জ্বলদর্চি

দূর দেশের লোকগল্প—কোরিয়া (এশিয়া)সাদা বাঘের শিকারি /চিন্ময় দাশ


দূর দেশের লোকগল্প—কোরিয়া (এশিয়া)

সাদা বাঘের শিকারি

চিন্ময় দাশ


উত্তর কোরিয়ার একেবারে দক্ষিণের দিক। সেখানে আছে বিশাল বড় এক পাহাড়। কুমগ্যাঙ নাম পাহাড়টার। সেই পাহাড়ের গা ঘেঁষে এক গ্রাম। গ্রামের একটেরে থাকে এক মা আর তার ছেলে। ছেলেটা বয়সে তখন খুবই ছোট। তার বাবা হারিয়ে যায়। হ্যাঁ, হারিয়েই যায় মানুষটা। 

এতদিনে ছেলেটা একটু বড় হয়েছে। বড় হয়েই জেনেছে, তার বাবা একজন বড় শিকারি ছিল। আরও জেনেছে, বিশাল বড় এক বাঘ থাকে পাহাড়টাতে। বছরের পর বছর গ্রামের উপর অত্যাচার করে আসছে বাঘটা। কেবল গেরস্তের পোষা জীবজন্তু নয়, মাঝে মাঝে মানুষজনকেও তুলে নিয়ে যায় বাঘ।

বাঘের ভয়ে দেশের রাজাও নাস্তানাবুদ। সৈন্যসামন্ত পাঠিয়েও, কিছু করা যায়নি বাঘটার। চোখের পলক না ফেলতেই, সরে পড়ে। ছেলেটার বাবা ছিল তুখোড় বন্দুকবাজ। সারা রাজ্যে শিকারি হিসাবে নাম ছিল তার। সে মানুষটা পাহাড়ে গিয়েছিল, বাঘ মারবে বলে। বাঘ মারা তো দূরের কথা। আজ কত বছর হোল, মানুষটাই ঘরে ফেরেনি। 

সেই কোন ছোটবেলাতেই, এসব জেনেছে ছেলেটা। সেদিন থেকে, তীর-ধনুক নিয়ে কসরৎ করে যাচ্ছে সে। বড় তীরন্দাজ হিসাবে গড়ে তুলছে নিজেকে। বাবার মতো নামকরা শিকারি হতে চায় সেও। বড় হয়ে সে যাবে বাঘ শিকার করতে। 

দেখতে দেখতে পনের বছর বয়স হোল একদিন। ছেলেটা তার মাকে বলল—এখন আমি বড় হয়েছি। আমাকে অনুমতি দাও। পাহাড়ে গিয়ে, আমার বাবাকে মারবার শিক্ষা দিয়ে আসি বাঘটাকে। 

শুনে বুক কেঁপে উঠল মায়ের। তার স্বামীর মত নামকরা শিকারি হার মেনেছে যে বাঘের কাছে, এই দুধের শিশু যাবে তাকে শিকার করতে?

মা বলল—তোমার বাবা হার মেনেছে যার কাছে, সেখানে গেলে, তুমি ফিরে আসবে না, বাছা। 

ছেলে জিদ ধরে বসল—তুমি শুধু অনুমতি দাও আমাকে। দেখো, আমি পারি  কি না। 

মা বলল—ঠিক আছে, তুমি যখন চাইছ, আমি না করব না। তবে একটা পরীক্ষা দাও আগে। 

শুনে তো ছেলে ভারি খুশি। -- বলো, কী পরীক্ষা। 

মা বলল—তোমার বাবা একটা কাজ করত। একটা জল্ভরা মাটির মগ আমার মাথায় বসিয়ে, এক মাইল দূর থেকে তীর ছুঁড়ত। মগের হাতল ভেঙে ফেলত, এক বিন্দু জলও চলকে পড়ত না। দেখাও, তুমি পারো কি না।

ছেলেটা বুঝতে পারল, আরও তালিম ছাড়া, এ কাজ করতে পারা সহজ নয়। আরও তিন বছর তালিম চলল ছেলের। তিন বছর পরে, মায়ের মাথায় জলের মগ বসিয়ে পরীক্ষা উতরে দিল সে। বলল—এবার অনুমতি দাও আমাকে।

মা বলল—আরও একটা কাজ করে দেখাতে হবে তোমাকে। গাছের ডালে একটা সূঁচ গেঁথে দিয়ে এক মাইল দূর থেকে সূঁচের ফুটো ভেঙে দিত তোমার বাবা। তুমি সেটা করে দেখাও আমাকে। 

এ কাজও ভারি কঠিন। আরও তিন বছর কসরৎ করে, তাতেও সফল হোল ছেলেটি। আর নিষেধ করা যায় না। এত দিনে ছেলেটাও একুশ বছরের হয়ে  উঠেছে। জোয়ান ছেলেকে কি আর ঘরে আটকে রাখা যায়? তাছাড়া, মায়ের মনেও আগুন জ্বলছে স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে। 

মা বলল— একটা কথা বলি তোমাকে। এই পরীক্ষা দুটো কোনদিন করেনি তোমার বাবা। তোমাকে আরও দক্ষ করে তুলবার জন্য বলেছি আমি। দুটোতেই তুমি উৎরে গিয়েছ। এবার যাও বাছা। যে শয়তান তোমাকে পিতৃহীন করেছে, তাকে উচিত শিক্ষা দিয়ে এসো তুমি।

মায়ের কথায় রোমাঞ্চিত হয়ে উঠল ছেলেটি। কিছু খাবার আর তীর ধনুক নিয়ে রওণা দিল।  

 গ্রাম শেষ হলেই পাহাড়। পাহাড়ে খানিকটা চড়েছে, একটা কুঁড়েঘর চোখে পড়ল। থুত্থুরে এক বুড়ি বসে আছে দাওয়ায়। বুড়ি অবাক হয়ে বলল—কে তুমি, বাছা? পাহাড়ে চড়েছ কেন?

ছেলেটা বলল—একটা বাঘ আছে এই পাহাড়ে। সে আমার বাবাকে মেরেছে। আমি চলেছি বাঘটাকে মারতে। 

🍂

বুড়ি বলল—সে তো অনেক দিনের কথা। তোমার বাবা ছিল খুব নামকরা শিকারি। সেও পারেনি এই বাঘকে মারতে। তুমি কি পারবে বাছা? এ বাঘকে মারা সোজা কথা নয়। তুমি একটা পরীক্ষা দাও তো দেখি, কেমন পারঙ্গম হয়েছ তুমি। 

ছেলেটা বলল—বলো, কি করতে হবে?

--তোমার বাবাও এসেছিল এখানে। আমার এই কুঁড়েতেই ছিল অনেক দিন। বুড়ি বলল-- সামনে ঐ যে সবচেয়ে বড় গাছটা দেখছ, ঐ গাছটার দিকে পিছন ফিরে দাঁড়াত তোমার বাবা। ঘাড়ে বন্দুক রেখে, গাছের একেবারে মগডালের পাতাকে কেটে ফেলার রেওয়াজ করতো। পারবে তুমি ঐ কাজ করতে?            

শুনতে যাই হোক, কাজটা যে ভারি কঠিন, বুঝতে বাকি নাই ছেলেটার। তাকে চুপ করে থাকতে দেখে, বুড়ি বলল—এ বাঘটা হোল সাক্ষাৎ যম। জেদের বশে মৃত্যুর মুখে যেও না। তার আগে, নিজেকে তৈরি করো এখানে থেকে। 

বুড়ির ঘরেই থেকে গেল ছেলেটা। পুরো তিন বছর কাটল যখন, পিছন ফিরে ঘাড়ে বন্দুক রেখে, মগডালের পাতা কেটে দিতে পারল ছেলেটি। 

বুড়ি বলল—আরও একটা কাজ শিখতে হবে তোমাকে। তোমার বাবাও করতে শিখেছিল কাজটা।

ছেলেটা বলল—বলো, কী কাজ?

বুড়ি বলল—ঐ যে দূরে পাহাড়টা দেখছ, ওটার খাড়া দেওয়ালে একটা পিঁপড়ে বসিয়ে, তিন মাইল দূর থেকে কেটে ফেলতে হবে পিঁপড়েটাকে। তীরের ফলার সামান্য ঘষাও লাগবে না পাথরের গায়ে। 

ছেলেটার আবার তিন বছর সময় লেগে গেল পিঁপড়ে কাটা রপ্ত করতে। এবার বুড়ি বলল—সত্যি সত্যিই তৈরি হয়েছ তুমি। এবার যেতে পারো তুমি। সফল হও, আমি আশীর্বাদ করছি তোমাকে। 

বুড়ি একটা ঝোলা ধরিয়ে দিল ছেলেটার হাতে—খাবার দাবার তো কিছু পাবে না পাহাড়ে। কতকগুলো ভাতের ডেলা দিয়ে দিলাম ঝোলায়। পথে যেতে কাজে লাগবে তোমার। 

একটু একটু করে পাহাড়ের রাজ্যে ঢুকে পড়ছে ছেলেটা। বিশাল এই পাহাড়। এ পাহাড়ে নাকি বারো হাজার চুড়া আছে। বহু দূর পর্যন্ত ছড়ানো। এর কোনখানে যে রয়েছে বাঘটা, কিছুই ঠাহর করা যাচ্ছে না। চুড়াগুলোর এদিক ওদিক পাক দিয়ে বেড়াচ্ছে ছেলেটা। 

একদিন ক্লান্ত হয়ে একটা চওড়া পাথরে বসেছে। ঝোলা থেকে ভাতের একটা ডেলা বের করেছে, মুখে তুলবে বলে। তখনই উলুঝুলু পোষাকের আবার এক বুড়ির উদয়। বুড়ি বলল—দয়া করে একটা ডেলা দেবে আমাকে? অনেক দিন পেটে কিছু পড়েনি।

ছেলেটা তাকে পাথরে বসাল—বোস এখানে। এক সাথে মিলে খাওয়া যাবে। 

খাওয়া শেষ হলে, বুড়ি বলল—এই গভীর পাহাড়-জঙ্গলে তো সাধারণত কেউ আসে না। তুমি এখানে কেন? 

ছেলেটা সব বুঝিয়ে বলল বুড়িকে। শুনে তো বুড়ির মাথায় হাত! আঁতকে উঠেছে বুড়ি—শোন গো ছেলে, ভালো কথা বলি। না, না। এখানে থাকা ঠিক নয় তোমার। ভয়াণক জীব বাঘটা। তাকে মারবার কথা মনেও এনো না তুমি। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাও। 

--বলছ কী তুমি? আমার বাবাকে মেরেছে শয়তানটা। ওকে না মেরে, মনে শান্তি আসবে না আমার। 

বুড়ি বলল—আমরা যারা এই বন-পাহাড়ে থাকি, আজ জানি না, কাল আমরা বেঁচে থাকব কি না। এখন যুবক বয়স তোমার। বাড়ি ফিরে যাও। সারাটা জীবন পড়ে আছে তোমার সামনে।  

ছেলেটা বুড়িকে বোঝাতে লাগল। বাঘটাকে মারবে বলে, গত বারো বছর কত কঠোর মেহনত করেছে সে। শ্ত্রু যত বড়ই হোক, হারের ভয়ে সে ফিরে যাবে না। 

বুড়ি বলল—বাধা মানবে না যখন, একটা কথা বলে যাই তোমাকে। বাঘটার গায়ের রঙ সাদা। ভয়াণক তীব্র গতি তার পায়ে। বাঘটাকে মারবার জন্য, এক লহমা মাত্র সময় পাবে তুমি। দূরের দিগন্তরেখায় মূহুর্তের জন্য একটা সাদা আলোর ফুলকি দেখতে পাও যদি, বুঝবে সেটাই বাঘ। সেটাই তোমার লক্ষ্যবস্তু। সেই মূহুর্তেই মারতে হবে তোমাকে। মাথায় রেখো, খুবই কঠিন কাজ কিন্তু।

বুড়ি বলল-- প্রথম বারেই যদি মেরে দিতে না পারো, সে তোমাকে মেরে দেবে। এ কথাটা মনে রেখো। 

বুড়ি চলে গেল। ছেলেটা বসে পড়ল স্থির হয়ে। চোখ দূরের দিকে। পাহাড় চুড়াগুলোকে জরীপ করছে চোখ সরু করে। সূর্য ঢলে পড়তে শুরু করেছে আকাশে। হঠাৎই একটা আলোর বিন্দু ফুটে উঠতে দেখল দূরে। অমনি ট্রিগারে আঙুলের চাপ।

বন্দুকের গুলির আওয়াজ না মিলাতেই, আর একটা আওয়াজ। মেঘের গর্জনের মত। ব্জ্রপাতের মতো। পাহাড়ের চুড়ায় চুড়ায় ধাক্কা খেয়ে খেয়ে ছড়িয়ে পড়তে লাগল শব্দটা। 

বুঝতে কিছুই বাকি রইল না ছেলেটার। তার নিশানা ভুল হয়নি। বাতাসের গতিতে দৌড় লাগালো সে। বাঘটার সামনে পৌঁছে, মুখে কথা ফুটছে না তার। বিস্ময়ে বিমূঢ়। বিস্ফারিত চোখ দুটো গোল গোল। এত বড় হতে পারে কোন প্রাণী! একে মারবার জন্যই এত দিন মেহনত করেছে। কিন্তু কল্পনাও করতে পারেনি, আস্ত একটা পাহাড়ের মত চেহারার কোন জীবকে মারতে চলেছে সে!

পাহাড়ের চেহারার বাঘটা এখন লুটিয়ে পড়ে আছে মাটিতে। বিশাল মুখখানা হাঁ হয়ে আছে। যেন পরের শিকারটাকে গিলতে চাইছে। 

নিজেকে আর সামলাতে পারল না ছেলেটা। ঢুকেই পড়ল সেই গহ্বরের মতো খোলা মুখখানার ভিতরে। তার পর একটা টানা সুড়ঙ্গ। সেটা পার হয়েই, একেবারে মাঠের মতো খোলামেলা একটা জায়গা। বুঝতে অসুবিধা হোল না, বাঘটার পেটের ভিতরে পৌঁছে গিয়েছে সে।

এক সময় একটা মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখল সেখানে। সাড় নাই শরীরে। কতক্ষণ গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে সেবা করে চেতনা ফিরল মেয়েটির।

অনেক সময় ধরে অবাক হয়ে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে রইল মেয়েটি। কতক্ষণ পরে তার মনে পড়ল, এই দেশের মন্ত্রীর মেয়ে সে। গতকালই নদীতে চুল ধুতে গিয়ে, বাঘের পেটে যেতে হয়েছিল তাকে। 

দুজনে পরিচয় করতে যাবে, এমন সময় একটা গোঙানি কানে এলো তাদের। মানুষেরই গলা। দুজনেরই হতবুদ্ধি অবস্থা। এখানে মানুষের গলা আসবে কোত্থেকে!     

গুটি গুটি পায়ে সামনের অন্ধকার দিকটার দিকে এগিয়ে গেল দুজনে। অবাক ব্যাপার। একজন বুড়ো মানুষ পড়ে আছে সেখানে। একেবারে কোণার দিকটায়। চোখ সয়ে আসতে যা দেখল, পাথরের মত নিশ্চল হয়ে গেল ছেলেটা। পুঁটলির মতো পাকিয়ে পড়ে থাকা মানুষটা আর কেউ নয়, তার বাবা!
বাঘটা গিলে খেয়েছিল। তাতেই এত বছর টিকে আছে সে। এবার বাবা-ছেলে গলা জড়াজড়ি করে কাঁদল অনেক সময় ধরে। 

মেয়েটি তাড়া লাগাল—বাড়ি গিয়ে কান্নার অনেক সময় পাবে। এখন চলো, তাড়াতাড়ি বেরোই এই অন্ধকার থেকে।  

বাইরে বেরিয়ে দেখল, বড়সড় একটা মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে তিনজনে। ছেলেটা বলল—দাঁড়াও তোমরা। এতো বড় সাফল্যের একটা নমুনা নিয়ে যাই।

বাবা বলল—ঠিক বলেছ তুমি। দেশের কোনও শিকারি পারেনি। পারিনি আমি নিজেও। চিহ্ন একটা নিতেই হবে। প্রমাণ হিসাবেও থাকা দরকার কিছু একটা। 

তখন বাবা নিল বাঘের গোঁফের চুল। লেজের চুল নিল মন্ত্রীর মেয়ে। কী নেওয়া যায়, কী নেওয়া যায়? শেষমেষ সুন্দর সাদা বাঘের লেজটাই কেটে নিল ছেলেটা। 

এক হাতে বাবা, আর অন্য হাতে মেয়েটির হাত ধরে, গাঁয়ে ফিরল যখন ছেলেটা, কারও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না। নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছে না কেউ। মানুষের হৈ-হল্লা শুনে, মা এসে দাঁড়িয়েছে দাওয়ার খুঁটি ধরে। বিস্ময়ে আনন্দে বিস্ফারিত চোখে যা দেখল, বুক ফেটে যাওয়ার জোগাড়। শুধু ছেলেটাই ঘরে ফেরেনি। কতো বছর পর, ঘরে ফিরে আসছে তার হারিয়ে যাওয়া  মানুষটিও।

গাঁয়ের সবাই এসে জড়ো হয়েছে কুঁড়েঘরটার উঠোনে। লোকে লোকারণ্য। গাঁয়ের মোড়ল এগিয়ে এলো ভিড় ঠেলে—আজকের রাতটা আনন্দ করে কাটাও। নাচ-গান হোক। সকাল হলে কিন্তু, মেয়েটিকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। 

রাত ফুরিয়ে আলো ফুটল। তখন উৎসবের আসর থামানো হোল। ছেলেটা রাজধানিতে  চলল মন্ত্রীর মেয়েকে নিয়ে। 

পাক্কা দু’দিন পর হারাণো মেয়ে ঘরে ফিরেছে। ফিরেছে একেবারে অক্ষত অবস্থায়। মন্ত্রীমশায়ের তো আনন্দ ধরে না। নিজের মেয়ে আর শিকারি ছেলেটিকে নিয়ে তিনি রাজার দরবারে হাজির হলেন। 

খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে একেবারে গোড়া থেকে সব শুনলেন রাজামশাই। কী ভাবে টানা বারো বছর ধরে মেহনত করেছে, কীভাবে এক লহমার দেখায়, বন্দুক চালিয়ে এত দিনের বিপদ সেই বাঘকে মেরেছে—সব শুনলেন তিনি।

রাজার বিধানে মন্ত্রীর মেয়ের সাথে বিয়ে হোল ছেলেটির। হাত কচলে, মন্ত্রীমশাই বললেন—আমার একটা নিবেদন ছিল, হুজুর। বয়স হয়েছে আমার। এখন থেকে এই ছেলেকেই আমার কাজে নিয়োগ করে নিন আপনি।

শুনে, বেদম একচোট হাসলেন রাজামশাই। হাসির দমক থামলে, বললেন—আচ্ছা বেকুব তো তুমি! এত বড় শিকারিকে তুমি মন্ত্রী বানাতে চাও। তাতে রাজ্য চলবে? 

রাজার ফরমানে, রাজার নিজের সুরক্ষা বাহিনীর মাথা করা হোল ছেলেটিকে। রাজধানিতেই একটা তিন মহলা বাড়ি গড়ে দেওয়া হোল মন্ত্রীর জামাইকে। 

বাবা, মা আর বউকে নিয়ে, সুখে শান্তিতে দিন কাটতে লাগল শিকারি ছেলের।

সংগ্রহ করতে পারেন 👇

Post a Comment

0 Comments