ১৮৯৩, মে মাসে জুনাগড়ের দেওয়ান হরিদাস বিহারীদাসকে লেখা এক চিঠিতে: ‘আপনার হয়তো মনে আছে, আগে থেকেই আমার চিকাগো যাওয়ার অভিলাষ ছিল।’ স্বামীজী জুনাগড়ের দেওয়ানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন ১৮৯১ খ্রীস্টাব্দে।
বেলগাঁও থেকে স্বামীজী যান বাঙ্গালোরে, যেখানে মহীশূরের মহারাজার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। মহারাজকেও তিনি আমেরিকা যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান এবং গুণমুগ্ধ মহারাজা তৎক্ষণাৎ যাত্রার ব্যয়ভার বহনের প্রস্তাব করেন। স্বামীজী কিন্তু রামেশ্বর দর্শনের আগে সাহায্য নিতে অস্বীকার করেন। তারপর স্বামীজী ১৮৯২, ডিসেম্বর মাসে ত্রিবাঙ্কুর যান। অধ্যাপক সুন্দররাম আয়ারের স্মৃতিকথায় পাই, মহীশূরের মহারাজা স্বামীজীকে হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিরূপে চিকাগোয় যেতে অনুরোধ করেছেন, একথা স্বামীজী তাঁকে বলেছিলেন। ত্রিবাঙ্কুর থেকে স্বামীজী রামেশ্বরের পথে মাদুরায় যান। সেখানে রামনাদের রাজার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এবং তিনিও মহীশূরের মহারাজার মতই তাঁকে চিকাগো যাবার জন্য পীড়াপীড়ি করেন ও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। রামেশ্বর গমনেচ্ছু স্বামীজী সত্বর তাঁকে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে প্রস্থান করেন। স্বামীজী রামেশ্বর দর্শন করেন, তারপরে আমেরিকায় যান -- এই কন্যাকুমারিকায় সমুদ্র শিলার উপরে যখন ধ্যানশীল বিবেকানন্দের মধ্যে দেশপ্রেমিক ও ঋষি একযোগে আবির্ভূত হলেন, তখনই তিনি নিশ্চিত সিদ্ধান্ত করলেন -- তিনি পাশ্চাত্যে যাবেন। ১৮৯২-এর শেষ তখন।
১৮৯৩-এর শুরুতে মাদ্রাজে পৌঁছে স্বামীজী তাঁর প্রতিভায় অবিলম্বে মাদ্রাজের বহু যুবককে আকৃষ্ট করলেন। তাঁদের কাছে চিকাগো যাওয়ার অভিপ্রায় জানালে তাঁরা অতীব উৎসাহে ৫০০ টাকা সংগ্রহ করে ফেললেন। টাকা দেখে কিন্তু স্বামীজী বিচলিত হলেন। মনে আবার দ্বিধা এল -- তিনি আমেরিকা যাবেন -- সত্যই কি বিশ্বজননীর তাই ইচ্ছা? মনস্থির করতে অসমর্থ স্বামীজীর নির্দেশে সংগৃহীত ৫০০ টাকা দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হল। স্বামিজী তারপরে হায়দরাবাদে গেলেন। সেখানে ১৮৯৩, ১১ ফেব্রুয়ারি নিজামের প্রাইভেট সেক্রেটারী ও ভগিনীপতি নবাব বাহাদুর, স্যার খুরশীদ জা, কে-সি-এস-- আই--এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ও দীর্ঘ আলোচনা হল। স্বামীজীর কথায় ও ব্যক্তিত্বে স্যার খুরশীদ স্বতঃই মুগ্ধ হন, এবং চিকাগোয় যাত্রার অভিলাষের কথা শুনে এক হাজার টাকা দানের প্রস্তাব করেন। স্বামীজী সে টাকা তখন নেন নি, বলেন, প্রয়োজন হলে চেয়ে নেবেন। হায়দরাবাদের প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চ রাজকর্মচারী ও অভিজাত ব্যক্তিগণও তাঁকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন, এবং সেখানকার মেহবুব কলেজে ১৩ ফেব্রুয়ারী সহস্রাধিক লোকের সামনে ‘আমার পাশচাত্ত্যগমনের উদ্দেশ্য’ বিষয়ে বক্তৃতা করেন। স্বামীজীর এই প্রথম বড় সভায় বক্তৃতা। তারপর তিনি মাদ্রাজে ফেরেন। সেখানকার ভক্ত ও শিষ্যগণ মার্চ ও এপ্রিল মাস ধরে চিকাগো- যাত্রার টাকা সংগ্রহ করতে থাকেন। ঐ উদ্দেশ্যে তাঁরা মহীশূর, হায়দরাবাদ ও রামনাদে যান। এই দলের নেতা ছিলেন তরুণ শিক্ষক আলাসিঙ্গা পেরুমল, ‘যিনি আক্ষরিকভাবে দ্বারে-দ্বারে ভিক্ষা করেছিলেন।’ স্বামীজী মনে করতেন, তিনি জনসাধারণের প্রতিনিধি, সুতরাং তাঁর যাত্রার টাকা যেন প্রধাণতঃ মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে ( যেহেতু ‘জনসাধারণ’ কিছুই দেবার অবস্থায় ছিল না ) সংগ্রহ করা হয়। আলাসিঙ্গার নেতৃত্বে কিছু টাকা সংগৃহীত হয়।” ( বিবেকানন্দ ও সমকালীন ভারতবর্ষ, শঙ্করীপ্রসাদ বসু, প্রথম খণ্ড ) শেষমেশ অবশ্য খেতড়ির মহারাজা অজিত সিং প্রাইভেট সেক্রেটারি মুনশি জগমোহনলালকে নির্দেশ দেন স্বামীজীর যাত্রার সর্বপ্রকার খরচ দেওয়ার। স্বামীজীর ইংরেজি জীবনীতে পাওয়া যাচ্ছে --“He (Jagmohan Lal )had been instructed to pay the expenses of the Swami's journey and to provide him with everything necessary for his voyage to America.”
“The Maharaja of Khetri had instructed Jagmohan Lal to make every possible arrangement for the Swami's comfort. The Swami was therefore outfitted properly, presented with a handsome purse, and a first class ticket on the Peninsular and Orient Company's steamer ‘Peninsular’.”
🍁
বাড়িতে বসেই রেজি.ডাক মাধ্যমে জ্বলদর্চির বিশেষ সংখ্যাগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। যোগাযোগ হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৭৩২৫৩৪৪৮৪
0 Comments