বার্লিন ডায়েরি --১৪পর্ব
চিত্রা ভট্টাচার্য্য
ঐতিহাসিক পটসডাম প্যালেস।
অস্তায়মান সূর্য্যের শেষ আলোকের রক্তরাগে গোধূলির আকাশ নব বঁধুর মত লাজে রাঙা হয়ে উঠেছে। আবছায়া ভরা ভুষো কালি মাখা সব মেঘ গুলো একত্রে জড়ো হয়ে ধীরপায়ে নেমে আসছে পাহাড়ের উপত্যকায়। এখনো ও গোধূলিবেলার শেষ ম্রীয়মান ক্ষীণ আলোক রশ্মিতে তুষার শুভ্র চাদরে ঢাকা আল্পস পর্বতের কোলে রহস্যের সন্ধানে কালো ওভার কোট গায়ে ,লাল টুপি মাথায় ধবধবে ফর্সা জার্মান সৈনিকেরা পথ খুঁজে চলেছে যেন দেশ আবিষ্কারকের দল। স্তূপীকৃত বালির মত বরফের মধ্যে গামবুটের ঘর্ষণে হুড় মুড়িয়ে চলা মানুষ গুলো বীভৎস মুখে তাড়া করছে ওদের। শ্ৰী তিতিরের হাত শক্ত করে চেপে ধরে ভয়ে আশঙ্কায় পান্ডুর মুখে ছুটতে থাকে। ওদের পায়ে গামবুট নেই ,বরফ ঠান্ডায় অসাড় পা চলতে চায় না তবুও প্রাণপণ ছুটছে। আল্পস পর্বতের পেঁজা তুলোর মত রাশিরাশি বরফের হিম শীতল পরিবেশে তুলোর মত বরফ সরিয়ে পথ কেটে চলেছে আছাড় খেয়ে পড়ছে। তবুও প্রাণ পণ লড়াই চলছে বাঁচার তাগিদে। প্রবল তুষারের ঝোড়ো হাওয়া দিগ্বিদিক কাঁপিয়ে সাদা দৈত্যের মত ধেঁয়ে আসছে। মরীয়া হয়ে ছুটতে গিয়ে গড়িয়ে ছিন্ন দলের মত ছিটকে পড়েছে কোথায়? অবাক হয়ে চারদিকে তাকিয়ে শ্রী ভাবে একেবারে হ্যাভেল নদীর কিনারায় এসে গেলাম কেমন করে?
পটসডাম প্রমোদ উদ্যান
সেখানে শৈত্য প্রবাহের এতো কষ্ট নেই তবুও ভালো। তবে কালো পাথরের চাঁই ,কাঁচের মত স্বচ্ছ বরফ ঠান্ডা জলের সামনে শুধুই হাতল ছাড়া অন্তবিহীন পিছল ,সিঁ--ড়ি-আর সিঁ -ড়ি-র ধাপ । নামতে গিয়ে এক সুড়ঙ্গ পথে সে বিবর্ন মুখে একা দাঁড়িয়ে। অদ্রিজাকে কোথাও দেখতে না পেয়ে ওর গলা শুকিয়ে যায় , তি-তির --তি-তি-র --ওরে তি-তি-র --- চেঁচিয়ে গলা ফাটায় ,আওয়াজ বেরোয় না। একরাশ বোবা কান্নায় গলা বুজে আসে গোঙানির মত শোনায় , চিৎকার করে হেল্প -হেল্প- হেল্প ---কেউ শুনতে পায় না। এমন কি ঋষভ ও নয়। ও কি ডুবে যাচ্ছে নদী গহ্বরে !.সিঁড়ির শেষ কোথায়? তল খুঁজে পায় না।স্বপ্নের এলোমেলো সিঁড়িরা এমন হয়েই আসে শেষ খুঁজে হয়রান হতে হয়। লক্ষ্যে পৌঁছনো যায় না।
🍂
অদ্রিজার ধাক্কায় শ্রীময়ীর ঘুম ভেঙে গেল। কি হলো ? ঘুমের মধ্যে তোমার গোঙানির আওয়াজ আসছে! কি হয়েছে বলো ? শ্রী গভীর আক্ষেপে বলে '' হাভেল নদীর অজানা গর্ভে সিঁড়ি আর সুড়ঙ্গ আমি আর একটু হলেই ডুবে যাচ্ছিলাম রে। তুই ও কোথায় হারিয়ে গেলি।দেওয়াল জোড়া বিশাল কাঁচের জানলার ওপার থেকে প্রভাতী সূৰ্য্যের রূপালী আলোর ঝর্ণাধারা বেশ কিছু দিনপরে শ্রীর ঘুমন্ত চোখের পাতা স্পর্শ করলো। আলোর ঝাপ্টায় চোখ কচলে তাকিয়ে দেখে তিতির এক গাল মিষ্টি মধুর হেসে কফির ট্রে হাতে দাঁড়িয়ে আছে। শ্রীময়ীর ঘুম ভাঙাবে বলে জানালার পর্দা ইচ্ছে করে সরিয়ে ভোরের বেলায় সূর্য্যদেবের অপ্রত্যাশিত আলো কে ঘরের মধ্যে ডেকে এনেছে।
পটসডাম সভা কার্যালয়
আজ চমৎকার ছুটিরদিন। অদ্রিজার ইনস্টিটিউট বন্ধ,ল্যাব ও নেই। শুধুই ঘুমিয়ে থেকে সময় নষ্ট না করে ওর প্ল্যান বেড়াতে বেড়িয়ে ইতিহাসের পটসডাম প্যালেস ঘুরে দেখবে। অদ্রিজার ল্যাবমেট ওর্লি ভারী মিশুকে মিষ্টি মেয়ে ,ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করলেও ইতিহাসে ওর সমান আগ্রহ। বলে পৃথিবীতে যে কোনো শহর গড়ে ওঠার পিছনে থাকে কত রোমহর্ষক কাহিনী ,কত অজানা গল্প। অদ্রিজা বলে জানিতো বার্লিন ওয়াল, গেট দেখতে গিয়েই সে ধারণা হয়েছে। এ শহরের মাটির তলায় দেওয়ালের গায়ে ইট কাঠ লোহার খাঁচায় বন্দী কত যুগ যুগান্তরের স্তরে স্তরে চাপা পরে থাকা শোষিতের রক্তে রঞ্জিত বিলাস ব্যাসনের কাহিনী রয়েছে। দীর্ঘশ্বাসে ভরা অতীতের হাজার হাজার বছরের হাহাকারের করুণ নিশ্বাসের ঘটনাপঞ্জী। শ্রীময়ীর কাঙাল নয়ন ও চায়,নিজের চোখে দেখে উপলব্ধি করতে ইতিহাসের অলিন্দে ভগ্ন প্রাসাদের কোণে,চত্বরে ঘুরে বেড়াতে । সময় নষ্ট না করে ওরা ব্রেড বাটার ওমলেটে ব্রেকফাস্ট সেরে ,লাঞ্চ বক্সে জিরা রাইস ও চিলি চিকেন ভরে নিয়ে বেরিয়ে পরে ঐতিহাসিক প্রাসাদের খোঁজে।
পটসডামের রাজপ্রাসাদ-- এই প্যালেসটি বার্লিনের শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে দক্ষিণপশ্চিম প্রান্তে। ঋষভের মতে ,যথেষ্ট সময় হাতে না থাকলে ঐতিহাসিক প্রাসাদটির কাহিনী আর্ট কালচার সম্বন্ধে সঠিক তথ্য জানা বা ধারণা করা যাবে না। রাস্তায় বেরোনোর আগে রোড ম্যাপ খুলে অদ্রিজা বলে রাজধানী বার্লিনের প্রান্ত সীমার উপকণ্ঠে তোমার স্বপ্নে দেখা সেই হ্যাভেল নদীর ধারে এই রাজকীয় সুন্দর পটসডাম প্যালেস ,শহরটিতে পৌঁছতে বাসে ঠিক তিরিশ মিনিট সময় লাগবে। '' সারাদিন ইচ্ছে ডানা মেলে দিয়ে মুক্ত পাখির মত পটসডাম প্যালেসের যে দিকে মন চাইবে সেদিকেই পায়ে পায়ে খুশিতে ঘুরে দেখতে পারবো আমরা। হয়তো মণি মুক্তো ধন রত্নের সন্ধান ও পেতে পারি। আবহাওয়া বার্তা বলছে আজ আকাশে সোনালী রোদের হাসি অটুট থাকবেই।''
ভারতের জাতীয় সংগীত সাক্সফোনে বাজিয়ে শোনাচ্ছেন
ঘড়িতে মাত্র সকাল দশ টা ,আকাশ টাকে চোখের ওপর রেখে মন টাকে পথের বাঁকে হারিয়ে শহর থেকে অনেক দূরে পটসডাম প্যালেস ও শহরের দিকে ওরা এগিয়ে চলেছে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেন্ স্ট্রিটের ওপর কিছুটা পথ প্রায় দশ মিনিট হেঁটে বাস স্টপে পৌঁছেছিল। পটসডাম শহরের যে বাসে উঠেছিল সে বাস দেখতে অনেকটা কলকাতার ট্রামের মত হলে ও সে ঢিমে তালের চলা নয়, খুব দ্রূত গামী , বেশ ভীড় ছিল তবুও এমন সুদৃশ্য ট্রামে চড়তে দারুণ মজা । এরপর অন্যরুটের বাস ধরে এই ঐতিহাসিক শহরের রাজপ্রাসাদে পৌঁছনো হলো । ঋষভ ট্যাক্সি নিতে চেয়েছিল রাস্তায় বেরিয়ে বাসে ট্রামে ট্রেনে করে বেড়াতে শ্রীর সব থেকে বেশী পছন্দ। বেশ বিভিন্ন দেশের বিচিত্র ভাষাভাষীর মানুষ জনের সাথে একত্রে পথ চলা যায়। যেন খুব চেনা কোনো জায়গাতে বেড়াতে এসেছে । বাসস্টপে নেমে এইবার ফুট ধরে কিছুটা পায়ে হেঁটে চলার পথ সুন্দর ছিমছাম পরিষ্কার সাজানো রাস্তা। তীব্র শীতল হাওয়া বইছে ঠান্ডা ৫ডিগ্রী। কোট টুপি শাল মোজার মধ্যে নিজেকে মুড়ে নিলেও শীতের দংশন থেকে একটুও মুক্তি নেই।
আজ ঝকঝকে রোদ মেঘমুক্ত নির্মল আকাশ থাকলে ও শ্রীময়ীর গতকালের কথা মনে পড়ে ,বাড়ির সামনে একাকী দাঁড়িয়ে থাকা লাল পাতায় ভরা নাম না জানা দীর্ঘ দেহের ঝাপড়া গাছটার মাথায় রাজ্যের মেঘ জমে ছিল। ঝোড়ো হাওয়ায় রক্তিম পাতায় কাঁপন তুলে একে একে পাতা ঝরে পড়ছিল। মনেহয়ে ছিল বার্লিনের আকাশ থেকে ঐ মেঘলা দিন ,এই নিরুত্তাপ কালো মেঘেদের চলা যেন কখনো শেষ হবে না। মাটি বুঝি ঊষর মরুর টানে অকারণ অভিমানে দ্বিখণ্ডিত হয়ে আছে। এই শীত কালীন বৃষ্টির ছন্ন ছাড়া অকাল বর্ষণের বুঝি কখনো রেহাই নেই। স্তব্ধ মেঘের অভিমানী ঝরে পরাতে অবুঝ আকাশের কিছুই যায় আসেনা , মাটির পৃথিবীর হৃদয়ের ব্যকুলতা সে একটুও বোঝেই না। শ্রী ভাবে, গত কালের মত আজো যদি হঠাৎ বৃষ্টি ঝরে পরতে শুরু করে তাহলে সব প্ল্যান পন্ড হয়ে যাবে। তখন বেড়ানো সম্ভব হবে না ঘরে ফিরতেই হবে। যদিও আবহাওয়ার পূর্বাভাস সন্তোষ জনক তবুও বৃষ্টিতে প্ল্যান ভেস্তে যাবার দুশ্চিন্তা মনের মাঝে নিয়েই প্রাসাদ প্রাঙ্গণে বেড়ানোর শুরু হলো ।
ভারতের জাতীয় সংগীত সাক্সফোনে বাজিয়ে শোনাচ্ছেন
আকাশকে সাক্ষী রেখে গভীর আবেশে পথের দুই পাস থেকে গাছেরা পরস্পরের সাথে মাথা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় এক সবুজ গলি পথ তৈরী হয়েছে। দূর থেকে মনে হয় রাজ প্রাসাদে ঢোকার তোরণদ্বার সাজানো হয়েছে। নির্জন ঢালাও রাস্তায় পাহাড়ের চড়াই উৎরাই পার হয়ে হেঁটে মাঝারি উঁচু এক পাহাড়ের কাছে এসে ওরা পৌঁছলো। সেখানে একটি বিশাল বড়ো ট্রাডিশনাল উইন্ডমিল সাধারনতঃ এতো বড় আকারের যন্ত্রটিকে শ্ৰীময়ী বা ঋষভ আগে কখনো দেখেনি । সামনের পোস্টার দেখে শ্রী বলে এই আশ্চর্য্য বড়ো আকারের দন্ডায়মান উইন্ডমিল টি বিগত শতাব্দীর প্রাচীন ঐতিহ্যের স্মারক চিহ্ন স্বরূপ। জার্মান সরকার এই উইন্ডমিল টি কে হেরিটেজ হিসেবে যত্ন করে রেখেছে। বোধহয় সেই সময়ে প্রথম এই ডিজাইনের উইন্ডমিল বানানো হয়েছিল। যদিও শীতল হাওয়া বইছে ,ছুঁচ ফোঁটানোর মত ঠান্ডা চোখে মুখে বিঁধছে। তবু ওখানে দাঁড়িয়ে ঐ আশ্চর্য্য স্মারক চিহ্নটির নীচে কিছুটা সময় কাটাতে ঋষভ ,তিতিরের মুগ্ধতার শেষ ছিল না।
এবারে ঢাল বেয়ে বেশ উঁচু এক পাহাড়ে ওপরে তড়তড়িয়ে উঠে গিয়ে অদ্রিজা শ্রীময়ী কে ডাকছে ।কিন্তু আজকাল পাহাড়ের গা বেয়ে উঁচুতে উঠতে গেলেই শ্রীর বেশ শ্বাস কষ্ট হয় ,বুকটা হাঁপড়ের মত ওঠা নামা করে। কিন্তু তা নিয়ে ভাবতে গেলে এতো সুন্দর জায়গা দেখা অসম্ভব হবে। ধীরে ধীরে শ্রী ওপরে উঠে এলে অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখে পাহাড় কেটে এ প্রান্তে প্রচুর সিঁড়ি চওড়া এবং লম্বাএক সঙ্গে প্রচুর লোক নামা ওঠা অনায়াসে করতে পারবে ঠিক যেন গ্যালারির মত । ঋষভ ,অদ্রিজা দুজনেই বলে ওঠে ঐ দেখ ,তোমার স্বপ্নে দেখা সিঁড়ির সারি। শ্রী হেসে বলে সে সিঁড়ি তো ভারী মারাত্মক । কালো পিছল উঁচু উঁচু হাতল বিহীন খাড়াই সিঁড়ি দেখলেই ভয় লাগে আর পড়লে খুঁজে পাওয়া যাবে না।সোজা সলিল সমাধী ।
সর্বত্র অপরূপ সবুজ ঘাসে ঢাকা ,সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে হবে তারপর সমতলে আবার আদিগন্ত প্রসারিত বিশাল প্রাঙ্গনে সবুজের হাত ছানি , সুসজ্জিত নয়নাভিরাম বাগান দিয়ে প্যালেস প্রান্তর সাজানো চারদিক ঘিরে প্রবাহিত টলটলে কাঁচের মত স্বচ্ছ নীল জলের সরোবর। সু সজ্জিত ফাউন্টেন রয়েছে উদ্যান ঘিরে। মেঘের ছায়ার সাথে গাছেদের প্রতিবিম্ব। ঋষভ বলে ,দেখ এ হলো রাজা রানীর প্রমোদ উদ্যান। ওরা ছুটি কাটাতে বিলাসিতায় ডুবে থাকতেই এই প্রাসাদ সর্ব সুখময় করে বানিয়েছিল।
মনে আছে এমনি আরো অনেক সিঁড়ি পার হয়ে যখন আর এক পটসডাম প্যালেসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছলো, তখন দেখেছিল ,একজন বিদেশী জার্মানী ভদ্রলোক রাজকীয় পেয়াদার পোশাক ও জ্যাকেট এবং কালো ট্রাউজার পরিহিত লাল বেল্ট,মাথায় টুপি, যিনি দ্বাররক্ষীর মত প্রাসাদ গেটে সুসজ্জিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন---ইন্ডিয়ান দেখে স্যাক্সোফোন ও বিউগল বাজিয়ে ভারতের জাতীয় সংগীতের সুর "জন-গণ-মন-অধিনায়ক " গানটি নির্ভুল বাজিয়ে শুনিয়ে ছিলেন। সম্ভবতঃ শাড়ি পরিহিত শ্রীর চেহারা দেখেই অনুমান করে নিয়ে ছিলেন যে এরা ভারতীয়।
একজন ভিনদেশীয় মানুষের কাছ থেকে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্বদেশের জাতীয় সংগীত শুনতে যে কী অসাধারণ ভাললাগায় মন খুশি হয়ে উঠেছিল তা প্রকাশের ভাষা শ্রীর জানা নেই। বিদেশী ট্যুরিস্ট দের মন জয় করার এ এক আন্তরিক প্রয়াস ,যত্ন করে বাজানো স্বদেশের আপন জাতীয় সংগীতের সুর ওদের আকৃষ্ট করে রক্তে অনুরণন তুলে মনে অদ্ভুত শিহরণ জাগিয়েছিল। ওরা দেশমাতৃকা কে প্রণাম জানিয়ে স্ট্যাচুর মত মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে বাজনায় অবগাহন করেছিল।
শ্রী অদ্রিজা ঋষভ খুব খুশি ,ওরা বাজনা বাদক কে পারিশ্রমিক দিতে কার্পণ্য করে নি । কিন্তু দেশ মাতৃকা জন্মভূমির বন্দনার এমন অভিনব প্রয়াস দেখে মনের অজান্তে অভিভূত হয়ে ছিল।চোখ দিয়ে সবার আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়েছিল। সে এক অপার্থিব মুহূর্তের অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। ট্যুরিস্ট কে এমন করে খুশি করে এই এক উপার্জনের নিশ্চিন্ত কৌশলী উপায়। বিদেশের মাটিতে গেলেই সহজে বোঝা যায় স্বদেশ টি সে যেমন ই হোক সে যে কত আপন কত মধুময় !সে স্বপ্নের মায়ার বাঁধনের এক পরম প্রিয় ভালোবাসার ধন। (ক্রমশঃ)
0 Comments