জ্বলদর্চি

প্রজাপতি নির্বন্ধ/পুলককান্তি কর

প্রজাপতি নির্বন্ধ
পুলককান্তি কর 

১ 
-- বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাওয়া আর গলির ধারে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে পছন্দ করার মধ্যে কোনও তফাত নেই বুঝলে!  
-- কেন ? 
-- আরে ওখানে তো আর বোন পাতাতে যাচ্ছি না, বউ পছন্দ করতে যাচ্ছি। সব ঠিকমতো দেখে শুনে নিতে হবে তো! 
-- তাই নিবি। তোকে বারণটা কে করছে? শুধু বাহানা! নিজের বয়েসটাও তো দেখ। ছত্রিশ-সাঁইতিরিশ হতে গেল! 
-- দূর! আমার বড্ড এমব্যারাসিং লাগে। মনে হয় যেন বাজার থেকে ঝিঙে-পটল বাছতে যাচ্ছি। নিজেকে তো ছোট লাগেই; এবার যাকে দেখতে যাচ্ছি, তার কেমন লাগে ভাবো দেখি? 
-- তাহলে ব্যাটা প্রেম করলি না কেন? এসব ঝঞ্ঝাট তবে পোয়াতে হতো না ! 
-- দেখো আনন্দদা, থিওরি ঝেড়ো না। প্রেম কি চাইলেই হয়, নাকি না চাইলে হয় না? তুমি তো বাপু ক্লাস ফাইভেই ন্যাড়া বেঁধেছ! ফাঁকা ময়দান, কম্পিটিশান নেই। যে গোয়ালে খুঁট বেঁধেছ, সেখানেই ঘাড় নাড়িয়ে গেলে সারা জীবন। কলেজে এসে নতুন মেয়ে তুলতে, দেখতাম ক্যালি! 
-- তোকে ফাইভ-সিক্সে মেয়ে পটাতে কে বারণ করেছিল শুনি ? 
-- আমি তো আর তোমার মতো অকালপক্ব ছিলাম না। পড়েছি, খেলেছি। যে সময়ের যে কাজ! 
-- অকালপক্ব বলিস না, বল দূরদর্শী। 
-- আচ্ছা তা না হয় হল, কিন্তু এই সকাল সকাল আমার বিয়ে নিয়ে তোমার এত মাথাব্যথা কেন হল শুনতে পারি কি? 
-- আরে তোর বৌদি একটা মেয়ে দেখেছে তোর জন্য৷ আগের সম্বন্ধটা নিয়ে যদি আর কথা না এগোয়, তবে আগামী রবিবার দেখে আসতে পারিস। 
-- চেনাশুনোর মধ্যে নাকি ? 
-- তোর বৌদির এক বান্ধবীর বোন। 
-- তাহলে যাবো না? 
-- কেন রে? 
-- দূর, পছন্দ না হলে কাটাতে বড় ঝামেলা। অনেক মিছিমিছি কথা বানিয়ে বলতে হয়। 
-- দেখতে গেলে বিয়ে করতে হবে, এমন কোনও কথা আছে কি? পছন্দ না হলে না বলে দিবি। কে তোকে জোর করতে যাচ্ছে? 
-- এতক্ষণ তো তোমাকে তাই বললাম। আমার এভাবে মেয়ে দেখতে যেতে ভালো লাগে না। 
-- তাহলে আর কীভাবে মেয়ে পছন্দ করা সম্ভব, আমায় বুঝিয়ে দে। এর চেয়ে তো আগেকার দিনই ছিল ভালো। বাপ-জ্যাঠারা মেয়ে পছন্দ করে আসতেন, শুধু হুকুম হতো, অমুক তারিখ বিবাহ, যাও করে এসো! ছেলে গাঁইগুঁই করছে শুনলে মা যদি বা পক্ষ নিয়ে বলতেন, এখনকার ছেলেছোকরা, একবার দেখতে যেতে চায়; অমনি বড়কর্তা বলতেন, দেখতে যাবে যাক, বিয়ে কিন্তু ওখানেই হবে! 
-- যা শ্শালা, তবে দেখতে গিয়ে লাভ? যত্ত সব প্রিমিটিভ ব্যাপার! 
-- এমন হলে প্রিমিটিভ ব্যাপার, দেখতে গেলে আগলি ব্যাপার; বিয়েটা তবে কীভাবে হবে শুনি ? 
-- আনন্দদা, আমি ক’টা মেয়ে দেখতে গেছি জানো ?
-- কটা আবার ! ছ’টা-সাতটা হবে ! 
-- তাহলেই বোঝ। এরকম একটা বিছছিরি ব্যাপারে বার বার যেতে ভালো লাগে? এর মধ্যে তো দু তিনটে হতে হতে হয়নি৷ 
-- লাস্টের ওই চাকদার মেয়েটার কী হল রে? তুই তো বলছিলি, মেয়েটি নাকি খুব ভালো। তোর সাথে কয়েক বার কথাবার্তাও নাকি হয়েছে। হঠাৎ কী হলো ? 
-- ঠিক জানি না৷ তিন-চার বার ফোন করলাম। তুলল না৷ তারপর মেসেজ এল, আমি যেন আর ফোন না করি, ওর বাবা রাজি নয়৷ 
-- কিন্তু ওর তো পছন্দ ছিল। বাবাকে বুঝিয়ে বলল না কেন ? 
-- ও কী প্রেম করে বিয়ে করছে যে জেদাজেদি করবে? তাছাড়া আমিই বা কী করে বলব, যাও বাবাকে বুঝিয়ে বলো ! 
-- যা বাবা। আচ্ছা কেলো তো! তবে বৌদিকে কী বলব? রবিবার যাবি? 
-- দেখি। পরে ফোন করে জানাব। 

 
-- কী রে অদিতি, ঘরের মধ্যে চুপ করে কী ভাবছিস? 
-- আরে আয় আয় শম্পা। কবে এলি? 
-- এই তো, কাল রাত্তিরে। 
-- বর নিয়ে এল, নাকি দেওর? 
-- বরই এসেছে। তবে তিনদিনের কড়ারে। সাথে নিয়েই ফিরবে। 
-- কেন রে, থাক না ক’দিন৷ 
-- বাবুর পারমিশান নেই। 
-- তুই যেন ওর কথা শোনার বান্দা! তোকে আমি চিনি না? মিছিমিছি ভালো মানুষটাকে দোষ দিচ্ছিস।
-- তুই যতটা ভালো মানুষ বলছিস, ততটা নয় রে! মিটমিটে। 
-- যাঃ ! গতবার দেখলাম, বেশ শান্ত আর মৃদুভাষি। তা একদম বশ করে ফেলেছিস দেখলাম এই ক’দিনে। তোর ক্ষমতা আছে বটে! 
-- ও বাইরের থেকে এমনটা লাগে রে। তোরও তো বিয়ে হবে ক’দিন পরে, তখন বুঝবি বর নামক বস্তুটির হ্যাপা কত! প্রত্যেকের থেকে অনীক ভালো কি না। 
-- হ্যাঁ রে অদিতি। সত্যি, আমি ভাবতেই পারিনি অচেনা একটা লোক, আমি কীভাবে তার সাথে থাকব। অনীক, ওর ভাই, ওর পুরো পরিবার কখনওই আমাকে বুঝতে দেয়নি আমি বাইরের লোক। আমি এমনিতেই কাজে অপটু, অথচ আমার শাশুড়ি কোনও দিন এই নিয়ে খোঁটা দেননি। সত্যি রে, ভাগ্যিস তোর কথা শুনে শুভ’র সাথে পালিয়ে যাইনি! 
-- পালিয়ে বিয়ে করলে কোনও পক্ষই সুখি হয় না রে। তাছাড়া মা-বাবা তো সাধ্য মতো দেখেশুনেই বিয়ে দেয়। এর পর মানুষের নিজের ভাগ্য। 
-- কিন্তু তোর আগের সম্বন্ধটা আর এগোল না কেন রে ? তুই তো বলছিলি, বেশ ভালো ছেলে, ভালো চাকরিও করে। আটকাল কীসে? 
-- বাপির পছন্দ হলো না। 
-- কেন ? শিক্ষিত ছেলে, ভালো মাইনে, কলকাতায় নিজেদের বাড়ি। কাকু যা যা চাইতেন, তাই তো ছিল।
-- দ্যাখ, এমনিতে তো পছন্দ ছিলই। ওঁরা বলাতে আমাদের মধ্যে ফোনে কথাবার্তাও চালু হয়েছিল। বাবা কলকাতায় কথাবার্তা ফাইনাল করতে গিয়েওছিলেন। এসে বললেন, এখানে বিয়ে হবে না৷ 
-- তুই জিজ্ঞাসা করিসনি, কেন ? 
-- না। তবে মায়ের সাথে কথা বলে মনে হল তেমন সিরিয়াস কোনও কারণ ছিল না। 
-- ছেলেটিকে তুই দেখেছিস ? 
-- হ্যাঁ। মাসখানেক আগে রবীন্দ্রভারতীতে আমার এম.এ-এর সার্টিফিকেটটা আনতে গিয়ে বাগবাজার গঙ্গার ঘাটে দেখা করেছিলাম। 
-- বাড়িতে জানে?
-- মাকে বলেছিলাম। বাপি বোধহয় জানে না।
-- কতক্ষণ ছিলি?
-- ঘণ্টা দুয়েক হবে।
-- কী কথা হল?
 -- সাধারণ সব কথা। কী ভালো লাগে, কী লাগে না, প্রিয় কবি- এইসব। 
-- কী মনে হল ? 
-- খুবই পছন্দ হয়ে ছিল রে! আমাদের কিছু পছন্দের মধ্যে বেসিক একটা মিল ছিল। তাছাড়া ও ভালো গান করে৷ 
-- তুই যে গান গাস, জানে? 
-- হ্যাঁ। সেদিন শুনবে বলে মৃদু জোরাজুরিও করল। 
-- কী গাইলি ? “একটুকু ছোঁয়া লাগে”, নাকি “আমার পরাণ যাহা চায়”? 
-- যাঃ ! ও বলল “আজি বিজন ঘরে” গাইতে। গানটা তো আমারও খুব প্রিয়। শুনে খুব খুশি হল। জানিস শম্পা, তখনই মনে হচ্ছিল, এ সম্বন্ধটা হলে আমাদের জীবনটা বেশ ভালোই কাটবে। 
-- তা একটু ইন্টু মিন্টু কিছু... 
-- যাঃ ! ও খুব শাই। তবে লেভেল ক্রসিংটা পেরোবার সময় আমার হাত ধরেছিল। সেই ছোঁয়া আমি এখনও ফিল করতে পারি জানিস ! 
-- আমি কি কাকুর সাথে কথা বলব অদিতি ? 
-- না রে। বাপি দুঃখ পাবে। সে রকম হলে তো মাকেই বলতাম। 
-- কিন্তু তুই যে দুঃখ পাবি? সারা জীবন তো তোকেই কাটাতে হবে ! 
-- কিন্তু বাপিকে কষ্ট দিয়ে আমি কিছু করতে পারব না শম্পা ! 

🍂
 
-- এই যে রেবা, একটু এখানে এসে বসো না ! 
-- কী ব্যাপার তাড়াতাড়ি বলো। ছুটকি বাইরে যাবে তো। ওর ভাত বসাতে হবে। 
-- এই দু'খানা ছবির মধ্যে থেকে দ্যাখো তো, কোনটা পছন্দ ! 
-- এগুলো কি ছুটকির জন্য না কি ? 
-- কী যে বলো রেবা, আমি কি অন্যের মেয়ের জন্য সম্বন্ধ দেখব? 
-- তোমার যা খুঁতখুঁতুনি, মেয়ের বিয়েটাই দিতে পারো নাকি দ্যাখো! 
-- বাঃ, নিজের মেয়ের জন্য সবদিক বাজিয়ে দেখব না ? 
-- কথায় বলে না, অতি চালাকের গলায় দড়ি! বেশি বাজাতে যাচ্ছ, দেখো নিজেরটাই না বেজে যায়!
-- ছি ছি, তুমি না মা! এমন অলক্ষুণে কথা বলতে জিভে আটকাচ্ছে না তোমার? 
-- কী করব? তোমার যা কাজ-কারবার! আগের এত ভালো সম্বন্ধটা একদম শেষ মাথায় গিয়ে ভেঙে দিলে। তাও বাজে কারণে। 
-- বাজে কারণ? তুমি তো জানো, মেয়েকে আমি নির্ঝঞ্ঝাট ফ্যামিলিতে বিয়ে দিতে চাই। 
-- তাহলে তো তোমার নিজেরই বিয়ে হতো না। একগণ্ডা ভাই-বোন, বিধবা পিসি, কাকা। আমার বাবা তো এসব ভাবেননি! 
-- এই যে তুমি আজ কথা শোনাচ্ছে, আমার এতগুলো লায়াবিলিটিজ ছিল বলেই না! আমি চাই না ভবিষ্যতে মেয়ে আমাকে এই নিয়ে দোষারোপ করুক। 
-- কী কথা শোনাচ্ছি ? এতগুলো ননদ, দেওর নিয়ে ঘর করেছি, সে কথা উচ্চারণ করা যাবে না? 
-- আগে রাতে শোওয়ার সময় প্রায় দিনই তো খোঁটা দিতে - মা এই বলল, পিসি এই বলল! 
-- তার জন্য কি সংসার ছেড়ে চলে গেছি না তাদের যত্ন-আত্তি করিনি? সংসারে একসাথে থাকতে গেলে ঠোকাঠুকি লাগে। তাই বলে কি সংসার করা যাবে না, নাকি সংসার ভেঙে ফেলতে হবে ? সমাজে থাকলে তো পাশের বাড়ির সাথেও ঝগড়া হয়। তখন কী করবে? 
-- সে অন্য প্রসঙ্গ। সুযোগ যখন আছে, আমি বেটার অপশন দেখব না কেন? ও খুব নরম মনের। এমন জায়গায় ওকে বিয়ে দেব যেন খোঁটা দেবার লোক না থাকে। 
-- বয়সের পার্থক্য সত্ত্বেও আগেরটা সিলেক্ট করেছিলে তুমি এই কারণে। শাশুড়ি নেই। ছেলের বাবাও শক্তসমর্থ। ছেলের ভাই বিদেশে থাকে। শুধু বাড়ির জন্য বিয়ে ভেঙে দিলে? 
-- দ্যাখো, প্রথমে তো জানতাম ওদের পৈতৃক বাড়ি নেই। ছেলে নিজের রোজগারের টাকায় বাড়ি কিনেছে। কিন্তু গিয়ে শুনলাম, এমন আহাম্মক, বাড়ি কিনেছে বাবার নামে! এবার বাবা গত হলে আইন মোতাবেক ওর ভাইও তো অর্ধেক বাড়ি দাবি করবে, তখন? ছুটকি ওইটুকু ঘরে কীভাবে সংসার করবে? 
-- এখন বাড়ি দেখছ, জায়গা দেখছ। যাদের বড় বাড়ি, বড় গাড়ি আছে, তাদের বুকে আঁটার মতো জায়গা যদি না পায় ছুটকি? 
-- তা কেন? আমরা তো দেখেশুনেই দেবো। আর আগেরটায় যে এমন হতো না, তার গ্যারান্টিই বা কে দিতে পারে? 
-- ওর সাথে কথা বলে তো ভালোই মনে হয়েছে। তাছাড়া ছুটকিরও পছন্দ ছিল খুব। 
-- ও কি এই বিয়েটা ভেঙে যাওয়া নিয়ে কিছু বলেছে তোমায়? 
-- না। তবে মনে হয় একটু কষ্ট পেয়েছে। দ্যাখো না আবার কথা বলে। যদি রাজি করানো যায়। আমার মন বলছে ওখানে বিয়ে হলে ছুটকি খুব সুখি হবে। 
-- আরে দেখিই না এই সম্বন্ধ দুটো ! দেখলেই তো আর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে না৷ তাছাড়া ছুটকিরও এমন কিছু বয়েস হয়ে যায়নি। ও সুন্দরী, সুশিক্ষিতা। তাড়াহুড়ো করার কী দরকার? আরও ভালো সম্বন্ধ নিশ্চয়ই পাব। 
-- যা ভালো বোঝ করো গে। তুমি তো আর কথা শোনার বান্দা নও! 

 
এই গল্পটি দীপঙ্কর মানে আমাদের বাপির মুখে শোনা। এক ভদ্রলোক ঠিক করেছেন, মেয়ের বিয়ে একমাত্র চাকরি করা ছেলের সাথেই দেবেন। তা সে চাকরি সরকারি হোক বা বেসরকারি। কাগজে বিজ্ঞাপনও দিলেন। তবে বিবাহ প্রার্থীরা সব সময় যে বিজ্ঞাপনদাতার চাহিদা মেনেই যোগাযোগ করে এমন নয়। অতএব নানান ধরনের রোজগেরে পাত্রদের ছবি সহ চিঠি আসতে লাগল তাঁর ঠিকানায়। এদের মধ্যে স্ক্রুটিনি করে কিছু পাত্রের বাড়ি গিয়ে দেখা মনস্থ করলেন তিনি৷ অধিকাংশই চাকুরে। দু'একজন ব্যবসায়ী। দিনক্ষণ দেখে একজন “সু-উপায়ি” পাত্রের সাথে বিয়েও স্থির হয়ে গেল একদিন৷ পাত্র এম.বি.এ। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। একটাই মেয়ে। সুতরাং আয়োজনে ত্রুটি রাখেননি কোনও। সব তদারকি নিজের হাতেই রেখেছেন। পাত্রপক্ষ জলখাবার ঠিক মতো পেয়েছে কিনা দেখতে এসে আবিষ্কার করলেন জামাতা বাবাজীবন একটু কাঁচুমাচু হয়ে এক সুবেশ, সুদর্শন অতিথির অভ্যর্থনা করতে ব্যস্ত। ওই ভদ্রলোককে বেশ চেনা চেনা ঠেকল তার। কোথায় যেন দেখেছেন। জামাই পরিচয় করিয়ে দিলেন, ‘স্যর, ইনি মেয়ের বাবা আর ইনি হচ্ছেন আমার বস৷ এঁর কোম্পানিতেই আমি চাকরি করি।‘ এবার মনে পড়েছে। এই ছেলেটিকে মেয়ের জন্য দেখতে গিয়েছিলেন না তিনি! তখন অবশ্য তার পাজামা-পাঞ্জাবি পরা ছিল। নিজের ব্যবসা, ঝুঁকি আছে-- এসব ভেবেই সম্বন্ধটা নিয়ে আর এগোননি তিনি৷ পরিচয়ের উত্তরে কোনওক্রমে ঢোক গিলে নমস্কার জানালেন মুখে। চেনার বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে শুধু বিগলিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘আরে আসুন, আসুন, কী সৌভাগ্য…

Post a Comment

0 Comments