জ্বলদর্চি

বার্লিনের ডায়েরি-- ৩০পর্ব। চিত্রা ভট্টাচার্য্য

মিলানো ডুমো
বার্লিনের ডায়েরি-৩০পর্ব। চিত্রা ভট্টাচার্য্য

মিলান -মিলানোর পথে 
 
মহাকালের প্রলয় নাচন শুরু হয়েছে অসময়ে। আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে গাছ গুলোর মাথায় বাতাসের ঝাঁকুনি তে অনবরত শনশন শব্দে শুম্ভ নিশুম্ভের লড়াই চলছে।জানলার শার্সিতে মাথারেখে শ্রীময়ীর    আনমনা চঞ্চল মন  দাপুটে ঝড়ের তান্ডব নৃত্যের সাথে  দুরন্ত সময়ের বালুচরে আছড়ে পড়ছে। ভেজা বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে শূন্যে ওরা বলাকার ডানায় ভেসে হাজির হয়ে গিয়েছে বার্লিনে কাইজার স্ট্রীটের  ফ্ল্যাটের জানলায়। জীবন সায়াহ্নে সেই কবে বার্লিন ভ্রমণের গল্প লেখা শুরু করেছিল ওর কলম বিলাসী মন  কিন্তু সাংসারিক অকাজের চাপে সে গল্প ম্যারাথন রেসের গতিতে চলছে। ও একাকী ঘরে মন কে গুছিয়ে আজ আবার কাগজ কলমে মন ঢেলেছে।এবারে  ইতালির লোম্বারদিয়ার রাজধানী ও প্রধান শহর মিলানে বেড়ানোর গল্প লিখবে। মনের আয়নায় ভাসছে সেই তুষার স্নাত রাতের স্মৃতি ---  সে রাতের কোথাও  যেন অদ্ভুত  মিল আছে আজকের ঐ ঝড়ে গৃহবন্দী রাতের। যদিও অন্য মহাদেশ ,অন্য জলবায়ু সেখানে তখন ডিসেম্বরে বরফঝরা ঠান্ডার সেই স্নোফলের রাত টি তে ওর মন ভাসলো অতীত চারণে।   
 মনে আছে ,গাঢ় অন্ধকারের কালচে নীলের আবরণে ঢাকা বার্লিনের রাতের শহর। আকাশ ছোঁয়া বাদামী রঙের সাদা বর্ডার দেওয়া একই মাপের সমান উচ্চতার ঘীয়ে রঙের বাড়ি গুলোর মাথার ওপর থেকে পেঁজা তুলোর মত স্নোফল হয়েই চলেছিল। দিকভ্রান্ত হয়ে হাল্কা তুলোর বল গুলো কখনো ওপর দিকে উড়ছে কখনো বা নীচের দিকে গাছগুলোর মাথার ওপর পড়ে থোকা থোকা সাদা জুঁই ফুলের মত জমে যাচ্ছে।পার্কিংয়ে নানা রঙের গাড়ির ছাদে দুধের সরের মত সাদা বরফের আস্তরণ। ফুটপাতে পথের ওপরে যত্র তত্র বরফ কণা বিরামহীন ঝরছে ,স্ট্রীট লাইটের নীলাভ আলোয় মনে হচ্ছিল অজস্র মুক্ত দানা  অবিরত স্তূপ হয়ে জমছে নিদ্রিত মহানগরীর বুকের ওপর। রাত পোহালেই ভোরের ফ্লাইটে উত্তর ইতালীর বিখ্যাত শহর মিলানে একটা দিন থেকে ,তারপর ভাসমান ভেনিসের স্বপ্ন রঙিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়া ; সে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।  তিতিরের বহুযত্নে বাবা মা কে নিয়ে বেড়ানোর সারপ্রাইজ। সব জলে যাওয়ার উপক্রম। 
আলপ্স পর্বত

সে বারে ওর সেমিস্টার শেষ হয়ে যাওয়ায় পাঁচদিনের ব্রেকে মনের মত করে ইতালীর মিলান থেকে ভেনিসে যাওয়ার  প্ল্যান। ঋষভ বলে আমার করিৎকর্মা তিতির বেড়ানোর উৎসাহে কবেই  যাতায়াতের    প্লেন এবং বাসের টিকিট,,  দুই জায়গায় হোটেল বুকিং A to Z  একসাথে নিখুঁত ভাবে করে রেখেছে।

বেশ কিছুদিন হলো প্রাগ থেকে ফিরে আসার পর কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়নি। রোম্যান্টিক নগরী প্রাগের কথায় অন্বেষণ কে মনে পড়ে।  ফোনে কথা হয় দেশ বিদেশের নানান আলোচনায় মন ভরে ওঠে । ঋষভ বলে পৃথিবী টা গোল ,তাই অঞ্জনার স্মৃতি ফিরে এলো ,অন্বেষণের সাথে দেখা হওয়ার মাঝে । ঘরে বসে নিত্য নতুন ডিশ ও স্নাক্স  তৈরী  চা-কফির সাথে ,গল্প গুজবে আড্ডা মেরে সময় দিব্যি কাটছিল। কিন্তু অন্তরের চরৈবেতি মনের বেশীদিন চারদেওয়ালের শৃঙ্খলের বাঁধন পছন্দ নয়। মুক্তির উল্লাসে প্রতিদিনই ডানা মেলে হারিয়ে যেতে চায়। বার্লিনের ঘরে বসে ওরা তিনজন। জোরালো তীব্র ঠান্ডা হাওয়া ! রুম হিটার চলছে তবু ও রেহাই নেই। দেওয়াল জোড়া কাঁচের বন্ধ জানলায় চোখ লাগিয়ে বসে থাকলে ও এত সুন্দর স্নোফলের রোমাঞ্চকর দৃশ্যে একটুও উৎসাহ নেই। বরং মধ্যরাতের এমন তুষার পাতের তাড়নায় ঋষভ ও তিতির চুপ। শ্রী ও ভাষা হারিয়ে স্তব্ধ। দূর্যোগের এই দিশেহারা পরিস্থিতিতে      অসহায় শ্রীর ইচ্ছে হচ্ছিল নিমেষে  প্যাক করা ব্যাগ গুলো সব  আনপ্যাক করতে ।   
ভূমধ্য সাগর

এবারে ও ভোর রাতেই রওনা , ১৪ ডিসেম্বরের  ভোর ছ; টায় এয়ার বার্লিনে  প্রথমে ওরা মিলানো যাবে। কিন্তু কে জানতো মাঝ রাত থেকে এমন স্নোফল শুরু হবে। যদি এই প্রাকৃতিক দূর্যোগ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তবে এতো প্ল্যান সব বেকার। এবং অনেক আশা উদ্দীপনার সাথে একগাঁদা পাউন্ডের ও বাস্তবিক জলাঞ্জলি। অন্ততঃ ঘন্টা দুই আগে অবশ্যই  বেরোতে হবে।  সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তায় বেড়ানোর আনন্দে জল ঢেলে নেতিয়ে পড়া মন । জানালার ওপাশে রহস্যময় স্ট্রীট লাইটের আলোয় চেনা পৃথিবীর গায়ে আঁধারের ঘন কালো ওড়না জড়ানো।সব অস্পষ্ট কিছুই দেখা যায়না। তবুও আকাশের মুখের দিকে তাকিয়ে অধীর আগ্রহে প্রহর  গোনা এই আদুরে স্নোফল কি সহজে থামবে ?  

  মন খারাপ নিয়ে শ্রী গজগজ করে,  হে ঈশ্বর ! প্রকৃতির এমন নির্দয় নির্মম খেয়ালী পনা,  লীলাখেলার এক্ষুনি অবসান হোক। কী নিষ্ঠুর ,হিংসুটে স্বভাব ! প্রতিবারই ওদের বেড়াতে যাওয়ার সময় বৃষ্টির সূচণায়  তৎপর হয়ে ওঠে সে ।  রাত ক্রমশঃ গভীর হয় তবুও ,তুষার ঝরার কমতি নেই  । ,ঐ  দুর্বিষহ আবহাওয়ায় মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত শীতকাতুরে শ্রীর বিভ্রান্ত মনে সাহস জাগানোর জন্য অদ্রিজার     ঐকান্তিক প্রয়াস চলে। সময় প্রায় শেষ প্রান্তে। ও  মরীয়া হয়ে বকুনি লাগায়  ,বার্লিনের এটা উইন্টার সিজিন -- এ সময় শৈত্য প্রবাহ তুষার পাতের সম্ভাবনা খুব স্বাভাবিক। ঘরে বসে চিন্তায় অনর্থক সময় নষ্ট না করে এক্ষুণি রেডি হয়ে নাও।  ঝিরিঝিরি স্নোফলের  মধ্যেই ওভার কোট জুতো মোজা টুপি দস্তানা তে আপাদমস্তক মুড়ে বর্ষাতি গায়ে ছাতা মাথায় বেরোতেই হলো । বাধ্য স্টুডেন্টের মত ওকে  অনুসরণ করে সাত মিনিটের পথ  ঠান্ডায়  কেঁপে ঝেঁপে  হোঁচট খেয়ে  মিনিট পনেরো হেঁটে রেল ষ্টেশনে পৌঁছেছিল। ঋষভ বলে ,ঐ পরিস্থিতির মধ্যে অদ্রিজার বকুনি টা একদম কারেক্ট হয়েছিল বল ?? বকুনি  খেয়ে সাহস পেলে ,না হলে  ফ্লাইট নির্ঘাৎ মিস হতো। 
মিলান শহর

তিতিরের দায়িত্ব পরায়ন ও কর্তৃত্ব সুলভ আচরণে অভিভাবকের মত ট্রলি ব্যাগটি ঠেলে বেশ মেজাজ দেখিয়ে এয়ারপোর্ট স্টপেজে নেমে কিছুটা হেঁটে কাক ভিজে হয়ে ভিতরে ঢুকে  সবার আগে চলার দৃশ্য টা ,চোখের ওপর ভেসে বেড়ালে শ্রী আজো বেশ উপভোগ করে। বার্লিনে এসেই ওদের সবচেয়ে ভাল লেগেছিল এতো সুন্দর পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বাস ট্রাম চলার নিয়মানু বর্তিতা ,এমন কি মেট্রো রেল ,লোকাল ট্রেনের --ইউ বার্ন ,এস বার্ন ইত্যাদির এমন  সুব্যবস্থা। | ঋষভ বলে আমাদের দেশের  সাধারণ জনগণের জন্য সরকারের এমন সুচারু পরিবহন ব্যবস্থা অকল্পনীয়।  এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে শর্ট ডিস্ট্যান্সের ট্রেনে উঠে আরাম দায়ক উষ্ণতায় নিজেদের কে সেঁকে নিয়ে কুড়ি মিনিটে একেবারে সরাসরি এয়ারপোর্টে পৌঁছে গেলেও সেখানেও কুয়াশায় ঢাকা চারদিক , অবিশ্রান্ত ধারায় তুষার পাত হয়েই চলেছিল ।  রাত শেষের অন্ধকারে ঝিরি ঝিরি বারি ধারার ও কমতি ছিল না ।চেকিং টিকিটস পাসপোর্টস ইত্যাদি  সেরে প্লেনে  উঠে উত্তেজনায় দুজনেই  একেবারে নির্বাক  রীতিমত ঘাবড়ে গিয়েছিল। ভেজা  শাড়ির আঁচল নিয়ে ঠান্ডায় অসাড় হাতে সীট বেল্ট বাঁধতে গিয়ে শ্ৰীময়ী হিমসিম খায় । পৌঁছনোর আধঘন্টার  মধ্যেই রানওয়েতে লম্বা দৌড় লাগিয়ে এয়ার বার্লিন সদর্পে আকাশপথে উড়লে ওদের বিদ্ধস্থ মনে স্বস্তির নিশ্বাস পড়ে । এখানে  তুষারপাতের ঝঞ্ঝাট ,তীব্র  শীত আর মোটেই উপদ্রব করবে  না। প্রায় পৌনে দু ঘন্টার মত জার্নি ছিল।   
মিলান সিটির সাজানো বাড়ি

  ভোর রাতের ফিকে হয়ে আসা অন্ধকারে মেঘেদের রাজপথ ধরে তীর বেগে ছুটছে প্লেনটি।  সূর্যোদয়ের কমলা রঙ লাগা কালচে নীলাকাশের বুক চিরে তার নির্দিষ্ট চলার পথটি স্থির। প্লেনের উইন্ডো গ্লাসে সদ্য ঘুম ভাঙা অলোকাপুরীর  মেঘ পরীরা  অসীম কৌতূহলে এসে উঁকি দিয়ে যায়। আর নীচের পৃথিবী  ক্রমশ পাহাড় নদী মাঠ ঘাট জন জীবনের আঙিনা পিছনে ফেলে কত  দ্রুত আলপ্স পর্বত মালা ডিঙিয়ে  এগিয়ে চলেছে।  সর্বংসহা এই  ধরণীর বুকের ওপর  যুগযুগান্ত পেরিয়ে অনন্ত কাল ধরে নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকা সুদূর প্রসারিত সীমাহীন আল্পস পর্বত মালা  স্তূপস্তূপ  তুষারের রাজত্ব ,সুকঠিন বরফের আস্তরণের মাঝে নিজেকে আবৃত করে ধ্যান গম্ভীর  অচলায়তন দাঁড়িয়ে  আছে অনন্তের প্রতীক্ষায়  ? আদিগন্ত  প্রসারিত তুষার কঠিন শুভ্রতায় ঢাকা আল্পসের পাহাড়ি প্রকৃতির অপার শ্বেতসুন্দর  মনোহারী  রূপ যেন অনন্ত শয্যায় শায়িত গিরিরাজ । যত দূর দেখা যায় শুধুই শ্বেতশুভ্র বরফাচ্ছন্ন পর্বত শ্রেণীর সীমাহীন সৌন্দর্য। মৌন মহান দৃঢ়তায় এক সৌম্য কান্তি ঋষির তপস্বি রূপের ছটায় আলোকিত  এক অপার্থিব জগৎ।

     কোথাও ছায়া ঢাকা নীলপাহাড় । কোথাও বা সূর্যোদয়ের প্রথম আলোয় স্বর্ণ মুকুট পরে সেজে উঠেছে ছোট বড়ো  অসংখ্য শ্বেতশুভ্র পর্বত শৃঙ্গরাজী ।  এই বিশ্বলোকের অনন্ত ধারায় সীমাহীন বৈচিত্রময়  এক অপার্থিব সৌন্দর্য।ঋষভ হাতের ক্যামেরা টিকে সচল রেখে  পাহাড়ের এমন মৌন মুখর ছবি অগুনিত তুলেছিল । মিলানো এয়ারপোর্টে কখন যে পৌঁছে গিয়েছিলো তার ও মোটেই খেয়াল ছিল না। শ্রীর নিবিড় তন্ময়তা ভেঙে  সম্বিৎ ফিরে পেল তিতিরের ঝাঁকুনিতে ! ককপিট থেকে পাইলটের ঘোষণায়  " মিলানো লাইনেট" এয়ারপোর্টের  দোরগোড়ায় এসে গিয়েছি। তিন মিনিটের মধ্যেই প্লেনটিএয়ারপোর্টের মাটি স্পর্শ করবে ।  

 --                            ওপর থেকে সকালের কাঁচা হলুদের মত উজ্জ্বল আলোয় মিলানো এক অপরূপ সুন্দর সোনালী আলোয়   আত্মপ্রকাশ করলো। সবুজ পাহাড়ি পাইন বা কত রকম ঝাঁউয়ের বনে আচ্ছাদিত শহরের আঁকাবাঁকা নদী ,নীল জলের লেক।কালো সর্পিল পথের সাথে ঘর বাড়ি গুলোর  লাল টালির ত্রিভুজাকৃতির ছাদওয়ালা মাথা। প্লেন অনেক টা নীচে নেমে এসে আকাশে চক্কর কাটছে।   তিতিরের উৎসাহী চোখ আনন্দে উজ্জ্বল।  উচ্ছসিত হয়ে বলে দেখ মা ,কেমন হলুদ আলোয় ভরা।   রাশিরাশি হাসি ছড়িয়ে আছে আকাশ জুড়ে। ও  খুশিতে  গেয়ে ওঠে '' অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া --দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া।"             মিলানো ক্যাথিড্রাল                                                                                                
  এই সেই  মিলানো।এক রৌদ্রোজ্জ্বল মেঘ মুক্ত নীলাকাশের ছোঁয়াতে আনন্দ ধারার প্লাবনে ভাসছে ।   ফ্যাশন আধুনিকতা আভিজাত্য সব দিক থেকে জয়ের টিকা পরে ভূমধ্য সাগরের বুকে ইতালীকে করে তুলেছে অনন্যা।  সারা বিশ্বের সকল শিল্প সম্ভার একত্রিত হয়ে এই  দেশ টিকে তিলোত্তমায় রূপান্তরিত করেছে। 

  এয়ারপোর্টের থেকে বেড়িয়ে পাব্লিক বাসে ইতালীর লোম্বার্ডি শহরের ডুমো স্টেশনে পৌঁছে মিলান ক্যাথিড্রালের কাছেই ছিল পূর্ব নির্ধারিত হোটেল টি। হোটেলের সামনেই সিজিন ফুলের বাগান। সবুজ ঘাসে মোড়া পার্কের ধারে ম্যাপেল গাছের জটলায় গোটা কতক হ্যামিংবার্ড এর নাচানাচি নীলরবিনের মিষ্টি সুরেলা আওয়াজে মুগ্ধ হয়ে ঝাঁকড়া গাছটির আলতো ছায়ায় চুপটি করে বসে থেকে শ্রী নরম আলোয় দুচোখ ভরে নতুন ঐতিহ্যের শহরটিকে পরখ করছিল।পরম উৎসাহে ঋষভ কে বলে মিলানো হলো রোমান্স ভাষী ইউরোপে ব্যবহৃত একটি নাম যার প্রাচীন রোমান অর্থ '' আগ্রহী এবং শ্রমসাধ্য।'' উত্তর ইতালী ইউরোপের ইতিহাসের ঐতিহ্য ও শিল্প সংস্কৃতির এক অনন্য তীর্থ ক্ষেত্র। প্রাগের মত ইতালীর ও আছে কয়েক শত বছরের পুরোনো ইতিহাস। বেশ প্রাচীন কালে এখানে ছোট্ট এক জনপদ গড়ে উঠেছিল --গ্রীকবাসীদের ভাষায় যার নাম  ইতালীয়া।
চলার পথের প্রাকৃতিক রূপ

প্রাচীন সভ্যতা ও আধুনিকতার পাশাপাশি ভুমধ্য সাগরের তট ভূমি আলপাইন লেক আলপ্স পর্বত মালায় বেষ্টিত ইতালী এক অবর্ণনীয় মনোমুগদ্ধকর সৌন্দর্য সৃষ্টির ধারক ও বাহক হয়ে ক্রমশঃ পর্যটক দের কাছে অন্যতম প্রিয় কাঙ্খিত বেড়ানোর স্থান হয়ে উঠেছে। এই দেশের মনোরম আবহাওয়া এবং সংস্কৃতি দুইই সবথেকে বেশী আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে ভ্রমণার্থীদের কাছে। ধোঁয়াটে আকাশ, স্নোফল বৃষ্টি বাদল বা মেঘেদের আনাগোনা সাড়ম্বরে ঝাঁপিয়ে পরার আয়োজন নেই বরং দেখ মুক্ত আকাশের বুকে উজ্জ্বল আলোয় দল বেঁধে সাদা বলাকারা পাখা মেলে দিয়েছে। শ্রী বলে দেখো ,এখান থেকেই দেখা যাচ্ছে বিখ্যাত সেই মিলানো ডুমো কে । মিলানের সবচেয়ে বড়ো স্কোয়ার Piazza del Duomo বৃহত্তম গথিক ক্যাথেড্রালটি  যেখানে দশদিক আলোকিত করে নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছে।  .                                                                                                                                          ক্রমশঃ

বাড়িতে বসেই সংগ্রহ করতে পারেন 👇

Post a Comment

0 Comments