ইস্কুল ফিস্কুল : পর্ব – ১০
সৌমেন রায়
চিত্র – অসিত কুমার সেনাপতি
নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে
সরকারি বিদ্যালয়ের আকাশে এখন নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে ! প্রকল্পের পর প্রকল্প। সবই ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক ও পুষ্টিগতভাবে সশক্তকরণ প্রকল্প। সমাজে বৈষম্য আছে, কেউ যেন সে কারণে পাঠ বঞ্চিত না হয়। উদ্দেশ্য খুবই মহৎ। প্রথমে প্রকল্প গুলি ছোট করে দেখে নেওয়া যাক।
মিড ডে মিল - এটির বর্তমান নাম পি এম পোষণ। প্রকল্পের উদ্দেশ্য কেউ যেন ক্ষুধা নিয়ে ক্লাসে না বসে থাকে। তাই সরকারি তরফে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। ‘পুষ্টিকর’ খাবারের জন্য বরাদ্দ প্রাথমিকে পাঁচ টাকা, উচ্চ প্রাথমিক আট টাকা। তার সঙ্গে চাল। মাঝেমধ্যে অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য বাড়তি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তবে সে বরাদ্দ ভোট নিরপেক্ষ নয়। পেট ভরানো ছাড়াও এ প্রকল্পের এক বিরাট শক্তি আছে। তা হল সমাজে জাতপাত, ধর্মের বৈষম্যকে এই প্রকল্প সজোরে থাপ্পড় মেরেছে। এখানে একই সারিতে বসে সব জাত ধর্মের ছেলে মেয়েরা খায়। সাম্যের এই শিক্ষা শ্রেণীকক্ষে দিতে গেলে হাজার হাজার বার বলেও দেওয়া যেত না। এই প্রকল্পের যারা রান্নাবান্না করেন তারা স্ব-সহায়ক গ্রুপের সদস্য। তাদের মাসিক বেতন মোট ৬ হাজার টাকা( পুরো গ্রুপের)। সঙ্গে খাবার। বরাদ্দ টাকায় কি এই বাজারে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব? ক্লাস এইটের পর কি আর ছাত্র-ছাত্রীদের খিদে থাকে না ? ৬ হাজার টাকায় কি সারা মাস এতজনের রান্না করা সম্ভব? এই সব কুট প্রশ্ন তোলা প্রবন্ধগুচ্ছের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য প্রকল্পগুলির পড়াশোনায় কি সুবিধা অসুবিধা করছে সেটা দেখা। প্রকল্পের ব্যবস্থাপনার জন্য একজন নোডাল টিচার থাকেন। তাকে ও হেডমাস্টার মশাইকে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাপনা করতে হয়। তিনটে রেজিস্টার মেন্টেন করতে হয় এবং প্রতিদিন রিপোর্ট পাঠাতে হয়।
কন্যাশ্রী - এর পরেই যে প্রকল্পটি সর্বাধিক চোখ টানে তা হল কন্যাশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পে মেয়েদের প্রতি বছর হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। ১৮ বছর হলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। প্রকল্পটি সর্বত্র উচ্চ প্রশংসিত। প্রতিটি স্কুলে কন্যাশ্রী ক্লাব করা এবং সেই ক্লাবের কিছু একটিভিটি বাধ্যতামূলক। আমরা খবরেও মাঝে মাঝে দেখি মেয়েরা অল্প বয়সের বিয়ে আটকে দিচ্ছে । কোথাও প্রচার চালাচ্ছে মদের বিরুদ্ধে। এই প্রকল্পে কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও ভালো দিকটাই বেশি।
সবুজ সাথী - নবম শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের এই প্রকল্পে দেওয়া হয় সাইকেল। ব্লক থেকে সাইকেল আনতে হয় এবং বিলি বন্টনের সমস্ত নথি সেখানেই জমা দিতে হয়। সাইকেলের মান নিয়ে কিছু কমপ্লেন আছে। কিন্তু যাদের একটু দূরে বাড়ি তারা খুব উপকৃত।
ঐক্যশ্রী - মাইনোরিটি স্টুডেন্ট (পশ্চিমবঙ্গে যেটা মূলত মুসলিম) দের বছরে হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। প্রকল্পটির দিকে সরকার খুব কড়া নজর রাখে। এক্ষেত্রে খাতায় কলমে 50 শতাংশ নম্বর পাওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু ওটা ‘ম্যানেজ’ হয়ে যায়।
শিক্ষাশ্রী – কন্যাশ্রী র মতোই পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর এস সি ,এস টি ছেলেমেয়েদের বছরে যথাক্রমে ৮০০ ও ১০০০ টাকা দেওয়া হয়। যদিও ঐক্যশ্রী ও শিক্ষাশ্রী দুটি স্কলারশিপ একই রকম কিন্তু এটির প্রতি সরকারি স্তরে নজরদারি কম।
তরুণের স্বপ্ন - দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা ট্যাবের জন্য 10000 করে টাকা পায় । টাকা সরাসরি একাউন্টে যায়। হাতে মোবাইল তুলে দেওয়া ভালো না মন্দ সে অন্যত্র আলোচনা হবে।
ওয়েসিস- প্রি এবং পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ। নাইন, টেন, ইলেভেন টুয়েলভ ছেলেমেয়ে সবারই জন্য। এখানে কাগজপত্রের কাজ সবচেয়ে জটিল।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ - মাধ্যমিকের পর প্রতি মাসে হাজার টাকা করে পাওয়া যায় রেজাল্টের ভিত্তিতে। স্কুলে ভেরিফিকেশন হয়। এটিও অনেক দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে আশীর্বাদ স্বরূপ। তবে এর সহজলভ্যতার কারণে পরীক্ষা দিয়ে পেতে হয় এমন স্কলারশিপ গুলিতে (NMMSE ,NTSE,VSO)ছাত্র-ছাত্রী জোগাড় করাই মুশকিল হয়ে ওঠে।
টেক্সট বুক- প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত টেক্সটবুক সরকার থেকে দেওয়া হয়। সব বই একসাথে সাপ্লাই থাকেনা। তাই দু তিন দফায় বই আনতে যেতে হয়। সে সমস্ত বই রেজিস্টারে এন্ট্রি করে ছাত্র-ছাত্রীদের সই করাতে হয়। বহু ছাত্র-ছাত্রী স্কুল আসে না, অন্তত প্রথম দিকে খুবই অনিয়মিত থাকে। তাই বইয়ের ডিস্ট্রিবিউশন মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে চলে। বইয়ের সঙ্গে খাতাও দেওয়া হয় তবে তা একবারই।
পোষাক - অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি করা পোশাক দেওয়া হয়। ভাবছেন এত ছাত্র ছাত্রীর মাপ নিয়ে পোশাক কি করে তৈরি করা হয়? না মাপ নেওয়া হয় না। মোটামুটি কয়েকটা সাইজের পোশাক থাকে। সেই পোশাক ই বেছে নিতে হয়। সে পোশাক কারো একটু ঢিলেঢালা হয় কারো বা টাইট। পোশাকের মান বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম। কোথাও কোথাও অভিযোগ আছে মান এত ‘ভালো’ যে বাতাস, জল কিছুই ঢুকতে পারে না। আগে পোশাক স্কুল থেকে টেন্ডার করে হতো। এখন সেটা ব্লক না হয় ডিএম অফিস থেকে টেন্ডার হয়। ‘ বাতাসের গায়ে যেন টক টক গন্ধ !’ তাই না?
আয়রন ট্যাবলেট ও কৃমির ওষুধ - প্রতি সপ্তাহে আয়রন ট্যাবলেট দেওয়া হয় এবং সেটা ক্লাসের মধ্যে। মাঝেমধ্যে কৃমির ওষুধ দেওয়া হয়। অনুপস্থিতির হার যেহেতু বেশি তাই একদিনে হয় না ওটা সপ্তাহের অন্তত তিন দিন চলে।
প্রকল্পগুলির উদ্দেশ্য সবই কল্যাণমুখী তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। সমস্যা অন্যত্র। এতগুলি প্রকল্প প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষকর্মী চালাতে পারেন না । তাই প্রতিটি প্রকল্পের সঙ্গে শিক্ষকদের জুড়ে থাকতে হয়। সরকারিভাবেও সেটা স্বীকৃত। প্রতিটি প্রকল্পেরই নোডাল টিচার আছেন। স্টুডেন্টরা এসবের ফর্ম ফিলাপ, ব্যাংক একাউন্ট, আধার কার্ড, তার ভুল সংশোধন এইসব নিয়ে বিব্রত থাকে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান (পরের পর্বে)। সেটা পড়লে বিষয়টা আরো পরিষ্কার হবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার অবস্থানটি ঠিক কোথায়।
প্রধান শিক্ষককে পুরা বিষয়টি দেখভাল করতে হয়। যখন তখন অফিসে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। সে রিপোর্ট সাধারণত হারিয়ে যায়। আবার পাঠাতে হয় এবং এক্ষুনি পাঠাতে হয়। এক্সট্রা পোষণের ( ভোটের আগে স্টুডেন্ট পিছু সপ্তাহে 20 টাকা) সময় একবার হঠাৎ কোনো কারণে কোনো এক স্কুলের অফিসে গিয়ে দেখা গেল হেডমাস্টার মশাই কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে আঙ্গুর ওজন করে প্যাকেটে ভরছেন। দাঁড়িপাল্লাটি হেডমাস্টার মশাইয়ের হাতে। টাকায় ভজিয়ে আঙ্গুর দিতে হবে তো ! একনজরে প্রকল্প গুলির সার সংক্ষেপ এটিই। প্রকল্পগুলি বই কেড়ে হেডমাস্টারের হাতে দাঁড়িপাল্লা ধরিয়ে দিয়েছে। এইসব করতে গিয়ে তিনি পড়াশোনার খোঁজ নেওয়া তো দূরের কথা নিজের ক্লাসও শান্ত মনে নিতে পারেন না। Whatsapp ,mail, phone বেয়ে ঝরঝর ধারায় কখন কোন দুর্যোগ নেমে আসবে কে জানে! হিসাব নিকাশ, ব্যবস্থাপনা, তথ্য পাঠানো করতে করতে তিনিও ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং ভাবতে শুরু করেন যে এই ব্যবস্থাপনাগুলি করাই তার কাজ। সম্প্রতি নিদান এলো কলেজে কেন ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হচ্ছে না সদ্য পাশ করা স্টুডেন্ট দের ফোন করে জানতে হবে হেডমাস্টারদের। যেন এই প্রশ্নটির বহুমাত্রিক উত্তর এক কথায় প্রকাশ করে বলার জন্য তারা বসে আছে। ফোন ধরেই বলবে হাঁ স্যার আমার পেট কামড়াচ্ছিল তাই ভর্তি হইনি। আসলে এই প্রশ্নের উত্তরে আরেকটি প্রশ্নই করা যায়। কর্মসংস্থান না হলে পড়বে কেন? কিন্তু এই প্রশ্ন কে করবে? কাকে করবে? অভিভাবকরাও এখন প্রকল্পগুলিকে শিক্ষা মনে করেন। বছর দশ পনের আগেও অভিভাবক সভাতে কিছু শিক্ষক খানিক ভয়ে থাকতেন। কোন অভিভাবক কি ত্রুটি তুলে দেবে কে জানে? এখন সে ভয় নেই। পড়াশুনা নিয়ে আলোচনা প্রায় হয় না। যা কিছু খোঁজ খবর হয় প্রকল্প গুলি নিয়ে। আগে একটা লোক দেখানো হলেও ইন্সপেকশন ব্যাবস্থা ছিল। অনেকটা সাজিয়ে গুছিয়ে কনে দেখানোর মত হতো, কিন্তু তাও হতো। এখন ডি আই বা এডি আই রা শুধু কাগজে কলমে প্রকল্প দেখেন।
প্রশ্ন হচ্ছে প্রকল্পগুলি কি শিক্ষার উন্নতিতে সহায়ক? এক প্রবীণ শিক্ষক বলছেন আমার একুশ বছর শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এই প্রকল্পগুলি নিঃসন্দেহে ভালো প্রকল্প, ছাত্রছাত্রীদের উপকারে লাগে কিন্তু তা কোনোভাবেই পড়াশোনাতে সাহায্য করে না। যে ছেলে অমনোযোগী সে মিড ডে মিল খেয়ে আসার পরেও অমনোযোগী থাকে। যে পড়তে পারেনা সে কন্যাশ্রী পাওয়ার পরও পড়তে পারেনা। আবার যার মনের মধ্যে আগুনটা আছে তাকে খালি পেটও আটকে রাখতে পারেনা। তিনি বলছেন প্রকল্প গুলি চলুক কিন্তু এগুলিকে শিক্ষা ভাবা বন্ধ হোক। কথাগুলির সপক্ষে তথ্যও আছে। প্রকল্প সফল হলে শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরেই এক বছরে গড়ে সাড়ে এগারো হাজার নাবালিকা বিবাহ হতো না( আনন্দবাজার 1/8/2024)।
এখন প্রায় সব স্কুলেই ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা সব দিকে এগিয়ে। এটি আদৌ কন্যাশ্রীর সাফল্য না অন্য কারণ আছে সে বিষয়ে আমরা পরে কোন নিবন্ধে আলোচনা করব। আপাতত একটা ঘটনা শুনুন। বাড়ির কর্ম সহায়িকার স্টপ গ্যাপ এ কাজ করতে এল সানিয়া বলে একটি কিশোরী। খোঁজ নিয়ে জানা গেল সে ক্লাস নাইনে পড়ে তবে স্কুল যায় না। অপুষ্ট শরীরে বাহারি চুলটি দেখে প্রশ্ন করা গেল কি করেছিস রে? বললো চুল স্ট্রেট করেছি। পয়সা কোথায় পেলি? বলল কন্যাশ্রীর টাকা জমিয়ে।
শিক্ষকরা মাঝে মধ্যে প্রশ্ন তুলেন এসব করা কি তাদের কাজ? তাদের কাজ তো পাঠদান করা, অন্তরের আগুন যাতে জ্বলে ওঠে তার জন্য চকমকিটি নিরন্তর ঠুকে যাওয়া। সমাজবিদরা বলছেন শুধু শিক্ষার বিকাশ নয়, সার্বিক বিকাশ শিক্ষার লক্ষ্য। সমাজে বিভিন্ন প্রকারের অসাম্যের মধ্যে বিদ্যালয় এক মরুদ্দ্যান। আর শিক্ষক হচ্ছেন তার মালি। আবার দেবত্ব আরোপ। অনেকে আবার বলছেন এই দায়িত্ব যদি সরকারি অফিসের উপর দেওয়া হয় তাহলে দুর্নীতির একটা ভয় থেকেই যায়। শিক্ষকের হাতে থাকলে এ সম্ভাবনা কম। তিনি যেহেতু নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের দেখছেন তিনিই এর শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থাপক। যেখানে সমাধান থাকে না সেখানে এই দেবত্বের ব্যাপারটি চলে আসে। কিন্তু শিক্ষক আসলে মানুষ। তিনি এত ধরনের কাজ সমান দক্ষতায় করতে পারেন না। এমনিতেই সংসার সামলাতে গিয়ে বড়দের মন দড়কচা মেরে যায়। সেই মন নিয়ে কিশোর-কিশোরী বা বালক- বালিকাদের মনের সঙ্গে সংযোগ ঘটানোটাই কষ্টকর। তার উপর আবার স্কুলে এসে এই সমস্ত কাজ করতে করতে সংযোগ গঠনের প্রক্রিয়ারই বিস্মরণ ঘটে যায়। তিনিও মুচকি হেসে শিক্ষাকে বলেন ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই ছোট সে তরী, সামাজিক প্রকল্পে তা গিয়েছে ভরি।
4 Comments
আমার প্রণাম নেবেন স্যার ♥️🙏, খুব ভালো লিখেছেন আপনি......
ReplyDeleteনমস্কার নেবেন।গ্রাউন্ড জিরোর সমস্যা গুলি আপনারা পড়ছেন এই আমার পরম পাওয়া।🙏
DeleteBhalo laglo
ReplyDeleteতাহলে বোঝা গেল রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট স্টাইলে রাস্তাঘাট উড়ালপুল ব্রীজ তৈরির মত স্কুলের পরিকাঠামো গত উন্নয়ন হল। তারপর বিভিন্ন সমাজকল্যাণ সূচক প্রকল্পকে এগিয়ে দিয়ে আপামর ছাত্র বা ছাত্রীদের পারিবারিক জীবনে কিছু সুরাহা হল, খাতায় কলমে তাদেরকে স্কুলমুখিও করা গেল। কিন্তু এইসব কিছুর ফাঁক গলে শিক্ষার জায়গাটিতে তেমন ভাল কিছু হল না। যেহেতু আমরা সবাই চলমান সময়ের প্রতিনিধি তাই সমস্যাগুলির উৎসমূলে সমাধান নিয়ে আগামী দিনে কিছু ভাবনা থাকবে নিশ্চয়।
ReplyDelete