বার্লিনের ডায়েরি -- ৪৪ পর্ব চিত্রা ভট্টাচার্য্য
রোদ ঝলমল হলদে আকাশ ,উড়ন্ত মেঘেরা দলবেধে অন্যকোথাও নিরুদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে। এয়ারবার্লিন রোমর আকাশে কয়েক পাক শিকারী পাখির মত চক্রাকারে ঘুরছে ,কিছুক্ষনের মধ্যেই এয়ারপোর্টের মাটি স্পর্শ করবে। প্রায় শহরের কাছে এসে যাওয়ায় নীচের দিকে তাকিয়ে যত দূর চোখ যায় সবুজের ছোঁয়া ঘেরা পাহাড়ের গায়ে বাড়ি ঘরগুলো ,অনেক ওপর থেকে যা বিন্দুর মত লাগছিলো ক্রমশঃ তা বড় আকারে দেখাদিল। রোমের ফিউমিসিনো লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এয়ারপোর্ট ভূমধ্যসাগরের প্রায় কাছেই। আকাশ থেকেই শ্ৰীময়ী দেখেছিল সাগরের সাদা ফেনার উন্মত্ত ঢেউয়েরা তীরে এসে কেমন আছড়ে পড়ছে। সকালের হলদে রোদে সাগরের উর্মিমালা রাশি ঝলমল করে এ শহরে প্রথম পদার্পনকারি নতুন অতিথিদের যেন খুশিতে স্বাগত জানালো।এ শহরের বাড়ি ঘরগুলো সোনালী আলোর পরশে সদ্য ঘুম ভাঙা চোখ মেলে নতুন এক কর্মব্যস্ত দিনকে বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতিতে মেতেছে।
রোমের কালোসিয়াম
বৃষ্টি ভেজা নিঝুম শ্রাবণরাতের এলোমেলো ঝোড়ো বাতাসে শ্রী সুদূরের অতীতের তীরে ভেসে চলেছে। ইতিহাস কে সঙ্গী করে রোম বেড়ানোর গল্প লিখতে ওর কলম চলেছে রোম সৃষ্টির আদিলগ্নে সেই অতীত সময় কে খাতায় বন্দী করতে। রোম নগরীর গোড়াপত্তনের কাহিনীতে প্রাচীন ইতিহাসের ধূলি ধূসরিত পাতায় উল্লেখ আছে যুদ্ধের দেবতা মার্সের যমজ সন্তান এবং ডেমিগড বা উপদেবতাদের কথা যারা ৭৫৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ২১শে এপ্রিল জন্ম নিয়েছিল। ইতিহাস প্রসিদ্ধ দুই যমজ ভ্রাতা রোমুলাস এবং রেমুস নামে খ্যাত ,তাদেরই জীবনের সে ঐতিহাসিক গল্প টি ও যে ভারী রোমহর্ষক এক চিত্ত চাঞ্চল্যকর কাহিনী।
রোম নগর প্রবেশদ্বার
কিম্বদন্তী অনুসারে প্রচলিত আছে সেন্টার ইতালীর প্রাচীন ল্যাতিন শহরে রাজা আলবা লঙ্গার এই দুই যমজ ভাই কে শিশুকালে টাইবার নদীতে ডুবিয়ে মারার জন্য নিক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু আশ্চর্য্য জনক ভাবে এক মায়া নেকড়ের দ্বারা রোমুলাস এবং রেমুস প্রাণে বেঁচে যান এবং ঐ নেকড়ের স্তন্যপান করে তারই ছত্র ছায়ায় অমিত শক্তিধর হয়ে ওঠেন। এবং তাদের প্রতি অন্যায়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ক্রমশ তারা যুদ্ধ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে রাজাকে পরাজিত করার লক্ষ্য নিয়ে গোপনে বিশাল শক্তিধারী ,শৌর্য্যশালী বীরত্বের অধিকারী হয়ে ওঠেন। এবং ৭৫৩ খ্রীষ্টপূর্বেই টাইবার নদীর তীরে এক ছোট্ট গ্রাম্য এলাকাতে নিজেদের শহর গড়ে তোলেন। পরবর্তী কালে দুইভাই ক্ষমতা লোভী হয়ে একে অপর কে হত্যা করতে উদ্যত হন এবং রোমুলাস ভাই রেমুস কে হত্যা করে সর্বেসর্বা রূপে নিজেকে প্রমান ও ঘোষণা করে এই শহরের গোড়াপত্তন করেন। এবং তাঁরই নামানুসারে নতুন নগরের নাম রাখলেন রোম. ।
প্লেনে বসেই শ্রী রোমের বেড়ানোর জায়গাগুলোর একটা লিস্ট তৈরী করে। ওর মনের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে সেই টাইবার নদীর তীর ,গ্ল্যাডিয়েটর ,কলোসিয়াম, ,পম্পেই নগরী ,সম্রাট নিরো, জুলিয়াস সিজার রানী ক্লিওপেট্রা , ভার্টিক্যান সিটি তো বটেই সেন্টপিটার ব্যাসিলিকা পান্থিয়ন ট্রেভি ফাউন্টেন রোমান ফোরাম পম্পেই, নগরী ভিসুভিয়াস আগ্নেয় পর্বত ইত্যাদি আরো কত যে পরিচিত নাম তার হদিশ কে রাখবে ? দুই ঘন্টার মত সময় রোমান সভ্যতার এই অদেখা নগরীর কথা ভেবেই কেটে গেলো ,প্লেন রানওয়ে তে ঝুপ করে নামলো।
দাভিঞ্চি এয়ারপোর্ট থেকে চেকিং পর্ব সেরে ওরা বাইরে বেরিয়ে আসতেই দেখেছিল সুন্দর স্মার্ট ইতালীয়ান যুবকের হাতে ধরা ডিসপ্লে বোর্ডে অদ্রিজার নাম। গাড়িতে উঠে বসতেই কালো মারসিডিজিস গাড়ির ড্রাইভার ইটালীয়ান ভাষায় কি বলেছিল শ্রী বুঝতে পারেনি।অদ্রিজা বলে ইটালীর রাজধানী রোমে আমাদের আসার জন্য সাদরে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমাদের ওয়েলকাম জানালো। কাছেই মেট্রো ষ্টেশন থাকায় শ্রী প্রথমে ভেবেছিল টিকিট কেটে ইলেক্ট্রনিক পাঞ্চ মেশিনে টিকিট ভ্যালিডেট করিয়ে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো লিওনার্দো এক্সপ্রেসে ট্রেনে উঠে হোটেলে পৌঁছে যাবে ।এটি একটি প্রথম শ্রেণীর ট্রেন যদিও দেখে ওর কলকাতা মেট্রোর মতই লাগছিল। রোড ম্যাপ অনুযায়ী এখান থেকে মেট্রো ট্রেন ধরে ও রোমা টার্মিনি বা রোমের সেন্ট্রাল রেলওয়ে ষ্টেশনে পৌঁছানো যায়। এবং রোমা টার্মিনির দূরত্ব মাত্র ৩১ কিলোমিটার।
এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে পূর্ব দিকের রাস্তা ধরে উঁচু নীচু ধূসর পাহাড়ি টিলার পাশ দিয়ে ঝকঝকে কালো মসৃণ রাস্তায় গাড়িটি আপন গতিতে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলেছিল। নতুন মার্সিডিজ গাড়িটি তে জাঁকিয়ে বসে বেশ স্বস্তিতে শ্রী পথের দিকে চেয়ে আছে। অদ্রিজা বলে আমাদের প্রতিবারের মত হোটেলের কাছে পৌঁছে ঠিকানা খুঁজে সময় নষ্ট করতে হবে না বরং সোজা হোটেলের দরজায় পৌঁছে যাবো। পথের দুদিকে ফসলের ক্ষেত তবে ফসল তুলে নেওয়ায় ন্যাড়া মাঠ প্রান্তর । খুব ঠান্ডা থাকলেও বরফ পরার উৎপাত নেই। রোমের আকাশে ও সেই সকালের আলোয় রোদ ঝলমলে। ভূমধ্যসাগরীয় আবহাওয়ার অঞ্চলে প্রভাব থাকায় বেশ কিছু নিজের দেশের পরিচিত গাছ চোখে পড়লে ঋষভ অদ্রিজার মতই খুশি হয়ে ওঠে। শ্রী বলে গাছের পাতা গুলো আমাদের চেনা খেঁজুর পাতার মত। পরিচিত গাছের সারি পথের ধারে কিন্তু কি গাছ বুঝে উঠবার আগেই গাড়ি সবেগে উধাও হয়ে যায় । সারিবদ্ধ ইউক্যালিপটাস ,কোথাও রক্ত করবী বা শ্বেত করবীর গাছ দেখে শ্রীর আশ্চর্য লাগে। শহরের রাস্তার দুই পাশেই গগনচুম্বী অট্টলিকার সারি নয়, মিলান বা প্রাগের নাগরিক জীবনের মত এখানেও ঘর বাড়িগুলো একই রঙের একই মাপের প্রায় অজস্র ফ্ল্যাট বাড়ি ছয় সাত তালা বিল্ডিং দেখা গেল। ছবির মত সাজানো রাস্তা ঘাট ঝকঝকে পরিষ্কার সুন্দর শহর।
গাড়িটি ৪৫মিনিট চলার পর ভিয়াটিবুর্তিনার এপার্টমেন্টের কাছে এসে পৌঁছলো। ইনস্টিটিউট থেকে এই বিল্ডিংটি তেই অদ্রিজাদের সমস্ত কলিগদের থাকার ব্যবস্থা। এখানেই তিন তলার এপার্টমেন্ট টি অদ্রিজার নামে বুকড করা হয়েছে । এবং মিনিট পাঁচেকের হাঁটাপথে হোটেলের বাঙ্কোয়েট হলে ওদের আয়োজিত কনফারেন্স সভা। মাঝারি মাপের সাজানো বেডরুম ,ড্রয়িংরুম, কিচেন। একদিকের দেওয়াল জুড়ে রোমের বিখ্যাত কলসিয়াম ভিসুভিয়াস পর্বতের জ্বালামুখ ও সমাধি প্রাপ্ত পম্পেই নগরের ছবি। আর এক দিকের দেওয়ালে লম্বা চওড়া পুরু কাঁচের বিরাট জানালা। ঘরে ঢুকে আকাশী নীল রঙের ভেলভেটের পর্দাসরাতেই শ্রীর দূরের পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে দেখেছিল ,তামাটে ধূসর পাহাড়ের গা বেয়ে উচ্ছল বেগে নেমে চলেছে ক্ষীণ স্রোতের স্বচ্ছ ঝর্ণা ধারা। হয়তো কিছুদূরে এলোমেলো এগিয়ে উদাসিনী টাইবার নদীতে ঝাঁপ দেবে। ঝকঝকে সূর্যের আলোয় চিকচিকে অভ্রর মত আভাস চোখে পড়লে শ্রী বালিকা সুলভ খুশিতে ডগমগ হয়ে ওঠে ,ঋষভ ও তিতির কে ব্যস্ত করে তোলে ওর আবিষ্কারের আনন্দ দেখাতে।
🍂
আরও পড়ুন 👇
কিচেনে চা কফি চিনি প্যাকেটের দুধ রয়েছে। তিতির চায়ের জল গ্যাসে বসিয়ে দিলে মিনিট পাঁচেক ও লাগেনি গরম জলে ডিপ টি ডুবিয়ে চা তৈরী করতে। গত রাতে অত কম সময়েও ব্যাগ প্যাকে শ্রী রান্নার জিনিস পত্র সাধ্য মতো গুছিয়ে নিয়েছে । এছাড়া ও বেশ কিছু শুখনো খাবার কেক বিস্কির্টস ,কুকিজ নিমকী সঙ্গে থাকায় চা পর্ব মিটতেই তিতির কনফারেন্স হলের দিকে রওনা হয়ে গেলো যখন ঘড়িতে সকাল ১০টা।
বিদেশের এপার্টমেন্টের শৌখীন স্নানাগারে স্নান সেরে গত নিদ্রাহীন রাতের ক্লান্তি দূর করতে বিসনায় গড়াতেই রাজ্যের ঘুম চোখের পাতায় নেমে এলো। রুম হিটারের উষ্ণতার স্নেহস্পর্শে অচিরেই ওরা পাড়ি দিয়েছিল ঘুমের দেশে। তখন প্রায় দুটো ! নিঃঝুম দুপুর ডোরবেলের টুংটাং আওয়াজে ঋষভের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। অদ্রিজা এসেছে হাতে কোনো এক ইন্ডিয়ানারেস্তোরাঁর ফ্রায়েড রাইস এর সাথে চিকেন কষার প্যাকেট নিয়ে। অদ্রিজার ম্যাক্সপ্ল্যাঙ্কের বন্ধু রাশিয়ান মেয়ে জুনেভের রিলেটিভ পাভলোর এই রেস্তোরাঁটি। এই ফ্ল্যাট ক্যাম্পাসের বাম দিকের পার্ক লাগোয়া সুন্দর পরিছন্ন সাজানো ক্যাফে। জুনেভ আলাপ করিয়ে দিয়েছিল রেস্তোরাঁর মালিক পাভলোর স্ত্র্রী এজেলিয়ার সাথে। তিতির বলে ওখানে ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ ডিনার সব পাওয়া যাবে শুধু ঘন্টা খানেক আগের থেকে ফোনে অর্ডার দিতে হবে। ইন্ডিয়ান ও চাইনিজ ডিস ছাড়াও পছন্দের ইতালীয়ান পিৎজা পাস্তা স্প্যাগেটি ফ্রেঞ্চটোস্ট স্যান্ডউইচ কফি সবই আছে । খাবার অতি সুস্বাদু ,তবে চীজ প্রিয় ইতালীয়ান রান্নায় বেশ চীজের আধিক্য আছে। অদ্রিজার প্ল্যান খাবার পর ,চলো বেড়াতে যাই। যদিও খুব ঠান্ডা তবুও মাথার ওপর সূর্য দেবের কড়া প্রহরায় শরীর মন বেশ তরতাজা চঞ্চল এবংপুলকিত।
গায়ে ওভার কোট চাপিয়ে শ্রী ও ঋষভ নীচে নেমে এলে অদ্রিজা রোড ম্যাপ হাতে বাস স্ট্যান্ডের দিকে এগোয় । ইউরোপের অন্যান্য শহরের মত রোমে ও পাবলিক ট্রান্সপোর্ট প্রায় সর্বত্র চলে।এখন অফসিজিন লোকাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসে একসাথে পাস কিনে নেওয়াতে বেশ ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার হোলো মিলান শহরের মত এখানেও এই বাসের টিকিট যে কোনো স্টেশনারি দোকানে, সিগারেটের বা ট্যোবাকো শপে পাওয়া যায়। এই দোকানগুলোতে সিগারেটে ছাড়াও সব রকম মনিহারী নিত্য ও প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা আছে।
ভূমধ্যসাগর
মানুষজন কে গোল হয়ে জটলা বেঁধে দাঁড়িয়ে গল্প করতে দেখে শ্রীময়ী বেশ আশ্চর্য্য হয়ে গিয়েছিল। ও ঋষভ কে বলে দেখো এখানে কোথাও সিগারেট খাওয়াতে নিষেধাজ্ঞা নেই বরং আড্ডা মেরে গল্প গুজব করে নানা ব্রান্ডের সিগারেট সেবনে এদের বিশেষ রুচি আছে। রাস্তা ময় সিগারেটের টুকরো ছড়ানো দেখে মনে পড়লো ইতালীর মিলানে ভূগৰ্ভস্থিত পথে ষ্টেশনের ধারে ও ফুটপাথে এমন ধূম পানের ঘটা নজরে পড়েছিল। মনে হোলো এ পথ এ পরিবেশ মোটেই ওদের অপরিচিত নয় ,আগে ও যেন কোথায় এমন টাই দেখেছে । তখন এয়ারপোর্ট থেকে ভিয়ামারশালার এই পথে রোমের বহু পুরানো সুদীর্ঘ এবং সুউচ্চ সুরক্ষা প্রাচীর "অরেলিয়ান প্রাকার "চোখে পড়েছিল। রোড ম্যাপের সঙ্গে টিকিট কেনার সময় কি কি দেখতে পাওয়া যাবে তার বিবরণী দিয়ে একটি সচিত্র গাইড পত্রিকাও ঋষভ কিনেছিল। অদ্রিজা প্রতিবারের মত ওর ডিএসলার ক্যামেরাটিকে আয়ত্বে এনে ছবি তুলতে ব্যস্ত। ধীরে ধীরে চারদিকে তাকিয়ে শ্রী এসে দাঁড়ালো সেই বিশাল প্রাচীরের সামনে এবং চারদিকে তাকিয়ে চমকে উঠে ভাবে প্রাচীরটির এতো কাছে এলাম কি করে ?
এতো- বড় প্রাচীর !ঘাড় উঁচু করেতাকিয়ে শ্রী বলে অরেলিয়াসের এই প্রাচীর টি ,১১ ফুট চওড়া এবং ২৬ ফুট উঁচু। এই বিশাল প্রাচীরটি ২৭১ থেকে ২৭৫ খ্রীস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে সম্রাট আরেলিয়াস ও প্রবোসের শাসন কালে নাগরিক সুবিধার্থে শহর কে সুরক্ষিত রাখার জন্য মাত্র চুনসুরকি এবং পাতলা ইট দিয়ে গাঁথা হয়েছিল। অরলিয়াস প্রাচীর সেই সময়ে সাত পাহাড়ের রোম শহরটির চতুর্দিক পরিবেষ্টিত করে রেখে ছিল। রোম সাম্রাজ্যের পতনের পর বিভিন্ন সময়ে এই প্রাচীরের বেশীর ভাগ অংশই ধ্বংস হয়ে যায়। ঋষভের ভাবনা ,সেই সময়ে সাতটি পাহাড় কে ঘিরে কি করে এই বিশালাকার প্রাচীরটি গড়ে তোলা সম্ভব ছিল ? স্মৃতি বিজড়িত রোমের প্রতিটি পরতে পরতে জমে আছে কত বিস্ময়কর কাহিনী। অদ্রিজার মন ছুটে চলেছে সব দেখার তাগিদে অদম্য কৌতূহলে। ও বলে এখান থেকে কিছু টা এগোলেই ত্রেভিফাউন্টেন দেখা যাবে। ,চল আমরা সেদিকে এগিয়ে যাই । শ্রীময়ী বলে ,হেঁটে যাওয়া মোটেই সম্ভব হবে না। পিতা কন্যা বলে,একদম সামনেই গল্প করতে করতে পৌঁছে যাবো ম্যাপ দেখেছি মাত্র দশ মিনিটের হাঁটা পথ।ওরা নতুন উৎসাহে চলতে শুরু করলে অগত্যা শ্রী ও ওদের অনুসরণ করে। ক্রমশঃ
1 Comments
খুব সুন্দর ছবির মতই সুন্দর লেখা।
ReplyDelete