জ্বলদর্চি

বার্লিনের ডায়েরি --১৩ পর্ব / চিত্রা ভট্টাচার্য্য

বার্লিনের উপকণ্ঠে

বার্লিনের ডায়েরি --১৩ পর্ব  
চিত্রা ভট্টাচার্য্য

(শহর থেকে উপকণ্ঠে বেড়ানোর শেষ অংশ )

সোনালী রোদ ঝলমলে নীলাকাশ খুশির তুফান তুলেছে শ্রীময়ী অদ্রিজার মনে। ঋষভ ও  কখোনো সিস্ দিয়ে কখোনো  গুনগুন করে গান গাইছে সিলিয়ার ফোর্ড গাড়ির সীটে হেলান দিয়ে । কিছুটা যেতেই চোখে পড়ে প্রায় হাফকিঃমিঃ জায়গা জুড়ে চার,পাঁচ ফুট লম্বা সাদা ধবধবে কাশের গুচ্ছ হাওয়ায় বেশ মাথা দুলিয়ে রাস্তার দুই পাশ জুড়ে ঢাল বেয়ে চলেছে। ছোট্ট ছোট্ট নীলপাখি ,বী ইটার ,সম্ভবতঃ বা হ্যামিংবার্ড ও চঞ্চল ডানা মেলে তারই সাথে নিরন্তর উড়ছে। শহরের মতোই সুন্দর পরিষ্কার পরিছন্ন গ্রাম ,সিলিয়াদের ডর্ফ গুলো। সেগুন গাছের ঘন সমাবেশ ছাড়া ও অলিভ পাতার মন মাতানো গন্ধ হাওয়ায় ভাসছে। বিভিন্ন গাছ গাছালি  তে সবুজ  নির্জন বন প্রান্তর সড়ক পথ। যত দূর চোখ যায় প্রসারিত ধুঁধুঁ মাঠ, দিগন্ত বিসতৃত সবুজ শ্যামলিমায় ভরা ফসলের জমি। এখন শীতে ঘাসের রঙ হলদেটে। পুল গুলোতে আয়নার মত কাকচক্ষু স্বচ্ছ জলে আঁকিবুকি কেটে বেশ বড় আকারের   পাতিহাঁস দল নিয়ে সার বেঁধে  ভেসে চলেছে। সাদা রাজ হাঁসেরা ও চলেছে আত্ম অহংকারে গ্রীবা উঁচিয়ে । পাতা ঝরা গাছ গুলো থেকে বিরামহীন পাতা ঝরে গাছ গুলো জড়া জীর্ন কঙ্কালের মত।  আগামীর নবীন কিশলয় কে সানন্দে বরণ করতে নিষ্পত্র ডালপালা বাড়িয়ে দিয়েছে।  

এদিকটায় আপেলের বাগান। পথের ডাইনে বাঁয়ে দুইদিকেই  ঘন সবুজপাতার আড়াল থেকে লালচে টুকটুকে আপেল ঝুলছে।  কোথাও তারের বেড়ার গায়ে জড়ানো আঙুরের লতায় থোকা থোকা কালো বা হালকা সবুজ আঙ্গুর। ঝুপঝুপ গোলগাল মাথা ছাটা ব্ল্যাক বেরির ,স্ট্রবেরীর গাছ গুলোতে পাখি দের উৎপাত।  বিশেষ করে বাড়ির পেছন দিকের জমিতেই আঙুরের চাষ বেশী দেখা যাচ্ছে। ছোট্টো কটেজের মত বাড়ি হোক বা বড় বাড়ি ,প্রতিটা বাড়ির পেছন দিকে বিশাল প্রসারিত সীমাহীন চাষের জমি এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ক্ষেতের কাজ চলেছে। সিলিয়া বলে যাঁরা কাজ করছে তারা প্রত্যেকে বাড়ির সদস্য না হলেও ফার্ম হাউসের  এমপ্লয়ী। তাছাড়া ও গ্রাম বাসীরা নিজেরাই তাদের জমির পরিচর্যা করে। পেশাদার মালিদের পরামর্শে বাগানে বীজ বপন ,বৃক্ষ রোপন ,  ফসলের রক্ষনা বেক্ষন ইত্যাদির সাথে  হাল চালিয়ে বা সুযোগ মত আধুনিক প্রযুক্তিতে মাটি তৈরী , সেচের ব্যাবস্থা করা বা  সার দেওয়া ওরা স্বহস্তে নিয়মিত করে থাকেন ।                                          
অবশেষে আধঘন্টা ড্রাইভের পর সিলিয়া দের ফার্ম হাউসে শ্রীময়ীরা  পৌঁছেছিল। চারদিকে তাকিয়ে ঋষভের মনে হয় এ যেন এক যৌথ পরিবারের গল্প। পরিবারের সবার সাথে পরিচয় পর্ব সারা হলে ,২৫বছরের ফ্লোরার সাথে আলাপ করিয়ে বলে এই দুস্টু মিষ্টি মেয়েটি আমার নয়নের মণি ফ্লোরা আমার মেয়ে বুঝলে।এবং ওর ড্যাড আমার বর্তমান স্বামী মিষ্টার জয় ভার্গব। শ্রীময়ী মনে মনে খুব খুশি হলে ও কপট রাগ দেখিয়ে বলে ,ভীষণ রাগ হচ্ছে তুমি এতদিন বলো নি তো ?  সিলিয়া ততোধিক হেসে বলে তোমাদের কাছে ইন্ডিয়ায় গিয়েই 'সারপ্রাইজ দেব '  ভাবলাম। কিন্তু তুমি বার্লিনে আসাতে আমার প্ল্যান ভেস্তে গেলো। ঐ আর্বান ফার্মিং সেন্টারে ধূমকেতুর মত  এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ার মিঃ জয় ভার্গভের সাথে পরিচয় হয়েছিল। তার যোগসূত্র ছিল চার বছরের ঐ বিচ্ছু ফ্লোরা। ঋষভ বলে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি সিলিয়া তোমাকে পূর্ণ দেখে ,তুমি আবার সেটেল করেছো। এক নির্মল হাসির তরঙ্গ বয়ে যায় ওদের মাঝে ।  
সবুজে সবুজ ডর্ফ।

      বাড়িটির পিছনে বিশাল জমি ,অদ্রিজার অনুমান প্রায় ষাট একর এর ওপর জায়গা জুড়ে এই কৃষিবাড়ি। এবং গ্রামীণ জীবনে প্রত্যেকে যথেষ্ট ধনী ও সমৃদ্ধ শালী। এখানে আধুনিক জীবনের সব সুবিধাই রয়েছে । জমিতে জল সেঁচের ব্যাবস্থা ইলেক্ট্রিক পাম্প, ট্র্যাক্টর এবং বহির্বিশ্বরে সঙ্গে যোগা যোগের জন্য উন্নত মানের ইন্টারনেট পরিষেবা। শৌখিন বাড়ি ঘর গুলোর পিছনের দিকে চাষের জমি ছাড়াও সেখানে পশু পালন ,হাঁস ,মুরগী ,টার্কির পোল্ট্রী, ফিসারী তো আছেই এবং অনেকে ঘোড়ার  আস্তাবল এবং প্রশিক্ষণের রেঞ্চ ও রয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মেশিনে পশু পালন ,গবাদি পশুর দুধ দোয়ানো ,সদ্য জাত শাবক টি কে দুধ খাওয়ানো , স্নান করানো, মেষ ভেড়া শুকর ছানার দেখভাল নানাবিধ পরিচর্যা চলছে।  নানা প্রজাতির পোষ্য কুকুর ও রয়েছে।  অনেক গল্পের বইয়ে ফার্ম হাউজের কথা পড়লে ও জার্মানির ফার্ম হাউজ এই প্রথম ওরা স্বচক্ষে দেখে মোহিত হয়ে গিয়েছিল।   

🍂
 সিলিয়া বলেছিল শহরের মানুষ চায় সবুজায়ন। তাই আরবান ফার্মিংয়ের চিন্তা ধারা শহর কে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল। তেমন ই গ্রামকে ও ততধিক সুন্দর চাষ আবাদে ফলন ফলিয়ে ফসল উৎপাদন করে সতেজ টাটকা সব্জি ফলমূল দিয়ে অধিকতর সমৃদ্ধ শালী করে তুলতে সারাদিন ওদের অক্লান্ত পরিশ্রম  চলে । গ্রামের মানুষ জন ও যেন এই ফার্মিং হাউজেরর সব সুবিধা গুলো পায়। তাই শহরের উপকণ্ঠে এই গ্রীনহাউজ প্রকল্প প্রায় সর্বত্র গড়ে উঠেছে। শ্রীময়ী অদ্রিজা ও ফ্লোরার সাথে  শাক সব্জির ক্ষেতে ঘুরে বেড়ায়। নিজের দেশের  মত তুলসী ,পুদিনা ,পালং ,লেটুশ ,ধনে পাতার ক্ষেত দেখে  আশ্চর্য্য  হয়  দেশের সব চেনা সব্জি ,ফুলকপি বাঁধাকপি ক্যাপসিকাম ব্রকোলি ,লাউ কুমড়ো ঢেঁড়স বেগুন টমেটো কড়াইশুঁটি বীট গাঁজর  পেঁয়াজ রসুন আদা কাঁচা লঙ্কা ; সব স্বাস্থবান তাজা সব্জির বাহার মন উতলা করে।   .

  এই ফার্ম হাউজের বাঁদিকের বাগান ভরে  আমলা হর্তুকি বয়রা এমন কি মাকাল ফলের মত গাছে দের জটলায় বিস্তর রঙ বেরঙের পাখিদের আড্ডা। তারা বাগান ময় নেচে বেড়ায় কলকোলাহলে মাতিয়ে রাখে । ফ্লোরার সাথে প্রথম পরিচয়ে গল্পে কথায় মেতে ওরা  বেশ কিছুটা পথ এগিয়ে যায়।  ঘন গাছের পাতার আড়ালে থোকায় থোকায় ছোট ছোট ফলের মত ঝুলতে দেখে  অদ্রিজা ছুটে যায় সেদিকের  বাগানে। নানা রঙের অমন বাহারী ফলের নাম কি হবে? চিনতে না পেরে কি ফল হবে ভেবে পায় না শ্রী বা ঋষভ। ফ্লোরা হেসে বলে আরে এতো জার্মান দের ভারী প্রিয় জাতীয় ফল। ফ্লাউমেন বা প্লাম। ভারী উপাদেয়,দামে ও খুব সস্তা। সিলিয়া আশ্চর্য্য হয়ে বলে ইন্ডিয়াতে এর নাম আলুবোখরা। তুমি ও জানোনা ঋষভ ?  চিনতে পারলে না ? শ্রী বলে এর আকার ও রঙ দেখে সত্যি অচেনা  লাগছে। এখানে  ফ্লাউমেন দিয়ে তৈরী কেক অতি জনপ্রিয়। বিভিন্ন রান্নার কাজে ও ব্যবহৃত হয়। কত আদরের নাম এর ,কাটিংকা ,হানিটা ,আওয়াবাখার ,প্রেজেন্টা ইত্যাদি। জমিটির দক্ষিণ প্রান্ত জুড়ে প্রায় এক কিলোমিটার জায়গায় এই ফলের চাষ হয়েছে।  সেলিনা বলে গ্রীষ্ম কালে পুরো সময় টা নীল আর বেগুনী রঙের আলুবোখরার পাকা ফলে এই যে সামনে বাগানটি দেখছো সে সেজে ওঠে অপরূপ বাহারী রঙের সাজে। বার্লিনে প্রায় বারোমাস ই এই ফল পাওয়া যায়।  

  এতো সজীব ফসলের সাথে খড়ের মত ঘাসে ভেজা ঘরে মাশরুমের চাষ ও হতে দেখে ঋষভের মনে অনেক প্রশ্ন। এককালে চার মাস ধরে বর্ষার সময়ে মুম্বাই তে ,যথেষ্ট  উৎসাহ নিয়ে মল্লারের কোয়ার্টারে ওরা যৌথ উদ্যোগে মেতেছিল মাশরুম চাষে। সে স্মৃতি  সিলিয়ার ও মনে আজো উজ্জ্বল হয়ে আছে। ফ্লোরা অদ্রিজা কে  বিরাট এক জলাধারের কাছে নিয়ে এসেছে -- চারধারে বাঁধানো বেশ বড়ো এক পুকুর  বলা যায় ,তাতে আধুনিক সরঞ্জামের সাহায্যে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম জলাশয়ে খেলে বেড়াচ্ছে নানা রকমের মাছ ।.ব্যাটারি চালিত বেশ কয়েকটি টোটোর মত দেখতে গাড়ি রয়েছে যা সারাদিন অনবরত বাগানের দেখ ভালের জন্যই ব্যস্ত হয়ে টহল দিচ্ছে। এই গাড়িটি   চড়েই  প্রায় পঁয়ত্রিশ একর জমি সিলিয়া এবং ,ফ্লোরার সাথে  শ্রীময়ীদের  ঘুরে দেখতে একটুও ক্লান্তি লাগেনা।   

 সিলিয়ার বাড়ি ভর্তি অনেক সদস্য। আত্মীয় পরিজনের সাথে খামার বাড়ির অফিসের কর্মচারী   লোকজন ও রয়েছে । ও বলে এরা সব সময় এখানে থাকে না। তবে ফার্ম হাউজের বিশাল কর্ম কান্ড সামলে সারাদিন কাজকর্মের পর ওরা রাতে ঘরে ফিরে যায়। এখানের জনসাধারণ ভাবে তাদের কাছে সস্তা থেকে ও টাটকা শাক সব্জির স্বাদ অনেক বেশী লোভনীয়। বিশেষ করে শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষেরা ,তারা সাহিত্যিক বিজ্ঞানী ,ডাক্তার ,রাষ্ট্রবিজ্ঞানী,অধ্যাপক  থেকে শুরু করে আইনজীবী বা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ,যিনি যে পেশাতেই থাকুন না কেন সবাই শহরে বাগান করতে বা  শহরের উপকণ্ঠে এমন ফার্ম হাউজ বানাতে সমান আগ্রহী। তারা ছুটির দিন কিছুটা সময়ে এই বাগান গুলোতে মাটি খোঁড়ে ,সার দেয় ,পাতা ছাঁটে ,গাছেদের পরিচর্যা করে সময় কাটিয়ে যায়। শ্ৰীময়ী ঋষভের মনে এমন গার্ডেনিং এর নেশা এক নতুন অনুপ্রেরণা জাগায়।     সাজানো কৃষি বাড়ি।

আজ সকাল থেকে ভারী উত্তেজিত ছিল সিলিয়া। ও চেয়েছিল ওর বর্তমান লাইফ পার্টনার মিস্টার জয় ভার্গবের সাথে আলাপ করিয়ে শ্রী ও ঋষভ কে সারপ্রাইজ দেবে। কিন্তু ফার্মিং ব্যবসার দায়িত্বে ব্যস্ত থাকার কাজ সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য এবং বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে প্রায়ই  ভার্গব কে অফিসিয়াল ট্যুরে প্যারিসে যেতে হয়। এই বিশাল যজ্ঞের কর্ম কাণ্ডে মিঃ জয় ভার্গব যে এক সুদক্ষ নায়ক ও  পরিচালক তা সিলিয়ার রিলেটিভরা বলেই চলেছিলেন। বার্লিনের মাটিতে একজন স্বদেশ বাসীর এতো বড়ো ভূমিকা ,সুনাম, ও প্রশংসায় ঋষভ বেশ গর্বিত বোধ করে।শ্রী কে  বলে ,ভারতীয় ছেলে মেয়ে রা সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই তাদের শ্রেষ্ঠত্ব সর্বত্র প্রমান করতে পারে। মিষ্টার ভার্গবের সাথে শ্রী ও ঋষভের পরিচয় হলোনা বলে সিলিয়া ও ফ্লোরার আফশোসের অন্তনেই। শ্রী বলে খুব ভালো লাগছে তুমি আবার ইন্ডিয়ান লাইফ পার্টনারের সাথে ঘর বেঁধেছো। সিলিয়া হেসে বলে আর এক জন মল্লারের মত কাউকে খুঁজে পেতে চেয়েছিলাম। পুরো পাওয়া যায় না জানি তবু ও  ইন্ডিয়ান ছেলেদের মধ্যে কিছুটাতো মল্লার কে খুঁজে পাবো। Joy is amazing and very sincere person ...                                                                                                                                 এক উপাদেয় থাইফুডের ডিশ সাদা ভাতের সাথে টার্কির ডিম হাফবয়েল এবং ইন্ডিয়ান ফিসফ্রাই । টার্কির ঝোল,কচি বাঁশের কুচি গাজর ,ব্রকোলি লাল সবুজ ক্যাপসিকাম ছোট চিংড়ি মাখন ,ধনেপাতা সহযোগে বানানো থাই ডিশ। গরম টমেটো স্যুপের সাথে খেতে অতি চমৎকার সুস্বাদু লেগেছিল। সারাদিন বেশ আলোময় থাকায় এই বাগান বাড়ি মনের মত করে উপভোগ করে ওদের মুগ্ধতার শেষ নেই। ম্যাপেল ,সেগুনের বনে শুকনো পাতায় মর্মর ধ্বনি তুলে ওরা যখন ফিরে চলেছে  রক্তিম সিঁদুরে সূর্য তখন ই পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে গাছেদের পিছনে মুখ লুকোলো। এবারে ঘরে ফেরার পালা। সিলিয়া ওর  গাড়িটি নিয়ে এলো ড্রাইভ ওয়ে তে। শ্রীময়ী দের স্টেশনে পৌঁছে ও যাবে পশ্চিমের উপনগরে । 
শহর থেকে উপকণ্ঠে যাবার পথে।

আজো একাকী বার্লিনে কাটানো সুন্দর স্মৃতিতে ভরা দিন গুলোর কথা লিখতে বসে শ্রীর চোখ দুটো  অজান্তে খুশিতে ভরে ওঠে। মনে পড়ে সিলিয়া ও ফ্লোরার সদা হাস্যময় ব্যবহার। ঐ ক্ষণিকের পরিচয়ে ফ্লোরার আন্তরিকতায় ভরা মুখ খানির প্রতিচ্ছবি মানস চোখে আজো ও যেন শ্রী দেখতে পায়। বহু দূর থেকে সোনালী চুলে ঢেউ তুলে হাত নেড়ে বিদায়ী জানিয়ে মা ও মেয়ের গলার আওয়াজ কানে ভেসে   আসে ,বলে আবার  "যদি ইচ্ছে করে আবার এসো ফিরে"।  শ্রী ও  ওকে ইন্ডিয়ায় আমন্ত্রণ জানায়।  কিন্তু মনে মনে শ্রী সত্যি জানে  পোস্টডকের কাজ শেষ হলে অদ্রিজা ভারতবর্ষে  ফিরে আসবে। যত ভালোই লাগুক-- আর কি কখনো এতো দূর দেশে আসা সম্ভব ? আজ না হয় স্মৃতি সুধায় ভরা থাক সেদিন গুলো। সযত্নে মনের মণিকোঠায় অনন্তকাল সাজিয়ে রেখেদেবে এমন  বর্ণময় বার্লিনের সবুজ স্বপ্নের উপকণ্ঠের ঐতিহ্য। সেদিনের মায়ায় ভরা '' ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রাম গুলি '' সিলিয়ার আনন্দ নিকেতন  মায়াবী ডর্ফ গুলো । 

সংগ্রহ করতে পারেন 👇


Post a Comment

0 Comments