বার্লিনের ডায়েরি -১৬পর্ব
চিত্রা ভট্টাচার্য্য
নীলাভ আকাশের গায়ে স্বগর্বে মাথা ঠেঁকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্থাপত্য শিল্পের স্মারক সেন্ট নিকোলাস চার্চ ,পটসডাম সিটি প্যালেস ,পুরোনো সিটি হল ,নতুন প্রসাদ ,পুরোনো সানসুসি প্রাসাদ শার্লটেন হপ প্যালেস বা অরেঞ্জি প্যালেস আরো কত নামের ঐতিহাসিক প্রাসাদ শীর্ষের বিশাল গগনচুম্বী গম্বুজ গুলো।স্থাপত্য এবং ল্যান্ড স্কেপের একটি যত্নশীল ভারসাম্যের মাধ্যমে সব সময় মনে করাতে চায় প্রকৃতি ও প্রযুক্তি পাশাপাশি কী অপরূপ মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছে শান্তির পীঠস্থান এই মনোরম প্রাসাদ নগরীটিতে। জ্যাক বলে, সময় কম ,সব প্রাসাদ গুলো ঘুরে তাই দেখা সম্ভব নয় তবুও কাছের ঐতিহাসিক স্থান গুলো দেখা যেতে পারে। ওরা ঢাল বেঁয়ে চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আবার চলা শুরু করেছে | বেলা দ্বিপ্রহর রোদের তাপ ভারী মোলায়েম ,আরাম দায়ক হলেও ডাকাতে শীতের বাতাসের হামলায় ওষ্ঠাগত প্রাণ।
বার্লিন শহরে চলার পথে
ওর্লি ওর সোনালী চুলে উঁচু করে বাঁধা পনি টেল টাকে একটু নীচু করে নামিয়ে টুকটুকে লাল সিল্কের স্কার্ফ টা মাথার ওপর দিয়ে কানে গলায় জড়িয়ে নিলো শ্রীর মত ঘোমটার আকারে। অদ্রিজার দিকে লাজুক মুখে চেয়ে বলে কেমন লাগছে ? টুপিটা কোথায় যে খুলে রেখে ছিলাম এখন আর খুঁজে পাচ্ছিনা। ওর টিকোলো নাক,টানানীল চোখ ,ফর্সা সুন্দর ঘোমটাবৃত মুখ খানির দিকে তাকিয়ে শ্রীময়ী প্রশংসাচ্ছলে বলে গ্রীকপুরানের স্থাপত্য মূর্তি , শৌর্য্য ও বীরত্বের অধিষ্ঠাত্রী দেবী এথেনা যেন সামনে দাঁড়িয়ে আছে। জ্যাক ও প্রেমিকের মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে সোচ্চারে বলে you look beautiful darling ! just like a queen,,,ওর্লি হাসিতে গড়িয়ে পরে এবং জ্যাকের কাছে বায়না ধরে তাহলে শার্লটেন হপ প্যালেস বা সেইসাথে অরেঞ্জি প্যালেসে বেড়াতে ও যাবেই।এবং রানীর ঐ ঝকঝকে রূপালী সিংহাসনে সে একটিবার অন্ততঃ বসবেই। প্রত্যুত্তরে জ্যাক ও হেসে কুটিপাটি ,বলে সেখানে রানীর রূপালী সিংহাসনে বসাতে পারবো কিনা জানিনা তবে আমার হৃদয়ের সিংহাসনে স্থানটি তোমার জন্য একবারে পাক্কা করে রেখেছি ।
ওরা আবার ইতিহাসের পথে হেঁটে চলেছে ,পটসডাম জার্মানির ব্রান্ডেন বার্গের রাজধানী এবং বৃহত্তর শহর। জ্যাক শ্রী কে বলে ,বার্লিনের ম্যাপে তুমি নিশ্চয়ই দেখেছো নীচের দিক দিয়ে বয়ে গিয়েছে এলবে নদী ,তারই উপনদী হ্যাভেলকে আমরা তখন দেখেছিলাম প্রাসাদের পাশদিয়ে তরতরিয়ে প্রগলভার মত উচ্ছল বয়ে যেতে। তারই তীরে মোরাইনিকে যার মধ্যে প্রায় ২০টি প্যালেস পটসডাম শহরের সীমার মধ্যে অবস্থিত রয়েছে । ১০০০ বছরের ও বেশী পুরোনো শহরটি তার প্রাসাদ হ্রদ এবং সামগ্রিক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের জন্য বিশেষ ভাবে বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে আছে। জ্যাক ঋষভ কে নিয়ে দ্রূত এগিয়ে গিয়েছে। অদ্রিজারা ধীরে ওদের অনুসরণ করে সিসিলিয়ানহপ প্যালেসে পৌঁছলে জ্যাক হাতের ইশারায় শ্রী কে বলে খেয়াল করো ,এই সেই প্রসিদ্ধ পটসডামের ঐতিহাসিক জায়গা যেখানে বিখ্যাত প্যাটস্যাম কনফারেন্স বা পটসডাম চুক্তি এবং বহু বিখ্যাৎ পটসডাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ঋষভ মন দিয়ে দেখে সেখানে জার্মানি ও ইংলিশ ভাষায় লেখা সামনেই এক সাদা ফলকের ওপর -- ও দেওয়ালের খিলানের গায়ে --''বিখ্যাত প্যাটস্যাম কনফারেন্স ১৭ জুলাই থেকে ২রা আগষ্ট ১৯৪৫ সালের গ্রীষ্মে পটসডামের এই সিসিলিয়ানহপ প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শ্রী বলে সে তো খুব বেশীদিন নয় প্রায় ৭০বছর আগের কথা হবে। জ্যাক বলে সে সময়ে পুরো বিশ্বের দৃষ্টি তখন সেখানে এই প্যালেস টিতে নিবদ্ধ ছিল যেখানে তৎকালীন বিশ্বের ক্ষমতা ধর তিনজন প্রভাবশালী ঐতিহাসিক নায়ক একত্রিত হয়েছিলেন সমগ্র ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রুম্যানের বিশ্বাস ছিল পারমানবিক বোমা যুক্তরাষ্ট্র কে এমন শক্তিশালী করে দেবে যে কোনো আলোচনায় তাদের ইচ্ছেমত শর্ত আরোপ করতে পারবে। ট্রুম্যান বলেন ,অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নির্মাণে গভীর ভাবে প্রভাব বিস্তার করবে এই পারমানবিক বোমা। ''
🍂
যুদ্ধ প্রিয় রাজাধীরাজরা শুধু ক্ষমতা লোভী হয়ে ,পৃথিবীর অধীশ্বর হবার স্বপ্নে বিভোর থাকতো। ''এই সম্মেলনটি তে যেখানে রুজভেল্ট ,স্ট্যালিন এবং চার্চিল মিলে ক্ষমতা লাভের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। এই সম্মেলনে আসল লক্ষ্য গুলির মধ্যে অন্যতম ছিল যুদ্ধত্তোর ক্রিয়া শান্তি চুক্তি বিষয় সমূহ প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধের প্রভাবে যাতে সময়োপযোগী মোকাবেলা করা যায় তারই দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছিল। '' দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর জার্মানি ও পোল্যান্ডের প্রশাসনের জন্য এখানে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যান বা পরিকল্পনা তৈরী হয়েছিল।
সেখান থেকে ওরা গিয়েছিলো ১৯৯০ সালে পুনর্বিন্যাসের পরে স্থানান্তরিত করে সযত্নে রাখা সম্রাট ফ্রেড্রিকের সমাধি দেখতে। জ্যাক বলে , ওই যে এখানে সীমাহীন সুদূরে বর্ধিত আড়াআড়ি বাগান গুলো দেখা যাচ্ছে এই গুলো সব পটসডামের চারপাশের হ্যাভেলান অঞ্চলে অবস্থিত এবং জার্মানের রাজধানী বার্লিনের ও। ঐতিহাসিকের মতে এই প্যালেস টি ১৯৯০ সালে ইউনেস্কো দ্বারা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে পরিচিতি ও খ্যাতি অর্জন করেছিল। এটি তার ভূপৃষ্ঠের ঐতিহাসিক ঐক্যের জন্য স্বীকৃতি লাভ করেছিল .প্রোশিয় ( prussia ) রাষ্ট্রের রাজতান্ত্রিক ধারার পটভূমি এবং সাধারণের ভূমিকায় মুক্তি যুদ্ধের প্রচেষ্টায়। অদ্রিজা ওর্লি নিজেদের মধ্যে আলোচনায় মশগুল বলে পটসডাম শহরের পায়ে পায়ে রাজ কাহিনী আর প্যালেসের ইতিহাস। এ শুধু একদিনে দেখা কোনোমতেই সম্ভব নয়।
জ্যাকে র হাতে আর বেশী সময় নেই ,ক্লাশের সময় হয়ে যাওয়াতে ও ওর আড়াই ঘন্টার পারিশ্রমিক নিয়ে স্বভাব সুলভ মাথা ঝাঁকিয়ে প্রায় দৌড়ে লাগালো ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্টের দিকে। পটসডাম ইউনিভার্সিটির গেট পর্যন্ত ওর্লির সাথে শ্রী ও অদ্রিজা এগিয়েছিল। ওর্লি এখানের লাইব্রেরীতে জ্যাকের জন্য অপেক্ষা করতে চলে গিয়েছে।
পটসডামশহর
শ্রী হঠাৎ বেশ গম্ভীর হয়ে গিয়েছে ।ওর চোখে ঘুরছে সেই কালের গুহায় সজ্জিত অপূর্ব সুন্দর রোকোস শিল্প শৈলীর পেইন্টিং। একান্তে আপন মনে ভাবে বয়স টা যদি কোনো মন্ত্র বলে ঝুপ করে কমে যেত ঐ ওর্লি অদ্রিজাদের মত , হতো যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওদেরই সম বয়সী কোনো পড়ুয়া , এখানে থাকতো ক্লাস রুম -- এই বিশাল দালান উঁচু উঁচু ছাদ মোটা ভারী দেওয়াল ,খিলান সোপান গম্বুজ স্থাপত্য শিল্প , শ্বেত পাথরের,মেঝে ।.পেইন্টিং ,রাজা রানী ,সৈন্য সামন্ত ,হাতী ঘোড়ার আস্তাবল, যুদ্ধ বিগ্রহ মারামারি হানাহানি শাসন তন্ত্র ভোগ বিলাস। সব মিলিয়ে যদি সেই অতীতের গহ্বরে ঘটনার স্তরের আদিতে স্মৃতির পাঁজায় পৌঁছোনো যেত। শুধুই খুঁজে বেড়াতো সময়ের ধূলি স্তরে চাপা পরে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস কে। তার আঁধারে ঢাকা কঠিন পথ খুঁড়ে এগিয়ে যেত প্রাচীন থেকে প্রাচীনের তীর্থপথে। কালের রথচক্রে ঘুরে মায়া জালে জড়িয়ে থাকা বিস্মৃত প্রায় জীবনের কঠিন সত্য কে উপলব্ধি করে মূক অতীত কে যদি সোচ্চারে ভাষাময় করে তুলতে পারতো। ওর ইতিহাস প্রেমী অনুসন্ধিৎসু মন বাস্তবের সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন করে বিষণ্ণ অতীত কে খুঁজে চলতো নিরন্তর। খুব ইচ্ছে করে যদি আবার টাইম মেশিনে ফেরা যেত সেই যৌবনের নন্দনকাননে। ইচ্ছে করে কোনোমতে আবার সেই দিন গুলোকে দুহাতে আঁকড়ে ধরতে।
অদ্রিজার ও অদ্ভুত লাগে ,বলে ভাব্তে পারো মা --প্রোসিয়ার (prussia ) মহান রাজা ফ্রেডরিক দি গ্রেটের নির্মিত গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনের জন্য এই রাজপ্রাসাদ টির এক অংশে এখন বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম । এবং এরই একটি অংশ কে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোতে ব্যবহার করা হয়েছে দেখে ঋষভ ও অবাক হয়ে গিয়েছিল। অদ্রিজা বলে বিশ্বের এমন খুব কম বিশ্ববিদ্যালয় আছে যার কোনো বিল্ডিং ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত। এই দিক থেকে পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয় এক ব্যতিক্রম মানসিকতার পরিচায়ক এবং উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। ইউনিভার্সিটি অফ পটসডাম শুধু একটি নামি বিশ্ববিদ্যালয় নয় এর সাথে জড়িয়ে আছে বার্লিন তথা আশেপাশের শহর গুলোর হাজার হাজার বছরের অতীতের ঐতিহ্য।
কাছেই লতাপাতা দিয়ে বানানো পর্ণ কুটিরের মত এক সুন্দর বিশ্রামাগার দেখতে পেয়ে অদ্রিজা ঋষভ কে বলে চল এবারে আমাদের লাঞ্চবক্সের সদ্গতি এখানে বসেই করা যাক । কিন্তু অত ঠান্ডায় হটপট তখন কোল্ডপটে পরিণত হয়েছে। ঘেরাও ঘরে ও নিস্তার নেই , শীতের হাওয়া নিমেষে সব ওলট পালট করে দিতে চায়।
ধীরে বিকেল গড়িয়ে এলো ,দিনের আলো নিভিয়ে দিয়ে সূর্যদেব বিদায় নিলে বেলা শেষের ছায়া ঘনিয়ে আসায় ঋষভ তাড়া লাগায় এবার ঘরে ফিরে চলো , অন্যান্য অল্প কয়েক জন দর্শনার্থীরা ও সবাই ঘরে ফেরায় ব্যস্ত। এবার বার্লিন শহরে ফিরে যাবার বাস ধরতে অবসন্ন পা ফেলে আবার পথে হাঁটা শুরু হলো। বার্লিনের সব শহরের মত সাঁঝের আঁধার নামলে পটসডাম ও ক্রমশঃ আলোকমালায় সাজতে শুরু করেছে। আলোর তরী খানি ভাসিয়ে দিয়ে জীবনের খেয়াল খুশির রথে চড়ে বর্ষ শেষের আসন্নপ্রায় খ্রীস্টমাস উৎসবের জন্য আমোদ প্রমোদে মেতেছে সন্ধ্যা রাতের তরুণী পটসডাম ।
গগন স্পর্শী।
শ্রীময়ীর চিন্তামগ্ন মন ও সম্মোহিতের মত ঘুরে বেড়ায়। ফেলে আসা রাজপ্রাসাদের পিলারে থামে খিলানে তোরণে সিংহাসনে শয়নাগারের আনাচে কানাচে। ওর অনুভবী মনে ছায়াছবির মত ভেসে ওঠে বিলাসে প্রমত্ত রাজারানীর অলস কাল যাপনের নিভৃত আলাপন। উদ্যানে ফুলের বনে কানণে তাদের মধুর গুঞ্জরণ। কান পেতে যেন শুনতে পায় নিরলস পুর সুন্দরীর পায়ের নূপুর নিক্বণ বেজে চলেছে প্রাসাদ অলিন্দে। দূরে বাজে অতন্দ্র প্রহরা রত রাজপ্রহরীর সতর্ক ঘন্টা ধ্বনি। এ প্রাসাদ তিলেতিলে গড়ে ওঠার পিছনে চাপা পরে রয়েছে কত মানুষের গায়ের রক্ত জল করা ঘাম কত পরিশ্রম। কত দীর্ঘশ্বাস কত শ্রমিকের রক্তবিন্দু , কত প্রাণের অব্যক্ত বেদনার হাহাকার। প্রাসাদের শীর্ষে গাত্রে অভ্যন্তরে মার্বেল সোপানের তলায় বিস্মৃত হয়ে আছে কত শত প্রাণের অপূর্ণ কামনা বাসনা। আজকের এই বেড়ানোর স্মৃতির গভীর অনুভুতি ও কেমন করে কা কে বোঝাবে ?
ভোরের বেলায় দেখা সেই স্বপ্নের সাথে কেমন কাকতালীয় ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে অতীতের গহ্বরে ডুবে যাওয়া ধূসর পাতা। মনের জানালায় ভীড় করে দাঁড়িয়ে আছে ,প্যালেসের সেই নব অভিষিক্ত রাজা ফ্রেডরিক ও তার বিলাস বহুল রাজসভা। ভীড় করে আছে আধুনিক সভ্যতার ইতিহাসের সেই বিখ্যাত রাষ্ট্রনায়ক গণ, রুজভেল্ট ,চার্চিল ,স্ট্যালিনের বিদেহী ক্ষমতা লোলুপ আত্মারা। মদিরায় ভরপুর ওয়াইনের সুদৃশ্য বহুমূল্যের পানপাত্র হাতে নিগূঢ়তত্ব আলোচনায় রত সব দেশনেতা গণের সমাবেশ। অবকাশ যাপন চলেছে বিদুষী নর্তকীর উল্লসিত নুপুরের নিক্কনে। ঘটনার ঘন ঘটায় তাঁরা সবাই এসে দাঁড়িয়েছে ঐ জনমানব শূন্য হীম শীতল মর্মর প্রাসাদ কক্ষের বৃহত্তর আঙিনায়। কল্পনার মানস চোখে তাঁদের যেন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে চোখের সামনে। ইতিহাস ওকে হাত টি ধরে টেনে নিয়ে চলেছে কোন ঠিকানায় ?এক স্বপ্নময় জগতের ঈশারা তে সব ভুলে ও যেন বাস্তব ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিল বহু দূরের আর এক কল্পলোকের অদৃশ্য জগতে। খেয়াল নেই বাস স্টপে কখন এসে দাঁড়িয়েছে। বাস ও চলছে তখন দুর্বার গতিতে কাইজার স্ট্রীটের উদ্দেশ্যে। শ্রীময়ীর মন চলেছে সব ভুলে নিশির ডাকের ইশারায় মাটির ওপর গড়া প্রাচীন পাথরের স্তূপের পাঁজরে।
সংগ্রহ করতে পারেন 👇
0 Comments