জ্বলদর্চি

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১৬৫

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১৬৫


সম্পাদকীয়,
ছোটোবেলায় দাদাদিদিদের কোলে চাপা, কাঁধে চাপা, দুজনের হাতে পালকি করে চাপা - এসবের যুগ শেষ। এখন সবার নিজের নিজের সাইকেল আছে বড়দের বাইক গাড়ি। তবু কোথাও কোথাও এখনো দিদিরা বোধহয় বোনেদের পিঠে চাপায়। সেই দুর্লভ দৃশ্য দেখা মাত্রই সৌমী আচার্য্য আন্টি সেই ছবি তুলে তোমাদের ছোটোবেলার দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছে প্রচ্ছদের জন্য। শুধু না দেখা ছবি নয় না শোনা উৎসবের কথা এবারের ছোটোবেলার পাতায়। শ্রীকান্ত আঙ্কেলের লাচুঙের নেকড়ে ধারাবাহিকে। পড়ে নাও। নাকুমামার সঙ্গে ঋকুচন্দ্র যাচ্ছে চুঁচুড়ায় গল্প শুনতে শুনতে। তোমরা যেতে চাও? তাহলে সবার আগে পড়ে নাও চন্দন জেঠুর গল্প ভ্যাবাচাকা। কিং অফ প্রাসিয়া মল কোথায় জানো? আরে আমেরিকায়। আমি জানলাম কীভাবে? কেন বাসবদত্তা আন্টির কাছ থেকে। তোমরাও পড়ে জেনে নাও। এবারের ছোটোবেলাকে যে দুই বন্ধু রাঙিয়েছে তাদের অনেক আদর। মনে রেখো বসন্ত এসে গেছে। -- মৌসুমী ঘোষ।
ধারাবাহিক উপন্যাস
লাচুঙের নেকড়ে
শ্রীকান্ত অধিকারী

পর্ব -চৌত্রিশ 

আপার জঙ্গুর সব সে উঁচা ভিলেজ কুসঙ। আভি আধা ঘন্টা লাগে গা। 
রাস্তা হঠাৎই সেজে উঠেছে। এলাচের গাছগুলো ঝাক বেঁধে গজিয়ে আছে। সামনে ছোট পুল। তবে হ্যাঙ্গিং নয়। পুলের ধারে ধারে এ পাশে ও পাশে প্রথম আর শেষে হলুদ সবুজ পতাকা দিয়ে সাজিয়েছে। হাওয়ায় পতপত করে উড়ছে। দু একটা করে ছোট ছোট দলে লেপচা লোক খুব ব্যস্ত হয়ে পারাপার করছে। কারও যেন কিছু দেখার সময় নেই, বলার সময় নেই। 
এখানে তো শুধুই উৎসব। ফুল পাতা আর রং বেরঙের সাজ সজ্জা! এখানে ওরা নিজেদের মত করে থাকে। অমরবাবু বলেন। 
একদম ঠিক। সিক্কিম সরকারের কাছেও ওদের কাম-ধামের সব হিস্টোরি আছে অ্যান্ড আপডেট ভি। শবনম ম্যাডাম বেশ রিল্যাক্সের সঙ্গে কথাগুলো বলেন। 
 ওরা কী করে? সেই তো লেপচাদের নিজেদের একটা আলাদা গোষ্ঠী ভেবে নিয়েছে। একদিন এরাই আলাদা রাজ্যের ডিমাণ্ড করবে।-দীপকবাবু বলেন। 
বাট এদের জব রেকর্ড বলছে, ইকো সিস্টেম ম্যনেজমেন্টে সব কুছ কর না। এনহেন্সিং লাইভলিহুড, স্টপিং ইল্লেগ্যাল ট্রেড অ্যন্ড পোচিং অ্যান্ড অলসো গ্রোয়িং এনসিয়েন্ট এয়ারক্রাফট – রাইজিং তুম্বাক, হাউজ প্রিসারভ্যাশন, হ্যাট মেকিং, প্লান্টেশন এক্সেট্রা এক্সেট্রা।  

অন্য সময় হলে গ্যাটসো গাড়ি দাঁড় করিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টুরিস্টদের দেখাত। এখন সময়টাই খারাপ। তবু শিঙি বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে বলে, গ্যাটসো মুখ ঘুরিয়ে বলে, এই লোগো কা উৎসব আছে বেটি। নামসুঙ ফেস্টিভ্যাল। ডিসেম্বর জানুয়ারি মে হোতা হ্যায়। এই উৎসবের জন্য ওরা সারা বছর ওয়েট করে। 
লাচুং মনাস্ট্রিতে যেটা বলে ছিলে? তাহলে তো মানুষ বেশ মজাতেই থাকবে।  সোমেশ্বর বলে। 
ও তো হ্যায় স্যার। বাহার সে বহত আদমি রিলেটিভস আয়েগা। টুরিস্ট ভি। এদের ফেস্টিভ্যাল স্পিরিচুয়াল অর সোশ্যাল ফেস্টিভ্যাল ভি। খানা ভি ভ্যারাইটিস মিলতা হ্যায়- রোস্টেড পর্ক, বীফ কারি, ছ্যাং কে সাথ রাইস। অর লোকাল মেইড চি। মিলেট কি বানা হুয়া বিয়ার। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার ব্যাম্বু পাইপের সঙ্গে ব্যাম্বু গ্লাস। উৎফুল্ল হয়ে বললেও সঙ্গে সঙ্গে চুপ মেরে যায় গ্যাটসো। হয়তো কিছুক্ষণের জন্য সঙ্কটের কথা ভুলে গেছিল।  
-তার মানে কাম তামাম! 
-মতলব? গ্যাটসো অবাক হয়।   
-মতলব আবার কি লোকাল মানুষ তো তখন রিকলেস অ্যান্ড কেয়ারলেস! বিপদ পদে পদে। 
এত কথার মাঝে সেরগিল সাহেব চুপ। ঠিক যেন শিকারি চতুষ্পদ, বিপদের গন্ধ পেয়েছে এমনভাবে সামনের দিকে নাক উঁচু করে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে রেখেছে। বলতে না বলতেই সেরগিল সাহেব ড্রাইভারকে গম্ভীর ভাবে বলেন,-ফলো দ্য কার। 
এমন আদেশ পেয়ে বড় মামা দীপকবাবু এমনকি শবনম ম্যাডাম তো ছাড় ড্রাইভারও হকচকিয়ে যায়। তবে সেটা সেকেণ্ডের জন্য। ইলেকট্রিক গতিতে গাড়ির স্পীড বাড়িয়ে দুরস্ত কায়দায় ছোট ছোট বাঁক নিয়ে এগোতে থাকে। এমনিতে হঠাৎ করে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় রাস্তা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না। এরই মাঝে গাড়ির মধ্যে সকলেই সামনের দিকে শকুন চোখে তাকিয়ে থাকে গাড়িটার দিকে। মজার ব্যাপার এতক্ষণ গাড়ির ভিতর থেকে কেউই তেমন গন্ধ না পেলেও এখন যেন সবাই নাক কুঁচকে বিদ্ঘুটে বুনো গন্ধ চাপতে চাইছে। কীসের এত দুর্গন্ধ? 
বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হল না। সামনের মালবাহী মিনি পিক আপ গাড়িটাকে বাঁ দিকে রেখে দুম করে গাড়ি থামিয়ে দেয় ড্রাইভার। দ্রুত লাফ মেরে নেমে পড়ে সেরগিল সাহেব এবং আরো দুজন কনস্টেবল। 
সামনে থেকে তখন কক কক চিক চিক করে শব্দ আসছে। ছিদ্র যুক্ত বাক্সগুলোর ভেতর সাদা সাদা বরফের মত কারা যেন মুখ বের করার চেষ্টা করছে–চিকেন! বড় মামা অদ্ভুত ভাবে উচ্চারণ করে। হোয়াটস দ্যা ম্যাটার সেরগিল সাব? 
 সেরগিল সাহেব সে দিকে ভ্রূক্ষেপ না করে ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে বলেন। আর ড্রাইভার হনুমানের মত উল্টো দিক থেকে ঝাঁপ দিয়ে জঙ্গলের ভেতর ঘন কুয়াশার মধ্যে হারিয়ে গেল। পড়ে থাকে সঙ্গে থাকা লোকটা। 
অদ্ভুত ভাবে ঘটে যাওয়ায় কিছুটা অপ্রস্তুত হলেও অস্থিরতা না দেখিয়ে সেরগিল সাহেব সহকারী লোকটাকে ট্রাকের পেছনের দিকটা খুলতে বলেন। কনস্টেবল দুজন কাছে যেতেই দাবড়ানোর মত চিৎকার করে বলেন,-স্টপ! ডোন্ট টেক এনি ফারদার স্টেপ।
 ততক্ষণে মুরগির বাক্সের নীচের তাক থেকে ঘরঘর করে কীসের শব্দ এসে সবাইকে চমকে দেয়।  
যাবার কথা ছিল তিস্তা নদী ধরে সাক্যং হয়ে সাক্যং পেন্টং কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশানাল পার্কটাকে বাঁয়ে রেখে আরো উত্তরে যনকের কাছাকাছি কোথাও যেতে। কিন্তু তার আগেই এই হ্যাপা। ট্রাকের ওপরে না উঠে চাকা দিয়ে কিছুটা উঠেই সহকারী ছেলেটা ভীষণ ভয় পেয়ে গোঁগাতে গোঁগাতে রাস্তার মাঝেই উলটে পড়ে। কিন্তু তার আগেই সে ‘টিবেটি’ বলে চিৎকার করে ওঠে। 
দ্রুত দু’জন পুলিশ এসে চাকার ওপরে উঠে সেই একই ভাবে দেখতেই ওরাও দুজনে এক সঙ্গে চেঁচিয়ে ওঠে,-ভেঁড়িয়া! সাব জারা দেখিয়ে তো। 
সেরগিল সাহেব ঝপ করে গাড়ির বডিতে পা রেখে ওপরে উঠেই আঁতকে উঠে,-ম্যাম উলফ্‌! ছেলেটা ঠিকই বলেছিল, লিভিং টিব্বেটীয়ান উলফ্‌! ইতনা বড়া অর খতরনাক ভি। 
চিকেন কি অন্দর উলফ। বড়মামা গজগজ করে! 
অমরবাবু আফসোস করে, স্যার লেপচা ভিলেজ মে ইসব নেহি হ্যায়। লেকিন ইয়ে বাহার সে আ রাহা হ্যায়। 
সেরগিল সাহেব মাথা নাড়েন। মতলব সাহি রাস্তে পকড় লিয়া। 
পিছনের গাড়িটা থেকে ততক্ষণে সোমেশ্বর ও রামসিঙের মা নেমে পড়েছে রাস্তায়।
তৎক্ষণাৎ সেরগিল সাহেব ঝাঁঝিয়ে ওঠে,- গাড়ি মে উঠিয়ে। উঠিয়ে জলদি। গ্যাটসো, আভি অমরবাবু কে সাথ অমরবাবুর হোম মে গাড়ি লাগা। শুনিয়ে অমরবাবু ইতনা সা জম্মেদারি লেনা পড়েগা। ইয়ে বাঙ্গালি লোগ মেরা দোস্ত হ্যায়। আপকো দেখভাল কর না পড়েগা। এক দো দিন হো শকতা হ্যায়। ঘুরে সোমেশ্বরবাবুর দিকে তাকিয়ে বলেন,-ডোন্ট ওরি স্যার! দীপকবাবু আপ চলিয়ে মেরে সাথ। আপকে পাশ কোই শটগান বা হেকলার হ্যায়? দীপকবাবু এই সময়টার জন্যই তৈরি ছিলেন। এত দিন সেরগিল সাহেব কে বিষয়টা না জানালেও সেরগিল সাহবের কাছে যে ওটা অজানা ছিল না বোঝাই যায়। কিন্তু কেউ কাউকে জানাই নি। তবে সঙ্গে থেকেছে। এও জানেন যে দীপকবাবু ইচ্ছে করলে ভারতীয় অ্যাম্বেশির থ্রু দিয়ে বেশ কয়েক কম্পানি কেন্দ্রীয়বাহিনী আনতে পারেন। তবে অবশ্যই প্রয়োজন পড়লে। দীপকবাবু চনমনে হয়ে গা ঝাড়া দিয়ে গাড়িতে উঠে বসেন। সোমেস্বর বাবুকে ইশারায় আশ্বাস দেয়- চিন্তা করো না দোস্ত।  
 ‘প্রোটেক্ট অ্যান্ড সার্ভ’ ইজ দ্যা মোটো অফ সিক্কিম পুলিশ। ট্রাকটাকে লে চলো মাঙ্গন ষ্টেশন। স্টেশন অফিসার কো নোটিশ ভেজ দিয়া হ্যায়। জলদি পুলিশ আ জায়েঙ্গে। আপ খাড়ে হো কর ক্যায়া করেগা নন্দী সাব। আপ ভি চলিয়ে। পুরানা হাতি হ্যায় আপ, লাখো দাম মিলেগা। 
দু জন কনেস্টেবলকে গাড়ির পাহারায় বসিয়ে সেরগিল সাহেবের গাড়ি সাক্যং পেন্টঙ্গের দিকে যেই চলতে শুরু করেছে অমনি ভীষণ বুনো একটানা রাগি ডাক কুসঙের পাহাড় জঙ্গল কাঁপিয়ে ভেসে আসে,--খ্যাক খ্যাক খ্যাক খ্যাক! কক্যাক খ্যাক খ্যাক এ উউউউ… !  
(ক্রমশ)
রাণি মণ্ডল 
নাওভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়, তৈবেচারা, নদিয়া, চতুর্থ শ্রেণি

বড়োগল্প 
পর্ব ১

ভ্যাবাচ্যেকা

চন্দন চক্রবর্তী

আগামীকাল নাড়ুমামা যাবে চুঁচুড়ায়। এক সাহিত্য সভায়, সেখানে সভাপতি হতে হবে। এখন চুঁচুড়ায় যাওয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়। নাড়ুমামার আবার আবদার আমার সঙ্গে ভাগ্নে ঋকুচন্দ্র না গেলে চলে! এমনিতে ঋকুর যাওয়ার কোন সমস্যা ছিল না। নাড়ুমামার সঙ্গে যাওয়া মানে ঝুড়ি ঝুড়ি মজার গল্প! তা শুনতে মন্দ লাগে না। কিন্তু....
নাড়ুমামা চোখ গোল গোল করে বলে, কিন্তু কি?
‘নাড়ুমামা আমার আবার কাল ক্রিকেট ম্যাচ আছে’।
‘ক্রিকেট ম্যাচ! খেলবি তুই? গত সিজিনেই তো দুঃখ করে বলেছিলিস যে তোকে নাকি এখনও দ্বাদশ ব্যাক্তি হিসাবে মাঠের বাইরে থাকতে হয়। প্লেয়ারদের জল বইতে হয়’।
‘এবারেও তাই .... তবে’!
‘তবে কি’?
‘ভ্যাবলার চোখে ভীমরুল কামড়েছে। তাই আমার একটা সুযোগ আছে। নাড়ুমামা, তবে’?
‘আবার তবে’?
‘তবে ফন্টে ফড়িং খুব ফড়ফড় করছে। ও নাকি ভ্যাবচ্যেকা বল করে মাঝে মাঝে। ও আমার প্রতিদ্বন্ধী। আমিও বলে দিয়েছি আমিও ভ্যাবাচ্যেকা ব্যাটিং করি’।
‘সেটা আবার কি’?
‘ব্যাট চালাবো অফে বল চলে যাবে সোজা অনে ব্যাট চালাবার ভঙ্গি দেখে চার রান। ফিল্ডার ছুটবে অফে। এইভাবে ক্যাপ্টেন বার বার ফিল্ডিং সাজাতে সাজাতে নাজেহাল হয়ে যাবে ..... হা হা’।এদিকে চারের পর চার। চারের মালা।
‘তারমানে তুই হচ্ছিস গে তাড়ু ব্যাটসম্যান! লাগলে ছক্কা না হলে ফক্কা’!
‘ভ্যাবাচ্যেকা বোলিংও তো তাই। ফড়ফড়ে ফড়িং চেহারা নিয়ে সারাক্ষণ বল করে যাবে আর ব্যাটসম্যান চার ছয়ের বন্যা বইয়ে দেবে। তারপর কখন হাত ফসকে একটা ভ্যাবাচ্যেকা বল পড়বে আর তাই দেখে ব্যাটসম্যান হিট-উইকেট আউট হবে....তার অপেক্ষা করতে হবে! তা সম্ভব কখনও?
নাড়ুমামা একটা বিশাল ‘হুম’ বলে টাকে হাত বোলালেন। ঋকু ড্যাব ড্যাব করে নাড়ুমামার দিকে তাকিয়ে বলে ‘কিছু বলবে’?
‘বলছি কি তোদের দুজনকে ওই ‘ভ্যাবাচ্যেকা’ থেকে না বেরলে চলবে না। সুতরাং তোদের দুজনের কারও চান্স নেই। ওই ভিমরুলে চোখ নিয়ে ভ্যাবলাই খেলে দেবে। মনসুর আলি পতৌদির নবাবের নাম শুনেছিস’?
‘নবাব সিরাজউদদৌল্লার কেউ হবে কি’!
‘গর্দভ কাকে বলে? ও নাকি ক্রিকেট প্লেয়ার হবে’?
অরে পতৌদির নবাব একজন বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন এবং ভারতের ক্যাপটেনও হয়েছিলেন। তাঁর একটা চোখে পাথর বসানো ছিল। কিন্তু একচোখেই কামাল করা সেঞ্চুরি করতেন। বোঝা গেল’?
ও সব নবাব ক্রিকেটাররা পারতো। ভ্যাবলা তো আর নবাব নয়। ভুসি মালের কারবারি হলগে ওর বাবা। 
ঋকু বলে তাছাড়া এক চোখেও সেঞ্চুরি করা যায় বলে বিশ্বাস হয় না। 
মাসাদুর রহমানের দু’টো পা নেই। সে কিনা ইংলিশ চ্যানেল পার হয়েছিল। আসলে হলো মনের জোর আর জেদ।
🍂
‘আমারতো জেদ আছে নাড়ুমামা। এবারে আমার ভ্যাবাচ্যেকা মারই জিতবে। আমি বহুত প্র্যাকটিস করছি।
ঠিক সেই সময় নাড়ুমামার দিদি মানে ঋকুর মা চা আর ফুলুরি ভাজা নিয়ে ঢুকল।  ঋকুর ড্যাবডেবে চোখ তখন ফুলুরির দিকে। ঋকুকে দিয়েই ওর মা ফুলুরি কিনে আনিয়েছে। মামা খেতে ভালোবাসে। কার না খেতে ভালো লাগে? ঋকু নাড়ুমামার প্লেটের দিকে তাকিয়ে ফুলুরি গুনতে থাকে এক দুই তিন...। সব শুনে বলল, তারমানে ফ্লাওয়ার ভাসটা তুই ভেঙ্গেছিস। কতদিন বলেছি ঘরের মধ্যে ওসব প্র্যাকটিস করবি না। দুম করে কান ধরে মুলে দিয়ে বলল পড়াশুনার তো নাম গন্ধ নেই’। 
‘বারে আমি তো শ্যাডো প্র্যাকটিস করি। শ্যাডোতে কখনও ফুলদানি ভাঙে? বরং আমি দেখেছি নাড়ুমামাই সেইদিন ফুলদানি নেড়েচেড়ে দেখছিল। আবার জিজ্ঞেস করেছিল, বাহ সুন্দর! এটা কোথাকার রে’?
‘আমি! ওফফ দিদি, তোর এই ছেলে শুধু পাজি নয় মিথ্যুকও’। 
‘বারে তুমি হাত দিয়ে নাড়ানাড়ি করোনি’?
‘তা আমি করেছিলাম, কিন্তু আমি ভেঙ্গেছি’?
‘আমিও তো বলিনি মামা যে তুমি ওটা ভেঙ্গেছো’?
এবারে নাড়ুমামা দিদির দিকে তাকিয়ে বলে, 
‘বুঝলে, যেহেতু ওকে আমার সঙ্গে চুঁচুড়াতে যেতে বলেছি অমনি যাবে না বলে বদমাইশি শুরু করেছে’। আমাকে ফাঁসাচ্ছে!
দিদি কোমরে হাত দিয়ে বলে, ‘যাবে না মানে? তোমাকে একা ছাড়া যায় নাকি? ও অবশ্যই কাল তোমার সঙ্গে যাবে। .... এই যে কথাটা যেন মাথায় থাকে।
অগত্যা ঋকু মাথা নাড়ে ‘আচ্ছা’।
‘আচ্ছা’ বললে কি হবে ঋকু পড়লো চিন্তায়। এই বছরটা ফসকে গেলে আর কোন চান্স পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। কারণ এই প্রতিযোগিতাটা বয়স লিমিট বারো বছর। প্রতিযোগিতা শেষ হবে আর ওর বারো বছরও শেষ হয়ে যাবে। এ তো আর পেন্সিলে লেখা বয়স নয় যে ইরেজার ব্যবহার করে বয়স কমিয়ে দেবে!
সুতরাং এই বছরে সুযোগ করে নিতেই হবে।
বিকেলে আর স্থির থাকতে পারলো না। সোজা ভ্যাবলার বাড়ি গিয়ে হাজির। ওর ভিমরুল কামড়ানো চোখের আবস্থাটা জানা জরুরি। খুব চিন্তা নিয়ে দরজায় টোকা মারল। ভ্যাবলার মা মানে আন্টি দরজা খুলে বলে, এসো! কী ব্যাপার? নিশ্চয়ই ভ্যাবলার খোঁজে’?
মুখ কাঁচুমাচু করে বলে, ‘হ্যাঁ মানে ওর চোখের ফোলা কেমন আছে? আগামীকাল তো আবার ক্রিকেট ম্যাচ আছে’।
‘আর বলো না! ডাক্তার দেখিয়ে চোখে মলম লাগিয়েছে। এখন ছাদে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করছে। ওর বাবা বল করছে’। খুব হতাশ হয়ে ঋকু বলে, তাই! কিন্তু আন্টি চোখে যদি বল লেগে যায়! তাহলে তো চোখটাই নষ্ট হয়ে যাবে’।
‘আর কে কার কথা শোনে ওর বাবা সাহস জোগাচ্ছে বলে জানিস নবাব পতৌদি বলে একজন ক্রিকেটার ছিল সে নাকি এক চোখে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিল। 
ন-বা-ব! হুম, নাড়ুমামা বলছিল বটে নবাব সিরাউদদৌল্লা থুড়ি নবাব পতৌদি মনসুর আলি খান নিমেষে বল খান খান করে দিত! 
‘এই সব শোনার পর তো জোর কদমে লেগে পড়েছে। যাবে নাকি ছাদে’?
‘না থাক আন্টি! আমি আবার পড়তে যাবো! যাবার আগে একটু খোঁজ নিতে এসেছিলুম আর কি! 
মেজাজটা খিঁচড়ে গেল ঋকুর। ইস, তাড়াহুড়ো করে চলে এলো। অথচ কচিকাকুর দোকানের বিখ্যাত ফুলুরিটা সব নাড়ুমামার পেটে চালান চলে গেল! মোড়ের মাথায় কচিকাকুর দোকান। হন হন করে হাঁটতে থাকে। ফুলুরি কেনার পর কিছু টাকা ফেরত দিয়েছিল কচিকাকু। সেটি পেকেটে বিদ্যমান। অতএব গোটা কয়েক ফুলুরি খাওয়া যেতেই পারে।
মনের ভেতর একই চিন্তা ইস ওর বিখ্যাত হিট শট ‘ভ্যাবাচ্যেকা’ এভাবেই হারিয়ে যাবে! এ হতেই পারে না। ইস, কামড়ালি কামড়ালি দুটো চোখেই তো কামড়াতে পারতিস! দু’দিন পরে ভ্যাবলার চোখ ঠিক হয়ে যেতো। মাঝখান থেকে ও মাঠে নেমে পড়তো! তাও হলো না।
কচিকাকুর দোকানে বিশেষ ভিড় ছিল না। পাঁচটা গরম ফুলুরি ঋকুর হাতে ধরিয়ে বলল কিছুক্ষন আগে নাড়ুমামা এসেছে বলে এক ডজন ফুলুরি নিয়ে গেলে যে। আবার নিতে এসেছো? অবশ্য তোমার নাড়ুমামার মতো দু/চারটে খদ্দের থাকলে আর দেখতে হবে না।
‘আসলে তোমার ফুলুরি খুব হিট তো, তাই’।
‘আরে বাবা, একদিনেই কি সব হিট হয়? খাটতে হয়। হাহা’।
‘তা ঠিক বলেছো কচিকাকু। তোমার ফুলুরি হিট হয়ে গেল অথচ আমার ভ্যাবাচ্যেকা হিট হলো না’।
‘মানে? ভ্যাবাচ্যেকা আবার কি’?
দোকানের সামনে দু/একজন খদ্দের ছিল। তারাও ভ্যাবাচ্যেকা দৃষ্টিতে দেখতে থাকে ঋকুকে।
ঋকু গম্ভীরসে বলে, ‘ও কিছু না’। আসি কচিকাকু’।
(ক্রমশ)
শুভশ্রী সরকার
অষ্টম শ্রেণি,শতদল বালিকা বিদ্যালয়, উত্তর ২৪ পরগণা

উৎসব মরশুমে আমেরিকাতে বাসবদত্তা কদম
পর্ব ১০ সেই যে ফিলাডেলফিয়া শহর থেকে বাসে উঠলাম, সেই বাসে বসা অবস্থায় আবার বৌদির ফোন এলো, আমরা যেন ভুলে না যাই আমাদের নামতে হবে কিং অফ প্রাসিয়া মলের স্টপেজে। বৌদি আমাদের সেই মলে নিয়ে যাবে। এখন আমাদের দেশে অজস্র মল সে সব দেখেছি, মলের আর কি দেখবো! একথা আগেরদিনই বলেছিলাম। তবুও বৌদি বললো নিয়ে যাবে। 
ড্রাইভারকে আমরা বলেই রেখেছিলাম সেই স্টপেজে আমাদের নামার কথা। বাসে যদিও এনাউন্সমেন্টের ব্যবস্থা ছিল, তবুও বাড়তি সাবধানতা। ড্রাইভার আমাদের নামিয়ে দিলেন নির্দিষ্ট স্টপেজে। বৌদি দাঁড়িয়ে। আবার বলে গাড়িতে ওঠো। মলের স্টপেজেই তো দাঁড়িয়ে, আবার গাড়ি কেন? অতঃপর বুঝলাম এ মল, মলেদের দাদা-দিদি, বাবা অথবা ঠাকুর্দা বলা যায় একে। মাইলের পর মাইল জুড়ে দোকান আর দোকান। হাজার হাজার গাড়ি পার্কিংএর ব্যবস্থা। দোকানই আছে শুনলাম প্রায় সাড়ে চারশো। এ মল তৈরী হয়েছে শুনলাম ১৯৬২-৬৩ সালে। বাপরে অতদিন আগেও লোকে মলে আসতো। অর্থাৎ এ এমন মল যে কিনা ধারে ভারে দুদিকেই কাটে। এক আধটা দোকানে ঢুকে হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যথা হয়ে গেল। শুনলাম আমেরিকার সব থেকে বড় আর পুরনো মলগুলোর একটা এটা। 
চিত্রগ্রাহক - বাসবদত্তা

পুরো মল সাজানো হয়েছে অজস্র লাইট, রঙিন গাছ, বল দিয়ে। প্রায় সব দোকান সাজানো হয়ে গেছে।
নভেম্বরের মাঝামাঝি তখন। আর কয়েকদিনের মধ্যেই থ্যাঙ্কস গিভিং শুরু হয়ে যাবে। এই সময় থেকে একমাসের ওপরে চলে এ দেশে উৎসবের মেজাজ। অজস্র কেনাকাটি। নেমন্তন্ন বা পার্টি। এরপর লাইন দিয়ে আসবে বড়দিন, নতুন বছর পালনের উৎসব।
সাজানো মল খানিকটা ঘুরে দেখলাম, তবে সারাদিন ধরে ফিলাডেলফিয়া ঘুরে আমরা তখন ভয়ানক ক্লান্ত। জিনিস কেনা বা ঘোরার অবস্থায় ছিলাম না। 
সেই যে ভ্যালি ফোর্জ পার্ক, তার থেকে খুব বেশি দূরে নয় এই মল। দুটোই দাদাদের বাড়ির বেশ কাছে।
পরদিন আমাদের নিউইয়র্ক ঘোরার প্ল্যান। তার দুএকদিনের মধ্যে ওয়াশিংটন। আমাদের হিউস্টনে ফেরার ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে তখন।
তবে এই কিং অব প্রাসিয়া জায়গাটা সত্যি বেশ ভালো লেগেছিল আমার। অজস্র গাছ, সুন্দর পার্ক আবার খুব ভালো দোকানপাট কোনোটাই খুব বেশি দূর নয়, অন্তত আমরা যেখানে থাকতাম, দাদার সেই বাড়ি থেকে। আমেরিকাতে সাধারনত বাড়ি থেকে দোকানপাট বহু দূরে হয়। সেরকমও দেখেছি। মাইলের পর মেইল, একটাও দোকান নেই।
পরদিন সাত সকালে উঠে পড়েছি। মানে পড়তে হয়েছে। আমাদের সারথি, আমার দাদা আমাদের অনেক আগে রেডি। সেদিনও ভোর ভোর বেরিয়ে পড়া গেল। 
গাড়ি চলছে তো চলছেই। তখন রাস্তার ধারের গাছেদের আর রঙিন পাতা নেই। সব ঝরিয়ে হাড়গোড় বের করে দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের যেতে হলো দেড়শো কিলোমিটারের বেশি। তারপর সেই হাডসন নদী। যাকে পেরিয়ে আমরা পৌঁছাবো নিউইয়র্ক শহরে। 
একের পর এক স্টিমার যাচ্ছে। এরকমই এক স্টিমারে টিকিট কেটে উঠলাম আমরা। 
হাডসন নদীর থেকে দেখলাম নিউইয়র্ক শহরকে। অবশ্যই ফটো তুললাম বারবার। সেই স্ট্যাচু অব লিবার্টি আর নিউইয়র্ক শহর মিলেমিশে এক লেন্সে। দূর থেকে বলেই এমন একখানা ফ্রেম পাওয়া গেল। সদ্য সে ছবি তুলতে যাবো, সামনে চলে এলো আরেকখানা লঞ্চ। কিচ্ছু করার নেই। ছবি না তুললে এ ছবি আর পাবো না। তাই নিউইয়র্ক শহরের সঙ্গে সেও ধরা থাকলো আমার ক্যামেরার ফ্রেমে। 
(ক্রমশ)

স্মরণীয় দিবস।
জলাভূমি সংরক্ষণ দিবস (২রা ফেব্রুয়ারি)।
কলমে-দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীব বৈচিত্র্য, কৃষি, মৎস্য পর্যটনের নানা ক্ষেত্রে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো জলাভূমি।
জলাভূমি রক্ষা এবং সংরক্ষণের সচেতনতার লক্ষ্যে প্রতিবছর ২রা ফেব্রুয়ারি পালিত হয় 'বিশ্ব জলাভূমি সংরক্ষণ' দিবস।

 সারা বিশ্বের সঙ্গে আমাদের দেশেও এই দিবসটি পালিত হয় ২রা ফেব্রুয়ারি।
জলাভূমির গুরুত্ব যে অপরিসীম তা বুঝতে পেরে ১৯৭১ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি ইরানের রামসার শহরে পরিবেশবাদী সম্মেলনে জলাভূমির ব্যবহার ও সংরক্ষণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সই হয়, যা 'রামসার কনভেনশন' চুক্তি বলে পরিচিত।
১৯৭৫ সালে রামসার কনভেনশন চুক্তি কার্যকর হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে জলাভূমি সংরক্ষণ দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত ১৭১ টি দেশ এই চুক্তিতে সই করেছে। আই ইউ সি এন, ইউনেস্কো সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ১০০ টিরও বেশি দেশের পরিবেশ সচেতন নাগরিক 'বিশ্ব জলাভূমি দিবস' পালন করেন।
ভারতবর্ষের মধ্যে জীববৈচিত্র্যপূর্ণ সব থেকে সমৃদ্ধ অঞ্চল হল পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চল। পৃথিবী বিখ্যাত সুন্দরবন অঞ্চলের জন্য আলাদা করে আর কিছু বলার নেই। শুধুমাত্র সমৃদ্ধ জীব বৈচিত্র্যই নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন- সাইক্লোনের হাত থেকে অতন্দ্রপ্রহরীর মত সমভূমিকে বাঁচানোর কাজ করে। ১৯৯২ সালে সুন্দরবনকে রামসার সাইট(রামসার কনভেনশন কতৃক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জলাভূমি) বলে ঘোষণা করা হয়।

জলাভূমি বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য, স্থানীয় ও আঞ্চলিক তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, মিষ্টি জলের আধার, ভূগর্ভস্থ জলের পুনর্ভরাট, কার্বন আধার, জলবায়ুর অভিঘাত প্রশমন ও অভিযোজন, জীবিকার উৎস ও অর্থনীতি ইত্যাদিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
জলাভূমি সংরক্ষণ ও মজবুত ব্যবহারে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো তুলে ধরতে ২০২২ সালে এই দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, 'মানুষ ও প্রকৃতির জন্য জলাভূমি কার্যক্রম'
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী অষ্টাদশ শতক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় ৮৫ শতাংশ জলাভূমি হারিয়ে গেছে। বনভূমির থেকেও জলাভূমি তিন গুন হারে লুপ্ত হয়ে গেছে। জার্নাল নেচার জিও সায়েন্সের ২০২১ সালের ৮ই মার্চের সম্পাদকীয়তে বিগত ৫০ বছরে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া ৩৫ শতাংশ জলাভূমির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

জলাভূমি সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো, দ্রুত হারিয়ে যাওয়া থেকে জলাভূমিকে রক্ষা, সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের বৈশ্বিক এবং জাতীয় পর্যায়ে এখনই সচেষ্ট হওয়া দরকার।

জলাভূমি জীব বৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। এখানে বিপন্ন ও বিরল প্রজাতির প্রাণী ,উদ্ভিদ, পাখি ও কীটপতঙ্গের বসবাসের জন্য উপযুক্ত বাসস্থান। জলাভূমি বিভিন্ন প্রাণীর এবং শীতকালীন পরিযায়ী পাখির আশ্রয়স্থল বলা যেতে পারে। রামসার কনভেনশন অনুযায়ী একটি জলাভূমিকে এমন একটি জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত যে, সেখানে যেন বছরের আট মাস জল থাকে। জলাভূমি শুধুমাত্র জল ধরে রাখারই কাজে লাগে না, বন্যার সময় অতিরিক্ত জলও ধরে রাখে বলে অতিবন্যার ঝুঁকি কমে যায়,তাই জলাভূমিকে পৃথিবীর কিডনি বলা হয়। জলাভূমি পৃথিবীতে জীবন টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাই বলতে পারি, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই জলাভূমির গুরুত্ব বুঝতে হবে এবং তা সংরক্ষিত করতে হবে।

সংগ্রহ করতে পারেন 👇



Post a Comment

0 Comments